করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যৌক্তিক কারণে বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যৌক্তিকভাবে বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। বিআরটিএ যে প্রস্তাব দিয়েছে তার থেকে কমিয়ে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ৮০ ভাগ বাস ভাড়া বৃদ্ধি জনগণের ওপর চাপ তৈরি করবে। সরকারকে অবশ্যই যাত্রীদের স্বার্থ দেখতে হবে এবং পরিবহন খাতের প্রতিও সহযোগিতা বজায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এই সংকটের সময়ে মানুষের আর্থিক সামর্থ্যের দিক বিবেচনা করে সরকার বাস ভাড়া যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করেছে। কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই বাসের ৫০ ভাগ আসন খালি রাখতে হবে। বাসের চালক, সহকারী, কাউন্টারেরর কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণপরিবহন পরিচালনায় যাত্রী, পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানের এ ছাড় যেন বিষাদে পরিণত না হয়। মালিক, শ্রমিক, যাত্রী সাধারণ সবার দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দায়িত্বরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে তার বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সংকট কাটিয়ে ওঠার আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে আমরা এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।
উন্নয়ন কার্যক্রম কাজ থেমে গেলে জীবনের কাজও থেমে যাবে উল্লেখ করে তিনি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নব উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, জনগণের অর্থ নয় ছয় করা যাবে না, সবাইকে যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে ন্যায়, নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যে সব প্রকল্প অগ্রাধিকার তালিকায় আছে সে সব প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে হবে, দেশি-বিদেশি শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কাজ করতে হবে। শ্রমিকদের বেতন যেন যথাসময়ে দেওয়া হয় তাও নিশ্চিত করতে হবে।
খবর: বাসস।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন