জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ পেছানোকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে নজিরবিহীন হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেগম জিয়ার জামিন শুনানি মুলতবি করে এজলাস ছেড়ে যান প্রধান বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জামিন শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।
এদিন জামিন শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক রিপোর্ট এখনও তৈরি করতে পারেনি। বেগম জিয়ার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও বাকি আছে। এজন্য রিপোর্ট তৈরিতে আরও কয়েদিন সময় প্রয়োজন।’
এসময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। আগে তাঁর জামিনের ব্যবস্থা করুন।’
এসময় মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য সময় বাড়িয়ে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির জন্য ১২ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করে আদেশ দেন আদালত।
তখন আদালতে অবস্থানরত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ‘এ আদেশ মানি না’ বলে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের শ্লোগানের বিরোধিতা করলে শুরু হয় হট্টগোল, দুপক্ষের বাকবিতণ্ডা।
এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান করছেন ও ‘এ আদেশ মানি না’ বলে শ্লোগান দিচ্ছেন।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের আইনজীবীরাও একইসময়ে আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে পাল্টা শ্লোগান দিচ্ছেন। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থান আর শ্লোগানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা আদালত এলাকায়।
এদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আইনজীবী ছাড়া অন্য কাউকে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য রিপোর্ট ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে মেডিকেল বোর্ডকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন