প্রথমবার কারচুপির অভিযোগ এনে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচনের ভোট বাতিল করে তুরস্কের ক্ষমতাসীনরা।
কিন্তু, দ্বিতীয় ধাপেও ভোটাররা ইস্তাম্বুলের মেয়র হিসেবে দেশটির বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টিকে (সিএইচপি) বেছে নিয়েছে।
ইকরাম ইমামোগলু ৫৪.০৩ শতাংশ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আর প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ানের প্রার্থী বিনালি ইলদ্রিম পেয়েছেন মাত্র ৪৫.০৯ শতাংশ ভোট।
ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচন এরদোয়ানের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু, বিস্ময়করভাবে দ্বিতীয়বার তার প্রার্থী আরও কম ভোট পেয়েছেন। এর মাধ্যমে ইস্তাম্বুলের ভোটাররা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে উচিত শিক্ষাই দিলেন।
সুপ্রিম ইলেকশান কমিশনের প্রধান সাদি গুভেন রোববার এই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ৯৯.৩৭ শতাংশ ব্যালট গণনা করা হয়েছে। এতে ইকরাম ইমামোগলু ৫৪.০৩ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির বিনালি ইলদ্রিম পেয়েছেন ৪৫.০৯ শতাংশ ভোট।
প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার ভোট পেয়েছেন ইকরাম ইমামোগলু। আর ইলদ্রিম ৪ লাখের কাছাকাছি ভোট পেয়েছেন।
বিজয়ী ভাষণে ইকরাম ইমামোগলু ‘তুরস্কের শতবছরের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য’ রক্ষা করায় ইস্তাম্বুলবাসীকে ধন্যবাদ জানান।
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা তুরস্কের গণতান্ত্রিক মর্যাদা বিশ্বের সামনে তুলে ধরলেন। এটি আসলে বিজয় নয়, শহরের নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরু হলো।’
পরাজয় মেনে নিয়ে ইকরাম ইমামোগলুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন একে পার্টির প্রার্থী বিনালি ইলদ্রিম। বলেছেন, ‘ইস্তাম্বুলবাসীর উপকারে মেয়র যা করতে চাইবেন, আমরা সব সময় তাকে সাহায্যের চেষ্টা করব।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ানও বিজয়ী ইকরাম ইমামোগলুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আজ আবার জাতির ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা গেল। আমি ইকরাম ইমামোগলুকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, যিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।’
গত ৩১ মার্চ ইস্তাম্বুলে মেয়র নির্বাচন হয়। তাতে বিরোধী সিএইচপি পার্টির প্রার্থী ইকরাম ইমামোগলু বিস্ময়করভাবে জয়লাভ করেন। কিন্তু, সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
এরপর মে মাসে তুরস্কের হাই-ইলেকশন বোর্ড অনিয়মের অভিযোগে ওই নির্বাচনের ফল বাতিল ঘোষণা করে আবারও ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন