এবার হেলপারের ধাক্কায় বাস থেকে পড়ে চাকার নিচে প্রাণ হারালেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ঘোরী মো. ওয়াসিম। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৫ টায় মৌলভীবাজারের শেরপুর বিশ্বরোডে এ ঘটনা ঘটে।তিনি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের রুদ্র গ্রামের ঘোরী মো. আবু জাহেদ মাহবুব ও ডা. মীনা পারভিনের ছেলে।
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী নয়ন শুভ জানান, ওয়াসিমসহ ১১ জন শিক্ষার্থী হবিগঞ্জের দেবপাড়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে তারা ময়মনসিংহ-সিলেট রোডের উদার পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। ভাড়া নিয়ে বাসের হেলপারের সঙ্গে তাদের বিবাদ হয়। একপর্যায়ে বাসের হেলপার ওয়াসিমসহ আরেকজনকে ধাক্কা দেন। এতে ওয়াসিম বাস থেকে পড়ে যান এবং চাকা তার পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা রাকিব হোসেন নামে আরেকজন শিক্ষার্থী বাস থেকে লাফ দিয়ে নামেন।
ওয়াসিমকে দ্রুত প্রাইভেটকারে করে সিলেট এম এ জি ওসমানী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়। রাকিব হোসেনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা বাসটি আটক করেন। ততক্ষণে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে মৌলভীবাজার সদর থানা পুলিশ বাসটি জব্দ করে।
ঘোরী মো. ওয়াসিমএদিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে ভিড় করছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। হাসপাতালে তাৎক্ষণিকভাবে গেছেন সিকৃবির উপাচার্য প্রফেসর মতিয়ার রহমান হাওলাদার। উপাচার্য বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মানুষের জীবনের মূল্য কমে গেছে। সহনশীলতা কমে গেছে। ওয়াসিমের মৃত্যুর এই ঘটনাকে সড়ক দুর্ঘটনা বলা যায় না, এটা মার্ডার।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিকৃবির তিন শতাধিক শিক্ষার্থী সিলেটের কদমতলীতে বাসস্ট্যান্ডে উদার পরিবহনের কাউন্টারে হামলা করেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন