মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) - শেষ পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৮ মার্চ, ২০১৬, ১১:২০:০৭ সকাল

কুরআনের আনেক অনেক স্থানে মুসলীম জাতির পিতা ইব্রাহীম () সম্পকে বলেছে; যাতে করে আমরা তার প্রচারিত মুসলিম কৃষ্টি কালচার নিয়ে চিন্তা গবেষণা করি।

নিন্মে তার মধ্য থেকে কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করা হল ঃ-

< --- তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের (আঃ) দীনে (The way of life) কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন।--> (সুরা হজ্জ ঃ ৭৮)

< স্মরন কর ইব্রাহীম ও ইসমাইল কাবা গৃহের ভিত্তি স্থাপন করে ছিল। ( সুরা বাকারাঃ ১২৭) >

< ইব্রাহীমের ধর্ম থেকে কে মুখ ফেরায়? কিন্তু সে ব্যাক্তি, যে নিজেকে বোকা প্রতিপন্ন করে। ( সুরা বাকারাঃ ১৩০) >

< স্মরন কর, যখন তাকে তার পালন কর্তা বললেন, অনুগত হও। সে বলল আমি বিশ্বপালকের অনুগত হলাম। এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম(আঃ) তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও(আঃ) যে, হে আমার সন্তানগন, নিশ্চয় আল্লাহ () তমাদের জন্য এই ধর্মকে (ইসলাম) মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যুবরন করো না। ( সুরা বাকারাঃ ১৩১-১৩২) >

< ইব্রাহীম () ইয়াহুদী ছিল না এবং খ্রাস্টানও ছিল না, বরং সে সুদৃঢ় মুসলমান ছিল, এবং সে অংশীবাদীগনের অন্তর্গত ছিল না। ( সুরা আল ইমরান ঃ ৬৭) >

< নিশ্চয়ই ঐ সব লোক ইব্রাহীমের নিকটতম যারা তার অনুগামী হয়েছেন আর এই নবী ও মুমিনগন (মোহাম্মদ সাঃ ও তার অনূসারী) এবং আল্লাহ () বিশ্বাসীগনের অভিভাবক। ( সুরা আল ইমরান ঃ ৬৭) >

আখেরী নবী মহাম্মদ() আমাদের সমনে কুরআন ও সুন্নাহর উপর ভিত্তি করে যে দীনকে(way of life) রেখে গেছেন, মুসলিম কৃষ্টি কালচারকে রেখে গেছেন তা বুঝার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে মুসলীম জাতির পিতা ইব্রাহীম () রেখে যাওয়া আদর্শ ও শিক্ষাকে বেশি বেশি করে জানতে হবে।

ইব্রাহীমকে (আঃ) যেহেতু আমাদের খৃস্টান ভাইয়েরাও সস্মান করে, তাই ইব্রাহীম (আঃ) হতে পারে মুসলমান ও খৃস্টান মধ্য শয়তানের তৈরী করা চক্রান্তের জালকে ছিন্ন করে একটি সুসম্পক তৈরীর এভিনিও।

বিষয়: বিবিধ

২৮০৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

362814
১৮ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০২:০১
চেতনাবিলাস লিখেছেন : মুসলমানদের ঐতিহ্য নিয়ে আপনার এ সুন্দর লেখাটি পড়ে মুগ্ধ হলাম। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ | আরও ধন্যবাদ জানাই আমার আজকের পোস্টে মূল্যবান কমেন্ট করার জন্য। সত্যিই মুসলমানদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই।
১৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৬:৫৬
300784
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আমার ব্লগ বাড়িতে আসা ও মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
362817
১৮ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০২:৩৩
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ভালো লাগল জনাব। খুব প্রাসঙ্গিক একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

জাযাকাল্লাহু খাইর।
১৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৬:৫৬
300785
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আমার ব্লগ বাড়িতে আসা ও মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
362834
১৮ মার্চ ২০১৬ রাত ০৮:২৩
শেখের পোলা লিখেছেন : খ্রীষ্টানদের মানা আর আমাদের মানার মধ্যে তফাত আছে৷ আমরা সকল নবীদের মানি আর তারা শুধুই যীশুকে সামান্য মানে তাও ঈশ্বর বলে৷ ধন্যবাদ৷
১৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৭:১৪
300787
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আমরা সকল নবীদের মানি আর তারা শুধুই যীশুকে সামান্য মানে তাও ঈশ্বর বলে৷
আমার মনে হয় আপনার এই তথ্যটি সঠিক নয়। তারা ঈসা (আঃ) আল্লাহর ছেলে বলে এটা ঠিক কিন্ত একই সাথে তারা অন্যান্য নবীদেরকেও জানে, আপনি বাইবেল পরলেই তার প্রমান পাবেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল বাইবেলে অন্যন্য আরও নবীদেরকেউ Son of God বলা হয়েছে। বস্তুত বাইবেলেই রয়েছে অনেক verse যা প্রমান করে ঈসা (আঃ) সম্পকে তাদের ধারনাগুল ভুল। আমি আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি তারা এই বিষয়গুল সম্পকে ওয়াকিবহাল নয় । তারা ইব্রাহিম (আব্রাহাম) কে যথেষ্ট সস্মান করে।
দ্বিতিয়ত আমি এখানে খ্রিষ্টানদেরকে বা তাদের ধর্মকে মানতে বলিনি কিন্তু তাদের সাথে সুসম্পক তৈরী করার কথা বলেছি।


১৯ মার্চ ২০১৬ রাত ০৮:০৪
300854
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার কথা সঠিক,অন্য নবীদের son of God বলা আর যীশুকে বলার মধ্যে একটু তফাত আছে৷ যীশুকে আল্লাহর ঔরষজাত সন্তান বলে ও সকল চাওয়া যীশুর কাছে চায়৷ আর অন্য নবীদের চেনে তবে আমাদের মত ইমানের অঙ্গ মানেনা৷ আমি এই তফাতটার কথা বলেছি৷ আমরা ওদেরকে দেখে যীশুকে ঈশা আঃ বলে কখনই মানতে পারতাম না যদি কোরআন আমাদের তাঁকে চিনিয়ে না দিত৷ হতে পারে গৌতম বুদ্ধও নবী, কিন্ত বৌদ্ধদের অবস্থা দেখে তা মেলানো যায় না৷ কেননা কোরআনে বা হাদিশে তাঁর বর্ণনা নেই৷ ধন্যবাদ৷
365292
১১ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৭:০৪
চেতনাবিলাস লিখেছেন : Thank you for an outstanding comment in my post.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File