ইউরোপের দেশ সার্বিয়ায় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সংক্রমণ রোধে পুনরায় লকডাউন জারি করেছে দেশটির সরকার। এর প্রতিবাদে রাজধানী বেলগ্রেডে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সার্বিয়ায় একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। প্রাণহানি এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনাকে বিপজ্জনক উল্লেখ করে দেশটির সরকার ফের কঠোর লকডাউন আরোপের ঘোষণা দেয়। যা দেশটির অনেক মানুষ মেনে নিতে পারেনি। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।
সময়ের সাথে সাথে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ লকডাউনবিরোধী ক্রমান্বয়ে সহিংস হয়ে ওঠে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের অনেকেই প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের একাংশ পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয় এবং ভাঙচুর চালায়। তবে দাঙ্গা পুলিশের ১৫ মিনিটের ঝটিকা অভিযানে সংসদ ভবন খালি হয়ে যায়।
এছাড়া বেলগ্রেডে দেশটির সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের কার্যালয়ের সামনেও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের একাধিক যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর, বোতল, ডিম ছুড়ে মারে। কিছু কিছু স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে দেশটির কট্টর ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর সদস্যদের সঙ্গে।
সার্বিয়ার পুলিশের পরিচালক ভ্লাদিমির রেবিক বলেছেন, বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে কয়েক জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে। তবে ঠিক কত জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।
এর আগে সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ভুসিক জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি বিপজ্জনক আকার ধারণ করছে। বেলগ্রেডের প্রায় সব হাসপাতাল এখন রোগীতে পরিপূর্ণ। এছাড়া নিস, নোভি পাজার, জেমুন এবং অন্য শহরের হাসপাতালেও দ্রুত শয্যা শেষ হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে ফের কঠোর লকডাউন আরোপের বিকল্প নেই ভাষণে উল্লেখ করেন তিনি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন