গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, শুধু জামায়াত ইসলামীকে নয় সকল ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করাই সময়ের দাবি। ধর্মীয় রাজনীতির অধিকার যদি দেওয়া হয় জামায়াত ইসলামীকেও দিতে হবে। আর ধর্মীয় রাজনীতি বাদ দিলে জামায়াত ইসলামীকে বাদ দিতে হবে । ধর্মকে কখনো রাজনীতি সঙ্গে আনা ঠিক হবে না । কারণ ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে বিভিন্ন জায়গায় খুনখারাবি হচ্ছে। হচ্ছে বিভিন্ন দলে বৈষম্য। বাংলাদেশের সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে আমি বলবো ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। শুধু জামায়াতকে নয় সকল ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ডিবিসি রাজকাহন
তিনি আরো বলেন , ১৫ বছর আগে গোলাম আযম বায়তুল মোকাররমে ক্ষমা ছেয়েছিলেন। তবে তা প্রকাশ্যে বা প্রচারিত নয়। নামে মাত্র ‘৭১ এর গণহত্যার কৃতকর্মের জন্য অপরাধ স্বীকার করেন। যুদ্ধাপরাধীর বিচার সর্ম্পকে তিনি বলেন, যেভাবে বিচার হওয়ার কথা সে রকম বিচার কার্যক্রম হচ্ছে ন্ াআজ পর্যন্ত মাত্র ৭ জনের বিচার হলো ফাঁসি হলো তা অতি নগন্য। আরও দ্রুত গতিতে বিচার হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে বিএনপি আওয়ামী লীগ দুই দলেরই জামায়াতপ্রীতি ভাব। কেউ জামায়াতকে ছাড়তে পারছে না।
তিনি আরো জানান, যুদ্ধাপরাধীর মামলা অব্যাহত রাখতে হবে । তারা ক্ষমা চাইলেও পার পাবে না, বিচার চলমান প্রক্রিয়া চলবে এটাই স্বাভাবিক। আওয়ামী লীগ বার বার বলে জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে হবে। এটা ক্ষমার বিষয় না। যারা ৭১ এ খুন ধর্ষণ লুটপাট করেছে তাদের ক্ষমা নেই।
তিনি বলেন , আব্দুর রাজ্জাক মুক্ত মনে লন্ডন বসে ৫ বছর চিন্তা করে জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে থাকলে হয়তো এ চিন্তা করতে পারতেন না। তিনি অনেক দেরিতে হলেও ভুল বুঝতে পেরেছেন। এটা জামায়াতের জন্য অশনি সংকেত।
তিনি বলেন, জামায়াতকে নিয়ে আমরা যে সময় ব্যয় করছি। জাতিকে যারা গঠন করছে তাদের স্মরন করছি না। জামায়াত নিয়ে এত সময় নষ্ট করার প্রশ্নই আসে না। গতকাল দুটি টেলিভিশন জামায়াতকে নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু জেনারেল ওসমানীর মৃত্যু বার্ষিকী গেল কারোর খবর নেই। তার যে দেশের জন্য বিশাল ভুমিকা ছিল তা জনগণকে জানানো দরকার ছিল, কিন্তু তা হচ্ছে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন