ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র ও সমর্থিত কাউন্সিলরদের পক্ষে জোরদারভাবে মাঠে নামবে ২০ দলীয় জোট।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান।
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ না নিলেও স্থানীয় নেতারা প্রার্থীদের সঙ্গে রয়েছেন।
তিনি বলেন, মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে মিরপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় দুদিন পর হলেও মামলা নেয়া হয়নি। ২০ দল এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০ দল মনে করে আসন্ন সিটি নির্বাচন শুধু মেয়র আর কাউন্সিলর নির্বাচিত করার ভোট নয়। এ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র মুক্তি ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ।
বৈঠকে গত দুদিনে বিএসএফ কর্তৃক পাঁচ বাংলাদেশি হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সরকারের প্রতিবাদের ভাষা যথেষ্ট শক্ত না হওয়ায় এ হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানান নজরুল ইসলাম।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, খেলাফত মজলিসের আহমেদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, এনডিপির ক্বারী আবু তাহের, ডিএল এর সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা আবদুল করিম, সাম্যবাদী দলের কমরেড ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন