সিরিয়ার প্রশ্নে কে সঠিক?

লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১১:৪৫:০৪ রাত

মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়া সংকট নতুন মোড় নিয়েছে সৌদি নেতৃত্বে নতুন সামরিক জোট গঠন ও সম্প্রতি এই জোটভুক্ত কয়েকটি দেশ নিয়ে আয়োজিত সামরিক মহড়ার জন্য। গত ৪-৫ বছর ধরে চলতে থাকা সিরিয়ার আভ্যন্তরিন সংঘাত এভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। মধ্যপ্রাচ্যে স্বৈরাচারি সরকার গুলিকে উৎখাত করা আরব বসন্ত সবচেয়ে বেশি ব্যার্থ হয়েছে সিরিয়াতে। যদিও মিসর সহ অন্যান্য দেশেও এই বিপ্লব এখন তার লক্ষচুত্য হয়েছে। কিন্তু সিরিয়াতে এটি কোন প্রভাব ই রাখতে পারেনি। এর প্রধান কারন সিরিয়ার শিয়া-সুন্নি বিরোধ। সিরিয়ার শাসক বাশার আল আসাদ শিয়া ইরান এর সম্পুর্ন সমর্থন পেলেও আসলে তিনি এবং সিরিয়ার প্রভাবশালি গোষ্ঠিটি হল আহলে বায়েত নামক একটি সম্প্রদায়। তাদের সাথে ইরানি শিয়াদের যথেষ্ট পার্থক্য আছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের প্রভাব বিস্তার এর স্বার্থে ইরান অন্য দেশগুলিতে আরব বসন্তকে সমর্থন করলেও সিরিয়াতে বাশার আল আসাদ কেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। দির্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই সংকট ঘনিভুত হয়েছে বাশার আল আসাদ এর সমর্থনে রাশিয়ার সরাসরি হস্তক্ষেপ এর জন্য। সিরিয়ায় রুশ হস্তক্ষেপ এতদিন ধরে সিরিয়া বিষয়ে নরমপন্থি থাকা তুরুস্ককে নিজের নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। যার ফলাফল সিরিয়াতে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে এখন উদ্যোগি হয়ে উঠেছে তুরস্ক। এই নতুন জোট এর বিশটি দেশ এখন সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রি মুহাম্মদ বিন সালমান এর নেতৃত্বে সিরিয়া সিমান্তে মহড়া দিচ্ছে। পরবর্তিতে সিরিয়াতে সরাসরি সামরিক অভিযান এর পূর্বপ্রস্ততি হিসেবেই এই মহড়া দেওয়া হচ্ছে।

এই সামরিক জোট এবং সিরিয়াতে এর হস্তক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন মুসলিম দেশে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ও তার ব্যাতিক্রম নয়। অনেকেই এই জোট এবং সিরিয়ায় সামরিক অভিযান এর উদ্যোগ কে সমর্থন করছেন। অনেকে আবার এই জোট কে মার্কিন-ইহুদি গোষ্ঠির দালাল বলে অভিহিত করছেন। আসলে উভয়ই ভুলের মধ্যে আছেন। পূর্ন মার্কিন সমর্থন থাকলেও এই জোট এর মূল উদ্যোক্তা তুরুস্ক ও সৌদি আরব উভয়ই নিজেদের ভুখন্ডগত নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সামরিক জোট এর উদ্যোগ নিয়েছে। সিরিয়াতে প্রথম থেকেই বাশার বিরোধি আইএস গোষ্ঠি তুরুস্ক ও সৌদির ও বিরোধি ছিল। এমনকি প্রথম দিকে তুরুস্ক বাশার আল আসাদ কে নিরব সমর্থন ও দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল তুরুস্কর নিতি বদলে দেয়। ক্রিমিয়া দখল এর মাধ্যমে রাশিয়া ভুমধ্য সাগরিয় এলাকায় প্রবেশ করার প্রচেষ্টা নিচ্ছে। যা নিশ্চিত ভাবেই রাশিয়া ও তুরুস্কের মধ্যে সংঘাত এর সৃষ্টি করবে। এই দিকে ইরান নিজেদের প্রভাব বিস্তার এর লক্ষে রাশিয়ার সাথে সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে। তুরুস্ককে চাপে রাখার উদ্দেশ্যই রাশিয়া সিরিয়ার সংকটে সরাসরি সামরিকভাবে জড়িত হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। একসময় পশ্চিমাদের নিকট মানুষ বাশার আল আসাদ এর এভাবে রাশিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়া পশ্চিমা শক্তিকেও উদ্বেগ এর সম্মুখিন করেছে। রাশিয়ার এই সরাসরি হস্তক্ষেপ এর কারনে আত্মরক্ষায় তুরুস্ককে পশ্চিমা সহায়তায় সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করছে। সৌদি আরব এর অবস্থা ও মোটামুটি তাই। ইরান রুশ সহায়তায় সিরিয়ায় শিয়া প্রভাব বিস্তার এর যে চেষ্টা করছে সেটা অবশ্যই সৌদি আরবের জন্য উদ্বেগ এর কারন। অন্যদিকে কিছুদিন আগে তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা নিয়ে ইরানের আচরন আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনিতির লংঘন। ইয়ামেন এর হুতি শিয়া গোষ্ঠিও ইরানের সমর্থন পাচ্ছে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে। যদিও ইয়ামেন এর সংখ্যাগরিষ্ঠ জায়দি শিয়া রাও হুতি বিরোধি। এই অবস্থায় সিরিয়ায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার করা ছাড়া সৌদি আরবের বিশেষ কোন পথ নাই।

আমরা মুসলিম বিশ্বে মিল্লাত বা উম্মাহ সৃষ্টি করতে পারিনি। এখনও আঞ্চলিক জাতিয়তাবাদ এ আক্রান্ত আমরা। সেখানে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক বা অভাবনিয় কিছু নয়। ফিলিস্তিন বিষয়ে ইরানের সকল সুউদ্যোগ কে সমর্থন করেও এই সত্য অস্বিকার করা যাবেনা যে আর্য বংশদ্ভুত ইরানি জাতি সেমেটিক আরব জাতির প্রতি বিদ্বেষ রাখে। সিরিয়ার পরিস্থিতির জন্য একক ভাবে সৌদিদের দায়ি করা অত্যন্ত বড় ভুল। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদেও উচিত শান্তির জন্য দোয়া ও চেষ্টা করা। এককভাবে সৌদি-তুরুস্ক জোট এর উপর দোষ চাপিয়ে যদি আমরা মনে করি যে তারা ইসরাইলি এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে সেটা একটি বড় ভুল চিন্তা।

বিষয়: বিবিধ

৪২৫৭ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

359773
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১২:২৪
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : লিখাটি অনেক ভাল লেগেছে, সে জন্য অনেক ধন্যবাদ। তুরস্ক আর সৌদি আরবের যুদ্ধে না জড়িয়ে উপায় নাই। আবারো ধন্যবাদ।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৬:৩২
298241
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
359774
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১২:৪৮
সত্যের বিজয় লিখেছেন : শিয়ারা নিপাত যাক।কসাই বাশার নিপাত যাক।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৬:৩৪
298242
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই ধরনের উগ্রতাই মুসলিম জাতিকে নষ্ট করছে।
359777
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০১:৪০
বাকপ্রবাস লিখেছেন : রাশিয়া বলেছিল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে যেতে পারে, তবে পরিস্থিতি ঘোলাটে, যুদ্ধাবস্থা হলে মধ্যপ্রাচ্য সহ গোটা বিশ্বে বিরূপ পরিস্থিতি হবে, আল্লাহ যেন বাশার হারামিকে তুলে নেন
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৬:৩৯
298243
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : হারান প্রভাব ফিরে পেতে রাশিয়াই এই যুদ্ধের জন্য বেশি উৎসাহি। নয়তো সিরিয়া রাশিয়ার জন্য কোনভাবেই মাথাব্যাথার কারন নয়। ধন্যবাদ।
359806
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০৩:৫২
আবু জান্নাত লিখেছেন : রাশিয়ার আগ্রাসনে সকল আরব দেশ ভয়ের মধ্যে আছে। বিশেষ করে শিয়াদের প্রভাব বৃদ্ধির কারণে আরব সুন্নি দেশগুলো চোখে আঁধার দেখছে।

তাই এই সামরিক জোট ও যুদ্ধকে নিজেদের অস্তিত্বের লড়াই বলা যেতে পারে। ধন্যবাদ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:৫৬
298271
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এটাই সঠিক। ইরানের চেয়ে রাশিয়া এখানে বড় ফ্যাক্টর।
359808
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৮
আহমদ মুসা লিখেছেন : বিশ্লেষণটা সুন্দর হয়েছে, তবে কিছুটা অতি সরলীয় ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। আমার মনে হয় এতো সহজেই সরলযোগ্য নয়। ব্যাপারটাকে আরো গভীরে গিয়েই চিন্তা করা দরকার।
আপনার এই বিশ্লেষণের সাথে নিচের স্ট্যটাসটাও পড়ে দেখতে পারেন। আমি নিয়েছি ফেইসবুকের একজন এক্টিভিস্টের টাইমলাইন থেকে।
===============
সাউদী আরবের মালিক(রাজা) সালমান-ইবনে-আবদুল আজীজের নেতৃত্বে সাউদী আরবের সাথে তুর্কী, পাকিস্তান, মিছর ইত্যাদি শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলো মিলে সিরিয়ার শোষক বাশার আল-আসাদ তথা রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠন করেছে। এই নিয়ে রাশিয়া ও মুসলিম ২ পক্ষের মাঝেই আলোচনা-সমালোচনা ও তর্কযুদ্ধ শুরু হয়েছে। কিছু অতি উৎসাহী মুসলিম রাশিয়াকে দুর্বল মনেকরে অদ্ভুত প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আবার তেমনি মুসলিম নামধারী কিছু ব্যক্তি ইরাকের মালাউন সরকার কর্তৃক সাউদী আরবকে হুমকি দেওয়ার ব্যাপারটি ঢোল পিটিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে প্রচার করছে। আবার কিছু ভাই সাউদী আরবকে মার্কিন দালাল ঠাউরে অদ্ভুত কথা প্রচার করছে। তাই একান্ত বাধ্য হয়েই এই নিয়ে লিখতে বাধ্য হচ্ছিঃ

এখানে কতোগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা দরকার, সেগুলো হচ্ছেঃ
১/ সাউদী আরব আমেরিকার দালাল তাই এই জোটও আমেরিকার জোট, কথাটা কতদূর সত্যি?
২/ সাউদী আরবের এই জোট আমেরিকার অস্ত্র বাণিজ্যকেই লাভবান করবে- এই উক্তিও কতখানী যথার্থ??
৩/ সাউদী আরব, তুর্কী, পাকিস্তান ও মিসর এই প্রধান ও শক্তিশালী ৪টি মুসলিম রাষ্ট্র কেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে চটে আছে??

আমি প্রথমেই সাউদী আরব আমেরিকার দালাল এইমর্মে আলোচনা কোরব। এই কথাটি সত্যি না, কারণ এটি ছিলো অতীত; ফাহাদের আমলে একথা ছিলো ১০০% সত্যি। আবদুল্লাহ্‌'র আমলে ছিলো আংশিক সত্যি, আর সালমানের আমলে একথার কোন ভিত্তি নেই। তুর্কীর সাথে সাউদী আরবের তুলনা দেওয়া যায়, যদি বলাহয় তুর্কীতে বোরখা নিষিদ্ধ, তুর্কী সামরিক বাহিনীতে নামায নিষিদ্ধ তাহলে যারা জানেন তারা সবাই বলবেনঃ হ্যাঁ এগুলো রাজ্‌ব তাইয়্যিব এরদোগানের আগে ছিলো, কিন্তু এগুলো সবই এখন অতীত। তেমনি কেউ যদি এখন সাউদী আরবকে আমেরিকার দালাল বলে তাও ভুল হবে। যারা এই নিয়ে সমালোচনা করে সেইসব নির্বোধদের এতটুকু ধারণাও নেই যে- বিশ্বে মুসলিমদের কোন নিজস্ব ব্লক নেই। বিশ্ব নামক এই গ্রহটা শক্তিশালী কিছু রাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের মাঝে বিভক্ত-এরাই বিশ্ব শাসন করে। এই শক্তি বলয়কেই ব্লক বলা হয়, বিশ্বে মোট ৩টি ‪#‎ব্লক‬ আছে(এখানে ইউরেশিয়া ও আফরিকার মূল মূল রাষ্ট্রই দেখানো হয়েছে), এসব ক'টি ব্লকই বিধর্মীদের। কারণ বিশ্বে মোড়লগিরি করার মতো ইচ্ছে মুসলিমরা ১০০ বছরের বেশি আগে থেকে ত্যাগ করেছে। তাই প্রধান-প্রধান/গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোর উচিত নিজেদের স্বার্থে কোন না কোন ব্লকে যোগদান করা-যে একাজটা করবে না সে নির্বোধ। যেমন গত শতকে উছমান্‌লী খালিফাহ্‌ জার্মানীর পক্ষে ১ম বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলো। তাহলে কি উছমানলী খিলাফাহ্‌কেও জার্মানীর দালাল বলবে নির্বোধেরা?? উছমানলীদের জার্মানীর পক্ষে ১ম বিশ্বযুদ্ধের কারণ ছিলো তৎকালীন বিশ্বের ৫টি ব্লকের(ব্রিটিশ, ফ্রেঞ্জ, রুশ, জার্মান ও মার্কিন) মাঝে জার্মানীই কেবলমাত্র মুসলিমদের জন্য ভালো ছিলো। তেমনি

বর্তমান কালেও ৩টি ব্লকের মাঝে মার্কিন ব্লকই মুসলিমদের জন্য তুলনামূলক ভালো। কারণঃ রুশ ব্লকের নিউক্লিয়াস রাশিয়া ইসলামের সাথে দুশমনি করছে আজ ৩,০০ বছর হলো। চায়নিজ ব্লকের নিউক্লিয়াস চীন ইদানিং ঝিংঝিয়াং প্রদেশে মুসলিমদের সাথে এমন আচরণ করছে যা- আমেরিকার মতো শয়তানও নিজ দেশের মুসলিমদের সাথে করছে না। যেমনঃ দাড়ি রাখা ও ইসলামী পোষাক পরা নিষিদ্ধ করণ, রোষা রাখলে কারাদন্ড এসব। তাছাড়াও সাউদী আরব বর্তমানে মার্কিন ব্লকভুক্ত কোন দেশ নয়। সাউদী আরব ২০১৪ সাল পর্যন্ত মার্কিন ব্লকের সদস্য ছিলো। এবং ইরানের মতো রাশিয়ার খাটি চামচাদের শত্রুতার হাত থেকে বাঁচার জন্য সাউদী আরবের দরকারও ছিলো আমেরিকার সাহায্যের-তাদের থেকে উন্নত অস্ত্র-শস্ত্র কেনার। কিন্তু সাউদী আরবের বর্তমান রাজা সালমান সাউদী আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়ার পরেই সাউদী আরব ২০১৪ সালে মার্কিন ব্লক থেকে বেড়িয়ে চায়নিজ ব্লকে যোগ দেয়। ১৬-২৭শে এপ্রিল ২০১৪ সালে "রাজা আবদুল্লাহ্‌'র তরবারী" নামক এক সামরিক মহড়ায় সালমানের উদ্যোগে ১ম বারের মতো চীন থেকে কেনা পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা হয়(যথা সময়েই এর ভিডিও আপলোড করা হবে ইনশা আল্লাহ্‌)। এর মাধ্যমেই সাউদী আরবের চায়নিজ ব্লকে প্রবেশের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে পরে। কিন্তু ২০১৫ সালে সালমান সাউদী আরবের মালিক তথা পবিত্র ও নিষিদ্ধ শহরদ্বয়ের সেবকে পরিণত হলে পুরো ব্যাপারটিই ঘুড়ে দাঁড়ায়। কারণ সালমান ভিন্ন ধাতুতে গড়া, তিনি সাউদী আরবের মতো ১টি দুর্বল সামরিক রাষ্ট্রে পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র সংযোজন করে শী'আ বিশ্ব ও তাদের গুরু ঠাকুর রাশিয়াকে তাঁক লাগিয়ে দেন। ‪#‎সালমানের‬ রাজত্বকালের শুরু থেকেই তুর্কী, পাকিস্তান ও মিছরের মতো মুসলিম বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপিত হয়, তখন থেকেই এই আলোচনা আল-জাজিরায় উঠে আসে যে সালমান কি তবে- এই ৪ রাষ্ট্র মিলে কোন নতুন ব্লক খুলতে চান?? আল-জাজিরার সেই টক-শো'র উত্তর আমি এখন পেলাম- নতুন জোট গঠনের মাধ্যমে। চলুন দেখে আসি কি আছে এই ৪ রাষ্ট্রের মাঝে? যে তারা ব্লক হওয়ার পথে? (চলবে)
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:০০
298272
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আলাদা পোষ্ট আকারে দিলে ভাল হতো।
প্রকৃত পক্ষে সৌদি আরব এখনও মার্কিন ব্লকেই রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সিরিয়া পরিস্থিতিতে তার জন্য আর কোন বিকল্প নাই। গভিরভাবে বিশ্লেষন করতে গেলে কিন্তু এটা এটা দেখা যাবে যে এটা ইসলামি উম্মাহ এর জন্য ক্ষতিকর অনেক কিছু সৃষ্টি করছে।
359809
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:০০
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : কিছু কিছু মানুষ গাধার চেয়েও মারাত্মক বেকুব নাকি ইসলামকে বিকৃতকারী ইরানী শিয়া সম্প্রদায়ের মিথ্যা অপপ্রচারে আক্রান্ত হয়েছে বুঝতে পারলাম না। বর্তমান সৌদি বাদশা সালমান এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদুগান কর্তৃক মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের ডাক এবং সমস্যা ও বিপদগ্রস্থ অসহায় মুসলিমদের রক্ষায় কার্যকরী উদ্যেগ নেয়াটাকে বিভিন্নভাবে শুরুতেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তারা শুধু কয়েকটি বিষয়েই তাদের চিন্তা ও ফিকির সীমাবদ্ধ করে রেখেছে অথবা তাদের মগজ খুব ভাল ভাবেই ধোলাই করতে পেরেছে কথিত ইরানী শিয়া অপদার্থরা। এসব বেকুকগুলো শুধু ব্যস্ত আছে সৌদি সরকারের কোথায় কোথায় দোষ পাওয়া যায় সেগুলোকে হাইলাইট করে বিকৃত করে প্রচারনায় আত্মনিয়োগ করা। ফিলিস্তিন নিয়ে কেন সৌদি রাজতন্ত্রের কোন ভূমিকা নেই, মিশরের নরঘাতক শয়তান জেনারেল ছ্যাই ছ্যাইকে কেন সমর্থন দিলো সৌদি সরকর, কেন আমেরিকার পদলেহন করছে সৌদি সরকার, কেন ইয়ামেনে হামলা করলো সৌদিয়া ইত্যাদি নানান ধরনের উদ্ভট প্রশ্ন। অনেকেই আবার আগ বাড়িয়ে সৌদি রাজতন্ত্রকে অবৈধ শাসন বলতেই দিধা করছে না। এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে। সংক্ষেপে বলা যেতে পারে- সৌদি-তুর্কি জোটে কথিত শক্তিশালী দেশ ইরান নেই কেন? তার কারণ হচ্ছে বর্তমানে মধ্যেপ্রাচ্যে যত ধরনের রক্তপাত হচ্ছে, মুসলমানদের যত খুন খারাবী হচ্ছে তার পেছনে মূল কলকাটি নাড়ছে ইরানী শিয়ারা। মুসলিম বিশ্বে শক্তিশালী প্রচার মাধ্যম না থাকার কারণে ইরানী শিয়াদের সাথে ইস্রাইলাইলের গোপন আতাত সম্পর্কে কিছুই জানে না মুসলমানরা আসলেই ইরানী শিয়ারা কত বড় দুশমন মুসলমানদের!!! ইরানে বর্তমানে যে পরিমান ইয়াহুদী বসবাস করে তার চেয়েও কম সংখ্যাক সুন্নী মুসলিমের সংখ্যা। কিন্তু ইয়াহুদীদের ইরানী রাষ্ট্রীয় সংবিধান অনুযায়ী যে সব নাগরিক সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় তার কিয়দাংশও দেয়া হয় না সংখ্যালগু সুন্নী মুসলিমদেরকে। ইরানের সংবিধানে স্পষ্ট লেখা আছে সুন্নীরা হচ্ছে আলাদা সংখ্যালঘু একটি জাতি। অর্থাৎ সুন্নীদেরকে ইরানী শিয়ারা মুসলমানই মনে করে না!!! অপর দিকে ইরানে বসবাসরত ইয়াহুদীদেরকে শিয়াদের মতো সবক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধে দেয়া হয়। সৌদিয়ার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ হচ্ছে মিশরে জেনারেল ছ্যাই ছ্যাইকে কেন সমর্থন দিলো? এসব অভিযোগকারীরা একটু যাচাই করার গরজ অনুভব করে না যে বাদশা সালমান সিংহাসনে আরোহন করার পর মিশরের সি সি সরকারকে রক্ষার জন্য নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়ার পূর্বের বাদশা আব্দুল্লাহর ২০০ বিলিয়ন রিয়ালের অনুদানের প্রতিশ্রুতি বাতিলে করে দেয়। অর্থাৎ সৌদিয়াতে বর্তমানে আব্দুল্লাহর অনুসৃত নীতি অনুসরণ করছে না নতুন বাদশা সালমান। তা ছাড়া পূর্বের বাদশা আব্দুল্লাহর আমলে আটক করা প্রায় দেড়’শোর বেশী শীর্ষস্থানীয় আলেমকে মুক্তি দেয়া হয়েছে যারা অতীতের রাজপরিবারের বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের সমালোচনা করার অপরাধে আটক রাখা হয়েছিল। সালমান বাদশা হওয়ার পর যে বিষয়টি গোটা বিশ্ববাসীকে হতবাগ করে দেয় তা হলো সমস্ত রাষ্ট্রীয় পটোকল ভঙ্গ করে দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্টের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে অপেক্ষমান অবস্থায় রেখে তিনি সোজা নামাজের জন্য দাড়িয়ে যান!!! আমরা সৌদি রাজা-বাদশাদের অন্ধ ভক্ত নই। কিন্তু সালমান বাদশা হওয়ার পর থেকে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ইতিবাচক কিছু আসার আলো এবং স্বপ্ন দেখার কারণ সৃস্টি হয়েছে। রাতারাতি একটি দেশ এবং তার প্রশাসন ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় সব পলিসিকে হঠাৎ বদলে দেয়া কি সম্ভব? কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বাদশা সালমানের এমন কিছু ভাল প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা আমেরিকান বলয় এবং পশ্চিমা ঘেষা থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষণ। তার আপন পূত্র গোড়া ইসলামপন্থী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মুহাম্মদ বিন সালমানকে তার প্রধান ডেপুটি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার মধ্যে অবশ্যই মুসলিম উম্মার জন্য অর্থবোধক মেসেজ রয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়। অথচ এই নিয়োগকে আমেরিকা, ইরানী শিয়া, পশ্চিমারা সহ্য করতে না পেরে তাকে বিশ্বের এক নম্বর বিপদ জনক ব্যক্তি হিসেবে বিশ্ব মিডিয়গুলোতে কভার স্টোরি করেছে!!! অনেকেই আবার সৌদি রাজতন্ত্রের বিরোধীতা করে তাদেরকে অবৈধ শাসক বলে তিরস্কর করছেন! রাজতন্ত্র, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, এক নায়কতন্ত্র ইত্যাদি বিষয়গুলো হলো রাষ্ট্র পরিচালনা এবং শাসনভার ভোগ করার কার্যপ্রণালী। এসব বিষয় নিয়ে আলাদা ফ্লটফর্মে বিতর্ক করা যেতে পারে। আমি সে বিষয়ে বিতর্ক করতে যাচ্ছি না। আমি এক্ষেত্রে আমি শুধু এতটুকু বলবো বিশ্বের অন্যতম স্বীকৃত গনতন্ত্রের চর্চাকারী দেশ ভারত এবং সৌদি রাজতন্ত্র শাসিত সৌদি আরবের মধ্যে তুলনা করতে করলো বলবো সমালোচনাকারীদেরকে সাধারণ নাগরিক কোন দেশের বেশী সূখে শাস্তিতে বসবাস করছে? কোন দেশের নাগরিক পূর্ণ নাগরিক মর্যাদা নিয়ে বসবাস করছে? আমাদের বাংলাদেশের কথায় বলুন। শেখ হাসিনাও তথাকথিত গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে রাষ্ট ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতার মসনদে বসে কি করছে না করছে সেদিকে না হয় নাই বা গেলাম।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:০২
298273
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সিরিয়া প্রশ্নে ইরান থেকে রাশিয়ার ভুমিকা গুরুত্বপুর্ন বেশি। শুধু ইরানের সমালোচনা করাও ঠিক নয়। কারন সেীদি আরব এর ভুল ও দোষ কম নয়।
359881
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:১৭
খোঁচা বাবা লিখেছেন : যত্তসব গাঁজাখুরি বিশ্লেষণ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০১:০৯
298317
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : গাঁজা খেয়ে কমেন্ট এর জন্য ধন্যবাদ।
359923
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০:০৩
যুমার৫৩ লিখেছেন : ...।তিনি এবং সিরিয়ার প্রভাবশালি গোষ্ঠিটি হল আহলে বায়েত নামক একটি সম্প্রদায়..।

সবুজ ভাই সম্প্রদায়টির নাম হলো আলাউই। অন্যদিকে "আহলে বায়েত" কথাটির অর্থ হলো "ঘরের লোকেরা"। এটা দিয়ে মুহাম্মদ(সা.) এর পরিবারকে বোঝানো হয়।

আপনার লেখাটি বেশ ভালো। তবে লেখাতে কুর্দি ও ভুয়া খিলাফত আইসিস এর কথা তেমন আসেনি। সমীকরণে ওরাও আছে, আর তাই পরিস্থিতি সত্যই বড় জটিল।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০:১৯
298328
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ।
আলাউই ও আহলে বায়েত একই উৎস থেকে আসা শব্দ। মুলত এই গোষ্ঠি নিজেদের দাবি করে আলি রাঃ এর উত্তরসুরি তাই আলাউই।
360024
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:২৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সুহৃদ বড় ভাইয়া। বিশ্লেষণধর্মী মূল্যবান লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।

স্বার্থান্বেষী মুসলিম নেতারা অমুসলিমদের খপ্পর থেকে নিষ্কৃতি লাভ করুক তাঁদের বোধোদয় হোক মুসলিম উম্মার কল্যাণে এটাই কাম্য।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:১১
298425
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুমআসসালাম।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ। শুধু নেতাদের বোধোদয় এর চিন্তা না করে নিজেদের ও উদ্যোগি হতে হবে।
১০
360313
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:০৮
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : উম্মাহর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যূতে সৌদি আরবের ইতিবাচক নেতিবাচক দূটি ভূমিকাই রয়েছে। বিশেষ করে মিশরে তাদের ভূমিকাটা অনেক প্রশ্নবিদ্ধ। তবে সিরিয়া ইস্যূতে তাদের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত বাহবা পাওয়ার যোগ্য।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০৩:৪৪
298610
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমরা উম্মাহ গঠন করতে পারিনি এই সময়। সে জন্য তারা যা সিদ্ধান্ত নেয় সেটা তাদের নিজস্ব লাভক্ষতির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। ধন্যবাদ সু্ন্দর মন্তব্যটির জন্য।
১১
360372
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:৩৪
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : রিলোডেড...............
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৬:৫৭
298676
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বুঝলাম না!
১২
360482
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০১:৫৩
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া আমার মনে হয় সৌদিআরব ও তুরস্ক ভুল কাজ করেনি তারা সময়োপযোগী একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতদিন মুসলিম জাতি জিমিয়ে ছিল, তাই অমুসলিম শক্তিগুলো মুসলিম তথা মুসলিম দেশ গুলোর সাথে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করেছে। এখন মুসলিমদের সামরিক মহড়া দেখে অমুসলিম দের ভীত নড়ে উঠেছে। বর্তমান সৌদি বাদশা ও তার পুত্রকে আমার কাছে খুব ভাল ও সচেতন মনে হচ্ছে, এতদিন মুসলিম দের নানান ইস্যুতে তুরস্ক কথা বললেও এখন তুরস্ক একা নয়। আমি মনে করি এই জোট যদি টিকে থাকে ও আরোও শক্তিশালী হয় তাহলে নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য সুখবার্তা বয়ে আনবে।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:৪০
298743
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্য।
১৩
365417
১২ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:৩০
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আমি অনিয়মিত ব্লগার তাই এত দেরী করে আসা। আপনি যথেষ্ট জ্ঞানী একজন ব্লগার এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ভাইয়া দুটো বিষয় আমার ভাল লাগেনা। সেকুলার সোর্স থেকে নেয়া খবরাখবরের ভিত্তিতে আসলে কখনোই বাস্তবতার কাছাকাছি পৌছানো সম্ভব না। তাই আমার মনে হয় আপনার সিয়াহ সাত্তাহ এর ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত, বুখারীর কুরান সুন্নাহকে আকড়ে ধরা অধ্যায়, ইবনে মাজাহ এর ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত হাদিসগুলো ইত্যাদি নিয়ে বিস্তর পড়াশুনা করা উচিত। সূরা মারিয়াম, তওবা,রূম, কাহাফ, বনী ইজরাইল, ফুরকান,মুমিনুন ইত্যাদি সূরাগুলো ব্যাপারে প্রাচীন আলিমদের তাফসীরগুলি আপনার দেখা উচিত। আপনি একটি মতাদর্শে বিশ্বাস করেন, সেটি আসলেই কতটুকু কার্যকর? ইসলামের সাথে আদৌ তার কোন সংঘাত আছে কিনা? ইত্যাদিরও চুলচেরা বিশ্লেষণ করা উচিত। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
১৩ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০১:০৯
303271
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতির বিচার বর্তমান তথ্য দিয়েই করতে হয়। হাদিস কিংবা কুরআন এর ইঙ্গিত পূর্ন আয়াতগুলি বিম্লেষন করার জন্য অত্যন্ত উচ্চ স্তর এর জ্ঞান এর প্রয়োজন। ইসলাম শুধু ধর্মগ্রন্থে সীমাবদ্ধ নয়। নিজের বুদ্ধি বিবেচনা কাজে লাগানর সর্ম্পুন সুযোগ আছে।
১৪
369081
১৫ মে ২০১৬ রাত ০১:৫১
সায়িদ মাহমুদ লিখেছেন : এই বিডি টুডে ব্লগে, হাতে গুনা যে কয়জন ভাল চিন্তনশীল পড়ুয়া লেখক ব্লগ লিখেন ওনাদের মইধ্যে আপনি একজন। বিডি টুডেতে লগইন করিই, আপনি, ড. আজাদি, আরেকজন আতিক সাহেব; স্পেশালি ইনাদের লিখা পড়তে। আজকে ডুকে এইটা সহ আরো পাচটা লিখা পড়েছি। সব কয়টাতে নেগেটিভ মন্তব্য টাইপ করেছি। কারণ, একটি লিখা পড়েছি, আর ভেবেছি কি লিখেছে এইসব হাতির ডিম, গোড়ার ডিম। সময়টাই লস। আমার মনে হয়: ব্লগে আজ যা মন্তব্য করেছি তার মইধ্যে এটাই একমাত্র পজেটিভ মন্তব্য।

আল্লাহ্ আপনার লিখনির শক্তি আরো বাড়িয়ে দিক। সুস্থ শরীর দেহ মনের আপনাকে হায়াত দীর্ঘতর করুক।
১৫ মে ২০১৬ সকাল ০৭:২৫
306346
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : নেগেটিভ মন নিয়া পড়লে সব নেগেটিভ ই মনে হবে!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File