সার্বভৌমত্ব,আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্বের সীমালংঘনকারী চরম দুর্নীতিবাজ বিধায় এ সকল নেতাদের নেতৃত্বে দুর্নীতির মাত্রা বৃদ্ধিই পাচ্ছে।আমীর, ইসলামী সমাজ।

লিখেছেন লিখেছেন আকবার১ ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৬:১৭:০১ সন্ধ্যা



বর্তমান বিশ্বের সকল রাষ্ট্রই দুর্নীতির ভিত্তিতে গঠিত ও পরিচালিত বিধায়; মানুষ দুর্নীতির রাহু গ্রাসে নিমজ্জিত। আমীর, ইসলামী সমাজ।

ইসলামী সমাজের আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, যে নীতিমালা মেনে চললে মানুষের চিন্তা , চেতনা ও বিশ্বাস পরিশুদ্ধ হয়, তাদের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবাধিকার নিশ্চিত হয়, দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আখিরাতের জীবনে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে রক্ষা পেয়ে চিরসূখের স্থান জান্নাত লাভ হয় সেই নীতিমালাই আদর্শ। তিনি বলেন, আদর্শ থেকে নৈতিকভাবে বিচ্যুত হয়ে নীতি ও আদর্শের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে অন্যের অধিকার হরণ করা, রাজনীতি প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করা, রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিল করা এবং ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে অন্যের অধিকার নষ্ট করা, আইনকে ক্ষমতার কাছে বন্ধী করা এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য সুবিধা-মত আইন রচনা করা এসবই দুর্নীতি। বল প্রয়োগের মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক সকল কর্মকাণ্ড, বিধ্বংসী কার্যকলাপের মাধ্যমে জনমনে আতংক সৃষ্টি করা এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় লক্ষ অর্জনে আইনের সীমা লঙ্ঘন করে উগ্র সকল কর্ম পন্থা, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ এবং নীতি ও আইন বহির্ভূত হুমকি ও যুদ্ধ ইত্যাদি সবই সন্ত্রাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির সুযোগেই এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রাকে বিপন্ন করছে।

ইসলামী সমাজের আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে রোহিঙ্গা মোসলমানদের বাড়ীঘর ধ্বংস করা হচ্ছে এবং সেখানে গন হত্যা চলছে। মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক-বাহক ক্ষমতাসীনরা এসব মানবতা বিরোধী অপরাধ বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেনা কেন? কাযকরী পদক্ষেপ গ্রহন না করলে তাদেরকে এর পরিণতি ভোগ করতেই হবে। মায়ানমারে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে রোহিঙ্গা মোসলমানদের কে নাগরিক অধিকার দিয়ে স্থায়ীভাবে তাদের সমস্যা সমাধানের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনি বিশ্ব নেতাদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

ইসলামী সমাজের উদ্যোগে জনাব আকিক হাবিবুজ্জামানের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটরিয়াম, ঢাকায়- আজ ২৭ নভেম্বর ২০১৬ ইং রবিবার সকাল ১০:৩০ টায় “দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতা ও শোষন মুক্ত সমাজ গঠনের উপায়” বিষয়ে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভায় ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থাই চরম দুর্নীতি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল রাষ্ট্রই বর্তমানে দুর্নীতির ভিত্তিতে গঠিত ও পরিচালিত বিধায় বিশ্বের মানুষ দুর্নীতির রাহু গ্রাসে নিমজ্জিত। মানব রচিত ব্যবস্থার ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী সকল নেতা বা সরকার আল্লাহর সার্বভৌমত্ব,আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্বের সীমালংঘনকারী চরম দুর্নীতিবাজ বিধায় এ সকল নেতাদের নেতৃত্বে দুর্নীতির মাত্রা বৃদ্ধিই পাচ্ছে। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে বিভিন্ন রকম উগ্র পন্থা গ্রহনের মাধ্যমে মানুষের মনে আতংক সৃষ্টি করে এন্টি পক্ষের লোকদেরকে হত্যা করা এবং তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা দখল করার জঙ্গিবাদী প্রচেষ্টাকে সন্ত্রাস এবং বিভিন্ন রকম অপকৌশলের মাধ্যমে অন্যের অধিকার ও অর্থ সম্পদ হরণ করে নিজের স্বার্থ হাছিল করাকে শোষণ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, একমাত্র আদর্শ আল্লাহ প্রদত্ত জিবন ব্যবস্থা ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয়ে মানব রচিত ব্যবস্থা মেনে চলার কারণেই এসব অপতৎপরতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইসলামী সমাজের সদস্য ও নেতা জনাব মুহাম্মদ ইয়াছিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত রেখে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতা ও শোষন মুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব নয়। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় একমাত্র আদর্শ আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠাই “দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতা ও শোষন মুক্ত” সমাজ গঠনের একমাত্র উপায়। ইসলামী সমাজ “দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা,জঙ্গিতৎপরতা ও শোষণ মুক্ত সমাজ গঠনের” জন্যই একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত শান্তিপুর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দল মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠার শান্তিপুর্ণ প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানান। উক্ত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সর্ব জনাব, আবু জাফর মুহাম্মাদ ইকবাল, মুহাম্মাদ ইউসূফ আলী, সুলাইমান কবীর ও আমীর হোসাইন




বিষয়: বিবিধ

১০৮৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380618
১২ ডিসেম্বর ২০১৬ সকাল ০৯:১৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহু পরম শ্রদ্ধেয় ভাইয়া।

সময়োপযোগী চমৎকার আহ্বান মাশাআল্লাহ।


জাজাকাল্লাহু খাইর।
১২ ডিসেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:০৪
314953
স্বপন২ লিখেছেন : @সন্ধাতারা, Apa, only are our great
sister, reading islamisomaj blog's all the time.জাজাকাল্লাহু খাইর

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File