মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে গাম্বিয়ার করা মামলার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশকে স্বাগত জানিয়ে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে পারবে বলে আশায় বুক বেঁধেছে রোহিঙ্গারা। রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় চারটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা আনন্দিত ও উচ্ছ্বাসিত। রোহিঙ্গারা বলছে এ রায়ে অন্তত একটি ভিত্তি স্থাপিত হলো।
গত ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইনে হত্যাকান্ড সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ শুরু করলে জীবন বাঁচাতে নতুন করে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। উক্ত মামলায় বিচারক রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিতে চারটি অর্ন্তবর্তীকালীন আদেশ ঘোষণা করেন আজ। এই রায় শুণতে বিকেল থেকে টেলিভিশনের সামনে ভিড় করতে থাকে শত শত রোহিঙ্গা। রায় শুনার পরে রোহিঙ্গারা উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন। তারা বলছেন, এই রায় একটি সম্মানজনক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখবে।
একই কথা বললেন, রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর সহ সভাপতি মাস্টার মো. আব্দুর রহিম।
জাতিসংঙ্গের সর্বোচ্চ আদালত আইসিজেএর রায় একটি মাইলফলক। মিয়ানমার যে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে তা আজ প্রমাণিত। এই রায় রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনকে তরান্বিত করবে এমনটি প্রত্যাশা রোহিঙ্গাদের। আজ নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগে বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটায় আইসিজের প্রধান বিচারপতি আবদুল কাভি আহমেদ ইউসুফ এই আদেশ ঘোষণা করেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন