মিথ্যাচার শাহবাগিদের হাতিয়ার

লিখেছেন লিখেছেন আবদুহু ০৯ মে, ২০১৩, ০৬:৩৯:৩১ সন্ধ্যা



আসলে মিথ্যা প্রচার করে কে? এই ছবি থেকে পরিস্কার বুঝা যায় মিথ্যা কাদের হাতিয়ার। অবশ্য শাহবাগিদের উপায়টাই বা কি? মিথ্যা ছাড়া শাহবাগিদের ষোল আনাই বৃথা।

গত কয়েকদিনে ফেক ছবি নিয়ে আমরা অনেক তোলপাড় দেখলাম। এমনকি বাঁশেরকেল্লাও না কি ফেক ছবি দেয়। আমারদেশ পত্রিকা কাবা শরীফের ইমামের মানববন্ধনের ছবি ছাপিয়ে পড়ে ক্ষমা চেয়েছে। পরিচিতরা এ নিয়ে যখন কথা বলেছেন আমি পরিস্কারভাবে বলেছি, মিথ্যা কখনোই সমর্থনযোগ্য না। একজন মানুষ যদি ইসলামের জন্য কাজ করে, জীবন ধারণ করে তাহলে সে প্রথম যে কয়েকটা কাজ করে তার একটা হলো মিথ্যা বাদ দেয়া।

কিছু লোক আছে মনে করেন অন্য ছবি বা একটু কৌশল করে সত্যমিথ্যা মিলিয়ে জনমত ও সমর্থন আদায় করা যাবে। এটা নিন্দনীয়। যেমন আমার দেশের মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি আবুল কালাম নামের ভদ্রলোক এই কাজ করেন। তিনি কাবার ইমামের গিলাফ ধরা ছবি দিয়ে বলে দিয়েছেন এটা মানববন্ধন। পরে বললেন ফাইল ফটো, আর মাননববন্ধন না আসলে ইমাম সুদাইস প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মাঝখান দিয়ে কি হলো? বামপন্থী মিডিয়ার লাফালাফিতে মানুষ বললো, আমার দেশ মিথ্যাবাদী। বাংলাদেশ আজ এমন এক প্রহসন, যেখানে মিথ্যাবাদীরা সাব্যস্ত করছে কে মিথ্যাবাদী!

এই মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি আবার ওআইসির বিবৃতির খবর দিলেন যেখানে সেক্রেটারী একমেলুদ্দীন ইহসানুগলু ইসলামী দলের উপর নির্যাতন বন্ধ করার দাবী জানাইসেন। আসলে বিবৃতি ছিল সহিংসতার সমাধান করে বাংলাদেশে শান্তি আনার টাইপের কথাবার্তা। কিন্তু প্রতিনিধি সাহেব হালকা পেঁয়াজ মিশিয়ে দিলেন। এসব করে কি ইসলামের কোন লাভ হয়? বরং শাহবাগিরা দিনরাত মিথ্যাচার করলেও কিছু আসে যায় না। কারণ গাঞ্জা নেশা মদ নারী মিথ্যা এগুলো এদের জন্য স্বাভাবিক। এসব এরা লুকায় না, গ্যালাক্সি বারে কয়েক পেগ মেরে শাহবাগিরা ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দেয়, মালে জলের পরিমাণ বেশি হয়ে গেসে। এতেও সেকুলার মানুষেদের মনে ঘৃণা আসে না, বরং সবাই বলে: বাহ বা।

কিন্তু ঐ মিথ্যা একজন ইসলামপন্থী একহাজারের মাঝে কোনভাবে একবার বলে ফেললে, এমনকি অনিচ্ছাকৃত হলেও, তাতে তোলপাড় শুরু হয়। সাদা কাপড়ে দাগ সরাসরি দেখা যায়। তাতে আপত্তি নাই, বরং ভালো। মিথ্যা যে কোন অবস্থাতেই বর্জনীয়। এতো কথা বলার কারণ হলো, ফেক ছবিগুলো নিয়ে যখন তোলপাড় হচ্ছে তখন দেখা যাচ্ছে কিছু অপরিচিত নিক বা পেজ থেকে এর শুরু হয়। আবার নির্দিষ্ট একটা পেজে ফেক ছবির মেলা বসে যায়। এটাকে বলে রিভার্স খেলা। পরিচিতদেরকে তাই বারবার বলছিলাম আমার মত হলো, ফেক ছবির কিছু এ পক্ষের কেউ শুরু করেছে এটা যেমন সত্যি, প্রচুর ফেক ছবি শাহবাগিরা ঢুকিয়ে দিয়েছে গণহত্যাকে হাস্যস্পদ ও খেলো করার জন্য। এদের প্রকৃতি হলো মিথ্যার আশ্রয় নেয়া। একটা উদাহরণ দেখা যাচ্ছে এ ছবিতে। সউদী আরবের পত্রিকা আশশারকুল আওসাত এ ইসরাইল সংক্রান্ত খবরের উপর বাংলাদেশের কোরআন পুড়ানোর ছবি বসিয়ে দিয়ে, আরেকপাশে ভুল বানানে 'হলি' লিখে লেখা ও ছবি বসিয়ে দিয়ে এরা বুঝাতে নাচানাচি শুরু করে দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য জেনে গিয়েছে হেফাজত কুরআন পুড়িয়েছে, এখন যাকাত ফেতরা আসা বন্ধ হয়ে যাবে, তাতে এদের এখন গণহারে চরম তৃপ্তি অর্জন শুরু হইসে ফেসবুকে। শাহবাগি বেকুবদের অন্তত এইটা বুঝা দরকার ছিলো, যেই অস্ত্র শত্রুর বিরুদ্ধে কাজে লাগতেসিলো ত অতিউৎসাহী হয়ে অতিব্যাবহার না করলেও চলতো, এভাবে ধরা খাইতে হইতো না। কিন্তু কি আর করবে, অভ্যাসের টান!

বিষয়: বিবিধ

১৬২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File