চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হলেও বর্তমানে ২৮টি দেশে ছড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরকম পরিস্থিতিতে চীনে কোয়ারেনটাইনে থাকা রোগীদের কাছে খাবার থেকে শুরু করে ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে রোবট।
উহানের সরকারি হাসপাতালে ৩০টি রোবট দিয়েছে সাংহাইয়ের একটি কম্পানি। মূলত ওই হাসপাতালেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চাপ সবচেয়ে বেশি। ঝুঁকি কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য রোবটের ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সেই রোবটের সাহায্যে অন্যদের শরীরে করোনা যেন ঢুকে না পড়ে, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, নির্দিষ্ট সময় পরপর রোবটটি বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা স্প্রে নিজের ওপরই ছিঁটিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে নয়টি অতি বেগুনি রঙ্গে লাইট রয়েছে সেই রোবটে। মানুষের শরীরে যেন ভাইরাস ঢুকে না পড়ে, সেজন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী স্প্রে করে দেয় রোবটগুলো।
সাংহাই টিএমআইরোব নামক ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান পান জিং বলেন, কোয়ারেনটাইনে থাকা রোগী, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র, পরীক্ষাগার এবং উহান শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে এসব রোবট কাজ করে যাচ্ছে।
চীন সরকার বলছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমতা (এআই) কাজে লাগিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই দুর্দিনে চীনের মানুষের সঙ্গে রয়েছে রোবট। তারা ঝুঁকি যেমন কমিয়ে দিচ্ছে, তেমনি একটানা কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।
এদিকে ৫জি প্রযুক্তি সম্পন্ন রোবট করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে পূর্বাঞ্চলের ঝেজিয়াং প্রদেশে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই রোবট।
সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডেইলির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝেজিয়াং প্রদেশের সরকারি হাসপাতালের দু'জন চিকিৎসক পেং চেংঝং এবং ইয়ে রুইঝং ৫জি প্রযুক্তি সম্পন্ন ওই রোবটটি ব্যবহার করছেন। রোবটের সাহায্যে রোগীর আল্ট্রাসাউন্ড করে চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা।
তবে চীনে ৫জি প্রযুক্তি সম্পন্ন রোবট দিয়ে চিকিৎসা করানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি সে দেশের ঝেজিয়াংয়ে এটি ব্যবহার করা হয়। সেটাও করেছেন পেং চেংঝং।
আর এই রোবটটি তৈরি করতে সহায়তা করেছে ঝেজিয়াং প্রদেশের সরকারি হাসপাতাল, চায়না টেলিকম এবং হুয়াওয়ে। করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে যাওয়াটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে এই পদ্ধতি বেশ কাজে দেবে বলে মনে করছেন ডাক্তাররা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন