৩য় ও ৪র্থ পর্ব- কুরআন তেলাওয়াত করা ও মর্ম উপলব্ধি করা, আল্লাহর রাস্তায় বেশী বেশী দান ও সদকা করা (সংক্ষিপ্ত পোষ্ট)

লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ১৫ জুন, ২০১৬, ১১:৫৪:২৫ সকাল



২য় পর্ব এখানে

৩য় পর্বঃ কুরআন তেলাওয়াত করা এবং এর মর্ম উপলব্ধি করা

রামাদান মাস কুরআন নাযিলের মাস। এ মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিবরীলের সাথে কুরআন পাঠ করতেন। তার সীরাত অনুসরণ করে প্রত্যেক মু’মিনের উচিত এ মাসে বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াত করা, বুঝা এবং আমল করা। ইবনু আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

«كَانَ جِبْرِيلُ يَلْقَاهُ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ»

“জিবরীল রামাদানের প্রতি রাতে এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাকে নিয়ে কুরআন পাঠ করতেন”। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০৪৮)

যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং সে অনুযায়ী আমল করে, তার ব্যাপারে আল্লাহ এ নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, সে দুনিয়ায় ভ্রষ্ট হবে না এবং আখিরাতে দুর্ভাগা - হতভাগাদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। আল্লাহ বলেন,

﴿فَإِمَّا يَأۡتِيَنَّكُم مِّنِّي هُدٗى فَمَنِ ٱتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشۡقَىٰ ١٢٣ ﴾ [طه: 123]

‘‘সুতরাং যে আমার দেয়া হিদায়াতের পথ অনুসরণ করবে, সে পথভ্রষ্ট হবে না এবং দু:খ কষ্টে পতিত হবে না।’’ (সূরা ত্বা-হা: ১২৩)

উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু রামাদানে প্রতিদিন একবার কুরআন খতম করতেন। সালাফে সালেহীন নামাযে ও নামাযের বাইরে কুরআন খতম করতেন। রামাদানের কিয়ামুল লাইলে তাদের কেউ তিনদিনে, কেউ সাতদিনে এবং কেউ দশদিনে কুরআন খতম করতেন। ইমাম যুহরী রামাদান এলেই হাদীস পাঠ ও ইলমের মজলিস ত্যাগ করে কুরআন পাঠে লেগে যেতেন।

খেয়াল রাখতে হবে যে, কুরআন কারীম শুধু খতম করার জন্যই নাযিল হয়নি। তাই কোনরূপ অর্থ না বুঝে, চিন্তাভাবনা না করে অন্তরে আল্লাহ ভীতি ও বিনম্রভাব সৃষ্টি না করে কবিতার মত কুরআন আবৃত্তি করে যাওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া ঠিক নয়। কেননা আল্লাহ নিজেই বলেন,

﴿كِتَٰبٌ أَنزَلۡنَٰهُ إِلَيۡكَ مُبَٰرَك لِّيَدَّبَّرُوٓاْ ءَايَٰتِهِۦ وَلِيَتَذَكَّرَ أُوْلُواْ ٱلۡأَلۡبَٰبِ ٢٩﴾ [ص: 29]

‘‘এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বোধশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিগণ গ্রহণ করে উপদেশ।’’ (সূরা সোয়াদ: ২৯)

৪র্থ পর্বঃ আল্লাহর রাস্তায় বেশী বেশী দান ও সদকা করা

আল্লাহর রাস্তায় দান-সদকা ও ব্যয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। সব সময় যাতে সামর্থবান ব্যক্তিবর্গ এ ইবাদাত পালন করে সে ব্যাপারে ইসলাম ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করেছে। আর রামাদান মাসে এ ইবাদাতের তাৎপর্য ও গুরুত্ব আরো বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। কেননা ইমাম বুখারী ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন যে,

«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ ....... فَلَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ أَجْوَدُ بِالْخَيْرِ مِنْ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ»

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল মানুষের চেয়ে বেশী দানশীল ছিলেন। আর রামাদান মাসে যখন জিবরীল তার সাথে সাক্ষাতে মিলিত হতেন তখন তিনি আরো দানশীল হয়ে উঠতেন.....। জিবরীলের সাক্ষাতে তিনি বেগবান বায়ুর চেয়েও বেশী দানশীল হয়ে উঠতেন”। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০৪৮)

রামাদান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দানশীলতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ মূলত তিনটিঃ

১. রামাদান মাসে দান-সদকাসহ সকল উত্তম আমলের সাওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

২. রামাদান মাসে তিনি খুববেশী কুরআন তেলাওয়াত করতেন। আর কুরআনের বহু আয়াতে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয়ের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন,

﴿مَّن ذَا ٱلَّذِي يُقۡرِضُ ٱللَّهَ قَرۡضًا حَسَنا فَيُضَٰعِفَهُۥ لَهُۥٓ أَضۡعَافا كَثِيرَة ﴾ [البقرة: 245]

‘‘কে সে, যে আল্লাহকে করযে হাসানা প্রদান করবে? অত:পর তিনি তার জন্য তা বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন।’’ (সূরা আল-বাকারাহ : ২৪৫)

﴿مَّثَلُ ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمۡوَٰلَهُمۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنۢبَتَتۡ سَبۡعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنۢبُلَةٖ مِّاْئَةُ حَبَّةٖۗ وَٱللَّهُ يُضَٰعِفُ لِمَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ ٢٦١﴾ [البقرة: 261]

“যারা নিজেদের ধনসম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি শস্যবীজ, যা সাতটি শীস উৎপাদন করে, প্রত্যেক শীষে একশত শস্যদানা । আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন।আর আল্লাহ দানশীল সর্বজ্ঞ।’’ (সূরা আল-বাকারাহ: ২৬১)

﴿هَٰٓأَنتُمۡ هَٰٓؤُلَآءِ تُدۡعَوۡنَ لِتُنفِقُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ فَمِنكُم مَّن يَبۡخَلُۖ وَمَن يَبۡخَلۡ فَإِنَّمَا يَبۡخَلُ عَن نَّفۡسِهِۦۚ وَٱللَّهُ ٱلۡغَنِيُّ وَأَنتُمُ ٱلۡفُقَرَآءُۚ﴾ [محمد: 38]

‘‘দেখ, তোমরাই তো তারা, যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার আহবান জানানো হচ্ছে। অথচ তোমাদের কেউ কেউ কৃপণতা করছে। যারা কৃপণতা করছে, তারা নিজেদের প্রতিই কৃপণতা করছে। আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্ত।’’(সূরা মুহাম্মাদ: ৩৮)

৩. রামাদানের প্রতি রাতে জিবরীলের সাক্ষাতে তিনি ভীষণভাবে দান করতে অনুপ্রাণিত হতেন, যেমন সহীহ বুখারীর বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

১২৬৩ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

372030
১৫ জুন ২০১৬ দুপুর ০১:৩০
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : সুন্দর পোস্ট। আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে বেশি বেশি করে দান করার তৌফিক দিন। আমিন।
১৫ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৩
308816
আবু জান্নাত লিখেছেন : আমীন, ছুম্মা আমীন।

শুকরিয়া বড় ভাই।

372037
১৫ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:৫৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : মাশাআল্লাহ..! খুবই ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ
১৫ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৩
308817
আবু জান্নাত লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর।

372041
১৫ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:২৩
আফরা লিখেছেন : মাশাল্লাহ !! খুব ভাল পোষ্ট ! আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে বেশি বেশি করার মন-মানসিকতা দান করুন । আমীন

জাজাকাল্লা খায়ের ।

১৫ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৬
308818
আবু জান্নাত লিখেছেন : এখন থেকে শুরু করে দিতে হবে, সময় কিন্ত চলে যাচ্ছে।

কুরআন তিলাওয়াত ও অনুধাবন অবশ্যই চলছে, তাইনা ছোট্ট! কমপক্ষে দু'বার শেষ করতে হবে কিন্তু!


১৫ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:৪১
308819
আফরা লিখেছেন : ইনশা আল্লাহ ! ভাইয়া দুয়া করবেন ।
১৫ জুন ২০১৬ রাত ১০:১০
308866
আবু জান্নাত লিখেছেন : আল্লাহ তায়ালা সহজ করে দিক। বেশি করে সময় ও সুযোগ করে দিন। আমীন।

372051
১৫ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৫
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইরান। সুন্দর শিক্ষণীয় পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানবেন। Rose Rose Rose Rose
১৫ জুন ২০১৬ রাত ১০:১১
308867
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। শুকরিয়া জানবেন।
372074
১৫ জুন ২০১৬ রাত ০৮:২৫
শেখের পোলা লিখেছেন : পবিত্র কোরআনকে তার যথাযত মর্যাদা দিয়ে পড়ে বুঝে সে মোতাবেেক আমল করার তৌফিক আমাদেরকে যেন আল্লাহ দেন। আমিন। ধন্যবাদ।
১৫ জুন ২০১৬ রাত ১০:১১
308868
আবু জান্নাত লিখেছেন : আমীন আমীন, মহান রব আপনার দোয়া কবুল করুক। জাযাকাল্লাহ

372105
১৬ জুন ২০১৬ রাত ০৩:৫০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ।

কোরানের আয়াত এবং হাদিসগুলোর আলোকে চমতকার একটি পোস্ট নিসন্দেহে!

আমলের জন্য দুয়া চাইছি। Good Luck
১৬ জুন ২০১৬ দুপুর ০১:৪৩
308957
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, শুকরিয়া।

পরের অধীনে চাকুরী করে রামাদানের হক আদায় করা অনেকটা অসম্ভব ব্যপার। কফিল যদি খৃষ্টান হয় তবে কথাই নেই।

আমি বেশি বেশি দোয়ার মুহতাজ। নিশি রাতে প্রভূর দুয়ারে ধরনা দেওয়ার সময় এই ছোট ভাইটাকেও সামেল রাখবেন। আল্লাহ তায়ালা সকল মুসলিমদের ক্ষমা করুক, রহম করুক।

372165
১৬ জুন ২০১৬ বিকাল ০৪:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৬ জুন ২০১৬ রাত ১০:১৯
309009
আবু জান্নাত লিখেছেন : শুকরিয়া বড় ভাই।
372181
১৬ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় আংকেলজ্বী।

দান সাদাকাহসহ পবিত্র কোরআনের মূল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তার হক আদায় ও যথাযথ মর্যাদা দিয়ে পড়ে বুঝে সে মোতাবেক আমল করার তৌফিক আমাদেরকে আল্লাহ যেন এনায়েত করেন। আমিন।
১৬ জুন ২০১৬ রাত ১০:২০
309010
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ আন্টিজী।
আপনার দোয়া আল্লাহ তায়ারা কবুল করুক। আমীন।

372205
১৬ জুন ২০১৬ রাত ১০:১৪
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : " উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু রামাদানে প্রতিদিন একবার কুরআন খতম করতেন। সালাফে সালেহীন নামাযে ও নামাযের বাইরে কুরআন খতম করতেন। রামাদানের কিয়ামুল লাইলে তাদের কেউ তিনদিনে, কেউ সাতদিনে এবং কেউ দশদিনে কুরআন খতম করতেন "|এই তথ্যগুলোর রেফারেন্স দিলে ভালো হত |খানিকটা কন্ফিউজড হলাম এই জায়গায় এসে | রাসুলুল্লাহ(সাঃ)সাত দিনের কম সময়ে কুরআন খতম করতে নিষেধ করেছেন | তাই একদিনে বা তিনদিনে খতমের ব্যাপারটা অথেন্টিক কিনা জানালে খুব খুশি হব |

১৬ জুন ২০১৬ রাত ১০:২৪
309011
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জী দ্বীনি ভাই। কথাগুলো আমি একটি ওয়েবসাইটে পড়েছিলাম, লিখেছিলেন ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
সম্পাদনা করেছিলেন: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

আপনি চাইলে তাদের ওয়েব লিংক দিতে পারি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৬ জুন ২০১৬ রাত ১০:৩৭
309015
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : আবু জান্নাত:আপনি চাইলে দিতে পারেন সেই লিঙ্কটা | দেখতে ইচ্ছে করছে যে সেই আলোচক কোনো রেফারেন্স দিয়েছেন কিনা |এবার রোজা নিয়ে আমাদের পেপারগুলোর, কিছু ইসলামিক ওয়েব সাইটের বেশ কিছু লেখা পরলাম গত কয়েকদিনে | লেখকদের পরিচয়ের আগে লেখা আছে মাওলানা, শায়খ ইত্যাদি টাইটেল | রোজা নিয়ে অনেক কথা, কিছু কিছু অসম্ভব কথাও তারা সেগুলোতে বলছেন, লিখছেনও কোনো রেফারেন্স ছাড়াই | এই লেখা গুলো পড়তে যেয়ে খুবই হতাশ হচ্ছি | অনেক ধন্যবাদ আপনাকে |
১৮ জুন ২০১৬ রাত ০৩:৩৬
309102
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : শায়খ মাহমুদুল হাসান কে একটা প্রোগ্রামে বলতে শুনেছি, উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু কিয়ামুল লাইলে এক রাকাতেই সম্পূর্ণ কোরান পড়েছেন ।

অনেক জায়াগাতেই আমরা পাই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহই ওয়া সাল্লাম তিন দিনের কম সময়ে কোরান তিলাওয়াত শেষ করতে নিষেধ করেছেন । তবে সাহাবীর উক্ত আমল শুধু রমাদ্বান কেন্দ্রীক ছিলো বোঝা যাচ্ছে।
আমার ভুল হলে আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন।
১৮ জুন ২০১৬ সকাল ০৫:১০
309105
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : @সাদিয়া মুকিম:এই কথার উত্তরটাই খুজছি |কিন্তু আমাদের ইসলামিক স্কলাররা যখন এই এক দিনে বা তিন দিনে কুরআন শরীফ খতমের কথা বলছেন সাহাবীদের উধাহরণ দিয়ে তারা কোনো রেফারেন্স দিচ্ছেন না | যেখানে সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৬৮৫-এ আবদুল্লাহ‌ ইবনু আমর (রাঃ) -এর বর্ণনায় পরিস্কার ভাবেই বলা আছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুল্লাহ‌ ইবনু আমর (রাঃ)কে বললেন, "...তাহলে প্রতি সাত দিনে একবার খতম করো এবং এর চেয়ে কম সময়ের মধ্যে খতম করো না" অথচ আমাদের স্কলাররা কোন সুত্র ছাড়াই এই একদিন বা তিনদিনের কথা বলছেন । রোজার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকি একদিনে বা তিনদিনে খতম কে এলাউ করেছেন?এমন একটি সহিহ হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক তথ্য দিচ্ছেন কিছু ইসলামিক স্কলার কিন্তু সেগুলোর রেফারেন্স কেন তারা দিচ্ছেন না সেটাই আমাকে আশ্চর্য করছে|

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File