{}{} নিশ্চয় আল্লাহর কাছে যা আছে তা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে।{}{}

লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ২৪ জুলাই, ২০১৬, ০৫:৩৬:৪৮ সকাল

(বয়ানুল কোরআনের বাংলা অনুবাদ)

সুরা আন নাহল রুকু;-১৩ আয়াত;-৯০-১০০

৯০/إِنَّ اللّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالإِحْسَانِ وَإِيتَاء ذِي الْقُرْبَى وَيَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَالْبَغْيِ يَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

অর্থ;-নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায় পরায়নতা, সদাচরণ এবং আত্মীয় স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশালীনতা, অসঙ্গত কাজ ও অবাধ্যতা করতে বারণ করেন৷ তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা স্মরণ রাখ৷

# সমাজের অবকাঠামো ও পরষ্পর ভ্রাতৃত্ব বোধ বজায় রাখতে এ আয়াতটির উপদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে৷ জুমার খোৎবায় এ আয়াতটিকে সংযুক্ত করতে দেখা যায়৷ এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা তিনটি মৌলিক বিষয়ের উপদেশ ও তা স্মরণ রাখতে বলেছেন৷ সেগুলি হল; ন্যায় পরায়নতা বা আদল, আদল হল সকল বিষয়ে ভারসাম্য রক্ষা করা, যার যা প্রাপ্য তা যথাযত আদায় করা৷ এর পরেরটি হল সদাচরণ বা ইহসান, যা নিজের জন্য কম রেখে অন্যকে বেশী সুযোগ দেওয়া৷ আল্লাহ মুহসীনদের বেশী পছন্দ করেন৷ এর মাধ্যমে সমাজে ভ্রতৃত্ববোধ ও সৌহার্দ বৃদ্ধি পায়৷ আর তৃতীয়টি হল; আত্মীয় স্বজনের হক আদায় করা৷ মনে রাখতে হবে প্রত্যেকের সম্পদে প্রত্যেকের হক আছে৷ তাদের সুখ দুঃখে নিজেকে শামিল করা, সাধ্যমত সাহায্য সহযোগীতা করা৷ সুষ্ঠ সুন্দর সমাজ গড়তে এ গুলির বিকল্প নেই৷

আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতে এর বিপরিতে তিনটি বিষয়কে এড়িয়ে চলারও উপদেশ দিয়েছেন৷ তা হল; বে হায়া পনা বা অশালীনতা পরিহার করতে বলেছেন৷ কেননা যখন কারও লজ্জ্বাবোধ না থাকে তখন সে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে, যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়৷ অসঙ্গত কাজ বা অবাধ্যতাকেও পরিহার করতে বলেছেন৷ অবাধ্যতা বলতে সামাজিক নিয়ম নীতির প্রতি অবহেলা আর অসঙ্গত কাজ তাই যা নিজের বিবেকও অন্যায় বলে মনে করে৷ আর তৃতীয়টি হল; অবাধ্যতা বা বাড়াবাড়ি বা সীমা লঙ্ঘন করা, তা যদি সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য হয় তবে তা হয় বিদ্রোহ, অত্যাচার আর জুলুম৷ আর যদি আল্লাহর জন্য হয় তা হয় কুফরী৷

৯১/وَأَوْفُواْ بِعَهْدِ اللّهِ إِذَا عَاهَدتُّمْ وَلاَ تَنقُضُواْ الأَيْمَانَ بَعْدَ تَوْكِيدِهَا وَقَدْ جَعَلْتُمُ اللّهَ عَلَيْكُمْ كَفِيلاً إِنَّ اللّهَ يَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ

অর্থ;-আল্লাহর নামে অঙ্গীকার করার পর সে অঙ্গীকার পূর্ণ কর এবং পাকা পাকি কসম করার পর তা ভঙ্গ করোনা, অথচ তোমরা আল্লাহকে জামীন করেছ৷ তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন৷

