আগুন আর আগুন, চারদিকে আগুন। মানুষ পুড়ছে, মরছে, লাফিয়ে পড়ছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই। কোনো ঘটনা ঘটলে সবাই নাড়াচাড়া দিয়ে ওঠে। কদিন পর সব আগের মতো হয়ে যায়। বনানীর এফআর টাওয়ার কে বানিয়েছে, মালিক কে, স্বাধীনতার সময় কোথায় ছিল, কী ছিল তাদের আর্থিক-সামাজিক অবস্থা? কেউ কিছুই জানে না। ভবন বানাতে যা সব করেছে ভাবতেও অবাক লাগে। জরুরি নির্গমন পথ নাকি তিন ফুটের! এ কী করে সম্ভব? সাধারণ বাড়িতেও সাত ফুটের সিঁড়ি থাকে। আমি ছোটখাটো একটা বাড়ি করেছি। সিড়ি পাঁচ পাঁচ দশ, মাঝে এক ফুট ফাঁকা- মোট ১১ ফুট। নতুন পূর্তমন্ত্রী আমাকে দেশে ফেরানোর জন্য ’৮৮, ’৮৯, ’৯০-এ যখন কাদের সিদ্দিকী স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়েছিল তার একজন জেলা পর্যায়ের নেতা ছিলেন। বেশ ভালো কর্মঠ মানুষ। সবসময় কিছু না কিছু করতে চান। নতুন মন্ত্রী হয়েছেন। ভালো কিছু করার নিশ্চয়ই আগ্রহ আছে। তিনি বলেছেন, এফআর টাওয়ারে আগুন কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি হত্যা। হত্যা হলে বিচার হবে, বিচার হলে শাস্তি হবে। দেখা যাক কী হয়। জমির মালিক ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুই রাঘববোয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে রূপায়ণের মালিক লিয়াকত আলী মুকুলকে পাওয়া যায়নি। ভদ্রলোককে খুব একটা জানতাম, চিনতাম না। রূপায়ণের এমডি সেলিম। ’৭২-এর দিকে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে পড়ত। কীভাবে আমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল এখন আর মনে নেই। তবে আমার গাড়িতে অনেকবার উঠেছে, বাড়িতে বহুবার এসেছে। আমরা যাদের আদরযত্ন করি সন্তানের মতোই করি। সেলিমও তা পেয়েছে। ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু নিহত হলে কোনো যোগাযোগ ছিল না। হঠাৎই একদিন কোথায় যেন দেখা। পরে জানতে পারি সে রূপায়ণ গ্রুপের এমডি, ঢাকা ক্লাবের চারবারের সভাপতি। রূপায়ণ গ্রুপ মস্তবড় একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। আরও অন্য ব্যবসা-বাণিজ্যও তাদের আছে। তবে জমি নিয়ে কারবারই প্রধান। এর মাঝে কী করে যে জড়িয়ে গিয়েছিল আমার প্রিয় আউল বাউল শিল্পী গোষ্ঠীর বিয়ানীবাজারের শেখ ওয়াহিদ বুঝতে পারিনি। মাঝেমধ্যে তার গুলশানের বাড়ি যেতাম, গান শুনতাম। সেখানেই কাঙালিনী সুফিয়া, মনির খান আরও অনেকের সঙ্গে পরিচয়। শেখ ওয়াহিদের আউল বাউল শিল্পী গোষ্ঠীর নাম আমিই দিয়েছিলাম। তিনি আমাকে গুরুদেব বলে ডাকতেন, আমিও তাকে গুরুদেব বলতাম। অনেকবার দলবল নিয়ে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর কবরে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালনে সহায়তা করেছেন। একদিন গুরুদেব বাবর রোডের বাড়ি এসে হাজির।
- কী ব্যাপার?
- না, তেমন কিছু না। মহাখালীর একটা জমি হাতছাড়া হতে চলেছে।
- কেন?
- রূপায়ণের মুকুল জমিটা নিয়েছে। সরল বিশ্বাসে জমিটা দেওয়ার পর এখন সে কথা রাখছে না।
এ নিয়ে কয়েকবার দেনদরবার করেছি। সেই সময় সেলিমকে বার বার দেখেছি। টাকাওয়ালা মানুষদের যে কত রকম পলিসি তা তখন জেনেছি। একবার কারও টাকা হলে গ্রামেগঞ্জে বেলা শেষে সার-পাট দিয়ে যেমন ধান জড়ো করে, ঠিক তেমনি টাকাওয়ালারা টাকা জড়ো করে। তখন আর তাদের কেউ কিছু বলার থাকে না। সরকার, আইন-আদালত, দারোগা-পুলিশ সব টাকার গোলাম। এফআর টাওয়ার- ফারুক রূপায়ণ টাওয়ার হিসেবে পরিচিত। ফারুক জমির মালিক, রূপায়ণ ডেভেলপার। শুধু বনানীতে নয়, রূপায়ণের কত জায়গায় কত বিল্ডিং, কতজন কতভাবে তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত বলে শেষ করা যাবে না। আগুনে কতগুলো মানুষের জীবন গেল, কতগুলো মানুষ সর্বস্বান্ত হলো, কত মানুষ আহত হলো- এর যে কোনো প্রতিকার হবে কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না। এফআর টাওয়ারের ধোঁয়া না সরতেই গুলশান মার্কেটে আগুন। কোনো প্রতিকার নেই। আদতে যাদের দেখা দরকার, নিয়ন্ত্রণ করা দরকার তাদের কোনো যোগ্যতা ও ক্ষমতা নেই। রাজউকের এসব দেখার প্রয়োজন কী? তাদের প্রয়োজন টাকার। টাকা হলেই হলো। যাদের প্রচুর টাকা তাদের ফাইল চলে রকেটের গতিতে আর যাদের নেই তাদের কচ্ছপের গতি। তাই কবে এসব বড় বড় আকাশচুম্বী দালান নিরাপদ হবে, কবে রাস্তা নিরাপদ হবে কিছুই ভেবে পাই না। ছোটখাটো একটা ঘটনারও যদি প্রতিকার হতো তাহলে অন্যায়ের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা নিম্নগতি পাক আর না পাক থেমে যেত। অন্যায়প্রবণতা থামলে সাধারণ মানুষ কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচত।
বাড়িতে নিরাপত্তা নেই, অফিস-আদালতে নেই, রাস্তায় বেরোলে বিপদ- মানুষ যাবে কোথায়? এক মারাত্মক ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। অথচ কেউ এ নিয়ে গা করে না। কেমন যেন সবার গা-সহা হয়ে গেছে। মানুষ বড় হতাশ। হতাশ মানুষ নিয়ে খুব একটা ভালো কিছু করা যায় না। সব দেশে একটা সামাজিক শক্তি থাকে। সামাজিক শক্তি অকেজো-দুর্বল হয়ে পড়লে মানবসভ্যতার সবচেয়ে বড় ক্ষতি। সামাজিক বন্ধন শিথিল হলে সমাজে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একবার তেমন হলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা খুব একটা সহজ নয়। রাষ্ট্র যে সত্যিই একটা আলাদা কিছু কারও মর্জিমাফিক চলে না, ন্যায়নীতি ও আইনের দ্বারা চলে। রাষ্ট্রের কর্মকর্তারা কেউ জনগণের মালিক নন, দেশবাসীর সেবক- এ কথাটা প্রায় সবাই ভুলে গেছে। সবার মধ্যেই কেন যেন খামখেয়ালি, বেপরোয়া ভাব। আর যাই হোক খামখেয়ালি করে যে দেশ চালানো যায় না এর অনেক প্রমাণ রয়েছে। আমাদের শাসকরা তা না মানলে কী করা যাবে। কেমন যেন একটা মারাত্মক গুমোট ভাব চলছে সর্বত্র।
চতুর্থ ধাপে উপজেলা নির্বাচন হয়ে গেল। কী দুর্ভাগ্য! মসজিদের মাইকে ভোটের অনুরোধ। ভোটের আর কী বাকি রইল। ভোটের আগে কিছুদিন একেবারে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মানুষের আগ্রহ ছিল না। আল্লাহই জানেন এবার কয় শতাংশ দেখাবেন। কুমুদিনী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৪ হাজারের মধ্যে ২০০ কয়েকটা, মুন্সীপাড়া কেন্দ্রে ৩ হাজারে ১১৭ ভোট। ৫-৭ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। আর এবার যেভাবে এসপি-ডিসি-পুলিং অফিসার-প্রিসাইডিং অফিসার জাল ভোটের কারণে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এর কানাকড়িও জাতীয় নির্বাচনে হয়নি। এমন নির্বাচন কমিশন ও সরকার থাকতে মানুষ আর ভোট কেন্দ্রে যাবে না। ভোট কেন্দ্রমুখী মানুষ ভোট কেন্দ্রবিমুখ হয়ে গেছে। তারা ধরেই নিয়েছে, অদৃশ্য শয়তানের হাতে ভোট। তাই তাদের প্রয়োজন নেই। এ রোগ থেকে জাতিকে বেরিয়ে আসতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। আমাদের স্বাধীনতার মাস, জাতির পিতার জন্মের মাস খুব একটা ভালো গেল না। ইংরেজি পঞ্জিকায় এপ্রিল তো মজাকের মাস। পয়লা এপ্রিলে অনেকেই আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে বোকা বানাত, এপ্রিল ফুল করত। এখন অনেকটা কমে গেলেও মাসটা বোকা বানানোর। এ মাস কেমন যায়, এ মাসে কী হয় দেখা যাক।
২৮ মার্চ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটা আলোচনা সভা ছিল। প্রধান অতিথি ছিলেন আমাদের প্রেরণার উৎস সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন। আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, আফ্রিক, ইকবাল সিদ্দিকী, দেলোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, আমার স্ত্রী নাসরীন সিদ্দিকী শরীর খারাপ থাকায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেননি, আমার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী আলোচনা করতে চায়নি। কিন্তু তারা সাগ্রহে উপস্থিত ছিল। আর এর পুরো আয়োজনই সবাইকে নিয়ে করেছিলেন আমাদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক। সবাই সুন্দর বক্তব্য দিয়েছেন; যা ছিল আমাদের অনেকের জন্য প্রণিধানযোগ্য। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গ এনেছিলেন। আলোচনায় প্রায় সবাই খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে বক্তৃতা করেছেন। খালেদা জিয়ার ব্যাপারটা গুরুত্ব পাওয়ারই কথা।
ড. কামাল হোসেন প্রধান অতিথি হলে সে অনুষ্ঠানে সভাপতি হতে কিছুটা বিব্রত লাগে। তাই প্রধান অতিথির আগে সভাপতির বক্তব্য দিয়েছিলাম। মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য আমি খুব নিবিষ্টমনে শুনছিলাম। তিনি তার মতো করে তার দল ও নেতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া সম্পর্কে খুবই যুক্তিযুক্তভাবে বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সার্বিকভাবে সবাই একত্র না হলে দেশ যে এই হতাশার হাত থেকে সহজে বেরিয়ে আসতে পারবে না তাও ছিল তার বক্তব্যে পরিষ্কার। তবে তিনি একবারও বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করেননি। স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা আছে কি নেই বলার চেষ্টা করেননি। তাই আমি বাধ্য হয়ে সভাপতির বক্তব্যে বলার চেষ্টা করেছি, মুজিবহীন বাংলায় ’৭১-এ আমরা ছিলাম অর্থহীন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বান তুলে ধরে যথার্থই জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে আমরা কেউ কিছু না। কিন্তু কেন যেন সেদিন ফখরুল ইসলাম একবারের জন্যও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জাতির পিতা শেখ মুজিব অথবা টুঙ্গিপাড়া শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে শেখ মুজিব মুখে আনেননি। কেন আনেননি তা তিনিই জানেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখি। আওয়ামী সমর্থকরা যেমন বীরউত্তম জিয়াউর রহমানকে ধুয়েমুছে নিশ্চিহ্ন করতে চান, তেমনি জাতীয়তাবাদী নেতা-কর্মীরা পিতাকে ধুয়েমুছে সাফ করে ফেলতে চাইলে নিজেদের সুনাম না কুড়িয়ে বদনামই কুড়াবেন বেশি- এই সাদা কথাটি কেন যেন কেউ বুঝতে চান না। একজন মন্ত্রী এবং সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য কেন তেমন নয়Ñ এটা আমার সবসময়ের প্রশ্ন। মানবিক বিবেচনায় পাত্র-মিত্র-শত্রু-বন্ধু সবার প্রতি কেন আমরা এক আচরণ করতে পারব না। ৭৪ বছর বয়সী একজন মহিলা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী একটা ঠুনকো মামলায়, যে মামলা দেশের মানুষ বিশ্বাস করতে পারছে না, হাজার হাজার কোটি টাকা যেখানে নয়ছয় সেখানে দুই কোটি টাকার মামলায় সাজা দিয়ে জেলখানায় রাখা আওয়ামী লীগের অনেক বিবেকবান নেতা-কর্মীরও মনঃপূত নয়। সেখানে আমরা কেন তার প্রতি যথাযথ ন্যায়বিচার করতে পারব না? কথাটি আমি হৃদয়ে ধারণ করি এবং সবসময় বলার চেষ্টা করি। কিন্তু সেদিন কেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বঙ্গবন্ধুর নাম মুখে আনেননি জানি না। স্বাধীনতা তো বার বার আসে না, স্বাধীনতা আন্দোলন বছর বছর হয় না, স্বাধীনতা কোনো কোনো জাতির ভাগ্যে জোটে, কোনো কোনো জাতির ভাগ্যে জোটে না। আর আমরা ভাগ্যবানরা যারা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা রেখেছিলাম তারা স্বাধীনতার এই মহানায়ককে আড়াল করে কী করে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করব?
আগামী বছর ২০২০ সালে দেশের পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করব। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পিতা এ ব্যাপারে কারও সন্দেহ থাকলে তার এ দেশে থাকা উচিত নয়। বাঙালি জাতির পিতা হিসেবে এ কথা ও কথা বলা যেতে পারে। কারণ বাঙালি জাতির সৃষ্টি বা জন্ম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মের অনেক আগে। কিন্তু শ্রম-ঘাম-মেধা দিয়ে শেখ মুজিব বাংলাদেশের জন্মে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন- এখানে কোনো সন্দেহ নেই। তার জন্মশতবার্ষিকী হওয়া উচিত সার্বিক সমগ্র দেশের, সমগ্র জাতির দলমতনির্বিশেষে সবার। সরকারে থাকলে যে সবকিছু জাতীয়ভাবে করা যায় তা ভাবা এক মস্তবড় আহম্মকি। সরকারের চাইতে দেশ বড়, দেশের চাইতে দেশের জনগণ। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী দেশের হওয়া উচিত, কোনো সরকার, দল বা গোষ্ঠীর নয়।
লেখক : রাজনীতিক।
উৎসঃ বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন