Dr. Omar Faruque
পাকিস্তানে নির্বাচনী সমাবেশে দুটি পৃথক হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবারের এ সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সরকার আজ রবিবার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে শনিবার এ ঘোষণা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি নির্দেশণায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে। শনিবার এক সরকারি ঘোষণায় জানানো হয়েছে, রবিবার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে সন্ত্রাসী হামলায় এ পর্যন্ত ১৫০ নিহত হওয়ার কারণে এ ঘোষণা দিয়েছে সরকার। খবর : দ্য ডনসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম।এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সফররত ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী—উভয়েই মনে করেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশ, ভারতসহ এ অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোর সহযোগিতা নেওয়া।বাংলাদেশ সফররত ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং গতকাল শনিবার সকালে ঢাকায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। হাসিনা ও সফররত রাজনাথ সিং এমন সময় পাকিস্তানকে সন্ত্রাস মোকাবেলায় সাহায্যের প্রস্তাব দিলেন, যখন বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবীতে মেধাবী শিক্ষার্থী তথা সর্বস্তরের জনগণের কোটা সংস্কারের দাবীতে চলমান আন্দোলন নৃশংস ভাবে দমনে সরকারি দলের ক্যাডারদের রাজপথে নামিয়েছে। বিরোধীদল লিফলেট বিতরণেও পর্যন্ত সরকার নিজের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করছে। বিরোধীদলের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন দমনেও পুলিশসহ নিজ দলীয় ক্যাডারদেরকে মাঠে নামাচ্ছে। সেজন্য অনেকের মন্তব্য, তাহলে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস মোকাবেলায় সাহায্য প্রস্তাব দিয়ে হাসিনা কি নিজ দলের ক্যাডারদের সেখানে পাঠাতে চাচ্ছেন!
..........................................................................................................