# এ আয়াত টি ‘মুশকিলাতুল কোরআনে’র অন্তর্ভূক্ত৷ আয়াতটির বিষয় বস্তু ও সম্পর্ক নিয়ে মুফাস্সীর গনের মাঝে মত ভেদ আছে৷ আমার গবেষণায় যা পাই তা হল; আয়াতটি আহলে কিতাবদের জন্য৷ যদিও সুরা ‘আন আম’এর আগে কোন সুরায় তাদের সরাসরি সম্বোধন করা হয়নি কিন্তু ইতি মধ্যে মদীনার আহলে কিতাব ওলামাদের কান খাড়া হয়ে গিয়ে ছিল৷ অনেকে বুঝেও নিয়ে ছিল যে শেষ নবীর আগমন হয়েঝে৷ যার পরি প্রেক্ষিতে তারা লোক মারফত বিভিন্ন প্রশ্ন করে যাচাই করত৷ সুরা ‘বাক্বারা’র পঞ্চম রকুতে যা বর্ণনা হয়েছে এখানে তারই পূর্বাভাস রয়েছে৷

তারা স্থানীয় গোত্রের কাছে পরাস্ত হয়ে বলত; ‘শেষ নবী আসার সময় আসন্ন, তিনি এলে অবশ্যই আমরা তার সাথে মিশে তোমাদের শোধ নেব’৷ এবং এ বিষয়ে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল৷ অথচ আজ তারা সেই শেষ নবীকেই অস্বীকার করে তাদের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করছে৷

৯২/وَلاَ تَكُونُواْ كَالَّتِي نَقَضَتْ غَزْلَهَا مِن بَعْدِ قُوَّةٍ أَنكَاثًا تَتَّخِذُونَ أَيْمَانَكُمْ دَخَلاً بَيْنَكُمْ أَن تَكُونَ أُمَّةٌ هِيَ أَرْبَى مِنْ أُمَّةٍ إِنَّمَا يَبْلُوكُمُ اللّهُ بِهِ وَلَيُبَيِّنَنَّ لَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ

অর্থ;-তোমরা ঐ মহীলার মত হয়োনা যে পরিশ্রমের পর কাটা সূতা টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলে, তোমরা কসম সমুহকে পারষ্পরিক প্রবঞ্চনার বাহানা রূপে গ্রহন কর এ জন্য যে যাতে একদল অন্যদল অপেক্ষা অধিক লাভবান হয়ে যায়৷ অথচ আল্লাহতো শুধু তোমাদের পীক্ষা করেন৷ আল্লাহ অবশ্যই কেয়ামতের দিন প্রকাশ করে দেবেন যে বিষয়ে তোমরা কলহ করতে৷

# একজন বিকার গ্রস্থ মহীলা অনেক পরিশ্রম করে চরকায় সূতা কাটার পর তা ছিঁড়ে নষ্ট করে এমন চরিত্রের সাথে আহলে কিতাবীদের তুলনা করে বলা হয়েছে যে, তোমরাও তিলে তিলে যে বিশ্বাস গড়ে তুলে ছিলে ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে ছিলে আজ শুধু মাত্র এ কারনেই তা প্রবঞ্চনায় পরিনত করছ যে, অন্য গোত্র তোমাদের চাইতে মর্যাদাবান হয়ে যাবে৷ অথচ সাক্ষী হিসেবে তোমাদেরই প্রথমে মেনে নেওয়া উচিৎ ছিল৷ মনে রেখ, আল্লাহ তোমাদের পরীক্ষাই করছেন৷ তোমরা যদি সত্যের পূজারী হতে তবে সত্যকে মেনে নিতে আর যদি বংশের পূজারী হও তবে জেনে রেখ; আল্লাহ ইচ্ছা করলে যে কোন বংশ বা কওম কে বিলীন করে অন্যকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, যেমন তোমাদেরই হজরত ওজায়ের আঃ এর অনুরোধে পুনরায় অস্তিত্বে এনেছেন৷ উত্তর পুরুষ হিসেবে তোমরা উভয়ই হজরত ইব্রাহীম’ আঃ এর বংশ ধর৷ বণী ইস্রাইলে দুই হাজার বছর যাবত নবুয়ত চলে আসছে বলে বনী ইসমাঈলে তা আসবে না এমন নয়৷ তোমাদের এ কলহের বিষয় বস্তু কেয়ামতের দিন প্রকাশ করা হবে৷

৯৩/وَلَوْ شَاء اللّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلكِن يُضِلُّ مَن يَشَاء وَيَهْدِي مَن يَشَاء وَلَتُسْأَلُنَّ عَمَّا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

অর্থ;-আল্লাহ ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে এক উম্মত করে দিতে পারতেন৷ কিন্তু তিনি যাকে খুশী বিপথগামী করেন ও যাকে খুশী পথ দেখান৷ তোমরা যা কর সে বিষয়ে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে৷

# আয়াতটি অন্য ভাবেও অর্থ হয়; যে বিপথগামী হতে চায় তাকে আল্লাহ বিপথগামী করেন আর যে হেদায়েত চায় তাকে আল্লাহ হেদায়েত দান করেন৷

৯৪/وَلاَ تَتَّخِذُواْ أَيْمَانَكُمْ دَخَلاً بَيْنَكُمْ فَتَزِلَّ قَدَمٌ بَعْدَ ثُبُوتِهَا وَتَذُوقُواْ الْسُّوءَ بِمَا صَدَدتُّمْ عَن سَبِيلِ اللّهِ وَلَكُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ

অর্থ;-তোমরা স্বীয় কসম সমুহকে পারষ্পরিক কলহ দ্বন্দের বাহানা করোনা৷ তা হলে দৃঢ় ভাবে প্রতষ্ঠিত হওয়ার পর পা ফসকে যাবে৷ আল্লাহর পথে বাধাদান করার জন্য শাস্তির স্বাদ গ্রহন করবে৷ আর তোমাদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি৷

# তোমরাই এক সময় যাকে মেনে নেয়ার বিষয়ে কসম করে ছিলে আজ তাকেই যাকে নিজেদের সন্তানের মত করেই চিনেছো তাকে না মানার কসম করে নিজেদের মাঝে কলহ সৃষ্টি করে ধ্বংসের কারণ তৈরী করছো৷ আল্লাহর পথে বাধা দেওয়ার অপরাধে তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে৷

৯৫/وَلاَ تَشْتَرُواْ بِعَهْدِ اللّهِ ثَمَنًا قَلِيلاً إِنَّمَا عِندَ اللّهِ هُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

অর্থ;-তোমরা আল্লাহর অঙ্গীকারের বিনিময়ে সামান্য মূল্য গ্রহন করো না৷ নিশ্চয় আল্লাহর কাছে যা আছে তা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে৷

# জাগতীক সম্পদ অপেক্ষা পারলৌকীক সম্পদ অনেক শ্রেয়৷ যদি মানুতা জানত তবে, দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে আখেরাতের সেই সম্পদ সংগ্রহের পিছনে লেগে থাকত৷

৯৬/مَا عِندَكُمْ يَنفَدُ وَمَا عِندَ اللّهِ بَاقٍ وَلَنَجْزِيَنَّ الَّذِينَ صَبَرُواْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ

অর্থ;-তোমাদের কাছে যা আছে তা নিঃশ্বেষ হয়ে যাবে আর আল্লাহর কাছে যা আছে তা শেষ হবেনা৷ যারা সবর করে আমি তাদেরকে প্রাপ্য প্রতিদান দেব তাদের উত্তম কর্মের প্রতিদান স্বরূপ, যা তারা করত৷

# সৎকর্ম যেমন ছোট বড় আছে তার বদলা পূন্যও তেমনই কম বেশী আছে৷ যারা জাগতীক সম্পদের মোহ ত্যাগ করে পারলৌকীক সম্পদের জন্য সবর করে থাকবে আল্লাহ তাদের এ ত্যাগের বিনিময়ে বড় ভাল কাজের মতই বদলা দেবেন৷

৯৭/مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ

অর্থ;-যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ইমানদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তারা যা করত তার জন্য তাদেরকে শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার দান করব৷

# যারা দুনিয়ায় সৎকাজ করে তারা পুরুষ হোক কিংবা নারী যদি ইমানদার হয় তবে আল্লাহ তাকে দুনিয়ায় প্রশান্তি জীবন দিয়ে থাকেন ও পরে তাকে শ্রেষ্ঠ পুরষ্কারে ভূষীত করবেন৷ বাহ্যত হতে পারে সে জরা গ্রস্থ, অভাবী, দীন দুখী কিন্তু তার অন্তরে থাকবে প্রশান্তি৷ বলা হয়েছ ‘ইন্না আউলিয়া আল্লাহে লা খাউফুন আলাইহীম অলাহুম ইয়াহ জানুন’৷ রসুল সঃ বলেছেন; ‘আল গেনা গেনান্নাফস্’, অন্তরের ধনীই প্রকৃত ধনী৷ যার অগাধ আছে তার যদি আরও পাওয়ার আকাঙ্খা থাকে তবে সে অবশ্যই ফকীর৷

৯৮/فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآنَ فَاسْتَعِذْ بِاللّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

অর্থ;-অতএব যখন আপনি কোরআন পাঠ করেন, তখন বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করুন৷

# এ আয়াতের শিক্ষা থেকেই কোরআন পড়ার আগে ‘তাউজ’ করা বা ‘আউজু বিল্লাহে মিনাশ শাইতুয়ানের রাজীম’ পড়ার আদেশ বলবৎ হয়৷

৯৯/ إِنَّهُ لَيْسَ لَهُ سُلْطَانٌ عَلَى الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ

অর্থ;-নিশ্চয় তার কোন ক্ষমতা নেই তাদের উপর যারা ইমান এনেছে এবং স্বীয় রবের উপর ভরসা রাখে৷

১০০/إِنَّمَا سُلْطَانُهُ عَلَى الَّذِينَ يَتَوَلَّوْنَهُ وَالَّذِينَ هُم بِهِ مُشْرِكُونَ

অর্থ;-তার ক্ষমতাতো চলে কেবল তাদের উপর যারা তাকে অভিভাবক মনে করে এবং যারা আল্লাহর শরিক সাব্যস্ত করে৷

# যারা আল্লাহর উপর পোক্ত ইমান রাখে, ‘রাজী বা রেজায়ে রব’ মনে করে, আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখে, শয়তানের আধিপত্ত তাদের উপর খাটেনা৷ আর যারা আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে অক্ষম, তার সাথে অন্যকে শরিক করে, শয়তানকেই আপন অভিভাবক বা উপদেষ্টা মনে করে, শয়তান তার উপরেই আধিপত্ত বিস্তারে সক্ষম হয়৷

বিষয়: বিবিধ

১৫৯৬ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375166
২৪ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam brother. Very beautiful writing to realise n follow the right path mashallah.
২৪ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
311134
শেখের পোলা লিখেছেন : অ আলায়কুমুস সালাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
375177
২৪ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমীন ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৪ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪০
311135
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।৷
375211
২৫ জুলাই ২০১৬ রাত ০৩:২৩
কুয়েত থেকে লিখেছেন : السلام عليكم ورحمة الله وبركاته بارك الله فيك وجزاك الله خيرا يا أخي الكريم নিশ্চয় আল্লাহর কাছে যা আছে তা তোমাদের জন্য উত্তম ভালো লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদ
২৫ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
311165
শেখের পোলা লিখেছেন : অ আলায়কুমুস সালাম অ রহমাতুল্লাহ। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩১ জুলাই ২০১৬ রাত ০৩:৩৫
311418
কুয়েত থেকে লিখেছেন : مرحبا بكم بارك الله فيك وجزاك الله خيرا وشكرا Good Luck
375235
২৫ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:০২
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কসমের বিষয়টি এখন মানুষের কাছে খুব সাধারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
জাযাকাল্লাহু খাইর
২৫ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪০
311166
শেখের পোলা লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন।আরবে এটা কথায় কথায় ছিল। ধন্যবাদ।
375366
২৭ জুলাই ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়ের চাচাজান ।
২৮ জুলাই ২০১৬ রাত ০৪:৫৩
311276
শেখের পোলা লিখেছেন : শুভেচ্ছা নিও। ভাল থাকো।
375911
০৫ আগস্ট ২০১৬ সকাল ১১:১৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আল্লাহর নামে অঙ্গীকার করার পর সে অঙ্গীকার পূর্ণ কর এবং পাকা পাকি কসম করার পর তা ভঙ্গ করোনা, অথচ তোমরা আল্লাহকে জামীন করেছ৷ তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন৷

আমরা বহু সময়ই কথা দিয়ে তা রক্ষা করিনা। মূলত সেটা আল্লাহর সাথেই কৃত ওয়াদা হয়ে যায়। আর আল্লাহর নামে কসম খেলে তো আরও সর্বনাশ। জাজাকাল্লাহ খায়রান
০৫ আগস্ট ২০১৬ রাত ১০:২০
311710
শেখের পোলা লিখেছেন : দেরীতে হলেও দেখে খুশী হলাম। ধন্যবাদ চাচা।
376387
১৭ আগস্ট ২০১৬ সকাল ১০:০৯
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : চাচাজান, আসসালামু আলাইকুম। আমি বুঝতে পারছিনা আমার কি করা উচিত তাই সাহায্যের আবেদন। যাহরাহ এর বাবা ইসলামকে গুরুত্ব দেননা, গতানুগতিক জীবন তার। পারিবারিক কলহের জন্য যাহরাহ এর চাচাদের সাথে সম্পর্ক নেই। মামা,খালা-খালু অর্থাৎ মায়ের দিকের আত্নীয়রা অধিকাংশই ব্যাংকার। মামা, খালারা নিত্যনতুন ব্যাংকার ছেলের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয় যাহরাহ এর বাবার কাছে। যাহরাহ তার বাবাকে বোঝাতে পারেনা যে, সুদ রিলেটেড কাজকর্ম কত জঘন্য ব্যাপার, আর ইসলামের দৃষ্টিতে কত ভয়ানক। "আরে এত ইসলাম মেনে এই যুগে চলা যায় নাকি? সরকারী ব্যাংকার ছেলের পাওয়ার, টাকা পয়সা, পরিচিতি কোনটার অভাব? জীবনে টাকা পয়সা ছাড়া চলা যায় নাকি? এমন ভাবেই তার বাবা ভাবেন।" সপ্তাহখানেক আগেই বাবা তাকে এক ব্যাংকার পাত্রকে দেখানোর জন্য বাধ্য করেই নিয়ে যায়। আমাকে বলল, কি করণীয়? বলেছিলাম, নিকাব পরে যেতে। যদি বরের পুরুষ কোন আত্নীয়-স্বজন সাথে আসে তবে তাদের সরাসরি বলতে যে, ইসলাম এটা এলাউ করেনা যে, আপনাদের সামনে আমি মুখ খুলব আর আপনারা আমাকে দেখবেন, তাই আমি শুধু বরের সামনে মুখ খুলতে রাজি আছি। বর যখন তোমার সাথে কথা বলতে চাইবে বা মুখ খুলতে বলবে, তখন বরকে বলবে, "নেকাব খোলার আগে আমার কিছু কথা আছে। আমার আপনার ব্যাংক জব নিয়ে আপত্তি আছে। দেখেন আল্লাহ বলেছেন, যারা সুদের পক্ষ অবলম্বণ করে তারা যেন আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেয়। সুদের দ্বারা ৭০টির বেশি গুনাহ হয় তার মাঝে নিম্নতম গুনাহ হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার। সুদ দাতা, সুদ গ্রহীতা, সুদের লেখক ও তার সাক্ষী সকলেই সমান অপরাধী এবং জাহান্নাম তাদের আবাস। নামাজ কবুলের ফরজ হল-পবিত্র শরীর, পবিত্র কাপড়, পবিত্র নামাজের স্হান, পবিত্র কাপড় দ্বারা সতর ঢাকা। কিন্তু ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হল হালাল ইনকাম। হারাম ইনকামের টাকায় কেনা খাবারে যে শরীর গড়ে ওঠে তা অপবিত্র ও হারাম, যে কাপড় কেনা হয় তা অপবিত্র ও হারাম, যে ঘর তৈরী করা হয় সেই জায়গাও অপবিত্র সেই জায়গায় নামাজও হারাম। তাই আপনার সুদের সাথে জড়িত থেকে আপনার নামাজ, রোজা, হজ্জ কোন ইবাদতই কবুল হবেনা। আপনার সাথে আমার বিয়ে হলে আমিও আপনার হারাম উপার্জনের ভাগিদার, হারাম ভক্ষণকারীণী হব, জাহান্নামের আগুন আমার জন্যও বৈধ হয়ে যাবে। তাই আমি রাজি হতে পারছিনা।"
আমি জানতাম ও পারবে কারণ ওর যে পরিমাণ সাহস তা আজকালকার দীনি ছেলেদের মাঝেও খুব কম দেখা যায়। আর ও সত্যি সত্যি বরের সামনে আর তার ফ্যামিলির সামনে আমার কথাগুলো মুখস্ত বলে গেছে। পাত্র তার মা বাবা আর চাচা, ভাইকে নিয়ে আসছিল ওকে দেখার জন্য। পরে ওকে পাত্রও নেকাব খুলতে বলার সাহস পায়নি তারা চলে গেছে। এরপর থেকেই যাহরাহ এর বাবা ওর উপর মারাত্নক রেগে গেছে। আর রাগটা এমন পর্যায়ের যে তার চিন্তাভাবনা এমন হয়ে দাড়িয়েছে, আমি তোকে চরম শিক্ষা দিব। আমি তোকে ব্যাংকার পাত্রের সাথেই বিয়ে দিব দেখি তুই কি করতে পারিস? তার মামা, খালা, খালুরাও কাজে লেগে গেছে। এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ছেলে ঠিক করা হয়েছে। তার খালাও এমন কিছু পাত্র নিয়ে হাজির হয়েছে। আমি আমার পরিচিত মানুষজনের কাছে বেশ কিছুদিনব যাবত দীনি পাত্রের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইনি। যাদের পাই সবাই গতানুগতিক। ভাল চেহারা, ভাল চাকরি এখন সুন্দর বউ চাই। দীনি পাত্র দাবিদার একজন দুজন পেলেও তারাও ইসলামের নানান অনুষঙ্গ পালনে অজুহাত পেশ করে। আবার অন্যরা একদম বেকার। জানিনা কি হতে যাচ্ছে? যেন তামাশা হচ্ছে। যাহরাহ দীনের ব্যাপারে খুবই কড়া। ইসলামের এটা মানছি কিন্তু ওটা মানতে রাজিনা- এমন ব্যাপারগুলো সে মানতে রাজিনা। দীনি পাত্র বলতে সে দীনি ছেলেই মিন করে, যারা অজুহাত পেশ করেনা। আপনার পরিচিতদের মাঝে এমন কেউ কি আছে, যে দীনি,হালাল ইনকাম করেন আর দীনি পাত্রী খুঁজছেন? যাহরাহ বিবিএ ২য় বর্ষের ছাত্রী, চট্টগ্রামের স্হানীয়।
২১ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৯:৩৫
312154
শেখের পোলা লিখেছেন : সংসারে ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত হতে পারছিনা বলে দুঃখিত। লম্বা মন্তব্য পড়ার সময়ও হলনা। পরে পড়ে নেব।
আমরা শুধু দাওয়াত দিতেই পারি। গ্রহণ করার দায়িত্ব তাদের। চেষ্টা করে যেতে হবে। ভাল থাক।
377014
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০১:৫৪
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

আশা করি ভালো আছেন, দুআ করবেন।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০৮:০৮
313016
শেখের পোলা লিখেছেন : মা শা আল্লাহ। ভাল থাকেন।
377295
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:১৭
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০৮:০৭
313015
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File