জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে মামলা করেনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে মামলা না করার দায়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করা উচিত।
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।
এ সময় সংসদ সদস্য বলেন, ‘বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনার মামলায় বাচ্চুকে আসামি করে চার্জশিট দিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করেছে দুদক। কী কারণে দুদক এ রকম কাজ করেছে, এটি জাতি জানতে চায়।’
বাচ্চুর বিরুদ্ধে মামলা করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তাপস। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন প্রতিবেদনে ব্যাংক কেলেঙ্কারির সঙ্গে বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতার বিষয় উঠে এসেছে।
বেসিক ব্যাংকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ৫৬টি এবং পরের বছর আরো পাঁচটি মামলা করে দুদক। এসব মামলা করার পর ৪০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো অভিযোগপত্র দেয়নি সংস্থাটি। মামলায় ব্যাংকার ও ঋণগ্রহীতাদের আসামি করা হলেও ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের কাউকেই আসামি করা হয়নি।
বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জড়িত থাকার কথা বলা হলেও মামলায় তাঁদের আসামি করা হয়নি। মামলা হওয়ার পর তদন্ত পর্যায়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেও অভিযোগপত্র এখনো জমা দেওয়া হয়নি।
বেসিক ব্যাংকের ঘটনায় করা মামলাগুলোয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা অনেক দিন ধরে কারাগারে। ঋণগ্রহীতা কেউ কেউ ব্যবসায়ী। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁরা জামিনে বেরিয়ে দেশের বাইরে চলে গেছেন। কেউ কেউ গ্রেপ্তার এড়াতে দেশ ছেড়েছেন। যাঁরা এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তাঁদের সবাই এখন বাইরে আছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন