মহান শহীদ দিবস ছিল একুশে ফেব্রুয়ারি বুধবার। বায়ান্নর এ ঐতিহাসিক দিনটিতে ঢাকার রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ নাম না জানা অসংখ্য শহীদের আত্মদানে সে দিন বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ভাষা মহান আল্লাহর দান। প্রতিটি জাতিরই নিজস্ব একটি ভাষা আছে। সে ভাষায় সে জাতির লোকেরা কথা বলে, লেখালেখি করে, মনের ভাব আদান-প্রদান করে থাকে। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আমাদের ওপরে চাপিয়ে দিয়েছিল। সেই অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ দাবিতে পুরো দেশ প্রকম্পিত হয়েছিল। অবশেষে অমর একুশের দিনটিতে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন বিজয় লাভ করে। সেই থেকে ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদের মাস।
এই ভাষা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদের মাসেই বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আরেক জুলুমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। সেটি ৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। এই দিনে এক মিথ্যা মামলাকে ব্যবহার করে এ দেশে গণতন্ত্রের প্রতীক, তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। করে তার সাথে অমানবিক আচরণ করে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনেরা। বিশেষ আদালতে সুবিচার না পাওয়ায় মহামান্য হাইকোর্ট আপিল দায়ের করা খালেদা জিয়ার একটি সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু রায়ের এগার দিন পর আইনজীবীরা তার রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পেলেন। হাজার পৃষ্ঠার রায়টি এক সপ্তাহেই দেয়া হয়েছে। সরকার রায়ের সার্টিফাইড কপির বিষয় নিয়েও ধূম্র্রজাল সৃষ্টি করেছিল। ফলে আপিল দায়ের করতে বিলম্ব হয়।
এ অবস্থায় তার জামিনের বিষয়টি পড়ছে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে। খালেদা কখন জামিন পাবেন কিংবা আদৌ তাকে জামিন দেয়া হবে কি না, সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না। ঘটনাবলি থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, তিনি যাতে জামিন না পান, অমানবিক সরকার নানা ফন্দিফিকির করে যাচ্ছে। এবার মহান শহীদ দিবস তথা অমর একুশের দিনটিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন তিনি। গণতন্ত্র ও জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বেগম জিয়া ছুটে গেছেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে শপথ নিয়েই আন্দোলন শুরু করেছেন। প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বের করেছেন শোক মিছিল।
একুশে ফেব্রুয়ারিতে নেতাকর্মীসহ লাখো মানুষ নিয়ে গেছেন সেখানে। শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অবশ্য খালেদা জিয়াকে এবার অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হলেও তার দল বিএনপি এবং অগণিত নেতাকর্মীকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত করা যায়নি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী শক্তি তথা গণতন্ত্রমনা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদকারী মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেছেন। তারা যেমন তৎকালীন পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর সে দিনের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে, তেমনি খালেদা জিয়ার প্রতি যে জুলুম করা হয়েছে, গণতন্ত্র নস্যাৎ করে স্বৈরশাসন চালানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধেও তারা প্রতিবাদী।
সরকারের হালুয়া-রুটি খেয়ে বিনা ভোটের এমপি-মন্ত্রী হয়ে পচে যাওয়া কোনো কোনো নষ্ট বাম নেতা খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপি সম্পর্কে মুখে যা আসছে, তাই বলছেন। এতটুকু তাদের বিবেকে বাধছে না। মঙ্গলবার খুলনায় গিয়ে এমন এক মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার আমল নাকি ছিল লুটেরাদের স্বর্গরাজ্য। অথচ এই ব্যক্তিকে সুস্থ করে তুলতে কত কষ্টই না করেছেন খালেদা জিয়া।
এরশাদের পতনের পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হলেন খালেদা জিয়া।
ক্ষমতায় তার প্রথম মেয়াদে দলীয় কোন্দলের জেরে তোপখানা রোডে নিজ নির্বাচনী এলাকার সন্ত্রাসীদের মারাত্মক হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এই নেতা। সে দিন প্রধানমন্ত্রীর অফিসে কর্মরত অবস্থায় দেখেছি তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কী আন্তরিক প্রচেষ্টাই না করেছেন! প্রথমেই তিনি তাকে সিএমএইচএ নেয়ার ব্যবস্থা করেন। তৎকালীন সেনাপ্রধান কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাকে তার চিকিৎসার জন্য সামান্য ত্রুটিও যাতে না হয় তার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার রক্তের প্রয়োজন হয়েছিল। তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন, প্রয়োজনে তিনিও রক্ত দিতে প্রস্তুত। সে দিন সেনাবাহিনীর সদস্যরা লাইন ধরে এই বাম নেতার জন্য রক্ত দিয়েছিলেন।
খালেদা জিয়া অন্তত পাঁচবার সিএমএইচে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাকে বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার সুব্যবস্থা করে দেন। বলতে হয়, াওাু কমরেডে সে দিন প্রধানমন্ত্রীর অফিস এই কমরেড পরিবারের সদস্যদের প্রায় স্থায়ী নিবাসই হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন একান্ত সচিব সাবিহ উদ্দীন আহমদ এর সাক্ষী। একজন মানুষ কতটা অকৃতজ্ঞ হলে এখন লাগাম ছাড়া কথা বলতে পারেন, খালেদা জিয়াকে গালমন্দ করতে পারেন এই প্রগতিবাজ তার উদাহরণ। মানুষটি খালেদা জিয়াকে শেখ মুজিবের কারাগারের রোজনামচা পড়তে বলেছেন। একদিন তো তাকেও এই রোজনামচা পড়তে হতে পারে। আজ তিনি বড় গলায় বিএনপির দুর্নীতির কথা বলছেন। আয়নায় নিজের চেহারাটা কি দেখেছেন? তার নির্বাচনী এলাকায় যে কেউ গেলেই জানতে পারবেন দুর্নীতির কত প্রমাণ। কোনোটা ভিওআইপির, কোনোটা ভিকারুননিসা-আইডিয়েল স্কুল, কোনোটা প্রকল্পের কমিশন, কত কী। ক্ষমতার গরমে আজ যে আস্ফালন, যে দাম্ভিকতা, তার কৈফিয়ত নিশ্চয়ই একদিন জনগণকে কড়ায়-গণ্ডায় দিতে হবে।
এবার আসি আরেকজন কথায়। বিনা ভোটের সংসদে তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে কনডেম সেলে রাখা উচিত। এখনো ইউটিউবে গেলে চাঞ্চল্যকর তার নিজের মুখেই যে কেউ শুনতে পারেন। নিজের নেত্রী অভিযোগের চাঁদাবাজির বিবরণ তিনিই দিয়েছেন। লোকে বলে, সে কারণে আজ পর্যন্ত মন্ত্রীর চেয়ারে বসা তার ভাগ্যে জুটেনি। অনেকেই বলাবলি করছে, খালেদা জিয়াকে গালমন্দ করে সেই আশা পূরণ হয় কিনা সে চেষ্টাই হয়ত করে যাচ্ছেন তিনি।
আরেকজন আছেন যিনি প্রতিদিন জাতিকে নসিহত করে চলেছেন। তার এই নসিহত অন্য কোনো বিষয়ে নিয়ে নয়। শুধু বিএনপি এবং খালেদা জিয়াকে নিয়ে। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি ছাত্রলীগ-যুবলীগের উদ্দেশে বলেছেন, খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ায় বেশি লাফালাফি এবং উল্লসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’ সম্ভবত তার মনের অজান্তেই এই সত্য কথাটি বেরিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগের যে সর্বনাশ হয়ে গেছে, তা তিনি বুঝতে পেরেছেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর মতো তিনিও বুঝতে পেরেছেন, একটি ভুয়া, ও ভিত্তিহীন পূর্ণ মামলায় খালেদা জিয়াকে যেভাবে জেলে নেয়া হয়েছে তার ফল ভালো হবে না। এমনিতেই বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। আর সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে জেলে নেয়ায় হিতে বিপরীতই হয়েছে। দেশের আশি ভাগ জনসমর্থন এখন খালেদা জিয়া, বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে। তাই এই মন্ত্রীর মুখ থেকে ওই বক্তব্য আসায় দলের নীতিনির্ধারকদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে।
সাথে সাথেই ওই বক্তব্য সংশোধনের জন্য ধমক আসে। ফলে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকেই ইনি বিএনপি এবং খালেদা জিয়া সম্পর্কে আবোল তাবোল বলতে থাকেন। খালেদা জিয়ার রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে, তিনি আর নির্বাচন করতে পারবেন না, খোঁড়া বিএনপি অবশ্য নির্বাচনে আসতেই পারে, প্রভৃতি। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার সাজার কারণে রাজনীতিতে কোনো সঙ্কট হয়নি, বরং বিএনপির অভ্যন্তরীণ সঙ্কট ঘনীভূত হয়েছে। তিনি বললেন, বিএনপি ভেঙে নতুন আরেকটি বিএনপি হোক আমরা তা চাই না।’ অর্থাৎ বিএনপি নিয়েই তার যত মাথা ব্যথা। তার সম্পর্কে জনমনে কথা চালু আছে যে, তিনি গলাবাজির রাজা।
বিএনপির সম্পর্কে তার বক্তব্যগুলো এরই প্রমাণ। বিএনপি ভেঙে আরেকটি নতুন বিএনপি হওয়ার তথ্য তিনি কোথায় পেলেন? তাহলে মানুষ কি ধরে নেবে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভাঙার পরিকল্পনা করছে? এক-এগারোর সময় তিনিও জেলে ছিলেন। তৎকালীন জরুরি সরকার আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ভাঙতে চেয়েছিল। পেরেছিল কি? আসলে একরকম অস্থিরতা থেকে এ কথা বলছেন মন্ত্রী।
জন-আতঙ্ক তাদের পেয়ে বসেছে। মোটামুটি নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হলেও ক্ষমতাসীনদের যে ভরসা নেই, সেসম্পর্কে তারা অবহিত। এ কারণেই এসব উল্টাপাল্টা বকছেন। রোববার তিনি বলেছেন, ইতিহাসে কোনো কারাবন্দী নেতার সাথে গৃহকর্মীকে থাকার সুযোগ দেয়া হয়নি। খালেদা জিয়াকে সে সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের সময়ের কথা কি তিনি নিজে ভুলে গেছেন? তখন দুই নেত্রীর সাথেই গৃহকর্মী থাকার সুযোগ দেয়া হয়েছে এবং তাদের খাবার রান্না করার জন্য আলাদা বাবুর্চিও ছিল।
ইতালিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার মামলাগুলো তদন্ত কমিটি করে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে বাদ দেয়া হয়েছে। সরকারের শীর্ষ পদে পর তার মামলা রেখে দেয়ার কিংবা আদালতে মামলা চলমান রাখার মতো দুঃসাহস দেখানোর বুকের পাটা কার আছে? তাছাড়া সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে দিয়ে কমিটি করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাজার হাজার মামলা তুলে নেয়ার দৃষ্টান্তের কথা কী মানুষ ভুলে গেছে?
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে গেছে। তারা বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের কর্তাব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করেছে। এরপর সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইইউ ইউনিয়ন বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে। তারা বলেছেন, গণতন্ত্র এবং সুশাসনের স্বার্থে এর কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য বিএনপির মতো দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ খুবই জরুরি। তাদের মতে, বিএনপি ছাড়া নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। তবে দলের প্রধান কারারুদ্ধ হওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ তাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ বলে তারা মনে করেন।
বিগত একতরফা নির্বাচন খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে আছে বলেও তারা উল্লেখ করেন। শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নই নয়, দেশের নাগরিক সমাজও বক্তব্য বিবৃতি, লেখালেখির মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা এ কথাও বলছেন, যে ঠুনকো মামলায় বেগম জিয়াকে জেলে নেয়া হয়েছে তাতে দেশের রাজনৈতিক সঙ্কটই ঘনীভূত করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো অনিশ্চয়তার ঘূর্ণিপাকে রয়েছে। ক্ষমতাসীনরা চান না, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। জনগণকে তাদের ভয়। তাই জনগণ ছাড়া নির্বাচনই সরকারি দলের অভিপ্রায়।
তারা র্যাব-পুলিশের ওপর আস্থা রেখে একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করতে চান, যে নির্বাচন তাদের পরাজয়ের কোনো কারণ হবে না। বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ভারত ছাড়া কোনো দেশ ২০১৪ সালের বৈধতা দেয়নি। কিন্তু এবার ভারতের বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। অবশ্য সেখানকার কংগ্রেসপন্থী আমলারা এমন নির্বাচন চাচ্ছেন, যে নির্বাচনে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থাকে। বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাকরঞ্জন এ ব্যাপারে রীতিমতো ওকালতি শুরু করে দিয়েছেন। ভারতের বর্তমান সরকারকে শেখ হাসিনাকে সরাসরি সমর্থন দেয়ার উপদেশই তিনি দিয়েছেন। তার একটি লেখায় তিনি এতে ক্ষান্ত হননি, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়েছেন। বলেছেন, খালেদা জিয়া নাকি সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানিতে মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে এই বক্তব্য দিয়েছিলেন।
শোনা যায়, ভারতের বর্তমান বিজেপি সরকার যাতে সাবেক কংগ্রেস সরকারের মতোই আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ করে এ জন্য দলটি লবিস্ট নিয়োগ করেছে। প্রণব মুখার্জির সাম্প্রতিক সফরকালে এমন গুঞ্জন শোনা গেছে। পিনাক রঞ্জনও লবিস্ট হিসেবে আছেন কিনা কে জানে।
ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র হরণ করেছেন, দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন করেছেন, ব্যাংক খাতসহ প্রতিটি সেক্টর ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। তাই আজ খালেদা জিয়াকে বন্দী করে বাঁচার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এ অবস্থায় বাঁচা যাবে কি? দেশকে রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে মুক্ত করতে হলে সত্বর তার মুক্তির মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনই বাঁচার পথ।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন