মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে, তার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। যদিও তারা রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেনি।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সামগ্রিক বিচার করা হবে ২০১৮ সালে দেশটির নেত্রী অং সান সুচির নির্দেশে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে। আর এটি করা হবে প্রকাশ্য কোর্টমার্শাল বা সেনা আদালতে এবং তদন্ত আদালত গঠনের মাধ্যমে।
ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাপ্রধান বিচারের সম্মতি দেয়ার পরই দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হলো। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নয়, দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতার কারণে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কথিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট অতি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয় এবং তা ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। ৪৬১ পৃষ্ঠার এই রিপোর্টে দেখা গেছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা দমনের নামে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রাখাইনের মাত্র ৩টি রোহিঙ্গা গ্রামেই প্রায় ৯০০ জনকে হত্যা করে দেশটির সেনা এবং অন্যান্য সরকারি বাহিনীর সদস্যরা।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ কারণে বিচারের নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নতুন একটি কূটকৌশল এবং দায়মুক্তির পথ বেছে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় কয়েকটি পুলিশ চেকপোস্টে হামলাকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সাঁড়াশি অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এতে কয়েক হাজার লোক হতাহতের ঘটনা ঘটে। নৃশংস সেই অভিযানের শিকার হয়েছে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন