শুরুর দিকে দুই আফগান ওপেনারে আতঙ্ক ছড়ায় বাংলাদেশ শিবিরে। অবশ্য তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। আফগানিস্তানের ব্যাটিং ছন্দ থামিয়ে দেন স্বাগতিক বোলাররা। ফলে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেটে ১৩৮ রানে থেমে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। বন্দরনগরীর ভেন্যুতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু শুরুর দিকে অধিনায়কের সিদ্ধান্ত খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা। ধারহীন বোলিংয়ের পাশাপাশি বাজে ফিল্ডিংয়ে শুরুতে কিছুটা বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
অবশ্য আফগানদের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু ক্যাচ মিসের কারণে সেটা হতে দেননি মাহমুদউল্লাহ। শফিউলের বলে সহজ ক্যাচ ফেলে রহমতউল্লাহ গুরবাজকে জীবন দেন এই অলরাউন্ডার।
আফগানিস্তানের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের ঘটনা। ওভারের পঞ্চম বলে শফিউলের আউট সুইং ঠিক মতো খেলতে পারেননি রহমতউল্লাহ। ফলে ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায় আকাশে। বল চলে যায় ফাইন লেগে। যেখানে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু রহমাতউল্লাহর সেই সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি তিনি। এক রানে আউট হতে যাওয়া এই আফগান ওপেনার পৌঁছে যান ২৯ রানে। তাঁর সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন হজরতউল্লাহ জাজাইও। বাংলাদেশের বোলারদের পিটিয়ে ৪৭ রানে করেন তিনি। দুই ব্যাটসম্যানে চড়ে শেষ পর্যন্ত ৭৫ রানে থামে অতিথিদের ওপেনিং জুটি।
দশম ওভারে জাজাইকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান আফিফ হোসেন। একই ওভারে দুইবার আঘাত হানেন আফিফ। প্রথমে জাজাইকে ফেরানোর পর ফেরান আসগর আফগানকে। তিনে ব্যাট করতে নামা এই ব্যাটসম্যানকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। এরপর ১১ তম ওভারে রহমতউল্লাহকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। এবারো ক্যাচ তুলে দেন আফগান তারকা। নিজের ক্যাচ নিজেই তালুবন্দী করে তাঁকে সাজঘরের পথ দেখান মুস্তাফিজ।
দ্রুত তিন উইকেট নেওয়ার পর আফগানিস্তানকে চেপে ধরেন বাংলাদেশি বোলাররা। ওপেনিংয়ের পর আর কোনো জুটিকে থিতু হতে দেননি স্বাগতিক বোলাররা। দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত আফগানদের ১৩৮ রানে থামায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বাকি ৯ ব্যাটসম্যানের রান সংখ্যা যথাক্রমে ০, ১৪, ৪, ১, ২৩*, ৩, ১০, ১১*।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ৯ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন আফিফ হোসেন। সমান একটি করে নেন মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শফিউল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান।
গত বছর দেরাদুনের পর থেকে এখন পর্যন্ত আফগানদের সামনে টি-টোয়েন্টিতে জয়হীন বাংলাদেশ। দেরাদুনে তিন ম্যাচের সিরিজে তিনটিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। দেশের মাটিতেও কাটছে না সেই দুর্দশা। দলটির বিপক্ষে শেষ ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিতেছে টাইগাররা। তাতে দুই দুলের পরিসংখ্যান দাঁড়িয়েছে ৪-১। টানা চার পরাজয়ের পর আজ শনিবার সফরকারীদের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
তবে আফিফ-মুস্তাফিজ বাংলাদেশকে খেলায় ফেরালেও মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ ম্যাচের সুবিধা প্রথম নয় ওভারেই বেশ ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে আফগানিস্তান। প্রথম নয় ওভারে ৭৫ রান তুলে রানের গতি ধরে রেখেছে সফরকারীরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন