কারুন যদি আমাদের পকেটে থাকা এটিএম কার্ডের কথা জানতেন, তবে তার ধনভাণ্ডারের চাবি বহনকারী চাকরের বহর নিয়ে দম্ভ করতেন না!
পারস্য সম্রাট কিসরা যদি আমাদের বাসার ড্রয়িং রুমের বিলাসী সোফায় বসার সুযোগ পেতেন, তবে আর নিজের সিংহাসনের চেয়ার নিয়ে গর্ব করতেন না!
রোম সম্রাট কায়সার যদি আমাদের এয়ারকন্ডিশন দেখতেন, তবে মাথার উপর উটপাখির পালক দিয়ে কৃতদাসদের করা বাতাসকে আয়েশ ভাবতেও লজ্জা পেতেন!
পাইক-পেয়াদাদের লোভাতুর দৃষ্টি উপক্ষা করে হেরাক্লিয়াস গ্রীষ্মকালে মাটির হাড়ি কাত করে আয়েশী ভঙ্গিতে ঠান্ডা পানি পান করতেন। আজ আমাদের সহজলভ্য ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পানের স্বাভাবিক দৃশ্য দেখলে হয়তো নিজেকে সম্রাটই ভাবতেন না!
শাহী ভঙ্গিমায় ঘোড়ার চড়া হালাকু খানের সামনে দিয়ে যদি আপনি চকচকা করোলা গাড়ি কিংবা ইসুজু বাইক হাঁকিয়ে যেতেন, তবে তিনি নিজের বাহন নিয়ে গর্ব করতে লজ্জাবোধ করতেন হয়তো!
রাজা-মহারাজারাও মাসের পর মাস পায়ে হেঁটে কিংবা ক্লান্ত উট বা ঘোড়ায় চড়ে হজ্জে যেতেন। আর আমরা কয়েক ঘন্টায় বিলাসবহুল বাহনে উড়াল দিয়ে হাজার হাজার মাইল মাড়িয়ে এসে হাজ্জ করি!
রাজা-বাদশারাও যে সুখভোগের সুযোগ পায়নি, বরং স্বপ্নেও কল্পনা করে নি, তা আমরা সহজেই উপভোগ করছি প্রতিনিয়ত!
মহান রব অগণিত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ডুবিয়ে রেখেছেন আমাদের।আপনি চোখ দুটো যতো বেশি মেলবেন ততো বেশি মাথাটা নিচু হয়ে আসবে…
এরপরও আমরা অনেকে ভাগ্য নিয়ে বিলাপ করি!
‘হে প্রতিপালক, তুমি আমাকে সামর্থ দাও, যাতে আমি তোমার সেই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, যা তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দান করেছ..’। (সুরা নামাল আয়াত ১৯)click here
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন