হ্যালো মিনিস্টারগণ, পদত্যাগ নয় আমরা জবাব চাইছি। দেশি পেঁয়াজের দাম এখন একশ চল্লিশ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে কোথায় যাবে আমরা জানি না। সাধারণ মানুষ চাল পেঁয়াজ খাদ্যসামগ্রী বা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের চাপে পিষ্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনারা চোখ রাখেন না। রাখলে দেখতে পেতেন মানুষের আবেগ অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়া কী ধরনের।
পেঁয়াজের দাম বাড়ে প্রতিবছর এটি সত্য। কিন্তু সরকার বিকল্প আমদানির ব্যবস্থা করে বলেই আকাশছোয়া দাম কখনো হয় না। ইতিহাসে পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝ, চালের দরমূল্য অতীতে কখনো এমনটি দেখা দেয়নি। অথচ এনিয়ে মন্ত্রীগণ অনুতপ্ত নন, দুঃখিত নন। লজ্জ্বিত নন। দুঃখ প্রকাশ করে এনিয়ে জনগণের সামনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বক্তব্য রাখারও প্রয়োজন মনে করছেন না।
মাননীয় মিনিস্টারগণ, আপনারা জনগণের মন্ত্রী। জনগণের কল্যাণে মানুষের দুঃখ ঘোঁচাতে দিনরাত কত পরিশ্রম করেন! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গভীর আস্থা নিয়ে আপনাদের উপর দায়িত্ব অর্পন করেছিলেন। অতীতে সবসময় সরকারকে দেখা গেছে পেঁয়াজের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আগেই তুরষ্ক-বার্মা-ব্যাংকক ও ভারত থেকে বিকল্প আমদানির ব্যবস্থা করে বাজার সহনশীল রাখেন। এবার কথা উঠেছে সেটি না করে বেসরকারি খাতকে সুযোগ দিতে গিয়ে কিছু কর্পোরেট হাউসকে পেঁয়াজের বাজার ইচ্ছে মতো চড়া করে দুহাতে মুনাফা লোটার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
টকশোতে কথা হচ্ছে। গণমাধ্যমে নিয়ত খবর হচ্ছে। দায়িত্বশীল মন্ত্রীরাও স্মরণকালের মতো নির্বিকার ও উদাসীনই নন, উল্টো খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, এখন একজন রিকশাচালক দিনে দশ কেজি চাল কিনতে পারেন! মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে বলে দ্রব্যমূল্যের আকাশছোয়া দাম যে জায়েজ করা যায় না এটা উপলব্ধি করতে ভুলে গেছেন। পেঁয়াজ সাধারণ গরীবের ঘরেও নুন ভাত খেতে গেলেও লাগে। সেখানে পেঁয়াজের দাম এতো নির্লজ্জভাবে বেড়েছে যে দায়িত্বশীল মন্ত্রীগণ দুঃখপ্রকাশ দূরে থাক জনগণকে কৈফিয়ত দিতেও প্রয়োজন মনে করছেন না।
মাননীয় মন্ত্রীগণ, বিনয়ের সঙ্গে বলছি, হ্যালো মিনিস্টার, পদত্যাগ না চাই জবাবদিহিতাতো চাইতে পারি? কেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে আগুন তার জবাবদিহি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন