আমাদের মূল যে দন্ডবিধি আইন আছে, এই আইনে শ্রমিকরা যে কাজগুলো করেছে এগুলো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটি একটি নিন্দনীয় এবং গর্হীত কাজ।
যারা এই কাজটি করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা উচিত। দন্ডবিধি ২৫৫ ধারা অনুযায়ী এটি একটি দন্ডনীয় অপরাধ। বল প্রয়োগের মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে সম্মান হানি করানো, বল প্রয়োগের মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে অসম্মান করা, অর্থ্যাৎ শ্রমিকরা যে বল প্রয়োগের মাধ্যমে অন্যান্য চালক এবং শিক্ষার্থীদের মুখে বা শরীরে পোড়া মোবিল লেপন করে দিয়েছে, এটি আসলে আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠি আসলে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। এখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা রয়েছে, সরকার রয়েছে, তাদের উচিত এই অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এবং এ ধরনের কাজ যেন ভবিষ্যতে কেউ না করে এ ব্যপারে সবারই সতর্ক থাকা উচিত।
শ্রমিকরা আন্দোলন করতে গিয়ে এ্যম্বুলেন্সকেও আটকে দেয়। যার ফলে একটি অবুঝ শিশুর মৃত্যু হয়। শ্রমিকদের আন্দোলন করার অধিকার আছে। তাই বলে এটি না যে, আন্দোলন করতে গিয়ে অন্যের অধিকার খর্ব করবে। তারা একটি অমানবিক এবং বিবেকহীন কাজ করেছে। কোন ভাবেই শ্রমিকদের এমন গর্হীত এবং বিবেকহীন কাজ করা উচিত হয়নি। তারা যেটি করেছে, খুবই অন্যায় কাজ, গর্হীত কাজ এবং অমানবিক কাজ।
শ্রমিকরা তাদের দাবি বৈধভাবে সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে পারে। কিন্তু তারা তাদের দাবি জানাতে গিয়ে অন্যের চলাচল বাধাগ্রস্থ করতে পারে না। চলাচল বাধাগ্রস্থ করতে গিয়ে যে একটি অবুঝ শিশুর মৃত্যু হলো, এটির জন্য তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে, এবং উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।
পরিচিতি: সাবেক জজ; সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক/
আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন