বউ নিয়ে আমার ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গী, আবু সাইফ ভাইয়ের অনুধাবন এবং জীবন এর কিছু কথা

লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ০৯ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:১০:৪৬ রাত

কুর’আনের তাফসীর পড়তে গিয়ে বেশ কিছু ইসলামিক জ্ঞান অর্জন হয়েছিলো আমার, তবে সেটাকে আমি যথেষ্ট মনে করি না একজন ভালো মুসলিম হিসেবে, তবে মনে করি অতোটুকুও যদি আমি বা যে কেউ মানতে পারে, তবে তা হয়ত একজন মুসলিম হিসেবে ধর্মীয়ভাবে সুন্দর জীবন যাপনের জন্য যথেষ্ট।

আমার অনেক লেখায়ই সরাসরি দেশের নারীদের-কে নিয়ে বিভিন্ন কথা আছে, যেখানে আমি তাদের ব্যঙ্গ করেছি এবং কিছু উপদেশও দিয়েছি; যদিও সেগুলো আপাতঃদৃষ্টে অনেকের কাছে নারীদের উপর আক্রমণাত্নক বলে মনে হতে পারে, বস্তুতঃ ব্যাপার তা নয়, বরং আমি যা লিখেছি সেসব পোষ্টে, তার কোনটাই এই সমাজের নারী বা পুরুষ কেউ-ই যুক্তিসঙ্গতভাবে অস্বীকার করতে পারবে না।

ইসলামিক বিধানের আলোকে যদি একটা পরিবারের কথা চিন্তা করতে চাই আমরা, তবে দেখি অত্যন্ত সামাজিক জীবন-যাপন করতে বলা হয়েছে ইসলামে আমাদের। সেখানে সরাসরি আদেশ করা হয়েছে সন্তানদেরকে, যাতে পিতা-মাতাকে সামান্যতম কষ্ট-ক্লেশ না দেয়া হয় এবং এ জন্য সতর্কতা অবলম্বনের নানা উপদেশও রয়েছে। এবার যদি ধরে নিই সেসব সন্তান নারী ও পুরুষ উভয়ই, তবে সেখানে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয় আমাদের বর্তমানে আপাতদৃষ্টে;

যেমনঃ একটা পরিবারে শুধু একটি মেয়েই আছে বাবা মায়ের এবং আরেকটা পরিবারে রয়েছে শুধু একটাই ছেলে; এই দু’টো ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে যদি বিয়ে হয়, তবে স্বাভাবিকভাবেই ধর্মীয়মতে মেয়েটাকে জীবন পার করতে হবে স্বামীর ঘরে; ছেলেটা যদি তার বউকে আদেশ করে আমি কর্মক্ষেত্রের ব্যস্ততার কারণে বাসায় থাকতে পারি-না, তাই আমার বাবা-মায়ের দেখাশুনায় তোমার যেন কোন ঘাটতি না থাকে; মেয়েটা যদি এই আদেশ পালন করতে গিয়ে প্রশ্ন তুলে, আমাকে তোমার বউ করে তোমার বাবা-মায়ের খেদমতে নিযুক্ত করলেঃ আমার কি বাবা-মা নাই? তাদের খেদমতের কি কারও দরকার নাই? এটা খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন! কিন্তু দোষ কার? ছেলের না-কি মেয়ের?

এখানে মেয়ের বা বউটার দোষ; কেননা, সে জানে ইসলামিক বিধানমতে তার উচিৎ স্বামীর সম্পদ এবং সংসারের দায়িত্ববহন করা এবং তার যৌক্তিক আদেশ পালন করা সামাজিক বন্ধন রক্ষার্থে। এসব জানার পরেও যদি মেয়েটা এ প্রশ্ন তুলে, তবে নির্দ্বিধায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়; কেননা, বিয়ের কন্ট্রাক্টের সময়ঃ সে প্রকাশ্যে সমস্ত স্বাক্ষীর সামনে এসব মানবে বলে স্বীকার করেই কবুল বলেছেঃ স্বামীর ভরণ-পোষনের বিনিময়ে, তার সংসারের দেখভাল করবে ইসলামী বন্ধনের আলোকে। কিন্তু ইসলাম অনুযায়ী বিয়ে বসে মেয়ে এমন দাবী করলো যা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ বেখাপ্পা! আমার মতে এদের উচিৎ ইসলাম বাদ দিয়ে নিজেদের মন মতো টার্মস এ্যান্ড কন্ডিশন দিয়ে কন্ট্রাক্ট-পেপার সাইন করে বিয়েতে আবদ্ধ হওয়া!

দ্বিতীয় দোষ মেয়ের বাবা-মায়েরঃ তারা জানতো, যদি বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত তারা পৌছে যায়, তবে তাদের দেখভালের জন্য তারা তাদের মেয়েকে পাবে না তাদের সংসারে ইসলামিক মতে বিয়ে দিয়ে দিলে; তবে কেনো তারা পরিবার-পরিকল্পনার আশ্রয় নিয়ে এক মেয়ে নিয়ে সন্তুষ্ট থেকে এখন পস্তায় বা মেয়ের জামাইয়ের দোষ দেয় নিজেদের অসহায়ত্বেও জন্য? তাদের কি আল্লাহ অক্ষম করে দিয়েছিলো আরো সন্তান বা ছেলে সন্তান জন্ম দানে? যদি আল্লাহ তাদের অক্ষম করে দিয়ে থাকে, তবে তাদের জন্য সহানুভূতি যৌক্তিক, আর যদি তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই ছেলে সন্তানের জন্ম এড়িয়ে থাকে তবে দোষ কাদের? এক্ষেত্রেও মেয়ের বাবা-মায়ের!

আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোয় প্রায়ই সংবাদ দেখি আমিঃ যেখানে জানতে পারি ছেলে সন্তান দ্বারা ছেলের পিতা-মাতা অনেক নাজেহাল হচ্ছে, হাহাকার করছে কেউ কেউ ওল্ড-হোমে; এক্ষত্রে কি ছেলের একার দোষ না-কি বৌয়েরও আছে? এক্ষেত্রেও বউয়ের দোষ বেশী! বেশিরভাগ বউরাই জামাই বাড়ি এসে নতুন জীবন গড়তে চায়, সেখানে ছেলের পরিবারের অন্য কাউকে সেসব বউরা সহ্যই করতে পারে না! এবং অনেক ক্ষেত্রেই সন্তান হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একরকমের অভিনয় করে যায়, আর সন্তান জন্মদানের পর সম্পূর্ণ নতুন রূপে আবির্ভূত হয়ে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন শুরু করে দেয় স্বামীদের। এসব নির্যাতনের কাছে হার মেনে বাধ্য হয়ে অনেক ছেলেই ত্যাগ করে তার পিতা-মাতাকে তাদের কষ্ট দিয়ে হলেও, নতুন জন্ম নেয়া নিজের সন্তানের ভালোর জন্য! অথচ সে বৌ ইচ্ছা করলে স্বামীকে উল্টো বোঝাতে পারতো যে, ইসলামের আলোকে তো তুমি যদি তোমার পিতা-মাতার সেবা না করো তবে তো তুমি খারাপ; সেটা তারা করে না জেনে, শুনে এবং বুঝেই!

আমার জানা কিছু পিতা-মাতার কথা উল্লেখ্য এখানেঃ

(১) এক দম্পতির তিন ছেলে মেয়ের সবাই কানাডা আর আমেরিকায়, দেশে তাদের বাড়ী-গাড়ি সবই রয়েছে; ছেলে-মেয়েরা মাঝে মাঝেই ফোন করে অনুরোধ করে, সে দম্পতিকে সেখানে গিয়ে থাকার জন্য; একবার তারা প্ল্যান করলো যে – চলেই যাবে এগুলো সব বিক্রি করে দিয়ে; এর আগে সেখানের পরিবেশ বোঝার জন্য দম্পতি আমেরিকায় গেলো তার ছেলে/মেয়ের কাছে, সেখানে তার ছেলে/মেয়ে, ছেলের বউ/মেয়ের জামাই বুড়ো-বুড়ীকে বাড়িতে তাদের সন্তানদের চাকর হিসেবে ফেলে রেখে সারাদিন বলদের মতো খেটে বেড়ায় আর সন্ধ্যায় এসে পিতা-মাতাকে উপদেশ দেয়, মা-বাবা তোমরা যদি না থাকো তবে আমাদের সন্তানদেরকে চাইল্ড-হোমে ফেলে রাখতে হবে; কিছু দিন সে দম্পতি গোলাম আর বুয়া হিসেবে খেটে সেখানে থেকে দেশে ফেরত এসেছে এবং দেশে এসে কানে ধরেছে আর যাবে-না তাদের কাছে! তাদের অভিব্যক্তি এমন যে, এমন ছেলে-মেয়ে আমার লাগবে না জীবনে, আর কোনদিন দেশের সহায়-সম্পদ বেচবোও না এবং এখানেই কাজের লোক নিয়ে বাকী জীবন পার করে দেবো!

(২) আরেক দম্পতি, অভিজাত এলাকায় বাড়ি-গাড়ীর মালিক। বাড়ী ভাড়া দিয়ে গাড়ী বেচে এখন ওল্ড-হোম খুজছে, কাজের লোকের অবহেলায় আলিশান বাড়িতে আছাড় খেয়ে অপঘাতে মৃত্যুবরণ এড়াতে; তাদের সব সন্তানও দেশের বাইরে, তারাও দেশ ছেড়ে যায় না একই কারণে।

(৩) বিদেশে থাকা এরকম আমার নিজেরও কিছু আত্নীয় রয়েছে, তাদের পিতা-মাতারা না পারতে মাঝে মাঝে সেখানে যায়, কিছুদিন বুয়া/গোলামগিরি করে হলেও ছেলে-মেয়েদের মুখ দেখে দেশে ফিরে এসে বাকী সময় আমাদের এবং অন্যান্য আত্নীয়দের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে ঘুরে সময় পার করে।

(৪) এছাড়াও এমন কিছু মানুষের সাথে আমার মেশাও হয়েছে এক সময়ের কর্মক্ষেত্রে, যারা এ দেশের সমাজের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে বলতে গেলে সর্বোচ্চ শ্রেণীর; তাদের সবাইঃ বিদেশে কিছুদিন লেখা-পড়া করে অত্যন্ত ভালো রেজাল্ট করেও, দেশে ফেরত এসেছে – কি কারণ সেটা তাদের মুখ থেকেই শুনেছি, তবে আপাতত না-ই বললাম, পরে কোন আলোচনার প্রেক্ষিতে যুক্তিযুক্ত মনে হলে তাদের নাম উল্লেখ না করে অন্যভাবে ঘুরিয়ে বর্ণনা করবো আশা রাখি।

আর দেশের পিতা-মাতাদের উদাহরণ আশা করি কাউকে না বললেও চলবে, সবাই দিব্যদৃষ্টিতে দেখেই যাচ্ছে! ‘সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে’ – প্রবাদটা আগে জানলেও এখন হাড়ে হাড়ে অনুধাবণ করি পারিপার্শ্বিকতার কারনে; আসলেই মেয়েরা বা বউরা চাইলে পারে, কিন্তু তাদের বেশিরভাগেরই স্বাভাবসুলভ আচরণের কারণে – তা হয় না!

আমার নিজের পিতার ক্ষেত্রেও, বিদেশে চলে যেতে পারতো; যায়-নি উনি এবং আমি আজও যেতে চাইলে আমাকে সর্বশক্তি দিয়ে বাধা দান করেন; আমি অখুশী না এজন্য তার উপর; বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী বৈদেশিক ট্রেনিং পর্যন্ত উনি সহাস্যে উপেক্ষা করে গেছেন শুধুই আমার দাদীর আবদারের কারণেঃ

গেদা, তুই বিদেশ থাকাকালীন আমি যদি মরে যাই? তবে তো তোরে দেইখা মরতে পারুম না!


উনি যান-ও নাই, দাদী যে কয়দিন জীবিত ছিলেন; তবে দাদী মারা যাবার পর উনি বেশকিছু দেশ ঘুরে এসেছেন বিভিন্ন সফরে একের পর এক। আমি এখনও দেশ ছেড়ে যাবার ব্যাপারে আগ্রহীঃ তবে এখনও বাবা-মায়ের এরকম আবদারের কারণে চোখ-মুখ বন্ধ করে পড়ে থাকি চুপ করেই আর ইচ্ছাকৃতভাবেই বেকার জীবন যাপন করছি নানান কারণে, তার মধ্যে কিছু শেয়ার করছি বাস্তবতা উপলব্ধি করানোর জন্যঃ

আমার বউ সেরকমই একজন মেয়েঃ আমার বাবা-মায়ের সেবা করবে না, সাজুগুজু করে মার্কেটে মার্কেটে ঘুরবে টাকা নিয়ে; ৩/৪ বছর আগে আমি প্রায় লাখ টাকা বেতন পেতাম সেটা তার হাতে না দিয়ে আমার মায়ের হাতে দেয়ার কারণে এ নিয়ে টানপোড়ণেঃ আমার একমাত্র সন্তান, যাকে আমি ‘বুড়া মিয়া’ বলে ডাকতাম; তাকে আমার কাছ থেকেঃ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে তাদের একমাত্র কণ্যার জনক ও জননী আমার শ্বশুর মশাই যিনি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা-র অফিসে কর্মরত এস.বি-র এক এ.এস.পি হিসেবে! সে নিজ ছেলেকে পাঠিয়ে দিয়েছে জার্মানীতে দাড়ি-মোচ উঠার আগেই! ছেলের জন্য তার পুড়ে না, বা ছেলের বউ এনে নিজের সেবার তাদের দরকার নাই; মেয়ের জামাইয়ের যেন দায় পড়েছে তাদের পালনের – আমি সর্বশেষ মুখের উপর বলে দিয়েছিলাম ঘর-জামাই খুজে নিয়েন পরবর্তীতে আপনার মেয়ের জন্য! এসব লোক টাকার জন্য নিজ ছেলেকে না দেখে থাকতে পারলেও, জামাইয়ের টাকার জন্য অভিনয় করে দেখায় মেয়ে-বিহনে তাদের সীমাহীন কষ্ট হয়!

অনেক সময় পেরিয়ে গেছে আমার এভাবে, অনেক ক্ষোভ রয়েছেঃ প্রকাশ্যে এ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ানো হয় না আমার পিতার চরম ধৈর্য্যশীলতার কারণে, যদিও আমার ধৈর্য্যের বাধ ভেঙ্গে যায় প্রায়ই! আমার বউ এর পিতা, সামান্য পুলিশের চাকরী করে ভেবে নিচ্ছেনঃ উনি কি যেন হয়ে গেছে, অথচ আমি দেখেছি এরকম পুলিশদের ব্যারাক একসময় আমার বাসায়ই ছিলো! এছাড়াও আজও আমাদের কাউন্সিলে/মিটিং এ আমার মতোদের সাথে বসতে হলে দেশের মন্ত্রী-সচিবরা আসে মাথা নুইয়ে সম্মান জানিয়ে এবং নেচে গেয়ে যায় (যদিও নানা কারণে, আমি সেসব এখনও এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন চিন্তাতেই মত্ত রয়েছি)।

আমার পিতা এবং আমি উভয়েই সামাজিক মান-মর্যাদায় আমার বউয়ের পিতার চাইতে হাজারগুনে উত্তম, কিন্তু এখনও তার বিরুদ্ধে নামি-নি! সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুইভাবেই তার পরিবারের চাইতে আমরা ভালো থাকায়, ৭ দিনের নোটিশে – তারাই তার মেয়েকে যেচে পড়ে বিয়ে দিয়েছিলো আমার সাথে ছাত্র অবস্থায়ই! সেই এ.এস.পি-কে এখন সরাসরি বলা হয়েছে, তোমার এবং তোমার মেয়ের যদি এভাবে পছন্দ না হয় তবে আলোচনায় আসো তালাক নিয়ে যাওঃ সে কি-না এখনোও থ্রেট দেয়, আমাদের দেখে নেবে! তালাকও নেবে না, আলোচনায় এসে সমঝোতা করে সংসারও করবে না; আমার সন্তানের প্রতি আমার এবং আমার পিতা-মাতার মমত্ববোধকে পুজি করে বাধ্য করবে আমাকে – তাদের দাবী মেনে নিতে, এটাই তাদের মানসিকতা বুঝতে অসুবিধা হয় না!

আমিও ছোটবেলা থেকেই অনেক বিটুল এবং ঘাওড়ার একশেষ থাকায় সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছি – ‘বুড়া মিয়া’ কে আর দেখতেও যাবো না, খোজও নেবো না! কোনদিন বড় হয়ে আমার কাছে আসলে জানিয়ে দেবো, এগুলোই ছিলো তোমার মা এবং তোমার নানা-নানীর ঘটনাঃ তাই তোমাকে ছাড়াই বেচে থাকতে বাধ্য হয়েছিলাম! তুমিও অবশ্যই আমার পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তোমার বউও যদি তোমার কথা না শুনে – এই উপদেশ থাকবে ‘বুড়া মিয়া’ র প্রতি!

ইসলামিক বিধানমতে এমন বউদের একটা নির্দিষ্ট সীমায় পেটানোও জায়েয, তবে আমি পেটাতে পারলাম না – এজন্য রাব্বুল আলামীন এর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী! এখন পর্যন্ত আইনগতভাবে স্বীকৃত আমার শ্বাশুরীজান হিজাবী – প্রায় সময়েই তার চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় নাঃ এই তাদের ইসলামের প্রতি সম্মান! অথচ বড় গলায় মাঝে মাঝে ইসলামিক বাণীও ফেরী করেছে আমার কাছে; তবে তার ইসলামিক জ্ঞানও আমার চাইতে কম হওয়ায় ধোপে টিকে-নি!

আমি আমার পরিবার এবং অন্যান্য কিছু পরিবারের কথা দিয়ে উদাহরণ দিলাম বাস্তবতাকে তুলে ধরার জন্য, কাল্পনিকতা এড়িয়ে! এবং এ জন্যই এই-পোষ্টে আমার মন্তব্য ছিলো ঐরকম, যাতে আবু সাইফ ভাই বলেছেন – আমার কথায় আল্লাহর বিধানকে ব্যঙ্গ করার মতো হয়েছে! আবু সাইফ ভাইকে বলছি – ওগুলো আমাদের অনুধাবিত বাস্তবতার ক্ষোভ-ঝাড়া সম্পূর্ণরূপে ইসলামসম্মত এবং সাধারণ পদ্ধতি। আমি আরও যুক্তি দিতে পারি এর স্বপক্ষে! এসব মেয়েদের শিক্ষার অভাব নেই, আমি নিজেও তাদেরকে সুন্দরভাবে যুক্তির আলোকে শিক্ষাদানে সমর্থ, কিন্তু তারা পাশবিক মনের পশু, শিক্ষাগ্রহণ করবে নাঃ পশুর মতো কুস্তী করে বাধ্য করাতে চায় তাদের দাবী মানতে, যদিও তাদের পরাজয় নিশ্চিত ইহ এবং পর জীবনেও!

আমার মতে কোন পুরুষেরই এ ধরনের নারীদের প্রশ্রয় দেয়া উচিৎ না, যদিও বিচ্ছেদ হয়ে যায়, যদিও সন্তান কষ্ট পায়! কেননা আমার মতে এই ধরনের নারীদের প্রশ্রয় দিলে আমি-ই সহায়তা করলাম এমন সমাজ গড়তে! ভবিষ্যতে হয়তো খুব খারাপ লাগলে আবার বিয়ে করে নেবো আমি অথবা সেরকম বউ না পেলে আল্লাহর নামে মুতআ আরম্ভ করে দিবো, কেননা তিনি দেখছেন এসব! বাধ্য করে যদি কেউ কাউকে কুফরীতে লিপ্ত হতে – তবে সেটাও জায়েয, ইসলাম এতটাই সহায়ক সামাজিক জীবন যাপনে!

বর্তমান সমাজে এসব বলতে অনেকেই লজ্জাবোধ করে, কিন্তু উচিৎ না! পুরুষাঙ্গ ছোট হওয়ায় বা স্বামীর মারপিট ভালো না লাগায় মেয়েরা রাসূল (সাঃ) এর কাছে লজ্জাবোধ করেনি বলতে আর রাসূল (সাঃ) ফয়সালা দিতেও দেরী করেন-নি! ইদানীং আমরা লজ্জা করি এমন সব বিষয়ে, যেখানে লজ্জা থাকাই উচিৎ না; আর লজ্জা হয় না এমন অনেক বিষয়েই, যেখানে লজ্জা করা উচিৎ! আরও মনে করি সবাই এসব প্রকাশ্যে বললে – এ সমাজের নারীদের আসল চরিত্র আমরাই দেখিয়ে দিতে পারবো আঙ্গুল দিয়ে ...

বিষয়: বিবিধ

৬৩১৬ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

272673
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:১৭
সময়ের কথা লিখেছেন : ধন্যবাদ
272675
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৩১
সময়ের কথা লিখেছেন : লেখায় কিছুটা রাগ ঝরে পড়েছে আপনার। তাই কিছু বিষয়কে সাধারনের চাইতে বেশী কঠোরভাবে নিয়েছেন মনে হচ্ছে। শেষের দিকের কথাগুলো তাই মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে হয়নি বলে মনে হচ্ছে। প্রথম দিকের কথাগুলো উত্তম হয়েছে।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:৩৮
216805
বুড়া মিয়া লিখেছেন : হ্যা, রাগ একটু থাকে এরকম লেখায়; আমার দেখা অনেক পরিচিতরা এসবের চাইতেও বেশি অত্যাচার সহ্য করছে বউ এর এবং কেউ কেউ আইনগত ঝামেলা পোহাচ্ছেন!

প্রথম দিকের কথা আপনার ভালো লাগায় ধন্যবাদ রইলো ...
272682
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৪৬
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

প্রথমতঃ আপনার জন্য সহানুভূতি জানাই

বিশেষ কেইসকে জেনারালাইজ করে ফেলাতেই সমস্যা হয়েছে-

আপনার শাশুড়ির "ইসলামী লেবাসে" "অনৈসলামিক আচরণ" ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করেনা
এবং
আপনার কষ্ট ও ক্ষোভ আপনাকে "ঢালাও মন্তব্যের" অধিকার দেয়না!

একমাত্র ছেলের সাথে একমাত্র মেয়ের বিয়ের উদাহরণটি সমন্বয় করার ইসলামী তরিকা আছে- আমরা মানিনা বা মানতে পারিনা বলে সেটা ইসলামের অপূর্ণাঙ্গতা নয়!

কিছু পিতা-মাতার কথা

(১)(২)(৩)"ছেলের বউ/মেয়ের জামাই বুড়ো-বুড়ীকে বাড়িতে তাদের সন্তানদের চাকর হিসেবে ফেলে রেখে সারাদিন বলদের মতো খেটে বেড়ায়..." এখানেও শিক্ষা ও দৃষ্টিভংগীর সমস্যা, উভয়পক্ষেরই

সমাপ্তিটা সুন্দর হয়েছে - তবে আবারো সেই একই কথা-
সকল নারীকে আক্রমণ করার সাথে একমত নই

শেষ কথা-
চূন খেয়ে মুখ পুড়েছে, দইএর গুষ্টি কিলাই


[অাপনি ২য় বিয়ে করতে পারেন, করা উচিত মনে করি, আইনসংগতভাবেই সম্ভব]

১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:৪৫
216807
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ঢালাওভাবে মনে হয় ইসলামিক দৃষ্টিকোন থেকেই বলা যায় আবু সাইফ ভাই; “তোমাদের কি হলো ....” এরকম ঢালাওভাবে শুরু করা হয়েছে কুর’আনের অনেক জায়গায়ই; তবে এটাকে আপাতদৃষ্টিতে ঢালাওভাবে মনে হলেও – এটা কিন্তু একটা নির্দিষ্ট শ্রেণীর দিকেই ইঙ্গিত। আমার লেখায়ও অনেক কিছু ঢালাওভাবে মনে হলেওঃ সেটা শুধু ঐ শ্রেণীর নারীদের দিকেই ইঙ্গিত।

শিক্ষার সাথে সাথে কাজ না হলে মাঝে মাইরও দিতে হয় – সব ঠিকঠাক রাখার জন্য এটা সারা বিশ্বেরই অনুসৃত পদ্ধতিঃ যেমন আমেরিকান, ইউরোপীয়ান, বাংলাদেশী সরকার চোর-বদমাইশদের মাইরধোর করে; ঠিক তেমনি ইসলামও এটা সমর্থন করে – বদমাইশ বউ কথা না শুনলে, তাকে মৌখিক শিক্ষার উপরি হিসেবে মাইরও জায়েয।

দ্বিতীয় বিয়ে হয়তো করেই ফেলতে হবে একসময় জৈবিক চাহিদার কারণেই, দোয়া রাখবেন আমার জন্য।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:২৫
216836
সত্যলিখন লিখেছেন : এক পক্ষের থেকে শুনে রায় দেওয়া ন্যায় বিচারকের কাজ না । দুই পক্ষের থেকেই কথা শুনতে হবে আবু সাইফ ভাইকে । তাই আবু সাইফ ভাই বুড়া মিয়ার থেকে ভাবীর নাম্বার নেন ।বিনা বাতাসে গাঙ্গের পানি নড়ে না । এক জনকে এতো সাধু ভাবার আগে অন্য পক্ষ কে কিছু বলার অনুমতি দিতে হবে । যেই পাখির চোখ বনের দিকে সেই পাখিকে সোনার খাচায় রাখলেও সে সুখি হবে না । উনার মাথায় ২য় বিয়ে আর শ্রীদেবী ঘুরপাক খেতে থাকলে প্রথম টা তো মাইর না জীবন কোরবানী করেও সুনাম অর্জন করতে পারবে না। তাই কারো সাথে দুশমনি থাকলে হয়ত আরেক বিয়ে করায়ে দাও না হয় মামলায় জড়ায়ে দাও। টা হলে সুখ কি টা ষোল আনাই বুঝে ফেলবেন ।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:৫৮
216838
বুড়া মিয়া লিখেছেন : হুনেন সত্যলিখন আপা, সামাজিক আর রাজনৈতিক বিচারের হাতে-খড়ি আমার বাপের কাছেই; ছোটকালে একবার লাল-পর্দায় ঘেরা বিচারকের আসন ভাবের-সহিত দখল করে বসেছিলাম (মনে হয় ফোর অথবা ফাইভে পড়ি তখন) পরে পেশকার-মোক্তার দৌড়াইয়া আইসা আমারে কোলে উঠাইয়া বাদাম কি-না দিছিলো মাঠে নিয়া! আর বান্দ্রামী করার কারণে অলটাইম এ্যারেষ্ট থাইকা বাপের সাথে ঘুরতে হইতো বিধায়, কোথায় কেমনে বিচার করণ লাগে – তা আমার লেখা পড়া কইরা শিখতে হয় নাই।

এর পরে অবশ্য আরও বড় বিচারক হওনের জন্য লেখা পড়া কইরা দেশের সার্টিফাইড অর্থনৈতিক বিচারক আমি এখন। আর এখন বুঝি বাপের করা সামাজিক-রাজনৈতিক বিচারের সাথে কিভাবে অর্থ এবং এর প্রতি মানুষের লোভ জড়িত। এর পরে আর বিচারের কোন ক্ষেত্রে সমাজে আছে বইলা আমার জানা নাই; তবে শেষ বিচার আছে পরকালে – তা খুব ভালোভাবেই অনুধাবন করি আন্তরিকভাবে।

আসিফ নজরুল বা হুমায়ুন আহমেদ ৩ নম্বর বা ২ নম্বর বিয়া করতে গেলে কেউ বিচার বহায় নাই; কিংবা বিচারকরাও জানেঃ তারা জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেক-সম্পন্ন লোক, অবিচার করে না বিবেকবোধ দ্বারা পরিচালিত হওয়ায়! আমার মনে হয়ঃ আমিও ২,৩ আর ৪ নম্বর বিয়া করলেও কারও বিচার বহানের দরকার পড়বে না; কারণ এই বয়সের পুরাডাই পার করছি এইসব হাবিজাবি বিচার লইয়াই!

হেয় (মানে এখন পর্যন্ত আমার স্বীকৃত বউ) আমারে ছাড়া বাপের বাড়ী পইড়া রইছে আইজ মেলা দিন! কেউ কারও মুখ দেহি নাই এ দীর্ঘকালে; বহু লোক মারফত খবর পাওয়া গেছে তাদের দাবী মাইনা নিয়া (মানে টাকা দিমু দেদারসে আর ইচ্ছা মতো সাইজ্যা-গুইজ্যা মার্কেটে মার্কেটে ঘুরবো) আমি নমঃ নমঃ কইরা তারে আনতে গেলেই ফিরা আইবো! কিন্তু সামাজিক এই অবিচার আমি করুম না! আরও কিছুদিন সময় হয়তো সে পাবে আমার কাছে সব কিছু নমঃ নমঃ কইরা আমার মত মতো মাইনা ফিরা আইতে; কিন্তু ঐ সময়ে না আইলে – সোজা দৌড়ের উপরে, কই গিয়া কি তালগাছ উদ্ধার করে হেয় আর হের বাপে, দেহুম নে তখন!
272686
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:০০
আবদুল্লাহ বাংলাদেশী লিখেছেন : শুধু মাত্র কমেন্ট করার জন্যই বহুদিন পর লগ ইন করলাম। আবু বুড়ামিয়া ভাই, আপনি অনেক কষ্ট করেছেন, এখনও করছেন। খুব দুঃখ পেলাম। যখন আপনার লেখাটি পড়ছিলাম তখনই মনে মনে ভাবছিলাম অন্য সবাই কেমন কমেন্ট করবে। প্রায় সবাই কমেন্টে বলবে "ভাই, আপনার আরও একটু ধৈর্য ধরা উচিত ছিল", "ভাই আরও একটু কষ্ট করুন, সামনে ভালো দিন আসবে", "আপনার কথা একটু বেশী আক্রমণাত্মক" ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কেউ বলবে না যে ভাই আপনার বউ কাজটা ঠিক করেনি, আপনার শ্বশুর অপরাধ করেছেন। আপনার জন্য খারাপ লাগছে। আপনি আরেকটা বিয়ে করে ফেলুন। কিছু অপরাধীর জন্য নিজের জীবন নষ্ট করবেন না। আপনার ফেসবুক আইডি বা ইমেইল আইডি দিলে খুশী হবো ভাই।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:৫২
216808
বুড়া মিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আব্দুল্লাহ ভাইকে সহানুভূতির জন্য; ফেইসবুক ব্যবহার করা হয় না, এটা ব্যবহার করি মাঝে মাঝে। বিয়ে করেই নতুন করে লেখা-পড়ার জীবনে ফিরে এসেছিলাম, আবারও হয়তো বিয়ে করেই নতুন কর্মজীবন শুরু করতে হবে, দোয়া রাখবেন ...
272688
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:০৩
আফরা লিখেছেন : দাদু ভাই ,
আমার অনেক লেখায়ই সরাসরি দেশের নারীদের-কে নিয়ে বিভিন্ন কথা আছে, যেখানে আমি তাদের ব্যঙ্গ করেছি এবং কিছু উপদেশও দিয়েছি; যদিও সেগুলো আপাতঃদৃষ্টে অনেকের কাছে নারীদের উপর আক্রমণাত্নক বলে মনে হতে পারে, বস্তুতঃ ব্যাপার তা নয়, বরং আমি যা লিখেছি সেসব পোষ্টে, তার কোনটাই এই সমাজের নারী বা পুরুষ কেউ-ই যুক্তিসঙ্গতভাবে অস্বীকার করতে পারবে না।


আসলে আপনি ঠিক ই বলেন অনন্ত আমি মেয়ে হয়েও আপনাকে সাপোর্ট দিচ্ছি দাদু ভাই কিন্তু আপনার ভাষা একটু বেশি কঠোর হয়ে যায় । একথা গুলো ও আপনি আর একটু সুন্দর ভাষায় বলতে পারেন ।

সে জানে ইসলামিক বিধানমতে তার উচিৎ স্বামীর সম্পদ এবং সংসারের দায়িত্ববহন করা এবং তার যৌক্তিক আদেশ পালন করা সামাজিক বন্ধন রক্ষার্থে। এসব জানার পরেও যদি মেয়েটা এ প্রশ্ন তুলে, তবে নির্দ্বিধায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়


এখানে ও আমি আপনার সাথে একমত স্বামীর সম্পদের মধ্যে স্বামীর মা বাবা ভাই বোন ও পড়ে ।
কিন্তু আমরা ইসলাম থেকে দুরে সরে গিয়ে আমাদের জীবনটাকে সংকীর্ণ করে ফেলেছি । আমাদের সমাজে আজকে আর কোন মেয়ে আমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে না স্বপ্ন দেখে আমি আর তুমি । আমি ও এর বাহিরে নই ।

১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:৫৫
216809
বুড়া মিয়া লিখেছেন : হুম একটু কঠোরই হয় ভাষা সেটা আমিও বুঝি – তবে তারপরেও ঐরকমই রাখি এ্যাডজাষ্ট না করে, যাতে বোঝা যায় কতোটুকু জোর দিয়ে চেপে ধরলে এমন আওয়াজ করে মানুষ!

সবকিছু সহ্য করে ধৈর্য্যশীলতার পরিচয় দেয়া মনে হয় নির্বুদ্ধিতার কাজ।
272693
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৫৫
সত্যলিখন লিখেছেন : আমি আপনার লিখার প্রশংসা না করে পারলাম না।যা তুলে ধরেছেন তা আমাদের সমাজের অশান্তির কত গুলো ছিদ্রপথ। সত্যি অনেক মিষ্টি কি যে মিষ্টি সুন্দর মধুময় এই দাম্পত্য জীবনের সোনা ঝরা সময় গুলো।
তবে এক হাতে তালি বাজে না ।আর এক চেটিয়া মেয়েদের কারনেই উক্ত সমস্যা গুলো সৃষ্টি হয় না। একটা নতুন পরিবেশে আবার নতুন জন্ম নেওয়া ময়নাটা আপনার ভালবাসার সুরে্র বাশির মধুর আওয়াজে শিখানো পথেই সে উত্তাল নদীর ত্রিমোহনায় সাহসের সাথে সব ঠিক রেখে ভালবাসা তৃষ্ণায় নিয়ে আপনার সব আদেশ পালন করে যাবে।

আপনারা ইসলামের কথা বলে বউ শাসন করতে পারেন খুব সুন্দর ভাবে। কিন্তু নিজের বেলায়
ইসলামের ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারেন না। আপনার বাবা মা কে যেমন ভাবে চান আপনার বউ দেখা শুনা করুক বা এটা তার করা উচিত বলে মনেও করেন। আমিও বলব তা করা উচিত ।কিন্তু ঐ মেয়েটা যখন দেখে তার বাবা মা বা স্বজনদের প্রতি এই নীতিবান পুরুষের দূর্নীতি তখন কি আপনি তা সঠিক বলে বলবেন তোমার বাবা মা এর প্রতি খেয়াল করা আমার জন্য ফরজ নয় । হে তা ঠিক আপনার জন্য যেমন ফরজ নয় তেমনি মেয়েদের জন্যও নয়। কিন্তু ঐ মেয়েটা আপনার ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে মুখ বদ্ধ করে করে যান।
আমি এমন মেয়ের সাথে করা আচরন দেখেছি যা আমাকে আজ কাদায় । বিয়ের পরে আর মেয়েটিকে তার বাবার বাড়ি যেতে দেওয়া হত না । মা মেয়েকে দেখতে আসলে একগ্লাস পানি খেতেও দিতে পারত না। মা একটা রাত মেয়েটাকে ক

১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:০৮
216819
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আপু এক হাতেই তালি বাজে!

এক হাত যখন আরেক হাতরে থাপড়ায় তখনই তালি শোনা যায়, যদিও আরেক হাত নীরবে পাতা থাকে! আমার জানামতে, ইসলামে বউয়ের আবদার মেনে নেয়া স্বামীর জন্য আবশ্যক না, বরঞ্চ কোন কোন ক্ষেত্রে বউয়ের আবদার অবান্তর হলে তার সাথে ঈলা করা শুরু করতে হবে, না শুনলে একদম বাতিল! কিন্তু স্বামীর যৌক্তিক আদেশ স্ত্রীর মেনে নেয়া আবশ্যক আর সেটা ফরজের পর্যায়েই যায়, তবে কোন নারী এমন যৌক্তিক আদেশ না মানতে চাইলে সে চলে যেতে পারে ... তাতে কোন বাধা নেই।

হয়তো কিছু পুরুষ খারাপ আছে, কিন্তু বেশীরভাগ পুরুষরাই ভালো, আর মেয়েরা খারাপ। বেশীরভাগ নারীরা যে এমন ছলনাময়ী ক্রিমিনাল তার ইন্ডিকেশন কিন্তু আল্লাহ-রাসূল (সাঃ) এর অনেক বাণীতেই পাই, তারপরেও তাদেরকে আমাদের প্রয়োজন জৈবিক কারণেই। আর মেয়েদের এটা মেনে নেয়া উচিৎ যে তাদের বেশিরভাগই একটু ক্রিমিনাল-গোছের।

মেয়েরা এতো বেশী বৈষয়িক যে, তাদের ভালোবাসা আসলে ভালোবাসাই না, পুরাই অভিনয়! বৈষয়িক বিষয়ে টান পড়লেই তাদের ক্ষিপ্ররূপ পরিলক্ষিত হয়।

আমার বউ সপ্তাহে ৩ দিন/রাত বাপের বাড়িতে গিয়া থাইকাও নিজের শখ মিটে নাই আর তার পিতা মাতারও সন্তুষ্টি আসে নাই! এগুলা স্রেফ বদমাইশ, কিন্তু চিন্তার বিষয় এই যে – এরকম বদমাইশ কি আমাদের কর্মফল হিসেবে? না-কি পরীক্ষা হিসেবে? খুব সম্ভবত পরীক্ষা ...

ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ নিজে না ফিরাইলে, এরকম পরীক্ষায় আমার পাশও কেউ কখোনো ঠেকাইতে পারে নাই, ভবিষ্যতেও পারবে না ...
272697
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:১০
সত্যলিখন লিখেছেন : মা একটা রাত মেয়েটাকে কোলে নিয়ে শোয়ার ইচ্ছা বুকে নিয়ে কবরে চলে যায় । মায়ের মরা মুখটা দেখতে যাবে বলে তাকে মায়ের মরার খবরও শুনান নাই । তারপরও বলবেন মেয়েরা কেন এমন করে? আমি বলব তা আপনার ব্যর্থতা ।আপনি সেই ভাবে গড়ে তুলতে পারেন নাই । আপনারা প্রথম বঊ কে মধুর চেয়ে মধু মনে করে মাথায় তুলে নাচেন । তখন বউ এর সামনে মা বাবা বা অন্যদের কে দুইটা শুনায়ে আরো মন পেতে চেষ্টাও কম করেন না । পরে যখন আর মাথায় সহ্য হয় না তখন সোজা করতে গিয়ে হয়ত ভেঙ্গে ফেলেন না হয় ছিড়ে ফেলেন । তবে ইসলাম বলেছে পুরুষের বাকা হাড়ে তৈরী মেয়েরা তাই অতি কঠিন হতে না আবার একেবারে সোজা করতেও যেতে না। তার চেয়ে উত্তম কোমল ও ভদ্র ব্যাবহারে আপনার দাম্পত্য জীবন সুন্দর করে নেওয়া। হাতের আংগুল সব এক সমান না কিন্তু আপনার স্বার্থে আপনি তা মিলিয়ে নিয়ে ভাতের নোকমা টা মুখে তুলে নিজের পেট্টা ঠিকই ভরায়ে নেন । তাই ইসলাম মানে শান্তি । তা আপনি নিজের জন্য ও সবার জন্য ।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:১৮
216821
বুড়া মিয়া লিখেছেন : বুঝতে আমি ব্যর্থ হই নাই আপু; আমার জীবনের কারগুজারী সব আমি জানি এবং আমার আশে পাশের অনেকেই জানে; অনেক জায়গায়-ক্ষেত্রে আমি ব্যর্থ-পর্যবসিত হয়ে প্রমাণিত হওয়ার পরেও আবার সদর্পে ফিরে আসা আমার নিজেকেই না শুধু, আশে পাশের পরিচিত অনেককেই নতুন করে ভাবায়! আর এরকম উপলব্ধি আমার অনেক থাকায় – এসবকে এখন আমার আর ব্যর্থতা মনেই হয় না; কারণ এরকম অনেক কিছুই আমি দেখেছিলাম আগে; মনে হতো এর দোষ, ওর দোষ বা আমার দোষ – কিন্তু পরে ব্যাপারগুলো অন্যরকম হয়ে গেছেঃ এবং এরকম অনেক ব্যাপারই এখন আমাকে হাসায়!

তবে কোন পুরুষের তার বউয়ের উপর ঐরকম নির্মম হওয়া উচিৎ না, যাতে অন্তত মাসে একবার বাবা-মায়ের মুখ দেখা থেকেও বঞ্চিত হয়।

ভাঙ্গার মতো মেয়ে না হলে, ভাংবে না! আর ভাঙ্গার মতো হলে ভেঙ্গে যাওয়াই উত্তম! রাসূল (সাঃ) এর বউদের সরাসরি অপশন দিয়েছিলেন রাসূল (সাঃ), হয় ভাংবে, নয়তো অনুগত ও বাধ্য হবে, রাসূল (সাঃ) এর বউরাই মেনে নিছেন সব, রাসূল (সাঃ) এর কম্প্রোমাইজ বা ভালোবাসা উগড়ে দিতে হয় নাই বউদের অমন দুনিয়াদারীর আবদারের জন্য।

এরকম অনেক সাহাবী (রাঃ) দেরও ঘটনা আছে নিশ্চয়ই।
272717
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:৪৭
সত্যলিখন লিখেছেন :
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:২৬
216827
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে; নেশাখোর, অপরিস্কার, জুয়াড়ী, বদচরিত্র স্বামীও ভালো হতে পারে – আদর্শ বউ হলে! আর বউ বদ হলে, স্বামী যতোই আদর্শবান হোক না কেন, কোন লাভ নাই! উদাহরনঃ নূহ (আঃ) এর বউ, লূত (আঃ) এর বউ, ইত্যাদি।
272736
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:০৬
অসহায় মুসাফির লিখেছেন : ঐ টক-জাল লাইফে এখনো যাইনি,তাই বিষয়টির উপর তেমন কমেন্ট করতে পারছিনা। তবে মনে হচ্ছে টপিকের শেষের দিকে আপনার ক্ষোভ উপছে পড়ছে।বিবাহিত জীবনের চরম বাস্তবতা উপস্তাপন করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:১৯
216840
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আমার অনেক বন্ধু এবং পরিচিত মহলের অনেকেই এর চাইতেও অনেক বড় ঝামেলা পোহাচ্ছে! এগুলো নিয়ে আসলে প্রকাশ্যভাবে কেউ আলোচনা না করায়, এ সমস্যাগুলো সমাজ থেকে শুধরায় না! সবাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সামাজিকভাবে এসবের ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা করলে এই সম্পর্কের প্রতি নারী-পুরুষের মূল্যবোধ অন্যরকম হতো।

নারীরা হিন্দী-সিনেমা-সিরিয়াল দেখে মনে করে জীবন সেরকম; পুরুষরা কর্মক্ষেত্রে যুদ্ধ করে জানে জীবন আরেকরকম! অনেকের ঘরে ঘরেই এরকম সমস্যা, কিন্তু তাদের প্রায় সবাই মুখ-বুঝে পার করে দিচ্ছে এমন জীবন; আর একান্ত অপারগ হয়ে গেলে কারও কারও বিচ্ছেদ হচ্ছে সমোঝোতায়, আর এর চাইতে খারাপ পর্যায়ে গেলে মামলা-মোকদ্দমা হচ্ছে এগুলো নিয়ে, তবে আলটিমেট রেজাল্ট মামলা-মোকদ্দমায়ও একইঃ সোজা বিচ্ছেদ! শুধু শুধুই শত্রুতা একটু বাড়ে ওতে।

ধন্যবাদ আপনাকে।
১০
272739
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:৩৭
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ! Happy

আপনার দীর্ঘ পোস্ট এবং মন্তব্যগুলো পড়লাম! বরাবর আপনার সব লিখাগুলি পড়ি এবং কমেন্ট করি, অর্থনীতির উপর লিখাগুলো আমার জন্য বেশ চমকপ্রদ ছিল এবং পড়ে স্বীকার করতাম আপনি ভালো জ্ঞান রাখেন সে বিষয়ে!

নারী বিষয়ক লিখাতে মাঝে সাঝে বিতৃষ্না চোখ পড়লেও ভাবতাম আমাদের আরেকজন নতুন "হতভাগা" ব্লগারের মানসিকতা সম্পন্ন কেউ আছেন আমাদের মাঝে! Give Up

আপনার আজকের পোস্ট নতুন বুড়ো মিয়ার সন্ধান পেলাম! আপনার বৃত্তান্ত জেনে বুঝতে পেরেছি যথেস্ট জ্ঞানী ব্যক্তি আপনি! আপনাকে উপদেশ দেয়া সাজে না!

বিয়ের আগে পাত্র পাত্রীর তাকওয়াকে সন্ধান করতে এজন্যই নির্দেশ দেয়া হয়েছে! দুনিয়াতে সবকিছুতে পরীক্ষা আমাদের জন্য, এই পরীক্ষা কখনো টাকা, সম্পদ, যশ, ক্ষমতা কখনো পিতা মাতা, সন্তান আবার স্বামী স্ত্রীতে! আর শয়তান সবচাইতে বেশি খুশি হয় যখন কোন স্বামী স্ত্রীতে সমস্যা সৃস্টি করতে পারে!

আপনার স্ত্রী যদি ইসলামিক মনা হয়ে না থাকে তবে উনাকে ইসলামের শিক্ষায় সঠিক পথে আনা কঠিন হবে! আপনি আদৌ কি চান ঐ স্ত্রীর সাথে সংসার করতে? আপনার জ্ঞান, মর্যাদা,পৌরুষত্ব,ভালবাসা পারবে কি এক পথহারা স্ত্রীকে, মাকে সংসারমুখী করতে?

আপনার আদরের ছোট বুড়ামিয়া কিন্তু আপনাকেই ঘৃনা করবে, তাকে শিখানো হবে, জানানো হবে ওর বাবা ওর এক মুহুর্তের জন্যও কাছে আসেনি, খোঁজ নেয়নি! সন্তান কিন্তু আপনারও! আপনার দায়িত্ব বেশি!

৭ দিনের নোটিশে হুমকি দিয়ে বিয়ে করেছিলেন ভাবীকে?

ভাই, আপনি আত্নগরীমা বা আত্নঅহংকারের শিকার হন নি তো?

আপনার জন্য অনেক অনেক দোআ এবং শুভকামনা রইলো!কিছু মনে করবেন না ভাই বেশি বড় মন্তব্য হয়ে গেলো! Good Luck Praying
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:৫৬
216855
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আপু, কারও অন্তর চিড়ে তো আর দেখা যায় নাঃ তাকওয়া-সম্পন্ন কি-না। রিস্ক নিতে হয় এমন ক্ষেত্রে, আর সেরকম রিস্ক নিয়ে খালিদ বিন ওয়ালিদ এক গোত্র ধরে মেরে ফেলার পরে জানা গিয়েছিলো অন্তর চিড়ে তাকওয়া দেখা যায় না! অন্তর্যামী একমাত্র আল্লাহ-ই অবগত এ বিষয়ে।

যে মা, তার নিজের গর্ভের সন্তানকে দীর্ঘদিন পিতার মুখই দেখতে দেয় না, শুধু টাকা আর বাইয়ে বাইরে অযথা ঘোরাফেরার দাবী আদায় করতে, উল্টো আরোও পুজি হিসেবে ব্যবহার করে তার নিজের সন্তানকে স্বামীর কাছ থেকে তা আদায় করতেঃ আমার মনে হয় না, তাদের পক্ষে সহজে ফিরে আসা সম্ভব বা অন্য কারও পক্ষে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

আমি যখন লেখাপড়া না করে বন্ধু নিয়ে আড্ডা দিয়ে বেড়াই, তখন লেখাপড়া করবো বিয়ে করিয়ে দিলে আর আড্ডাবাজীও বন্ধ করবো - এ দাবীর প্রেক্ষিতে আমার মা-বাবা মেয়ে খোজা শুরু করেছিলো; তাদের সাথে পূর্বপরিচিতি ছিলো কিছুসময় একটা এলাকায় থাকার কারণে। এর পর আমরা যেখানেই থাকতাম মেয়ের মা – আমাদের এখানে বেড়াতে আসতো প্রায়ই। এইরকম সময়েও একবার হাজির হয়ে গিয়েছিলো মেয়ের মা, আমাদের বাসা থেকে তাকেও মেয়ে খুজতে বলায়, সে জানিয়েছিলো তার মেয়েকেও বিয়ে দিতে চান; আর কথায় কথায় সেখানেই ঐ মহিলা রাজী হয়ে যায়। মেয়ের ফোন নাম্বার দিয়ে যাওয়ায় কথা শুরু হলে, আমি ৭ দিন সময় দিলে – তাতেই তারা রাজী হয়। এরকম চলতে চলতে ৪ অথবা ৫ দিনের মাথায় কাবিন নিয়ে কথা উঠলে, তারা যা দাবী করেছিলো তার অর্ধেক আমরা বলায় তার বাবা বললো বিয়ে দিবে না; আমিও মেয়ে ফোন দিলে বলে দিলাম – আর ফোন দিবে না, কারণ তোমার বাবার সাথে কাবিন নিয়ে দ্বিমতের কারণে বিয়ে হবে না বলেঃ কথা ফাইনাল হয়েছে।

ফোনেই মেয়ে কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করে এবং তার বাবা-মায়ের সাথে হাউকাউ করে, তাদেরকেও রাজী করিয়ে আমাকে আবার ফোন দিয়ে কনফার্ম করে, আমি প্রথম রাজী না হলেও, বাসার সবাই রাজী হতে বলায় – রাজী হয়েই ৭ম দিনে বিয়ে করে ফেলেছিলাম; এটা তার অভিনয়ের শুরু আমি বুঝতে পারি-নি, ভেবেছিলাম আমার প্রতি অত্যন্ত ভালোবাসায় সে টাকার দিকে না তাকিয়েই আমার সাথে ঘর করবে।

এভাবেই চলতে চলতে এ অবস্থা আর কি! ‘বুড়া মিয়া’-র ভাগ্য ওর উপরেই ছেড়ে দিয়ে, নতুন করে ভাবতে হবে মনে হচ্ছে আমার।

আমার মনে হয় আমার চাইতে, তাদের আত্নগরীমা এবং অহংকার অনেক বেশী।
১১
272746
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:২০
চেয়ারম্যান লিখেছেন : বুঝতেছিনা কি কমেন্ট করমু Surprised Surprised
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:৫৮
216857
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আরে কমেন্ট কেনো? আশে পাশে জনগণের কার কার ঘরে এমন অবস্থা চলতাছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট করেন খালি!
১২
272747
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:২৬
কাহাফ লিখেছেন :
ভদ্রতা-সামাজিকতার মিথ্যা মুখোশে আপনার লেখা-মন্তব্যগুলো মেয়েদের প্রতি আক্রমণাত্বক প্রতিয়মান হলেও, এর নির্মম সত্যতা অস্বীকার করা যায় না কখনো।
আপনার লেখনীর সাথে ১০০% সহমত পোষণ করি আমি সব সময় ই।
যোক্তিকতায় পুর্ণ নান্দনিক উপস্হাপনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ব্লগার বুড়া মিয়া ভাই... Rose
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:৫৮
216858
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ কাহাফ ভাইকে ...
১৩
272753
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৫:১০
শেখের পোলা লিখেছেন : অনেক বাদানবাদ ও পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা হয়ে গেছে৷ আমি ওসবে গেলাম না৷ মাটি দিয়ে ইচ্ছে মত হাঁড়ি পাতিল, প্রতিমা অেক কিছুই তৈরী হয়৷ তাই বলে সব মাটিতে হয়না৷ চেষ্টা করেও যখন সমাধান হলনা, তখন ইসলামেই পথ করে রেখেছে৷ স্বয়ং রসুল সঃ জায়েদ ইবনে হারেশ ও জয়নাব রঃ মাঝে সমঝোতা আনতে না পেরে তালাকের অনুমতি দিয়ে ছিলেন৷ তাই বিচার নিজেদের৷
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৫:২০
216860
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এ বিষয় নিয়ে লিখতে শুরু করার পর মনে হলো, জীবন থেকে নেয়া কিছু তুলেই দেই। তাই আপনার মতো, না বলা অনেক কথার কিছু বলে হালকা হলাম একটু।

