চীনের সাথে সংঘাতের ফলে স্বদেশি সামগ্রিতে জোর দিয়েছে ভারত। তবে এতে ভয়াবহ সংকটেরই আবাস দিল ভারতের ব্যবসায়ীরা। অস্বাভাবিক হারে বাড়বে আসবাস, ল্যাম্প সহ একাধিক জিনিসের দাম।
লাদাখে চীনের ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় চীনা সামগ্রি বর্জনের রব উঠেছে। সরকারও তাতে সায় দিয়ে প্রায় সিংহভাগ চীনা সামগ্রি আমদানি বন্ধ করেছে। তাতে বিপুল ক্ষতির স্বীকার করতে হয়েছে ভারতই। সেই ক্ষতি পূরণে ৬০০টি দেশীয় সামগ্রির বাণিজ্যে জোর দেওয়া হয়েছে। এতে চাপ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। কারণ দামি হতে চলেছে আসবাব পত্র, ল্যাম্প সহ একাধিক সামগ্রি।
লাদাখে চীনা বাহিনীর সাথে লড়াইয়ে ভারতের ২০ জন জওয়ান মারা যায়। তার পরেই গোটা ভারতে চীনের বিরোধিতা শুরু হয়। একাধিক জায়গায় চীনা সামগ্রি পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। চীনা সামগ্রি কিনতে অনেকেই আপত্তি জানাতে শুরু করেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে চীন থেকে প্রায় ৬০০ রকমের সামগ্রি আমদানী করা হয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কেন্দ্রগুলি থেকে। সেই সামগ্রি গুলির উপর মোটা টাকা শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। একই সঙ্গে যে সামগ্রিগুলি দেশেই তৈরি করা যায় এমন সামগ্রি চীন থেকে আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কতরকমের সামগ্রি চীন থেকে ভারত আমদানি করে তা জানতে বিভিন্ন বণিক সভাগুলির কাছে চিঠি পঠিয়েছে কেন্দ্র।
তবে একাধিক জিনিসের কাঁচা মাল আমদানি বন্ধ করা হলে, সমস্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একাধিক সামগ্রির দাম বাড়বে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কাজ করতে গিয়ে বিপাকে মোদী সরকার। একাধিক জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন