দিনাজপুরে কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় কারাগারে পাঠানোর এক রাত পরেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ছয় সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২২ কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টায় তারা দিনাজপুর জেলা কারাগার থেকে বের হন।
দিনাজপুর জেলা কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল জানান, আদালতের নথি পেয়েই আমরা তাদের মুক্তি দিয়েছি।
বুধবার দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এরপর বিকেলে আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান জাহানী হাইকোর্ট বিভাগের নথি উপস্থাপন করলে আদালত রাতেই তাদের জামিন দেন।
২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় এবং কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়।
কয়লা গায়েবের ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে মামলাটি দুদকের উপ-পরিচালক সামসুল আলম তদন্ত করেন।
এরপর ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই সাবেক সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়। চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা যোগসাজশে ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ঘাটতিকৃত এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯৯ মেট্রিক টন কয়লা আত্মসাতে জড়িত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন