ইসলাম বিদ্বেষীদের শেষ পরিণতি।

লিখেছেন লিখেছেন দিদারুল হক সাকিব ০৬ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:১৭:২৩ রাত

তুরস্কের মুস্তাফা কামাল আতার্তুক ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধ ঘোষণা করে। খেলাফত বিলুপ্তি ঘোষণা করে ও তাদের সভাসদকে ইস্তাম্বুল ও তুরস্ক থেকে বের করে দেয়।আরবি ভাষায় আজান দেওয়া নিষিদ্ধ করে।আরবির স্থলে ল্যাটিন ভাষায় আজান দিতে বাধ্য করে,প্রকাশ্যে হিজাব পরে চলতে বিধিনিষিধ আরোপ করে,সরকারি কোন প্রতিস্টানে মাথা ঢেকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি,সরকারের পুলিশ বাহিনী হিজাব ও ওড়নাপরা মহিলাদের কাছ থেকে তাদের হিজাব অ ওড়না ছিনিয়ে নিত,অধিকিন্তু ছিঁড়েও ফেলত,হজ নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় এবং এ নিষেধ ২৪ বছর বলবত ছিল।তুরস্কের লোকেরা হজ করার অনুমতি পায় ১৯৪৬ সালের পর।

মসজিদকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।তুরস্কের সর্ববৃহৎ ও সুন্দর মিসজিদ "আয়া সুফিয়া" কে পূর্বের বাঘপূজারি তুর্কীদের মাথারখুলি ও হাড্ডি সংরক্ষণের জাদুঘরে রূপান্তরিত করে সেখানে নামাজ পরা নিষিদ্ধ করা হয়। তখন তুরস্কে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিল।রাজনীতিকনেতাদের প্রকাশ্যে নামাজ পরা নিষিদ্ধ ছিল।

আতার্তুকের পরিণতিঃ

জীবনের শেষ দিকে মোস্তফা কামাল আতার্তুকের কর্মকাণ্ড এতোটাই বেপরোয়া হয়েছিল যে,সে তার মুষ্টি দিয়ে আকাশের দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহকে হুমকি দিচ্ছিল।কিন্তু আল্লাহ সুবাহানাল্লাহতালা তাকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দিয়েছিলেন।অতপর তাকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত করেন।তার ওজন ৯০ কেজি থেকে ৪৮ কেজিতে এসে পৌঁছে।সে যন্ত্রণার তীব্রতার কারনে "দুলমা বাগজা"য় কুকুরের মত চিৎকার করত।( দুলমা বাগজা ইস্তাম্বুলের সমুদ্র তীরের একটি জায়গা) তার এ আওয়াজ যাতে কেউ না শুনে সে জন্য একটি স্টিমার এনে রাখা হত। স্টিমারের আওয়াজ দেবতার ন্যায় পূজনীয় প্রেসিডেন্টের আওয়াজকে চাপা দিয়ে রাখত।এই কামালকেই পশ্চিমারা আতার্তুক ও ধূসর বাঘ নামে অভিহিত করে।

প্রিয় বাংলাদেশেও ইদানিং ইসলামবিদ্বেষীদের দৌরাত্ত্য বৃদ্ধি পেয়েছে।আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল সহ বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে।২/১ দিন আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পরার অপরাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে ৪ জন বোনকে গ্রেপ্তার করে হলের সিট বাতিল করা হয়েছে।তারও কিছুদিন আগে ইসলামিক বই রাখার অপরাধে আরও ২০ জন বোনের সিট বাতিল করা হয়েছে।

রাস্তাঘাটে দাঁড়ি-টুপিওয়ালা লোকদের যে কি যাতনার শিকার হতে হয় তা একমাত্র ভুক্তভুগীরাই জানে। দাঁড়ি-টুপিওয়ালা লোকদের নিয়ে চলে পুলিশের রমরমা গ্রেপ্তার বাণিজ্য। সাজানো ট্রাইবুনালে একের পর এক ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদেরকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে।

একের পর এক ফাঁসি কিংবা ইসলামপন্থীদের উপর জুলম-নির্যাতন করে সত্যপন্থীদের তাদের পথ থেকে বিচ্যুত করা যাবে না।ইসলামপন্থীদের উপর জুলুম-নির্যাতন নতুন কোন বিষয় নয়।নবি-রাসুলদের যুগ থেকে এই ধারা চলমান,আর এটা চলতেই থাকবে।যারাই আল্লাহর কথা বলবে,তার দ্বীন কায়েমের কথা বলবে,তাদেরকে এই কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে যেতে হবে।

"ইন্নালাহা মাআসসাবেরিন" -- আল্লাহ ধৈর্যশীল সাথে আছেন।

এই মাটিতে একদিন ইসলাম বিজয়ী হবেই,ইনশাল্লাহ।

বিষয়: Contest_father

২২৩৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

281846
০৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৩
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : "ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) কে কারাবন্ধী করা হয়েছিল পরবর্তীতে উনাকে জেলখানার ভিতর হত্যা করা হয়েছিল।তিনি কিন্তু রাজাকার ছিলেন না।
ইসলামের ইতিহাস এমনই, যেখানে রক্ত ঝরেছে সেখানেই আল্লাহর রহমতে বিজয় এসেছে। কে বলবে, একদিন হয়ত এই শাহাবাগে ও ইসলামের ঝাণ্ডা উড়বে। আর বাংলার মাটিতে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে । ইনশাল্লাহ ।
281853
০৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২৫
নিশা৩ লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক কিছু জানতে পারলাম।
281861
০৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:০১
দিদারুল হক সাকিব লিখেছেন : ইনশাল্লাহ, ইসলাম একদিন বিজয়ী হবেই।
281862
০৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:০১
দিদারুল হক সাকিব লিখেছেন : ইনশাল্লাহ, ইসলাম একদিন বিজয়ী হবেই।
281869
০৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০১:০৩
কইবো কথা বাসর রাতে লিখেছেন : এই মাটিতে একদিন ইসলাম বিজয়ী হবেই

সেদিন মনে হয় আর আসবে না
281913
০৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:০৯

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : নবী মোহাম্মদের শেষ পরিণিতি এত করুন কেন??

নিচের দুটি হাদিস থেকে জানা যাচ্ছে যে মোহাম্মদ বিষ মাখা মাংস খেয়ে ক্রমশ: অসুস্থ হয়ে পড়ছিল, যার ফলে তার অবস্থা এতই খারাপ হয়ে যায় যে তাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে আয়শার ঘরে তুলতে হয়। অবশেষে কঠিন যন্ত্রনা ভোগ করে মোহাম্মদকে মৃত্যূ বরন করতে হয়।





আয়শা বর্ণিত- যখন নবী কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হলেন, তার অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠল তখন তিনি অন্য স্ত্রীদের কাছ থেকে আমার কাছে থাকার অনুমতি প্রার্থনা করলেন যাতে আমি তাকে সেবা করতে পারি ও সবাই তাকে অনুমতি দিল। তিনি দুইজন লোকের সাহায্যে ঘর থেকে বের হলেন তখন তার পা দুটো মাটিতে ছেচড়াচ্ছিল। তিনি আল আব্বাস ও অন্য একজন মানুষের ঘাড়ে ভর রেখে চলছিলেন। উবাইদ উল্লাহ বলল আমি আব্বাসকে জিজ্ঞেস করলাম যার কথা আয়শা বলেছিলেন – তুমি কি জান অন্য জন কে ছিল ? আব্বাস বলল- সে ছিল আলি ইবনে তালিব। সহি বুখারী, বই- ১১, হাদিস-৬৩৪

Narrated ‘Aisha: The Prophet in his ailment in which he died, used to say, “O ‘Aisha! I still feel the pain caused by the food I ate at Khaibar, and at this time, I feel as if my aorta is being cut from that poison.”
Sahih Bukhari 5:59:713
281920
০৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:১৪
মাজলুম যাযাবর লিখেছেন : যারা ধর্ষণের শতক পূরনে পুরষ্কার দেয় বা পায়,বিশ্বজীতের মতো নিরাপরাধ মানুষকে বীরদর্পে পিটিয়ে হত্যা করে, ভোটাধিকার হরণ করে শুধু ৪% ভোটে সরকার গঠণ করে, দেশের স্বার্থ বিকীয়ে ভারতের স্বার্থে খুশি খোঁজে (কত লিখব-----!) তারা কি সত্যই দেশপ্রেমিক?
281933
০৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪০
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : আপনার পোষ্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে বিজয় আপনে থেকেই কোথাও আসেনি। কোন প্রকার সহীস চেষ্টা না করে কিয়ামত পর্যন্ত ধ্যর্য্য ধরে বিজয় আসবে না। বিজয় ছিনিয়ে আনতে হয়। যেমন নিয়েছিলেন, সালাউদ্দিন আয়ুবী, তারিক বিন যিয়াদ, নাম না জানা আরো অনেকে। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File