হল ছাড়ার নির্দেশ না মেনে উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার রাতেও আন্দোলনে অটল রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
তবে তাদেরপানি, খাবার ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি আন্দোলন প্রতিহত করতে খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আশেপাশের দোকানগুলোও। কয়েকজন শিক্ষার্থী পানি সংকটে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় সকাল ১০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে লিপুজ ক্যান্টিনসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারা পানি ও খাবার কিনতে আশেপাশের এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করলে উপাচার্যপন্থীরা বাধা দেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের পানি এবং খাবার বন্ধের বিষয়টি আমার জানা নেই।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার পর বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে দাবি করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জরুরি পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত রাখতে এবং সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ আসন্ন দুর্গাপূজার ছুটি ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত করেছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পরপরই র্যাব ও পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে অবস্থান নেয়।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং হল ত্যাগের নির্দেশে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখা নিয়ে মন্তব্য করার কারণে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডেইলি সানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিসির বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ৫ ঘণ্টা পর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন