পটুয়াখালীতে বাবাকে হত্যা করে পালিয়ে ঢাকায় ছিলেন ছেলে ইমরান (২৬)। সোমবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার শাজাহানপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ইমরান। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ নভেম্বর সকালে পটুয়াখালীর দশমিনার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে ইমরানের বাবা নজরুল ইসলামের (৪৫) রক্তাক্ত লাশ তার বসত ঘর সংলগ্ন ছাগল রাখার ঘরে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়। তার গলার বাম পাশে কানের নিচে ঘাড়ে কাটা ছিল। রাতে তার স্ত্রী রিনা বেগম (৪০) ও তিনি ঘরে একই বিছানায় ঘুমানো ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তার ছেলে ইমরান পলাতক ছিলেন।
কাঠের দোতলা বসতঘরের দ্বিতীয় তলায় টেবিলের ওপর একটি চিরকুট পাওয়া যায়। তাতে লেখা ছিল-‘আমার মা এই খুনের বিষয়ে কিছুই জানে না। আমি ইমরান নিজে এবং একা এই খুন করেছি।’
পরে চট্টগ্রামে অবস্থানরত ভিকটিমের ছোট ছেলে ইলিয়াস (১৯) বাড়িতে এসে বাদী হয়ে দশমিনা থানায় মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা থেকে গতকাল ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়।
পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানিয়েছেন, বাবা জমি বিক্রি করে তাকে কোনো টাকা না দেয়ায় এবং দীর্ঘদিন ধরে তার মাকে অত্যাচার করার ক্ষোভ থেকে ঘরে থাকা দা দিয়ে কুপিয়ে তিনি তার বাবাকে হত্যা করেন। পরে লাশ বস্তাবন্দি করে ঢাকায় পালিয়ে যান। গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাতে নিজ ঘর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাপ্ত চিরকুটটির সত্যতা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ বিশেষজ্ঞ কর্তৃক যাচাইয়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন