যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আগামীকাল (রবিবার)। তিনি সংগঠন থেকে বহিষ্কার এমনকি হতে পারেন গ্রেফতারও। তবে সেটা নির্ধারিত হবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আগামীকাল (২০ অক্টোবর) গণভবনে যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর।
এছাড়া, ছাত্রলীগের পর যুবলীগের জন্য আসতে পারে বয়সসীমা। ব্রেকিংনিউজকে এমনটাই জানিয়েছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব।
আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে , প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে প্রতি ক্ষুব্ধ রয়েছেন। রবিবার বৈঠকে তাকে এবং যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ভোলা-০৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে গণভবনে দেখতে চান না বলেও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে জানিয়ে দিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে যুবলীগের চেয়ারম্যানের ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হতে আরও কিছুক্ষণ। শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে পাবনা জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান ওমর ফারক চৌধুরী এবং দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিস বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রে জমা দিচ্ছেন।
এ অভিযোগ গুলো আগামীকালের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য।
এদিকে যুবলীগ চেয়ারম্যানকে কেন গণভবনে ডাকা হয়নি এমন প্রশ্নের জবার এড়িয়ে গিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, যুবলীগের সম্মেলন সফল করতে বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ বৈঠক গণভবনে ডাকা হয়েছে। বৈঠকটা যদি পার্টি অফিসে ডাকা হতো, আমি বিস্তারিত জানাতে পারতাম কেন ডাকা হয়নি। আগামীকালের বৈঠকের পর হয়তো এ প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে।
রবিবার বৈঠকের এজেন্ডা সম্পর্কে জানতে চাইলে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেছেন, আমাদের আসন্ন কংগ্রেসকে সফল করতে আমরা নেত্রীর কাছে দিকনির্দেশনা চাইবো। সম্মেরন প্রস্তুতি বেশ কিছু কমিটর জন্য অনুমোদন চাওয়া হবে। এই সভায় বয়সসীমার বিষয়টি আলোচিত হতে বলেও জানান তিনি। প্রাথমিক ভাবে যুবলীগ করার জন্য বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৫ আলোচনায় রয়েছে।
এছাড়া, ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কোন বিতর্কিত নেতাকে গণভবনে না নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান হারুন। তবে রবিবার বৈঠকে কারা কারা যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন পর্যন্ত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং প্রেসিডিয়াম সদস্যকের বৈঠকে যাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরাও বৈঠকে উপস্থিত থাকার দাবি জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের বিষয়টি বিবেচনাধীন।
রাজধানীতে ক্যাসিনো পরিচালনা, টেন্ডারবাজী, অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়া সহ যুবলীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতি সংঘের সাধারণ অধিবেশন থেকে ফিরে গত ২ অক্টোবর গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দলের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের আগেই সম্মেলন করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরদিন আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সহযোগী সংগঠনগুলোকে সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে চিঠি দেওয়া হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ২০১২ সালের ১৪ জুলাই যুবলীগের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন হারুনুর রশীদ।
আগামী ২৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন