অবশেষে শনিবার বিতর্কিত বাবরি মসজিদ মামলা বা অযোধ্যা মামলায় রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ কয়েক দশক পেরিয়ে এই রায় ঘোষণা করা হয়। এই রায়ের ফলে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি যাবে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে। আর ৫ একর জমি পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যর বেঞ্চ এদিন রায় ঘোষণা করেন।
এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কারা ছিলেন এই বিতর্কিত ও ঐতিহাসিক মামলার রায়দানের পেছনে।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ
তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রথম বিচারপতি যিনি আদতে আসামের নাগরিক ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি গুয়াহাটি হাইকোর্ট, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেছেন। এছাড়াও তিনি ২০১২ এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্টেও কাজ করেছেন। তিনি তাঁর কর্মজীবনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রায় দিয়েছেন। নভেম্বরের ১৭ তারিখে তিনি অবসর গ্রহণ করবেন। তার আগে ঐতিহাসিক মামলার রায় দিলেন শনিবার।
বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে
সুপ্রিম কোর্টের আগামী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন শরদ বোবদে। তিনিও এই ৫ সদস্যের মধ্যে ছিলেন। বিচারপতি বোবদে অ্যাডিশনাল বিচারপতি হিসেবে ২০০০ সালে বোম্বে হাইকোর্টের দায়িত্ব সামলেছেন। রঞ্জন গগৈয়ের পরে আগামী ১৮ মাসের জন্য তিনি এই পদ সামলাবেন। এই সংবেদনশীল বিষয়ে রায় দেওয়ার জন্য তিনিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়
বিতর্কিত অযোধ্যা মামলাতে রায় দেওয়ার জন্য তিনিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তাঁকে ২০১৬ মে মাসে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ করেছিলেন বিচারপতি হিসেবে। তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্ট ও বম্বে হাইকোর্টেও কাজ করেছেন।
বিচারপতি অশোক ভূষণ
৫ সদস্যের বেঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। এর আগে তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছিলেন। পরবর্তীকালে ২০০১ সালের এপ্রিল নাগাদ বিচারপতি পদে উন্নীত হয়েছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে কেরল হাইকোর্টেও কাজ করেছিলেন। ২০১৬-১৩ মে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত করা হয়।
বিচারপতি আবদুল নাজির
আইনজীবী হিসেবে তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে প্র্যাকটিস শুরু করেছিলেন। ২০ বছর ধরে কেরালা হাইকোর্টে কাজ করেছিলেন। পরবর্তীকালে অ্যাডিশনাল বিচারপতি হন। পাঁচ সদস্যর বেঞ্চে তিনিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিন তালাক মামলাতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। একজন মুসলিম হিসেবে এই মামলাতে তার ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন