বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে সেই স্বাধীনতা দিবস যখন উদযাপন করতে চলেছি, তখন মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। যার স্বামী ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, তাঁকে আজ অন্ধকার কারাগারে কারাভোগ করতে হচ্ছে।’
‘আজ যখন স্বাধীনতা দিবস পালন করতে যাব, তখন হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। লক্ষাধিক গায়েবি মামলা ২৬ লক্ষ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যদিয়ে আমরা দিবসটি পালন করছি।’
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ৭ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থ্যা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। গত ১০-১২ বছর ধররে আমরা দেখছি যারা সরকারের অপছন্দনীয় মানুষ তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। হত্যা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদেরকে গুম করে ফেলা হচ্ছে। হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষকে মুক্ত করা ও মামলা প্রত্যাহার করার সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’
তিনি বলেন, এমনই একটি কঠিন মুহূর্তে আমরা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা গণতন্ত্র, বেগম খালেদা জিয়া ও হাজার হাজার মানুষকে মুক্ত করা। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ এই সংগ্রামে বিজয়ী হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে দেশে একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। মানুষ বিচার পায় না। নিরাপত্তা নেই মানুষের। ১০-১২ বছর ধরে আমরা দেখছি সরকারি পছন্দের মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। গুম করা হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি কখনো মেনে নিব না। এর বিরুদ্ধে আমাদের সাধ্য মতো প্রতিবাদ করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, অভিনেতা হেলাল খান, মোরতাজুল করিম বাদরু, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মুনীর হোসেন, রোকেয়া চৌধুরী বেবী, আকরামুল হাসান প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন