সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া ভোটে হারার কারণ হিসেবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমকেই দায়ী করেছেন। ইভিএম জটিলতায় ভোটাররা ভোট দিতে না পারার অভিযোগ এনে রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড জগন্নাথপুর মডেল বিদ্যালয় ও ৭নং ওয়ার্ড ইকড়ছই ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশে ও পশ্চিম পাশের কেন্দ্রে ইভিএম জটিলতায় এক হাজারের বেশি ভোটার ভোট দিতে পারেননি। অনেক ভোটার ও এজেন্ট বিষয়টি জানালে, আমি মুঠোফোনে ইভিএমের চার্জ না থাকা ও কারিগরি ত্রুটির কথা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাই।
আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী বলেন, ‘উনি লোক পাঠিয়ে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দেন। এরমধ্যে অনেক ভোটার ভোট না দিয়ে ফিরে যান। এতে করে জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে সঠিকভাবে মানুষের ভোটের প্রতিফলন ঘটেনি। নির্বাচন কমিশন যেহেতু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতের প্রতিফলনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাই বঞ্চিত ভোটারদের ভোট প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দেয়া কমিশনের দায়িত্ব।’
তবে জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজিত মেয়র প্রার্থী মিজানুর রশীদ ভূঁইয়ার অভিযোগ মানতে নারাজ সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার।
তিনি বলেন, ‘ইভিএমে সমস্যা বা চার্জ নেই এমন কোনো অভিযোগ কেউ করেনি। আমাদের কাছে অতিরিক্ত ডিভাইস ছিল এবং ইভিএমে চার্জ থাকে ৩৬ ঘণ্টা। সেখানে চার্জ থাকবে না, বিষয়টি মানতে পারলাম না। তাছাড়া যেখানে ছয়টি ডিভাইস দরকার সেখানে নয়টিও পাঠিয়েছি। তবে তিনি যেহেতু লিখিত অভিযোগ করেছেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।’
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান আক্তার কাছে ৩৬০ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া। চামচ প্রতীকে ৮,৩৭৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া ৮,০১৮ ভোট পেয়েছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন