জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের দুই নারী পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নায়মা হক ও তামান্না-ই-লুতফির কর্মতৎপরতা নিয়ে বিশেষ ভিডিও তৈরি করেছে জাতিসংঘ। বর্তমানে তারা শান্তিরক্ষা মিশনের সাব সাহারা অঞ্চলের দেশ কঙ্গোতে হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ভিডিওতে পাইলট তামান্নাকে বলতে শোনা যায়, ‘নিজেকে একজন নারী হিসেবে পরিচয় দিতে চাই না, আমি একজন শান্তিরক্ষী কর্মী। আমি হেলিকপ্টারের একজন পাইলট, তাই নারী বা পুরুষ কে ফ্লাইট পরিচালনা করছে মেশিনের জন্য এটার প্রয়োজন নেই।’
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে তামান্না ও নায়মা হলেন প্রথম নারী সামরিক পাইলট, যারা ডেমক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে (এমওএনইউএসসিও) কর্মরত রয়েছেন।
জাতিসংঘের মতে, এ অঞ্চলে নারী ও কিশোরীদের নানা প্রতিকূল অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তারা (তামান্না ও নায়মা) হবেন রোল মডেল।
‘আমরা স্থানীয় নারীদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারি। তাই, তারা যখনই আমাদের দেখে, উৎসাহ পায়। তরুণীদের উৎসাহের জায়গা হলো তাদের শিক্ষিত হতে হবে। অধিকারের জন্য তাদের সোচ্চার হতে হবে। কোনো কিছু অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, কারণ এটা সম্ভব,’ বলছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নায়মা।
এ ছাড়া একজন হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে তারা বিভিন্ন ধরনের মিশনে কাজ করতে পারেন জানিয়ে নায়মা তাদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজের বর্ণনা দেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন