ঈদের দিন একটু হাসি!!! বাংলার সুলতান এর জিরাফ কূটনিতি!

লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ০৭ জুলাই, ২০১৬, ০১:৩৬:০৭ দুপুর

১৪১৪ সালে বাংলার সুলতান ছিলেন আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহ। তার দাদা সুলতান গিয়াসুদ্দিন আযম শাহ এর সময় চিনের মিং বংশিয় সম্রাটদের সাথে বাংলার স্বাধিন সুলতান দের সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়। চৈনিক মুসলিম অভিযাত্রি চেংহো ও এই সময় বাংলাদেশে এসেছিলেন। চেংহোর বিশ্বব্যাপি অভিযান গুলির মাধ্যমে চিনের তৎকালিন সম্রাট পেতেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপহার। কিন্তু আত্মগর্বে বলিয়ান চিনা সম্রাট এর কাছে পছন্দ হতোনা কোন বিদেশি জিনিস। মনে করতেন এর মত বা এর চেয়ে উন্নত সব কিছুই চিন দেশে আছে। খবরটা একসময় বাংলার সুলতানের কানেও পেীছল।

চিনা সম্রাট কে টেক্কা দেওয়ার জন্য তিনি খবর পাঠালেন এবার তিনি এক অদ্ভুত জিনিস চিনা সম্রাট কে উপহার পাঠাচ্ছেন। জিনিস ঠিক নয় এটা প্রানি যার নাম নাকি ”নিরামিশাষি বাঘ”! এই অদ্ভুত উপহার খবর পেয়ে চিনা সম্রাট তো ভিষন খুশি। এইবার এমন একটা জিনিস আসবে যেটা চিনে নেই। এই বিশেষ প্রানির আগমন উপলক্ষে অনেক অভ্যর্থনার ব্যবস্থা করলেন সম্রাট। বাংলার সুলতান এর দুতের পিছন পিছন সেই উপহার নিয়ে ক্যান্টন এর দিকে রওয়ানা হলো জাহাজ।

১৪১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেই উপহার পেীছাল চিনে। স্বয়ং সম্রাট অভ্যর্থনা জানালেন তাকে। দেখতে বিশাল হলেও চিতাবাঘের মত ফোঁটা ফোঁটা দাগ আছে শরিরে। সম্রাট স্বিকার করলেন এমন কিছু নেই তার বিশাল চিন সাম্রাজ্যে। তার পাত্রমিত্র তথা মোসাহেব রাও জয়ধ্বনি দিলেন যে এমন মহান সম্রাট ই এই প্রানি উপহার পেতে পারে! সম্রাট আরো জানলেন এই প্রানি শুধু নিরামিশাষিই নয় এটা বাঘের মত গর্জন ও করেনা। উপহার এর গর্বে গর্বিত সম্রাট বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞ হয়ে পাল্টা উপহার পাঠানর নির্দেশ দিলেন। যে দেশে এমন প্রানি জন্মায় সে দেশ তো চিনের মহান সাম্রাজ্যের চেয়ে আরো মহান হবেই!

যে প্রানিটি পাঠিয়ে বাংলার সুলতান চিনা সম্রাট কে কাবু করে দিয়েছিলেন সেটা হলো একটা জিরাফ!!! যদিও জিরাফ বাংলাদেশের প্রানি নয় কিন্তু এভাবেই ফাঁকি দিয়ে নিজের নাম কামিয়ে নিয়েছিলেন। মিথ্যাদিয়ে হোক চিনা সম্রাট কে একটা বাঁশ তো দেওয়া গেল!!

পাদটিকা:- কিন্তু এই সত্য বেশিদিন চেপে রাখা যায়নি যে জিরাফ বাংলাদেশের প্রানী নয়। তার ফলাফল বেচারা চেংহো কে পরের বছর আবার অভিযানে বের হয়ে আফ্রিকায় ঘুরে আসতে হয়েছিল। জিরাফ আফ্রিকায় পাওয়া যায় আসলে বাংলাদেশে না সেটা নিশ্চিত করতে।

বিষয়: বিবিধ

১৩০৬ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

374146
০৭ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:৫১
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া। সত্য ইতিহাসের আলোকে সুন্দর বিশ্লেষণ মাশাআল্লাহ। পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

ঈদ মোবারক।
০৭ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:৫৬
310432
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুমআসসালাম।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনাকেও ঈদ মুবারক।
374160
০৭ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:৩০
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার গল্পের মোরাল বুঝতে অসমর্থ হলাম।
০৭ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:৫৭
310433
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এটা আসলেই সত্য ঘটনা গল্প নয়!!! সুতারাং মোরাল আপনি যেটা বুঝবেন তাইইইই্ই!
ঈদ মুবারক!
374174
০৮ জুলাই ২০১৬ রাত ১২:০২
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া! ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৮ জুলাই ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
310457
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুমআসসালাম। আপনাকেও ধন্যবাদ।
374182
০৮ জুলাই ২০১৬ রাত ০৩:২১
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হাহাহাহাহাহাহা...ভারী মশকরা চীনা রাজার সাথে। কিন্তু জিরাফ দেখতে ঘোড়ার মত,বেকুফ রাজার তো এটাকে বাঘ মনে করার কথা না। হতে পারে তখন পশুদের ব্যাপারে মানুষের আজকের মত ধারনা ছিলোনা। যোগাযোগ ব্যবস্থার এত উন্নতিও ছিলোনা...
০৮ জুলাই ২০১৬ দুপুর ১২:৩১
310458
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এটা্ই কূটনৈতিক সাফল্য!!! জিরাফ কে বাঘ বলে চালাই দিতে পারা। গায়ে চিতাবাঘের মত দাগ তো আছে। যেমন গুলশান থেকে জাকির নায়েক এর পিছে লাগছে!!
374186
০৮ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৬:২৮
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : হাহা হাহা হাহাহা !
০৮ জুলাই ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
310459
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : হাস্যরত ধন্যবাদ!!!
374224
০৯ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৫:৪৬
কুয়েত থেকে লিখেছেন : চিনা সম্রাট কে একটা বাঁশ তো দেওয়া গেল!! ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদجزاك الله خيرا وشكرا لك عيد مبارك كل عام وانتم بخير
০৯ জুলাই ২০১৬ রাত ১১:০৫
310502
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
374238
০৯ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:৫৩
আবু জান্নাত লিখেছেন :
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
ঈদ মোবারক, Rose Rose Rose Rose تقبل الله منا و منكم

০৯ জুলাই ২০১৬ রাত ১১:০৬
310503
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওয়ালা্ইকুমআসসালাম।
আপনাকেও ধন্যবাদ ও ঈদ মুবারক।
374369
১১ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:৪৬
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : হাহাহা, রাজার সাথে রাজকীয় মশকরা!

আমি একটা বলি। সে সময় মার্কিন মুল্লুকের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিল ক্লিনটন আর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইয়োশোরি মোরি।
জাপানীদের ইংরেজী জ্ঞান ইয়েস, নো, ভেরিগুড পর্যন্ত। তো ইয়োশোরি মোরিকে শুধু ফরমালিটি মেইনটেইন করার মত টুকটাক ইংরেজী শিখানো হলে। যেমনঃ বিমানবন্দরে যখন ক্লিনটন তাকে রিসিভ করতে আসবেন তখন বলতে হবে- How are you? ক্লিনটনের উত্তরে বলতে হবে- am too.
মোরি যথারীতি আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে বিমানবন্দরে অবতরণ করলেন। তাকে রিসিভ করতে সস্ত্রীক এলেন বিল ক্লিনটন। দেখা হতেই মোরি খুব ভাব নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন-Who are you?
বিল ক্লিনটন একটু ভ্যাবাচেকা খেলেন প্রথমে। পরে বুঝতে পেরে স্বভাবসুলভ কৌতুকে বললেন-I am Clinton, Hilary's Husband. And you?

“I am too.”-ইয়োশোরি মোরি তড়িৎ জবাব।
১১ জুলাই ২০১৬ রাত ১১:০৬
310623
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : জাপানি বুদ্ধি ও কিন্তু বাঙ্গালি বুদ্ধির ধারে কাছে নাই!!!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File