হ্যা, আমার এ চলার পথের বিচ্ছেদই শেষ গন্তব্য বলে আমার ধারণা ...
১৪
272770
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৭:০৪
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সরি আপনার সাথে একটা বিষয়ে একমত হতে পারলাম না! আপনার বউ আপনার বাবা মায়ের সেবা করার জন্যো বাধ্য নয় বরং আপনি বাধ্য। অতএব আপনি তাকে এই বিষয়ে আদেশ করতে পারেন না! ইসলাম বলেনি শ্বশুর শ্বাশুরীর সেবা করতে হবে, বলছে স্বামীর সেবা করার কথা। যেসব বিষয়ে ইসলাম স্ত্রীর উপর স্বামীর কর্তিত্ব দিয়েছেন কেবল সেসব বিষয়ে আপনি আদেশ করতে পারেন। তবে স্ত্রীর উচিত স্বামীর বাবা মায়ের সেবা দেখভাল করা, যদি না করে, কাজের লোক রেখে করান, তবু তাকে বাধ্য করার অনুমতি ইসলাম আপনাকে দেইনি। একটা কথা মনে রাখবেন, যদি সে বাবার বাড়িতে পিতামাতার সেবা যত্ন করে থাকে, আহলে এখানেও নতুন বাবা মাকে একিভাবে দেখভাল করবে।

আর আপনাদের দাম্পত্য কলহ ব্লগে বর্ণনা মনে
মনে হয় কোন সমাধান বয়ে আনবেনা। ঘরের কথা বাহিরে কেন টেনে নিয়ে আসেন!!!!! যেখানে গেলে সমাধান হবে সেখানে বলুন না!

আর আপনার শ্বাশুরী সম্পর্কে যা বললেন, তা বেঠিক বলবনা, রাগের কারণেই এমন কথা বলতে পেরেছেন। তবে এমন হয়।
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:১৩
216884
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আমার জানামতে বউ স্বামীর যৌক্তিক আদেশ পালনে বাধ্য; আর ঘুরে ফিরে স্বামীর আদেশ বলতে পরিবারের দায়িত্বের কথা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। তাই ইসলামিক মতে অবশ্যই বউ সে দায়িত্ব পালনে বাধ্য।

আপনি যদি বলেন, স্ত্রী সেটা করতে বাধ্য না, তবে সারাদিন পশুপালন বা ক্ষেতে কাজ করে অথবা কর্মক্ষেত্রে থেকে পুরুষ কিভাবে ঘরে থাকা পিতা-মাতার সেবা করবে দিনভর? আর সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত স্বামীর গৃহে স্ত্রী এ দায়িত্ব পালন না করলে, কি করবে? অন্য কোন কারণ ছাড়া শুধুই স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের কোন বাধ্যবাধকতা প্রমাণের কোন যৌক্তিকতাও নেই ইসলামের আলোকে, বরং এরকম সম্পর্কের জন্য মুতআ-ই যথেষ্ট এবং প্রয়োজনের সময় এর ব্যবহারও হয়েছিলো।

ইসলামে আমার মতে কথাবার্তা বেশ স্পষ্ট; এবং ষ্টেপ বাই ষ্টেপ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। সন্তানকে আদেশ করা হয়েছে পিতা-মাতার সেবা করার; স্ত্রীকে আদেশ করা হয়েছে স্বামীর বাধ্য থাকার, আর একান্ত প্রয়োজন না পড়লে, স্বামীর ঘরে ছোট হোক বা ১০০ একরের বাড়ী হোক সেখানেই থাকার কথা বলা হয়েছে স্ত্রী-কে ইসলামে। সব একসঙ্গে মেলালে এটাই স্পষ্ট পুরা সংসারের দায়িত্ব স্ত্রীর উপরই বর্তায়, এটা অস্বীকার করার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ খুজে পাই-নি! তবে স্বামী সুযোগ পেলে স্ত্রীকে সাহায্য করতে পারে সাংসারিক এসব কাজে, নয়তো স্ত্রীকেই করতে হবে।
তাই আমি/আমরা আদেশ করতে বাধ্য, তবে স্ত্রী মানতে বাধ্য নয় – বিচ্ছেদ করে চলে যাওয়ার অধিকার তার রয়েছে।

এরকম কলহ শুধু যে আমার তা নয়, এরকম অনেক রয়েছে – তার একটা চিত্র আমার রয়েছে, তাই বলা আলোচনার প্রেক্ষিতে; সমাধান বিচ্ছেদেই আমি মনে করি, আর আশা করি হয়েও যাবে সময় মতো।
১৫
272785
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৫৬
আহ জীবন লিখেছেন : ভাই আসসালামু আলাইকুম। লিখার কথা বললে বলবো আপনার মনের অবস্থা ভালো ছিল না লিখার সময়। মাঝে মাঝেই বিস্মৃত হয়ে গেছেন। তবে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি রইল। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তবে আলোচনা যোগ্য।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৫০
217042
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আহ জীবন ভাইয়ের অনুধাবন অস্বীকার করবো নাঃ মনের অবস্থা অনেকদিন যাবতই খারাপ!

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ...
১৬
272813
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : দুঃথজনক! তবে এই ধরনের ঘটনা দেখেছি এবং নিজেও এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েছি। আমাদের টোটাল সামাজিক অবস্থার অবনতিই এই জন্য দায়ি। নারি অধিকারের নামে নারিদের যে শিক্ষা দেওয়া হয় তাতে অনেক নারি নিজেদের স্বামি কে সম্মত্তি ভেবে বসে। একই ভাবে অনেক পুরুষ ও স্ত্রিকে দাসির সমতুল্য মনে করে। কিন্তু কুরআন শরিফে পরিস্কার ভাবেই বলা হয়েছে স্বামি-স্ত্রির মধ্যে আল্লাহতায়লা বন্ধুত্ব কায়েম করে দেন এবং তারা একে অপরের পোষাক। স্ত্রী শুধু স্বামির আদেশ পালন করতে বাধ্য নন।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৫৫
217044
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আমার বন্ধু-বান্ধব এবং আশে-পাশের এরকম ১০ জনের স্যাম্পোল নিয়ে চিন্তা করে মনে হয়েছে, তাদের চাইতে তাদের স্ত্রীরাই এ জন্য বেশী দায়ী!

আমার মনে হয় আল্লাহ এরকম বন্ধুত্ব গড়ে দেয়ার আগে অন্তরে কাপন ধরানোর মতো ব্যাপক পরিক্ষা-নিরীক্ষা করেই তারপর দেন, অথবা কর্মফল আখিরাতের জন্য রেখে দেন।
১৭
273104
১১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আপনার জন্য আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে দোয়া করছি। সবকিছুর সুন্দর ফায়সালা হোক।

বর্তমানে আপনি আপনার কাঙ্খিত মানের স্ত্রী পাওয়ার সম্ভাবনা ১০% এরও কম। যুগ খারাপ বলে কথা যার প্রভাব ছেলে মেয়ে সকলের উপর পড়ছে। তাই যথাসম্ভব ছাড় দিয়ে হলেও সম্পর্ক জোড়া দেয়া যায় কিনা সেটি আরেকবার ভাবুন। আবারও শুভকামনা।
১১ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪০
217293
বুড়া মিয়া লিখেছেন : দোয়া এবং শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File