রংপুরের গঙ্গাচড়ায় লক্ষীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ থেকে বাগেরহাট যাওয়ার সড়কটি তিস্তার পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়ায় তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে শংকরদহ গ্রামটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গেলে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন জানান, চলতি বর্ষায় তিস্তা নদীর পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে যায় লক্ষীটারী ইউনিয়নের চর শংকরদহ গ্রাম থেকে বাগেরহাট যাওয়ার সড়কটি।
ফলে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়া তিস্তার মূল স্রোতধারা গতিপথ পরিবর্তন করে শংকরদহ গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সেখানে একটি শাখা নদী দিয়ে এখন তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে ওই শাখা নদী মূল নদীতে পরিণত হয়ে পুরো শংকরদহ গ্রামটি নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া জয়রাম ওঝা, পূর্ব ইচলী, পশ্চিম ইচলী, ইশোর কোল, এসকেএস বাজার, চল্লিশ সাল গ্রামসহ ৭ গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া বিলীন হয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, রাস্তা। ভাঙন হুমকির মধ্যে পড়েছে শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুসহ সংযোগ সড়ক।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন তাদের বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙন স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে তিস্তার ডান তীরের শহর প্রতিরক্ষা বাঁধসহ পার্শ্ববর্তী আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
লক্ষীটারী ইউপি সদস্য মোন্নাফ মিয়া জানান, ভাঙন শুরুর সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড নামমাত্র কাজ করেছে। সঠিকভাবে কাজ না করায় সড়কটি ভেঙ্গে যায় ফলে সেখানে তিস্তার একটি শাখা নদী সৃষ্টি হয়েছে।
লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদী বলেন, এখনই কাজ না করলে শেখ হাসিনা সেতুসহ আমার ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ড নদীগর্ভে চলে যাবে। ভাঙন রক্ষার্থে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত কাজ করার অনুরোধ জানান।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কাজ করা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন