পয়লা বৈশাখ বিদায় নিয়েছে এক পক্ষকাল আগে। তবে প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের রকমারি জের চলে বৈশাখ মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত। তদুপরি, এবার গত দুই সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিন সকাল বা বিকেল, সন্ধ্যা বা রাতে কালবৈশাখীর ঝড়বৃষ্টি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, বাংলা বর্ষপঞ্জির পয়লা মাস চলছে এখন।
এবারের পয়লা বৈশাখে একটি উল্লেখযোগ্য খবর ছিল, রংপুরের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পান্তা-ইলিশের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘পান্তার দাওয়াত নিতে পারি। তবে কিছুতেই ইলিশ নয়।’ তিনি গত কয়েক বছর ধরে আহ্বান জানিয়ে আসছেন বাংলা নববর্ষে ইলিশ মাছ পরিহার করার জন্য। আসলে পয়লা বৈশাখের সাথে ইলিশের কোনো সম্পর্কই নেই। বরং এদিন ইলিশ দিয়ে পান্তা ভাত ভক্ষণ করা অবাস্তব ও হাস্যকর তো বটেই, এটা গ্রামবাংলার গণমানুষের প্রতি এক ধরনের উপহাস। যারা পান্তা ছাড়া নববর্ষ পালন করা অসম্ভব মনে করেন, সেই বাতিকগ্রস্ত ফ্যাশন পাগলরা শুঁটকি কিংবা মরিচ পেঁয়াজ দিয়ে পান্তা খেতে চাইলে তাদের কেউ বাধা দিচ্ছে না। আর পান্তা পেটে হজম হওয়া না হওয়ার দায় খাদক ব্যতিরেকে অন্য কারো নয়। যা হোক, ভালো খবর হলো, এবার পয়লা বৈশাখে ইলিশের চাহিদা ও বিক্রি কমেছে গতবারের চেয়ে। এ দিন অনেকে সরপুঁটি, এমনকি গোশতের দিকে ঝুঁকেছেন।
ওপার বাংলায় একদিন পরে কেন?
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস-সহিংসতার কিছু ঘটনা মাঝে মধ্যে ঘটেছে গত ক’বছরে। তবে ‘অসাম্প্রদায়িক’ দেশ গড়ার লক্ষ্যে এখানকার সেকুলার মহলের প্রচারণা সে তুলনায় অনেক বেশি। অনেকেই এটাকে পরিকল্পিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নির্বাচনে ভোটব্যাংক ধরে রাখার লক্ষ্যে নিবেদিত বলে মনে করেন। অপর দিকে, পাশের ‘ওপার বাংলা’ সমেত ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ভারত রাষ্ট্রে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ১৯৪৭ সাল থেকে অনেক বেশি বিপন্ন। বিশেষত মুসলমানদের দশা এখন ত্রিশঙ্কু; কিন্তু তা সত্ত্বেও সে দেশে ‘অসাম্প্রদায়িক’ দেশ গড়ার কণ্ঠের চেয়ে উগ্র জাতীয়তাবাদী হিন্দুত্বপন্থী মহলের দাপট ও দৌরাত্ম্য অনেক বেশি চোখে পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী বিজেপি বা সঙ্ঘ পরিবার ক্ষমতায় না থাকলেও ওই প্রদেশে ওদের সহিংস তাণ্ডবের সূচনা ঘটেছে ইতোমধ্যে। বর্ধমানের আসানসোলে সম্প্রতি মসজিদের ইমামের তরুণ সন্তানকে বিনা কারণে হত্যা এরই প্রমাণ। সে ইমাম সাহেব জবাবে যে মহানুভবতা ও শান্তিকামিতার স্বাক্ষর রাখলেন, তা মুসলমানদের মর্যাদাই শুধু বাড়ায়নি, ইসলামের সুমহান মানবিক চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক মানসিকতাই ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে এবার কলকাতায় বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রা হয়েছে কয়েকটা। সেখানে হিন্দু-মুসলমানের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে তাদের মঙ্গল বা কল্যাণ নিশ্চিত হোক- এটাই কামনা করা হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে মিছিল বেরিয়েছিল, এর উদ্বোধন করেন নজর আলী নামের একজন মুসলিম রিকশাচালক। এই শোভাযাত্রায় পবিত্র সরকার, রাজাসেন ও প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মতো নামকরা শিক্ষাবিদ, সঙ্গীতশিল্পীসহ সংস্কৃতিসেবী ও বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেন।
সেখানে আরো অনেক কিছুর সাথে গাজীপীর ও মানিকপীরের গানও পরিবেশিত হয়। আরেকটি শোভাযাত্রায় কলকাতার সাবেক মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্য, অর্থনীতিবিদ অমিয় বাগচী, আজিজুল হক, ঊর্মি রহমান প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। অন্য শোভাযাত্রাটিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, মন্ত্রী শোভন চ্যাটার্জি, ইমানুল হক প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
এসব খবর পড়ার পর চমকে উঠতে হয় যখন দেখি, অতীতের বৃহত্তর বঙ্গের একাংশ আজকের যে পশ্চিম বাংলা, সেখানে আমাদের একই ভাষায় কথা বলেন যে বাঙালিরা, তারা পয়লা বৈশাখ উদযাপন করেন বাংলাদেশের একদিন পরে! বর্তমান বাংলাদেশের বাঙালিরা সেই পাকিস্তান আমলে, ১৯৬৬ সাল থেকেই পুরনো ও গৎবাঁধা বাংলা বর্ষপঞ্জির যুগোপযোগী সংস্কার করে তা অনুসরণ করে আসছে। প্রখ্যাত জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে এই বিরাট কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। এর সুবাদে বাংলাদেশে আর আষাঢ় মাস ৩২ দিনে গণনা করা হয় না এবং প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল- এই সুনির্দিষ্ট দিবসে পয়লা বৈশাখ আসে এবং পালিত হয়ে থাকে। অথচ শহীদুল্লাহ যে পশ্চিমবঙ্গের লোক, সেখানে এত বছর পরও প্রাচীন ও গতানুগতিক পন্থায় বাংলা বর্ষপঞ্জি হিসাব করা হয়, যার ফলে ১৪ এপ্রিল নয়, ১৫ এপ্রিল থেকে রাঢ় বঙ্গের মানুষ বাংলা নববর্ষ গণনা করে আসছেন। অনেকেই ‘এপার’ এবং ‘ওপার’ বাংলা বলে আবেগপূর্ণ ভাবরসে সিক্ত হয়ে ওঠেন; কিন্তু পয়লা বৈশাখের ক্ষেত্রে যে বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে, সেটা কি দুই বাংলার মধ্যে একটা তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য নয়? এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বারবার আলোকপাত করছেন লেখালেখির মাধ্যমে।
তিনি হিন্দু পুরোহিতদের গোঁড়ামি, তথা অতি রক্ষণশীলতাকে এজন্য দায়ী করেছেন। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম বাধা হয় না বর্ষপঞ্জির অসাম্প্রদায়িক সংস্কারে। অথচ ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে প্রধানত সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মীয় কারণে একই বর্ষপঞ্জিকে সংস্কার ও আধুনিক করা যায়নি আজ পর্যন্ত। বিস্ময়ের কথা, এ নিয়ে কলকাতার বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের ‘হেল দোল’ নেই এবং ঢাকার সেকুলার বাঙালি জাতীয়তাবাদী মহলও এ ব্যাপারে মুখ খোলেন না। অথচ সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির আবাস হিসেবে বাংলাদেশে অনুসৃত বর্ষপঞ্জিকে পাশের পশ্বিরবঙ্গে যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদা দেয়া উচিত ছিল অনেক আগেই।
বাংলা বর্ষপঞ্জি ভারতীয় সৌরবর্ষ আর ইসলামি চান্দ্রবর্ষের এক অপূর্ব সমন্বয়। তবে নিকট অতীত পর্যন্ত বাঙালির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যে মুসলিম জনগোষ্ঠী, তাদের মধ্যে পয়লা বৈশাখ নিয়ে আজকের মতো উচ্ছ্বাস-উল্লাস পরিলক্ষিত হতো না। এর নানা কারণ রয়েছে। অবশ্য গ্রামবাংলায় হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে কৃষিজীবী মানুষ প্রধানত বাংলা বর্ষপঞ্জি মোতাবেক মাস ও দিনের হিসাব রেখেছেন এবং আজো এটা অনেকাংশে জনজীবনে প্রচলিত। কারণ, গ্রামপ্রধান এ দেশের জনজীবন ও অর্থনীতি অনেকটা কৃষিনির্ভর। আর বাংলা বর্ষপঞ্জির সাথে ফসল, তথা কৃষির সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তবে কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হলো, যে বাংলা নববর্ষকে বাঙালি মুসলমানেরা সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ দিন তেমন গুরুত্ব দেয়নি, তাদের জানা ছিল না যে, এই বর্ষপঞ্জি ইসলামি বা হিজরির পঞ্জিকার কাছে ঋণী; এটা চালু করেছেন মুসলিম শাসকেরাই। একইভাবে বাঙালি হিন্দুরাও জানতেন না, যে নববর্ষকে তারা ধর্মীয় আবহে বিপুল উৎসাহে উদযাপন করে আসছেন, তার মাসগুলোর নাম সংস্কৃত হলেও এই পঞ্জিকা মুসলমানদের উদ্যোগে এবং ইসলামি বর্ষপঞ্জির সমন্বয়ে প্রচলিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিক প্রফেসর অমর্ত্য সেন বলেন, একজন হিন্দু বাঙালি যখন বাংলা বর্ষপঞ্জি মোতাবেক তারিখ গণনা করেন, তিনি হয়তো জানেন না, এটি মুসলমানদের হিজরি সনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রচলিত হয়েছে।
সরকারের বৈশাখী বুদ্ধি
আগের দিনে ‘হালখাতা’ ছিল পয়লা বৈশাখের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি। সময়ের সাথে বদলে গেছে বহুকিছু। এখন হালখাতা প্রথা প্রধানত মফস্বলের বড় বাজার গঞ্জে আর পুরনো ঢাকার মতো এলাকায় পালিত হলেও তার জৌলুস হারিয়েছে। অবশ্য হালখাতার বড় উপকরণ যে লালখাতা, এর বর্ণের উজ্জ্বলতা আগের মতোই অম্লান। হালখাতা বরাবরই পাওনাদার বা উত্তমর্ণের জন্য আগ্রহ ও আনন্দের উপলক্ষ। এর বিপরীতে, অধমর্ণ বা দেনাদারদের (অন্তত তাদের একটা বড় অংশের) কাছে উৎকণ্ঠা ও ঝামেলার ব্যাপার। এমনও হয়ে থাকে, হালখাতায় দেনা শোধের দুশ্চিন্তা অনেকের একই দিনের মেলার আনন্দ হরণ করে বৈশাখী উল্লাসকে অনেকটা কমিয়ে দেয়।
যা হোক, এখন গঞ্জের আড়তদার ও পাইকারের গদি এবং স্বর্ণকারের দোকানের পাশাপাশি সরকার সুকৌশলে ঋণ আদায়ের উদ্দেশ্যে ‘আবহমান বাংলার সংস্কৃতি’র প্রথা হিসেবে হালখাতাকে কাজে লাগাতে চায়। বিশেষ করে যখন কোনো সরকার কারণে অকারণে তার ক্রমবর্ধমান ব্যয়বহর মেটাতে দিশেহারা, তখন তহবিল বাড়ানোর একটি জুৎসই পন্থা হিসেবে হালখাতা ব্যবহারের দিকে ব্যাপক উৎসাহ থাকবেই। সে মোতাবেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), কৃষি ব্যাংক প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘হালখাতা’ করেছে।
কৃষি ব্যাংক কয়েক শ’ কোটি টাকা ঋণ আদায় করেছে হালখাতার মাধ্যমে। কৃষিপ্রধান এ দেশে গ্রামজীবন ঘনিষ্ঠ ঐতিহ্যের মর্যাদা দিয়ে ব্যাংকটি কৃষিজীবী সমাজের ঘনিষ্ঠতা অর্জনের প্রয়াস পাওয়াই স্বাভাবিক। এদিকে রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর জানায়, এ বছর ‘হালখাতা’ তাদের ভাণ্ডারে সাড়ে আট শ’ কোটি টাকা রাজস্ব যোগ করেছে। তারা গতবার প্রথম হালখাতায় সাত শ’ পঞ্চান্ন কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিলেন।
যা হোক, এই বার্ষিক হালখাতায় কয়েক শ’ কোটি টাকা আয় করাকে বিরাট সাফল্যরূপে কর্তৃপক্ষ তুলে ধরেছেন। গত সপ্তাহের কলামে বৈশাখী আলোচনায় অন্তত মাসওয়ারি হালখাতা তথা হিসাবনিকাশ করার ওপর জোর দিয়েছি। আমাদের এ জাতি শুধু নববর্ষ উৎসবে মেতে না উঠে যদি বৈশাখ শেষে এবং বছরের বাকি মাসগুলোতেও নিজেই নিজের হিসাব নেয়, তা হলে আমাদের দেশের প্রকৃত অবস্থা এবং জাতির আসল অবস্থান সবাই উপলব্ধি করতে পারবে। প্রতি মাসের সেই সামগ্রিক হালখাতায় দেখা যাবে, বিশ্বসভায় জাতি হিসেবে আমাদের বেহাল দশা। সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি এমন যে, আমাদের জাতিগত অর্জনের পাশে বিসর্জনের বহরটাও কম বড় নয়। সর্বপ্লাবী উন্নয়নের ডঙ্কানিনাদের আড়ালে কেমন যেন ব্যর্থতা ও বিষাদের করুণ রাগিণী। বাহ্যিক ও বস্তুগত অবকাঠামোর দৃশ্যত অগ্রগতির কিছু বয়ান নৈতিক কাঠামোর সর্বগ্রাসী ধসের মহাবিপর্যয় আড়াল করতে পারছে না। রাজস্ব বোর্ড কিংবা বিশেষায়িত ব্যাংকের হালখাতার অর্জন টাকায় মাপা যায়; কিন্তু মুখরোচক বিবিধবচনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের যে বিসর্জন ঘটছে প্রতিনিয়ত, তার ক্ষতি অপরিমেয়। মানবতা ও ন্যায়নীতির অবক্ষয় অব্যাহত থাকলে হাজার বছর পান্তা ইলিশ খেলেও এবং নববর্ষের হালখাতায় মেতে থাকলেও সে ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।
নববর্ষে রাজনীতির ধান্ধা
পয়লা বৈশাখকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহারের মাধ্যমে এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এর গুটি কয়েক নমুনা তুলে ধরা হলো। এবার বাংলা নববর্ষের কয়েক দিন আগে রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের একজন ছোট নেতার বড় পোস্টার দেখা গেছে। এতে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান রয়েছে। পোস্টারে যথারীতি বঙ্গবন্ধু ও তার তনয়ার (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ছবি থাকলেও তাদের চেয়ে বড় ছবি স্থানীয় এক নেতার।
অতএব, বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, হয়তো এই ‘বড় ভাই’ নিজের প্রচারার্থে পোস্টারটি বের করার মূল উদ্যোক্তা কিংবা উল্লিখিত ছোট নেতার মূল উদ্দেশ্য, স্থানীয় এই নেতার গুডবুকে থাকা। কোনো কোনো মন্ত্রীর নামে ছাপানো পোস্টারও ঢাকার দেয়ালে শোভা পাচ্ছে। যেমন, দায়িত্ব নিয়েই ‘বাংলাদেশ বিমানের সমস্যা তো পানির মতো’ তুচ্ছ বলেছিলেন যে মন্ত্রী, সেই আইনজীবীর ছবিসহ নববর্ষে পোস্টার লাগানো হয়েছে নৌকায় ভোট দেয়ার আবেদন জানিয়ে। এদিকে জাতীয় বিমান সংস্থার অনিয়ম ও দুর্নীতি আগের মতোই চলছে। তাই এ মন্ত্রী বিমানের ‘টিকিট চোর’দের ধরার অঙ্গীকার করছেন। তার আগে যিনি বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় চালিয়েছেন, সেই কমরেড মন্ত্রী এবার পয়লা বৈশাখের পোস্টারে চমক দেখিয়েছেন। তার বড় ছবিসমেত প্রকাশিত বৈশাখী পোস্টারের ওপর ‘আল্লাহ সর্বশক্তিমান; পাশে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’। এগুলো লেখা হয় আওয়ামী লীগের পোস্টার লিফলেটে, এই কমিউনিস্ট মন্ত্রীর দল এসব লেখার প্রশ্নই আসে না। অতীতে সারা জীবন ঘোর আওয়ামী লীগবিরোধী এবং মুজিবের প্রচণ্ড সমালোচক, এই বামনেতা এখন মুজিব আদর্শ বাস্তবায়নের একজন সৈনিক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
উৎসঃ ন য়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন