যে কারণে ওহাবীরা মাজার ও মূর্তী বিরোধী

লিখেছেন লিখেছেন পাতা বাহার ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:০৫:৪৩ বিকাল

বর্তমান আরবে ক্ষমতাসীন মুসলিম বলতে যারা অবস্থান করছে, তারা হলো ওহাবী মতবাদের। মূলতঃ ওহাবী মতবাদীরা কোন অবস্থাতেই মুসলিম নয়। এরা ইহুদী ও খৃষ্টানের চর। এরা মুসলমানকে ধংস করার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আর মুসলিম ধংস পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় তারা ইতিপূর্বে, অনেক সাহাবার মাজার নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। আর সেই মাজার ধংসের সূত্র ধরেই, তারা এবার মহাম্মদের লাশ সরিয়ে নেওয়া, বা মহাম্মদের কবর বর্তমান অবস্থান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।

মূলতঃ ওহাবীরা যে সকল কর্মকাণ্ড করে বা করেছে, তাতে করে সাধারণ মানুষ তাদের সে কর্মকাণ্ড দেখে, ঘৃণা ছাড়া কিছুই করবে না। কারণ ওহাবী মতবাদ হলো বিশ্বাস ঘাতকতার মতবাদ। আর বিশ্বাস ঘাতককে কখনোই সাধারণ মানুষ গ্রহণ করে না। আর বিশ্বাস ঘাতককে সাধারণ মানুষ জীবদ্দশাতেও যেমন ঘৃণা করে, মরার পরেও বিশ্বাস ঘাতকের কবর বা সমাধীস্থলকে মানুষ সে রকমই ঘৃণা করে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যেতে পরে, যেমন- মীর যাফর।

এই মীর যাফর একজন বিশ্বাস ঘাতক। তাই সাধারণ মানুষ এই মীর যাফর নামটিকে খুব ঘৃণার সাথেই স্মরণ করে। আর কোথাও যদি মীর যাফরের মূর্তী বানানো হয়, ও তা প্রদর্শন করানোর ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে প্রতিদিন মীর যাফরের মূর্তী দর্শনার্থীরা, মীর যাফরের মূর্তী দর্শণের জন্য, ঘৃণা ভরে ছেঁড়া জুতা নিয়ে যাবে, মীর যাফরের মূর্তীতে জুতা মারার জন্য । আর তাতে করে প্রতিদিনই মীর যাফরের মূর্তীর স্থান হতে কয়েক ট্রাক করে ছেঁড়া জুতা সংগ্রহ করা যাবে।

অপর দিকে ইমাম বংশসহ আহলে বাইয়াতের লোকেরাই হলো সবচেয়ে বিশ্বস্ত। তাই ইমাম বংশ ও আহলে বাইয়াতের কর্মকাণ্ড দেখে, সাধারণ মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধা ব্যতীত কিছুই করতে পারবে না। আর সেই দৃষ্টিকোণ থেকে, একজন আহলে বাইয়াতীর পার্থীব কর্মকাণ্ডের গুণে, আহলে বাইয়াতীর কবরকে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে, ও শ্রদ্ধা ভরে যিয়ারত করে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যেতে পারে, যেমন নবাব সিরাজুদ্দৌলা।

পৃথিবী যতদিন আছে, ততদিন সাধারণ মানুষ নবাব সিরাজুদ্দৌলার নাম, অনেক শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। বর্তমানে কোথাও যদি নবাব সিরাজুদ্দৌলার মূর্তী গড়ে, সেটা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষেরা নবাবের মূর্তী দর্শণের জন্য হাতে করে শ্রদ্ধা ভরে ফুল নিয়ে যাবে। আর তাতে করে প্রতিদিনই নবাব সিরাজুদ্দৌলার মূর্তীর স্থান হতে কয়েক ট্রাক করে ফুল সংগ্রহ করা যাবে।

আর এই কারণেই ওহাবী বা বিশ্বাস ঘাতক মতবাদীরা, মূর্তী ও মাজারের বিরোধী। পৃথিবীতে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণরে জন্য যত মাজার আছে, তার সবই নবি, ইমাম বংশ ও আহলে বাইয়াতীদের। আর পৃথিবী ৭৫% এর ও অধিক মানুষ এই সকল মাজার ও মূর্তীকে শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করে।

আর পৃথিবীর ১৫% বিশ্বাস ঘাতক ওহাবী মতবাদীরা, সাধারণ মানুষ কর্তৃক ইসলাম পন্থী ঐ সকল আহলে বাইয়াতীদেরকে, সম্মান ও শ্রদ্ধা করাটা মেনে নিতে পারে না। আর সে জন্যই ওহাবীরা চাই যে, ইসলাম পন্থি ও আহলে বাইয়াতীদের মৃত্যুর পরে, কোনই নিশানা রাখা যাবে না। কারণ- ইসলাম পন্থি ও আহলে বাইয়াতীদের মাজার ও মূর্তীতে সাধারণ মানুষদের শ্রদ্ধা করতে দেখলে, বিশ্বাস ঘাতক ওহাবীদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। তাই তারা নবি রাসুল ও সাহাবাদের মাজার ধংস করে দিতে চাই, ও মূর্তী রাখাকে শীরক বলে। মূলতঃ এটা ওহাবীদের হিংসার কথা, মূর্তী রাখা কোন অবস্থাতেই শীরক নয়।

আরবের ওহাবীরা যদি রাসুলের কবর ধংস করে দেয়, তাহলে বাংলা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উচিৎ হবে, মহাম্মদ, আলি, ফাতিমা, খাদিজা, ও হাসান হোসেনের প্রতিকী মাজার, এই বাংলাদেশে গড়ে তোলা, ও সেখানে নবি বংশের মাজার জ্ঞানে যিয়ারত করা, এবং সৌদী আরবে গিয়ে হজ্জ পালন বন্ধ করে দিয়ে, বাংলাদেশেই হজ্জ পালনের ব্যবস্থা করা।

লিখেছেন গুরুজী-বিশ্বশান্তি ডট কম ব্লগে

বিষয়: বিবিধ

১৫৯৬ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

262376
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৫
মোহাম্মদ রিগান লিখেছেন : এটা আবার কোন বলদ????
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩০
206243
পাতা বাহার লিখেছেন : এটাই সৌদী ওহাবীদের শিক্ষা দেওয়ার সব চেয়ে বড় হাতিয়ার।
262392
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
মোহাম্মদ রিগান লিখেছেন : ভাই আপনি ঠিক আছেন??? নাকি নিয়োম করে গঞ্জিকা সেবন করেন????
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৯
206258
পাতা বাহার লিখেছেন : আমার তো মনে হচ্ছে আপনি গাঁজা সেবনের পরেই মন্তব্য করছেন।

তো- কি কারণে আমাকে গাঁজা সেবনকারী মনে হলো, ব্যখ্যা দিবেন কি?
262413
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৮
নূর আল আমিন লিখেছেন : পাতা বাহার/নিশ্চই আপনি গাঞ্জাবাবার নিয়মিত ভক্ত কয় কল্কি খাইয়া আবোল তাবোল লিখছেন?
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫৯
206297
পাতা বাহার লিখেছেন : কি কারণে আমাকে গাঁজা সেবনকারী মনে করলেন? দয়া করে ব্যখ্যা দিন।
262417
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৬
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : পাতা বাহার আপনি কোন দলিল ছাড়ায় উল্টা পাল্টা বলছেন। নবী সা: এর কবর সরিয়া নেওয়া খবরটা শীয়াদের প্রপাগান্ডা ছাড়া অন্য কিছুই নয়। সৈাদির পক্ষ থেকে এটা ষ্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আর মুর্তি মাজায় কে বানাতে বলেছে? ইসলামের এর কোন স্থান নেই। বরং এটা শয়তানের কর্মকান্ড।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
206358
পাতা বাহার লিখেছেন : মূর্তী ও মাজার এবাদতের সাথে সম্পৃক্ত নয়, শ্রদ্ধার সাথে সম্পৃক্ত। অতএব মাজার ও মূর্তী গড়া ইসলামে কোনই বাধা থাকতে পারে না। একমাত্র বাধা থাকতে পারে ওহাবী নামক বিশ্বাস ঘাতকদের।
262430
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০৯
বাজলবী লিখেছেন : ফেতনাবাজ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
206357
পাতা বাহার লিখেছেন : এখানে ফেৎনার কি পাইলেন? ফেৎনাবাজ তারা, যারা নবির মাজার ও সাহাবাদের মাজার ধংস সাধন করছে।
262463
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩২
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনার লেখনি প্রমাণ করে ‘ওয়াহাবী-সুন্নী’ দূরে থাক, আপনি কোন ধর্মই মানে না।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৫
206374
পাতা বাহার লিখেছেন : আমি শীয়া, সুন্নি, ওহাবী নই। আমি মুসলমান।
262507
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২৯
আবু জান্নাত লিখেছেন : গুরুজীর অনুসারী হলেন কবে থেকে? তাহলে আপনিও কি "কেমানিক" ও "গ্রামের পথে পথে"র প্রতিচ্ছবি? আপনার লিখা দেখে তাই মনে হচ্ছে। আহলে বাইতের ভালবাসা দেখিয়ে অনকে কুফুরি শিক্ষা দিলেন। মূর্তি ও মাযার বানানো বা শ্রদ্ধা জানানো ইসলামে নেই।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৬
206375
পাতা বাহার লিখেছেন : কি কারণে কুফরী? তার ব্যখ্যা দিন।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৪
206494
আবু জান্নাত লিখেছেন : মূর্তি ও মাযার বানানো বা শ্রদ্ধা জানানো ইসলামে নেই।
262539
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৪৬
কাহাফ লিখেছেন : মতলব বহুত খারাপ বলেই মনে হচ্ছে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৬
206376
পাতা বাহার লিখেছেন : এটাই ইসলামের জন্য সঠিক মতলব।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File