লিবিয়ায় মানব পাচারকারীদের গুলিতে নিহত ২৬ বাংলাদেশি মরদেহ চেয়েছিল বাংলাদেশ দূতাবাস। কিন্তু স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীর চাপের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের দাফন করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সেকান্দার আলি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম আমাদের এবং নিহতদের পরিবারের সম্মতি ছাড়া যেন মৃতদেহগুলো দাফন না করা হয়। তিনি বিষয়ে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো মিজদাহ শহরে ত্রিপলি সরকারের কার্যত কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। জায়গাটি স্থানীয় মিলিশিয়াদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। মৃতদেহ দাফন করার সংবাদ শুনে আমরা ওই হাসপাতালে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ জানায় তারা স্থানীয়দের চাপের মুখে এই কাজ করেছে।
তবে দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর অশরাফুল ইসলাম জানান, লাশগুলো সেখানে (মিজদায়) দাফন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই এটা মেনে নিতেই হবে। মিজদার একটি হাসপাতালে বর্তমানে লাশগুলো রয়েছে।
তিনি জানান, মিজদা খুবই ছোট ও অনুন্নত একটি শহর, সেখানে লাশগুলো সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। এছাড়া যুদ্ধকবলিত এলাকা হওয়ায় এবং লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরের এলাকা হওয়ায় রাজধানী ত্রিপোলির সাথে মিজদা শহরের যোগাযোগের ব্যবস্থাও বেশ খারাপ।
এছাড়া করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সব ধরণের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় লাশগুলো মিজদা শহর থেকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের মিজদা অঞ্চলে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হন। আহত হন আরো ১১ জন বাংলাদেশি।
তারা সবাই অবৈধভাবে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পারি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অবৈধভাবে লিবিয়ার বেনগাজি বন্দরে পৌঁছে কয়েকমাস গোপনে ছিলেন এই অভিবাসন প্রত্যাশীরা। এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেনগাজি থেকে উপকূলবর্তী যুওয়ারা অঞ্চলে যাওয়ার পথে অপহরণকারীদের কবলে পড়েন তারা।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন