সুপ্রিম কোর্ট সব সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এবং বিচারকার্য প্রভাবিত হয় এমন সংবাদ প্রত্যাশিত নয়।
এই কথা বলে আজ মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে আগে নোটিশের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
আজ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সব সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আদালতের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এবং বিচারকার্য প্রভাবিত হয় এমন সংবাদ পরিবেশন বা প্রচার প্রত্যাশিত নয়। বর্ণিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ১৬ মে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি নম্বর ২৪৭/২০১৯ স্পষ্টীকরণ করা হলো। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হলো।
এর আগে, গত ১৬ মে আদালতে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে রিপোর্ট প্রচার ও প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়া বিচারাধীন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করছে, যা অনভিপ্রেত।
দু-একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে বাংলাদেশে অধিকাংশ মামলার বিচার পর্যবেক্ষণ ও সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ভোগ করে আসছে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন যে ভাষায় এ নির্দেশনা জারি করেছিল তাতে বিচার শেষে রায় হওয়ার আগে সাংবাদিকদের আর কোনো মামলার বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশের সুযোগ ছিল না।
ঘটনাটির তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানায় আইন-আদালত বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল রিপোর্টার্স ফোরাম। এ ছাড়া এডিটরস গিল্ড ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে বিষয়টি স্পষ্ট করার আহ্বান জানায়।
এ অবস্থায় সোমবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আশা প্রকাশ করেছিলেন যে বিচারাধীন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার নির্দেশনা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে ব্যাখ্যা আসবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন