আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতাগ্রহণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান সার্কের সদস্য। আমরা তাদের সঙ্গে ডিল করব। আসলে কী ধরনের সরকারের সঙ্গে ডিল করব, সেটা একটা বড় বিষয়।’ গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আমাদের সময়ের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় অনেক প্রিন্সিপ্যাল আছে, কূটনৈতিক বিষয় আছে। আমরা অতীতে যে তালেবান সরকার দেখেছি, তাদের সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রীয় মূলনীতির অনেক কিছুর বৈপরীত্য রয়েছে। যদিও তারা (তালেবান) বলেছে, অনেক দায়িত্বশীল আচরণ করবে। নিজেরা কোনো জঙ্গি কর্মকা-ে জড়াবে না, বাইরের কোনো জঙ্গি সংগঠনকে আফগানিস্তানে আস্তানা গড়তে দেবে না। তবে আমরা যতটুকু জানি,
ইতোমধ্যে আল কায়েদা ও আইএসের উপদলগুলো তালেবানদের মধ্যে রয়েছে। সেই উপদলগুলোয় থাকা মুজাহিদিন বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই ধরনের একটা গৃহযুদ্ধ এখনো হতে পারে। তা হলে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে, তখন শরণার্থীরা ইরান, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যে হয়তো ছড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের যেসব জঙ্গি সংগঠন ইরাক-সিরিয়ায় আইএসের পতনের পর হতাশ হয়েছিল, আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতাগ্রহণের পর নতুন করে তারা উদ্যম ফিরে পাবে বলেও উল্লেখ করেন ইশফাক ইলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে কিছু ছেলে এরই মধ্যে তালেবানে যোগ দিতে রওনা করেছে। তারা হয়েতো ভারত হয়ে আফগানিস্তানে গেছে বা পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এমন হতে পারে, ওরা আবার বাংলাদেশে ফিরেও আসতে পারে। কারণ সেখানে তারা কী করবে? তারা ফিরে এলে জেএমবি যেভাবে গড়ে উঠেছিল, তেমন কোনো সংগঠন গড়ে উঠলে আশ্চর্যের কিছু থাকবে না। এ জন্য আমাদের সাবধান হতে হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন