ভেবেছিলাম ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানাব কিন্তু তা আর হলো না
28 August 2018, Tuesday
ঈদ আসে ঈদ যায়। কিন্তু যে খুশি আসার কথা সেই খুশি কেন যেন আসে না। সড়ক দুর্ঘটনা এ যেন কপালের লিখন। নিরাপদ সড়কের কত বড় আন্দোলন হলো। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হলো না। সবাই যেন কেমন উদাসীন। সবকিছু লাগামহীন একেবারে ফ্রি-স্টাইল। ঈদের পর পত্রিকা বেরুতেই দেখলাম দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত। গত পরশু নাটোরে লেগুনার ১৪ এবং গতকাল ১০ যাত্রী নিহত। কত আর মৃত্যুর সংবাদ শোনা যায়। মৃত্যুরও তো একটা স্বাভাবিক গতি-প্রকৃতি আছে। মুক্তিযুদ্ধে হানাদাররা গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিত, তাতে বুক কাঁদত। কিন্তু প্রতিকারে কিছু-না কিছু করতে পারতাম। এখন যে মাত্রায় মানুষ মরে প্রতিকারের কত চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়। কিন্তু কিছুই করতে পারি না। ঈদের দিন তো বাবা-মার কবরে গিয়েছিলাম, ঈদের পরদিনও বহেরাতলী-তেজপুর-সিলিমপুর গিয়েছিলাম। বড় মেয়ে কুঁড়ি স্পিডবোট থেকে নামতে গিয়ে পিছলে পড়েছিল। বাম হাতে ব্যথা পেয়েছে। পাহাড়ি লালমাটি বড় পিচ্ছিল। আমিও তেজপুর ব্রিজের কাছারে উঠতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলাম। আমার পড়ে যাওয়ার তেমন একটা বাতিক নেই। বছর ১৫ আগে একবার পড়ে গিয়ে হাত ভেঙেছিলাম। এবার পড়ে কোনো ব্যথা পাইনি। মনে হলো যেন বিছানায় শুয়েছিলাম। মাথার পেছনটা মাটিতে পড়েছিল। কিছুটা ঝিম ধরেছিল। কিন্তু সে আর কতক্ষণ, দুই-তিন মিনিট। তবে কাদা লেগেছিল অনেক। গাড়িতে উঠতেই ছেলেমেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, কোথাও ব্যথা পেয়েছি কি না? আসলেই ব্যথা পাইনি, কী করে বলি ব্যথা পেয়েছি। গাড়ির চালক ছিল না। তাই নিজেই চালাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে ভালোই ছিল। কিন্তু ফেরার পথে সিএনজি আর ব্যাটারিচালিত গাড়ির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলাম। তারা কোনো আইন-কানুন মানে না। সাইড দেয় না। সামনের দিক থেকেও পুরো রাস্তা আটকে থাকে। সে এক অভাবনীয় ব্যাপার। রাস্তায় যে আরও গাড়ি চলে সেদিকে কারও কোনো ভাবনা নেই। সিএনজির চাইতে ব্যাটারিচালিত গাড়ি ভীষণ মারাত্মক। ওসব গাড়ির জন্য গ্রামেগঞ্জে এদিক-ওদিক যাওয়া-আসায় বেশ সুবিধা হয়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটছে বেসুমার। এদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিলে বা দিতে পারলে অনেক কাজের কাজ হতো। দেশে যানবাহন চালানোর লোক কম। কিন্তু প্রতিদিনই নতুন নতুন গাড়ি আসছে। এদিকে আমরা কেউ খেয়াল করছি না। যে কারণে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। এর একটা সুষ্ঠু সমাধান হওয়া দরকার, নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। এভাবে রাস্তাঘাট নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়লে সর্বনাশের শেষ থাকবে না।
এবার ভেবেছিলাম ঈদের সময় যাতায়াতে মানুষের কোনো অসুবিধা হবে না। সে জন্য সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানাব। কিন্তু তা আর হলো না। একটা সময় পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের মানুষের কোনো কষ্ট ছিল না। আমরা ১৯ তারিখ টাঙ্গাইল যেতে চেয়েছিলাম। কুশিমনির স্কুল থাকায় ২০ তারিখ গেছি। ১১টা ১৫ মিনিটে রওনা দিয়ে ১টা ১০-১৫ মিনিটে নির্ঝঞ্ঝাটে টাঙ্গাইল পৌঁছেছিলাম। দুপুর ১২টায় চন্দ্রা পার হয়েছি। আমাদের ১০ মিনিট আগেও চন্দ্রাতে কোনো গাড়ি-ঘোড়া ছিল না। কিন্তু আমাদের পার হওয়ার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ধীর ধীরে জ্যাম শুরু হয়। যেটা চলে ২১ তারিখ গভীর রাত পর্যন্ত। আমাদের জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিক টাঙ্গাইলের সীমানায় এসে পাঁচ ঘণ্টায় তিন কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে। এমন জ্যাম বাপ-দাদা চৌদ্দগুষ্টির কেউ দেখেনি। যমুনা ব্রিজ থেকে জামুর্কী-পাকুল্লা পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার জ্যাম। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে এমন ভয়াবহ জ্যামের প্রধান কারণ যমুনা সেতুর টোল সংগ্রহ। আগে যারা টোল নিত এখন তারা নেই। সেতু বিভাগ নিজেই আনাড়ি লোক দিয়ে টোল নিচ্ছে। আগে যেখানে চার-পাঁচ লাইনে মিনিটে ৩০-৪০টা গাড়ি পেরুত, সেখানে এখন পেরুয় ১০-১২টা। সে কী গদাই লষ্করীর চালে গাড়ির টাকা নেয় দেখলেই কেমন লাগে। সবকিছুতেই লাগামহীন একটা গা-ছাড়া ভাব।
অন্য বছরের মতো এবারও টাঙ্গাইল ঈদগায় গিয়েছিলাম। ব্যবস্থাপনা ভালোই ছিল। আগের রাতে বৃষ্টি হওয়ায় মাঠ ভেজা ছিল। মেয়র মিরন নামাজিদের উদ্দেশে তার বক্তৃতায় বলল, ঈদগাহ উন্নয়নের বরাদ্দ আছে। অল্প সময়ের মধ্যেই উন্নয়ন করব। শুনে ভালোই লাগল। সুন্দরভাবে বালু দিয়ে দুই দিকে ঢাল করে পানি বেরোবার রাস্তা রাখলে মাঠে কাদা হবে না। আর মাঠের পাশে যে বাজার সেটা যেভাবে আছে বলার মতো না। রাত-দিন কোটি কোটি টাকা বেচাকেনা হয়। কিন্তু বাজার উন্নয়নে কারও মাথাব্যথা নেই—এটা ভালো না। মেয়রই তার বক্তৃতার এক পর্যায়ে কেন যে বলল লৌহজং নদী খননের জন্য ১৮০ বা ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আচ্ছা, এখন যদি ২০০ কোটি খরচ করে লৌহজং খনন করা হয় তাহলে দুই বছর আগে এসপি মাহাবুব হাউজি-সার্কাস-জুয়ার আসর বসিয়ে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে যে লৌহজং নদী ভরাট করে এসপি পার্ক বানাল তার কী হবে? এসপি পার্কের উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার আইজি। তিনি নাকি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এই প্রজেক্টের টাকা এলো কোথা থেকে। তার সোজা উত্তর, লোকজনের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে করেছি। সেই কবে থেকে রাজনীতি করি। যখন ছাত্র ছিলাম তখন বঙ্গবন্ধুর নামে আগরতলা মামলা হয়েছিল। যে মামলায় আইনি লড়াইয়ের জন্য সবদিক থেকে চাঁদা উঠিয়ে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। আমরা ছাত্ররা ২৬০-৭০ টাকা পাঠিয়েছিলাম। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ পাঠিয়েছিল আড়াই-তিন হাজার। চাঁদা তোলে সমাজকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনীতিকরা। এখন দেখছি পুলিশের এসপি চাঁদা তোলে। দেশের কী হবে? সরকারি বরাদ্দ ছাড়া কোনো প্রজেক্ট হয় না। অথচ টাঙ্গাইলের সাবেক এসপি বাহাদুর একটা নদীর ১২ আনা ভরাট করে ফেললেন তাকে কোনো জবাব দিতে হলো না। দুদক এত লাফালাফি করে ব্যাপারটা চোখে দেখল না। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় আমায় জানিয়েছিল ব্যাপারটা তাদের নজরে এসেছে, তারা দেখছেন। বছর ঘুরে গেল দেখা হলো না। সরকারি নীতিতে নদী খননের কথা আছে, নদী ভরাটের কথা নেই। জুয়ার টাকায় জনাব এসপি মাহাবুব নদী ভরাট করেছেন। এখন সরকারি টাকায় সেটা আবার খনন করবেন। আইয়ুব খানের সময় শুনেছিলাম, কোথায় নাকি পুকুর না কেটেই পুকুর কাটার আবার সেই পুকুর ভরাট বিল নিয়েছিল। সে তো ছিল শোনা কথা। টাঙ্গাইল এসপি পার্ক—এ তো চোখে দেখা। দেশের স্বাধীনতায় লাখো মানুষ রক্ত দিয়েছিল দেশ হবে সাধারণ মানুষের। কিন্তু তার কিছুই হলো না। এখন কোনো গুণীজনের বা ত্যাগী কারও নামে কিছু হয় না। এখন হয় ডিসি লেক, এসপি পার্ক, আইজি সেতু এসব আর কী। জানি যখন যে ধরনের বাতাস বয়, তখন সে ধরনেরই হয়। আমরা এক সময় ওসবের বিরুদ্ধে জান কোরবান করেছি। তাই অবশ্যই কিছুটা খারাপ লাগে। সেজন্য চুপ থাকতে পারি না। চিৎকার পাৎকার করি। ঈদের মাঠে মেয়র যখন লৌহজং নদী খননে সরকারি বরাদ্দের কথা বলল তখন অনেক কথা মনে পড়ল। এই লৌহজংয়ে এক সময় জাহাজ ভিড়ত। এই ঘাট থেকে জাহাজ কলকাতা যেত। যেত আসামের ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, গোয়ালন্দ। দুনিয়ার বহু জায়গায় নৌ চলাচল হতো লৌহজং দিয়ে। টাঙ্গাইল জেলায় লৌহজং ৭২-৭৩ কিলোমিটার, এক সময়ের খুবই খরস্রোতা নদী। এখন যমুনার সঙ্গে তার সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মরে গেছে। এই তো পাকিস্তান আমলেও ধলেশ্বরীর এ-কূল ও-কূল দেখা যেত না। এলাসিন ধলেশ্বরীর ওপর কয়েক বছর আগে শামসুল হক সেতু হয়েছে। কত হবে হাজার-বারোশ মিটার। যেখানে আগে নদীর প্রশস্ততা ছিল ছয়-সাত হাজার মিটার। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী তার অস্তিত্ব হারাচ্ছে। যেখানেই চর সেখানেই বসতি। কেউ বলার নেই। সব সময় সব এলাকায় কিছু উঠতি লোক থাকে। তাদের কাউকে কাউকে মাস্তানও বলা চলে। তারা যখন যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফায়দা নেওয়া যায় তার সঙ্গেই তাল মেলায়। ন্যায়-নৈতিকতা এখন আর কোনো কাজ দেয় না। সত্যিই এক হতাশাজনক অবস্থা। এই হতাশা বা বিশৃঙ্খলা থেকে বেরিয়ে আসার এখনই সময়। আরও দেরি হলে আর ঘুরে দাঁড়াবার পথ থাকবে না।
ঈদের আগে আগে কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের জামিনে মুক্তি ছিল এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ। শুধু জামিনে মুক্তি কেন, এসব আন্দোলনে যাদের নামে মামলা-মোকদ্দমা হয়েছে সেগুলো তুলে নেওয়া উচিত। ঝড়ের পর ঝড়-তুফান নিয়ে আফসোস করে কোনো লাভ নেই। ঝড়-তুফানে যা হওয়ার হয়ে যায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয় ফেরানো মানুষের অসাধ্য। ঠিক তেমনি সমাজেও কখনো-সখনো ঝড়-তুফান ঘূর্ণি আসে। তার ওপর ক্ষমতা খাটাতে যাওয়া তেমন বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাতে বরং হিতে বিপরীত হয়। তাই অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার এগুলোকে কোনো দলীয় উসকানি অথবা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে না দেখে একেবারে স্বতঃস্ফূর্ত জনতার বিক্ষোভ হিসেবে দেখাই ভালো। সেরকম দেখলে দেশ এবং সরকারের কল্যাণ হবে। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, ‘শিশুরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে।’ সেখানে কোনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজতে যাওয়া বোকামি ছাড়া কিছু নয়। অথচ প্রধানমন্ত্রীর মনোভাবকে প্রশাসন বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন ভালোভাবে নেয়নি। বরং জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে তোলার জন্য তারাই কোনো ষড়যন্ত্র করছে কিনা আমার সন্দেহ হচ্ছে। তা না হলে আমার গ্রামের একেবারে হতদরিদ্র সাধারণ ছেলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে, ‘ছাত্ররা আজ সব ড্রাইভারের লাইসেন্স চেক করতে গিয়ে দেখে মন্ত্রীর গাড়িচালকের লাইসেন্স নাই তাই চাবি আটক... শাবাশ তোমরা উলঙ্গ করে দিলে জাতির সামনে, দেশ চলছে গলাবাজির ওপর’। সাদা চোখে আমি তো এখানে কোনো দোষণীয় কিছু দেখতে পাইনি। বরং আমার কাছে উৎসাহব্যঞ্জকই মনে হয়েছে। এ ধরনের স্ট্যাটাস নিয়ে যদি পুলিশ প্রশাসন তৎপর হয়, গভীর রাতে অজোপাড়াগাঁয়ে কারও বাড়িতে গিয়ে টাকা চায়, তছনছ করে তাহলে সরকারের মঙ্গলের চাইতে অমঙ্গলই হবে বেশি। কালিহাতী থানার পুলিশ পরপর দুবার এ ছেলেকে ধরতে গেছে। চোর-ডাকাত ফেরাতে পারে না, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে পারে না, চোখের সামনে দেখেও মাদক ব্যবসায়ীদের কিছু করতে পারে না আর এই যোগাযোগ মাধ্যমের এমন উন্নতির জামানায় ‘ছাত্ররা আজ সব ড্রাইভারের লাইসেন্স চেক করতে গিয়ে দেখে... শাবাশ তোমরা উলঙ্গ করে দিলে জাতির সামনে, দেশ চলছে গলাবাজির ওপর’ লেখার জন্য যদি ধরপাকড়ের চেষ্টায় রাতের পর রাত গ্রামে গ্রামে গিয়ে পয়সা তোলে তাহলে সেটা সামনে নির্বাচনের জন্য অশুভ ছাড়া শুভ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এসপি বাহাদুরকে ব্যাপারটা বলেছি। এরপরও যদি পুলিশ এ ধরনের আচরণ করে, কারও বাড়ি যায় অথবা তৎপরতা চালায় তাহলে পুলিশ প্রশাসনকে তার দায় ভোগ করতে হবে।
এদিকে আবার জাতীয় নির্বাচন খুবই কাছাকাছি। সেটা আদৌ হবে কি হবে না, হলে কেমন হবে সে নিয়ে সারা দেশ শঙ্কিত। সরকার যত কথাই বলুক, তাদের অবস্থা তেমন একটা ভালো না। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অবস্থা যে ভালো তেমনটা জোর দিয়ে বলা যায় না। কারণ দুই দলেরই চরিত্রগত তেমন পরিবর্তন হয়নি। আমরা কিছু মানুষ ৮-১০ বছর মানুষের সম্মান, জীবনের নিরাপত্তা, প্রকৃত গণতন্ত্র এসবের জন্য নিরন্ত্মর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু পেছন দরজার অনেক কলাকৌশলের কারণে সেটাও খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। সরকার সব কিছুতেই ষড়যন্ত্র দেখে। প্রধান বিরোধী দলও কেমন যেন সরকারের কথাই বলার চেষ্টা করে। মরা শামুকেও পা কাটে এমন বোধ কারও নেই। এর মধ্যে প্রবীণ নেতা বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং ড. কামাল হোসেন আলোচনা করেছেন। আজ আবার আলোচনায় বসবেন বলে কথা আছে। তবে দুজনেরই মারাত্মক পিছুটান আছে। তাই কতটা কী হবে এখনই বলা যায় না। প্রবীণ নেতাদের প্রতি মুহূর্ত সরকারি কচি নেতারা যেভাবে গালাগাল করছেন তাতে তাদের সাহস বাড়ে, না কমে তাও দেখা দরকার। তবে যে যাই বলুন, একটা সুষ্ঠু সুন্দর সরকারি প্রভাবমুক্ত অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন বিরোধী দলের চাইতে সরকারেরই বেশি প্রয়োজন। জোর করে পাঁচ বছর কেন, ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা যায়, কোনো কোনো জায়গায় আরও বেশি। কিন্তু জাতীয়, আন্তর্জাতিক নেতার স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনার জনগণের স্বীকৃতির বড় বেশি দরকার।
লেখক : রাজনীতিক।
উৎসঃ বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন