বিএনপি দেশে যে কারণে জনপ্রিয়, সে কারণগুলো আওয়ামী লীগ নিজেদের করে নিচ্ছে, তা বোঝা যায় হেফাজতের সাথে বন্ধুত্ব থেকে!
12 February 2019, Tuesday
সিনিয়র সাংবাদিক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী বলেছেন, জামায়াত বিএনপিতে থাকা একটি দশে চক্রে ভগবান ভূতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিএনপির সাথে জামায়াত আছে তাই আমরা তাদের নিয়ে বেশ সমালোচনা শুনতে পাচ্ছি। জামায়াতের জন্য বিএনপির এ পরিস্থিতি, জামায়াতের জন্য বিএনপির বিপর্যয়।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এখন জামায়াতের অনেক দোষ, কিন্তু যখন ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জামায়াতের সাথে মিলে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করলো তখন কিন্তু তাদের কোনো দোষ ছিলো না এবং এসব প্রশ্নগুলোও ওঠেনি। সেসময় আওয়ামী লীগ নিজামির সাথে ওঠেছে বসেছে। তখন কোনো প্রশ্নই আসেনি। জামায়াত বিএনপির সাথে আসার পরেই তারা যুদ্ধাপরাধী হেনতেন প্রশ্ন উঠছে। সুতরাং জামায়াত কোনো বড় ইস্যু নয়। ইস্যু হচ্ছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি। আবার ধর্মভিত্তিক রাজনীতি যদি ইস্যু হয় তাহলে খেলাফতওয়ালাদের সাথে কীভাবে সরকার সখ্যতা গড়লো? ২০১৩ সালে যখন খেলাফতের মিছিলে পুলিশের হামলা হলো তখন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের সবাই বলেছে, খেলাফত কুরআনে আগুন দিয়েছে। এ করেছে, সে করেছে, এমন নানা কথা তারা তুললো। এখন কিন্তু আবার তাদের মুখে শোনা যাচ্ছে খেলাফত ভালো, খেলাফতের কোনো সমস্যা নেই। আসলে মূল বিষয়টি হলো বিএনপির শক্তির অন্যতম উৎস হচ্ছে ইসলাম। আমরা মুসলমান, আমরা দেশে ইসলাম কায়েম করবো এটি ছিলো বিএনপির উৎস। আওয়ামী লীগ এখন এ উৎসগুলো দখল করে নিচ্ছে। কারণ তারা জানে এদেশে প্রায় নব্বই ভাগ মানুষ মুসলমান। তারা দেশে ইসলামের কায়েম চায়। তাই আওয়ামী লীগ চাইছে আমরা ইসলামের জন্য কাজ করি এটি প্রমাণ করার জন্য বিএনপির সাথের ইসলামিক দলগুলোকে জোর করে নিজেদের দলে নিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গেলে সে যুদ্ধাপরাধী। আর তাদের সাথে গেলে কোনো দোষ থাকবে না। শফী হুজুরকে একসময় আওয়ামী লীগের বড় নেতারাই বলেছিলেন তেঁতুল হুজুর। এখন কিন্তু তাদের মুখে কোনো কথা নেই। এখন তারা শফী হুজুরের প্রশংসা করে। এখন আর তেঁতুল হুজুর বলে না। শফী হুজুরের কথায় তারা পাঠ্যবইসহ অনেক কিছু পরিবর্তন করেছে। যদিও এটি ভালো, কিন্তু তারা এটি মন থেকে করেনি। শুধু রাজনৈতিক ইস্যুতে করেছে। তারা মুসলমানদের জন্য এটি প্রমাণ করার জন্য করেছে। বিএনপি যে কারণে জনপ্রিয় সেটি তারা দখলে নিয়ে যাচ্ছে। জামায়াত তাদের সাথে আসলে জামায়াতেরও আর কোনো দোষ থাকবে না। তখন বন্ধু হয়ে যাবে। সুতরাং জামায়াত যদি বিএনপি থেকে সরে যায়, তাতে বিএনপির কিছু যায় আসে না।অাস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন