করোনাভাইরাস নিয়ে মুসলমানদের কটাক্ষ করলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘যারা আল্লাহর ভরসায় রয়েছেন, তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন।’ বিজেপি পার্লামেন্ট সদস্যের এই মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
লকডাউনের নিয়ম অমান্য করে দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদে একত্রিত হয়েছিলেন দেশি-বিদেশি মিলিয়ে হাজার দুয়েক মানুষ। সেখান থেকেই সারা দেশে হু হু করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ওই সমাবেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গেও করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই মুসলমানদের আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ।
দুস্থদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিতে গতকাল বুধবার হাওড়া গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সায়ন্তন বসুও। সেখানেই সাংবাদিকদের নাম না করেই রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ক্রমেই বেড়ে চলায় করোনার পেছনে মুসলিমদেরই দায়ী করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে বহু মানুষ এখানে আসছেন। টুরিস্ট ভিসা নিয়ে আসেন। যেহেতু বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত তাই তাদের কিছু বলা যাবে না। আর তার পরিণামই আমরা এখন ভোগ করছি।’
মন্দির করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়ালেও মসজিদ সে অর্থে এগিয়ে আসেনি, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই সাংসদ। তিনি বলেন, ‘যারা আল্লাহর দয়ায় সুস্থ হবেন বলছেন তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন। মন্দির জমায়েত বন্ধ করলেও এগিয়ে আসছে না মসজিদ।’
পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৭১ জন নিজামুদ্দিন মসজিদের সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন বলে সাংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ৭১ জনের মধ্যে ৫৪ জনকে এরই মধ্যে কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৫৪ জনের মধ্যে ৪০ জনই বিদেশি।
প্রসঙ্গত, দিল্লির মারকাজ নিজামুদ্দিন মসজিদে একটি ধর্মীয় জমায়েত উপলক্ষে জড়ো হওয়া মানুষজনের মধ্যে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই সম্মেলনের জেরেই দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে মনে করছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন