ফেসবুক মুফতি, টুইটার ওলামা এবং ব্লগার শাইখ। হায়রে মডারেট ইসলামিস্ট!!

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ০৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৯:০৩:৪২ রাত



শুধুমাত্র একটি হাদিস সংগ্রহ করার জন্য মাইলের পর মাইল, দিনের পর দিন, মরু-মেরু পার হয়ে, রোদ- ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সফর করতে হত পায়ে হেটে, উট-গাধা-খচ্চরে চড়ে—সে যুগে ইমাম বুখারী (রঃ) প্রায় তিন লাখ হাদিস এভাবেই সংগ্রহ করে মুখস্ত করেছিলেন যার মাঝে প্রায় সাত হাজার পাঁচশত হাদীস সংকলন করেছেন সহীহ বুখারীতে। প্রতিটি হাদীস লিপিবদ্ধ করার পূর্বে তিনি দুই রাকাত নফল স্বলাত আদায় করতেন। ইমাম আহমাদ (রঃ) তার মুসনাদে প্রায় ত্রিশ হাজার হাদিস সংগ্রহ করেছেন ঠিক এভাবেই অসীম কষ্টের বিনিময়ে। ইমাম আবু হানীফা (রঃ), ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ), ইমাম শাফি‘ঈ (রঃ), ইমাম মালিক (রঃ) প্রমূখ আলিমগণ, মুজতাহিদগণ ইসলামের জন্য যে অবদান রেখেছেন, ইতিহাস তার সাক্ষী হয়ে থাকবে। পাখির পালক বারবার কালিতে চুবিয়ে লেখার যুগে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ) এর লিখা কিতাবগুলি আজও আমাদের উজ্জীবিত করে যার হয়ত সামান্য জ্ঞানই আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি।

দিন বদলেছে অনেক, অতীত হয়েছে সব- তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের সব কাজকে সহজ করে দিয়েছে।কম্পিউটার মাউসের এক ক্লিকেই দুনিয়ার সব তথ্য আমাদের নাকের ডগায়। বুখারী-মুসলিমের অমুক অমুক হাদিস নাম্বার বা কোরানের একটা আয়াত নাম্বার লিখে গুগলে সার্চ দিলেই হাজার হাজার তথ্য-উপাত্ত আমাদের কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের স্ক্রিণে এসে হাজির হয়। আজ ফেসবুক (ফেৎনাবুক), টুইটার, হোয়াটসএপ, ভাইবার, স্কাইপে সহ কত শত জানা-অজানা ব্লগ-ফোরাম তরুণ-তরুণীদের নিত্যদিনের সঙ্গী। এসব সোশ্যাল সাইটও কিছু মানুষকে দ্বীনের ব্যাপারে জানতে সাহায্য করছে বা আগ্রহী করে তুলেছে- তাই এটা ভাল দিক। কিন্তু অনলাইনে আমি যখন একদল মুসলিম দাবিদার তরুণ-তরুণীদের সেকুলার সোর্স থেকে নেয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ইসলামের বিষয়ে নিজ মনমত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ প্রদান ও দম্ভভরে আলেমদের অবজ্ঞা প্রদর্শন করতে দেখি, তখন কিয়ামতের ভয়াবহতা আমাকে পেয়ে বসে, কিছু হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী নিজের চোখেই দেখতে পাই।

#রসূল ﷺ বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা হটাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইলমের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইলেমসহ ক্রমশ তুলে নেবেন। তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ঠ থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে। তারা মনগড়া ফাতওয়া দিবে ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ঠ হবে,অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ঠ করবে। (বুখারী, হাদিস নং: ৬৮০৯, অধ্যায় ৮১/ফিৎনা ও কিয়ামতের নিদর্শনসমূহ, পাবলিশার: ইফাবা)

# রসূল ﷺ বলেছেনঃ অবশ্যই কিয়ামতের পূর্বে এমন একটি সময় আসবে যখন সর্বত্র মূর্খতা ছড়িয়ে পড়বে এবং তাতে ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে। সে সময় হারজ- ব্যাপকতর হবে। আর হারজ- হল (মানুষ) হত্যা। (বুখারী: ৬৫৮৪, অধ্যায় ৮১- ফিৎনা, ইফাবা)

ফেসবুক থেকে টুইটার, টুইটার থেকে ব্লগ- এসব জায়গায় যেসব মুসলিম ছেলে-মেয়েরা আজ ইসলাম নিয়ে লেখালেখি করছেন, নিজ মতমত ইসলামের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ প্রদান করছেন, ফতোয়া দিচ্ছেন- তাদের ব্যাপারে একটু খোঁজ নিলেই আমি দেখতে পাই- এদের অধিকাংশই আলিম নয়, তারা সেকুলার শিক্ষায় শিক্ষিত। এমনকি অধিকাংশই আরবী জানেনা, আরবী ব্যাকরণ জানেনা, সীরাহ ও কুরআনের তাফসীর পড়ার অভ্যাস নেই, আলিমদের বড় লেকচার শোনার মত ধৈর্য নেই, ইজমা-কিয়াসের ব্যাপারে স্বচ্ছ কোন ধারণা নেই বরং তাদের ইসলামী জ্ঞানের উৎস হল "পছন্দের সম্প্রদায় কর্তৃক সরবরাহকৃত বা গুগল হতে সংগৃহীত একখানা কুরআনের বাংলা অনুবাদ এবং তর্ক-বিতর্কের প্রয়োজনে বাছাই করা অল্পকিছু বাংলা হাদিস।"

তাদের চালচলনেও ইসলামের চর্চা খুব কম। হয়ত মুখে দাড়ি নেই কিন্তু তার স্বপক্ষে দারুণ দারুণ যুক্তি প্রদর্শনে তারা সক্ষম। মেয়েরা হিজাব পরলেও নিকাব নিয়ে বিতর্ক পছন্দ করে।

সত্যি বলতে এরা জাস্ট অনলাইনে ফ্রেন্ডস, ফলোয়ার, লাইক, কমেন্ট ইত্যাদি ইনকামের লোভেই ইসলামকে কাজে লাগান তাই আলিমদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধটাও কম থাকে।

#কাব ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি "যে ব্যক্তি উলামাদের সাথে তর্ক করার জন্য, অথবা নির্বোধদের (মুর্খ) সাথে বাক বিতন্ডা করার জন্য, অথবা মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে ইলম অধ্যয়ন করেছে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।(সহীহ আত তিরমিযি, হাদিস# ২৬৫৪, হাদিসঃ হাসান)

অনেকেই প্রশ্ন করবেন: বারবার আলিমদের ব্যাপারে কথা বলা হচ্ছে কেন?? আলিম মানে তো জ্ঞানী। কুরআন-হাদিসে এমন কি আছে যে, তা বোঝার জন্য আলিম হতে হবে? বা আলিমদের নিকট থেকে জ্ঞান সংগ্রহ করতে হবে? যেহেতু আলিম মানে জ্ঞানী তাই কেউ যদি কুরআন-হাদিস থেকে নিজেই জ্ঞান আহরণ করে বুঝতে পারেন, তবে তাকে আলিম হিসেবে কেন মেনে নেয়া যবেনা???

উত্তর হল: সাধারণ ইলম বা বিদ্যা এবং মহান আল্লাহ এর পক্ষ থেকে আসা ওহীর ইলম এর মাঝে পার্থক্য আছে। যারা অহীর ইলম সম্পর্কে জানেন, বুঝেন ও মানেন তাদেরকেই আলিম বলা হয়। আলিমদের বা এই অহীর ইলমের একটা শিকল বা সংযোগস্হল বা ক্রমধারা আছে। নবী ﷺ ছিলেন মহান আল্লাহর রাসূল। জীবরাইল (আঃ) অহীর ইলম নিয়ে হাজির হতেন রসূল ﷺ এর নিকট এবং সেই ইলমের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও প্রায়োগিক দিকগুলি তিনি বুঝিয়ে দিতেন রসূল ﷺ কে। এজন্যই জিবরাইল (আঃ) কে বলা হয়, নবীদের শিক্ষক। প্রাপ্ত অহী এবং তার জ্ঞান রসূল ﷺ এর কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতেন সাহাবাগণ। আর এভাবেই অহীর জ্ঞান পরবর্তীতে বিস্তার লাভ করেছে সাহাবীগণ হতে তাবেয়ীদের মাঝে, তাবেয়ীদের মধ্য হতে তাবে-তাবেয়ীদের নিকট, তাবে তাবেয়ীনদের নিকট হতে মুজতাহিদ-ফকীহ, মুহাদ্দিস, ইমাম ও আলিমগণ। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ছিলেন যথাক্রমে তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ী কারণ তিনি ইলম অর্জন করেছেন সাহাবী ও তাবেয়ীদের নিকট হতে। ইমাম মালিক (রঃ) এর শিক্ষক ছিলেন শাইখ আব্দুর রহমান (রঃ) যিনি ছিলেন সাহাবী ফারুখ আনসারী (রাঃ) এর পুত্র। এভাবেই ইমাম শাফেয়ী (রঃ), আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ) থেকে শুরু করে ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রঃ) পর্যন্ত এবং তার পরের আলিমগণও একে অন্যের সাথে সম্পর্কিত ছিলেন ইলমের দিক থেকে। আর এভাবেই অহীর প্রকৃত ইলম বা জ্ঞানের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ পৌছেছে আমাদের নিকট। তাই ইসলামকে বুঝতে হলে আলেমদের এই ক্রমধারার ইলম হতেই আমাকে ইলম বা জ্ঞানের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণগুলি বুঝতে হবে। কিন্তু আমি যদি আলিমদের বাদ দিয়ে নিজেই কুরআন-হাদিসের শাব্দিক অর্থের উপর পড়াশুনা করে কুরআন-হাদিস বুঝে ফেলার চেষ্টা করি, কিছু বিজ্ঞান বা অন্য সেকুলার দর্শন অধিক কাজে লাগাই, তখন আমি প্রকৃত জ্ঞানের অধিকারী তো হবই না, বরং বিভ্রান্ত হয়ে অহংকারী হয়ে উঠব এবং আলিমদের সাথে অযথা তর্ক-বিতর্ক করব এটাই স্বাভাবিক।

রাসূল ﷺ বলেছেন: শেষ যামানায় (কিয়ামতের পূর্বে) একদল তরুণের আবির্ভাব ঘটবে যারা হবে স্থুলবুদ্ধির অধিকারী। তারা নীতিবাক্যগুলো আওড়াতে থাকবে। তারা ইসলাম থেকে (এমন দ্রুত গতিতে ও চিহ্নহীনভাবে) বেরিয়ে যাবে যেভাবে তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। তাদের ঈমান গলদেশ অতিক্রম করে (অন্তরে প্রবেশ) করবে না। ( বুখারী হাদিস নং: ৩৩৫৩, অধ্যায় ৫০/ আম্বিয়া কিরাম, ইফাবা)

কি সাংঘাতিক! তারা কুরআন-হাদিস পাঠ করবে অথচ তা তাদের গলদেশ অতিক্রম করে হৃদয়ে পৌছাবেনা।

এর অর্থ কি?? নাহ! আমি নিজের ব্যাখ্যা দিচ্ছিনা হাদিস থেকেই ব্যাখ্যা দিচ্ছি। প্রায় একইরকম কথা আল্লাহর রসূল ﷺ ব্যবহার করেছিলেন খারেজীদের বেলায়। তিনি বলেছিলেন_____________________

# ইরাক থেকে এমন একটি কওম বের হবে যারা কুরআন পড়বে সত্য,কিন্তু তা তাদের গলদেশ অতিক্রম করবে না, তারা ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়। (বুখারী-৬৪৬৫, অধ্যায় ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত/৮১, ইফাবা)

ইতিহাসে খারেজীরা কেমন ছিল? তারা আরবভাষী মুসলিম ছিল। প্রত্যেকেই কুরআন পাঠ করত। কিন্তু আচরণ??

ইবনে মুলজিম ফজরের নামাজের সময় আলী (রাঃ) এর মাথায় তরবারী দিয়ে আঁঘাত করল ফলে রক্তে তার দাড়ি ও মুখমন্ডল ভিজে গেল। এ অবস্হা দেখে ইবনে মুলজিম বলতে লাগল, বিধান প্রদানের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর। হে আলী! তোমারও নয়, তোমার সাথীদেরও নয়। ইবনে মুলজিমের উপর যখন কিসাসের শাস্তি প্রয়োগ করা হচ্ছিল তখনও সে কুরআন পাঠ করছিল। তারা মুয়াবিয়া (রাঃ) কেও হত্যাচেষ্টা করে কিন্তু বিফল হয়। কেন তাদের কাছে কুরআন থাকার পরেও তাদের ঈমান হৃদয়ে প্রবেশ করেনি? কেন তারা রীতিমত দুজন সাহাবীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল? হত্যার জন্য লোক নিয়োগ করল? একজনকে আহত ও অন্যজনকে নিহত করল? কারণ তারা সাহাবীদের অবজ্ঞা করে অহীর জ্ঞানকে নিজেদের মতামত ও নিজ ইচ্ছানুসারে সাজিয়েছিল আর তাই তারা বঞ্চিত হয়েছে প্রকৃত জ্ঞান অর্জনে যা তাদের প্ররোচিত করেছে খিলাফতের বিরুদ্ধে, খলিফার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে ও সাহাবী হত্যার মত জঘন্য পাপকর্মে।

যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাঃ) ছিলেন আশারায়ে মুবাশশারাহ এর অন্তর্ভুক্ত সাহাবী (পৃথিবীতে থাকতেই জান্নাতের বাসিন্দা হবার সুসংবাদ পেয়েছিলেন)। অথচ তার বৈশিষ্ট ছিল তিনি হাদিস বলতে চাইতেননা, কেউ জিঙ্গেস করলে তিনি অন্য সাহাবীর নিকট পাঠিয়ে দিতেন যিনি অধিক স্বরণশক্তির অধিকারী। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেন: আল্লাহর রাসূল বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন কোন হাদিস বলল যা আমি বলিনি সে নিজের স্হান জাহান্নামে বানিয়ে নিল" এজন্য আমার ভয় হয় যদি ভুলবশত কোন হাদিস বলে ফেলি তবে আমি জাহান্নামী হব।

আমি জানিনা আমাদের মডারেট তরুণ-তরুণীদের মনে এমন ভয় আসবে কবে??

জাঝাক আল্লাহ

আসসালামু আলাইকুম।

বিষয়: বিবিধ

২৮৬৮ বার পঠিত, ৪৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

356412
০৭ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:২৩
আবদুস সবুর লিখেছেন : রাসূল ﷺ বলেছেন: শেষ যামানায় (কিয়ামতের পূর্বে) একদল তরুণের আবির্ভাব ঘটবে যারা হবে স্থুলবুদ্ধির অধিকারী। তারা নীতিবাক্যগুলো আওড়াতে থাকবে। তারা ইসলাম থেকে (এমন দ্রুত গতিতে ও চিহ্নহীনভাবে) বেরিয়ে যাবে যেভাবে তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। তাদের ঈমান গলদেশ অতিক্রম করে (অন্তরে প্রবেশ) করবে না। ( বুখারী হাদিস নং: ৩৩৫৩, অধ্যায় ৫০/ আম্বিয়া কিরাম, ইফাবা)
১০ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:৫৭
296000
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। এখন তো এটারই বাস্তব রূপ দেখছি। জাঝাক আল্লাহ কমেন্ট করার জন্য। Good Luck Good Luck
356433
০৮ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ১২:৪৩
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১০ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:৫৮
296001
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : দুষ্টু ভাইয়া আসসালামু আলাইকুম। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য প্রদানের জন্য।Good Luck Good Luck
356435
০৮ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০১:১৯
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

শক্তিশালী লিখনী - বোধদয় হবার মত লিখা। মাশাআল্লাহ্‌।

আপনার লিখা পড়ে - আমার নিজেকেই প্রথমতঃ অমন অপরাধে অপরাধী বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে আপনি যে জ্ঞানের সোর্স ও তার ফ্লো এর এক্সক্লুসিভ সিলসিলা /মেকানিজম দেখালেন এবং যে আংগিকে কনক্লুশান ড্র করলেন।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে গন্তব্যশূন্য আজকের উম্মাহর গাইডেন্স - আলেম ওলামাদের কাছ হতে প্রবলভাবে প্রত্যাশা করতাম, তাদের কাছ হতে দিক নির্দেশনা বের করার জন্য কাজ করতে চাইতাম। রিসেন্টলী আলেম-ওলামাদের প্রাকটিক্যাল কিছু প্রবলেম এর সাথে পরিচিত হয়ে - সে প্রত্যাশা কমেছে।

আল্লাহ আমাদেরকে গাইডেড থাকার শক্তি বাড়িয়ে দিন, হক এর পথে, সবর এর সাথে চলার ক্যাপাসিটি বাড়িয়ে দিন এবং যা কিছু ভুল জীবনে হয়ে গিয়েছে - তা ক্ষমা করুন।

ধন্যবাদ।
১০ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১২
296003
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আসসালামু আলাইকুম। আমি আপনার লেখাগুলোর উপর বরাবরই নজর রাখি যদিও সীমাবদ্ধতার জন্য কমেন্ট পর্যন্ত যাওয়া হয়, আবার যাওয়া হয়না।
সূরা বাকারার ২৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "তিনি কাউকে একই আয়াত বা উপমা/নিদর্শন দ্বারা কাউকে বিভ্রান্ত করেন এবং কাউকে সঠিকপথে পরিচালিত করেন তবে ফাসিক ব্যতীত অন্য কাউকে তিনি বিভ্রান্ত করেননা।"
তাই কেউ নিজে নিজে কুরআন-হাদিসের অর্থ পড়েই সব বুঝে যাবে, আলেম হয়ে যাবে, ব্যাপারটি কিন্তু মোটেও এমন না, বরং সে বিভ্রান্তও হতে পারে কারণ এক্সপার্ট যেটা জানেন, যা তিনি জেনেছেন চেইনের দ্বারা সেটা আমি জানিনা তাই আমি নিছক নিজের মত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব ও বিভ্রান্ত হব কারণ নিজের মত করে যেহেতু বুঝার চেষ্টা করছি। হচ্ছেও তাই।
এজন্য কুরআন বলছে,
তোমরা যদি না জান তবে কিতাবের(অহী)জ্ঞান সম্পর্কে যারা জানে তাদের নিকট জিজ্ঞাসা কর"। [সূরা আম্বিয়া: ৭]
"তোমরা যদি না জান তবে যারা জানে তাদের নিকট জিজ্ঞাসা কর"। [সূরা নাহল: ৪৩]
তাই যেহেতু আমরা আলিম নই, তাই আলিমরা এসব ব্যাপারে কি কি বলেছেন? শানে নুযুল কি? হাদিসে এ ব্যাপারে কি বলা হয়েছে? ইমামগণ এ ব্যাপারে কি বলেছেন?? বর্তমানের আলেমদের মাঝে যোগ্য কে যাকে জিঙ্গাসা করা যায়? জানা যায়? ইত্যাদি ব্যাপারগুলো নিশ্চিত করা। আমরা আলিমদের সাথে এসব ব্যাপারে যদি পরামর্শ করি, আলিমদের বই-পুস্তক, লেকচার ইত্যাদি ঘাটাঘাটি করি তবে আমি প্রকৃত বিষয়টি জানতে পারব। কারণ আমার জ্ঞান ত্রুটিপূর্ণ কিন্তু আলিম যেহেতু সিলসিলা হতে জ্ঞানটা প্রাপ্ত হয়েছেন তাই তিনি সঠিকটা জানেন।
ভাইয়া এজন্যই বৃটিশরা আলিমদের বাদ দিয়ে মডারেট ইসলামিস্ট সৃষ্টি করেছিল মুসলিমদের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যারা মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মডারেট ইসলামিক মুভমেন্ট, ইসলামী দল ইত্যাদি গড়ে তুলেছেন। এইভাবেই কিন্তু আজ এত জটিলতা। মাত্র দুজন মডারেট ইসলামিস্ট এর মাত্র একটা আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা যে কতবড় ভুলের মাঝে আজ মুসলিমদের নিয়ে এসেছে তা হারে হারে টের পাওয়া যাচ্ছে। তারা "ইন্নি জায়িলুন ফির আরদি ফলিফাহ" আয়াতের ও খলিফাহ সংক্রান্ত বিষয়ের ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করেছিল। যেই ভুলের জন্য মুসলিমরা আজ বুলেটের গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। আর বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তরুণদের বড় একটা অংশ এই জিনিসটা ভায়োলেট করছে। আমি এটারই বিরোধীতা করেছি। আমি নিজেও আলিমনা বরং আমি বিবিএ স্টুডেন্ট, মেজর ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং।
356440
০৮ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৫:৪৫
শেখের পোলা লিখেছেন : আমাদের আলেমগণ নিজেদের নায়েবা রসুল বলে দাবী করেন কিন্ত প্রকৃত ভাবে তারা দায়িত্ব পালন করেন না৷ ভাল লাগলো। জাজাকাল্লাহ৷
১০ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৭
296004
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : চাচাজান, আমি আলিম বলতে শুধু বর্তমান আলিমসমাজকে মোটেও ইঙ্গিত করিনি। আলিমদের একটা চেইন দেখিয়েছি যারা ইসলামের প্রতিটি বিষয়ে সুক্ষ্ণাতিসুক্ষ্ণ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন কিন্তু আমরা তাদের সেসব লেখনীর কিছুই জানিনা জাস্ট নিজেরা কুরআন-হাদিস থেকে অল্প কিছু জ্ঞান নিয়ে নিজেদের বিচার-বুদ্ধি দিয়ে তা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন করছি, এটা ভুল আমি সেটাই বলেছি। আর আলিমরা তাদের দায়িত্ব পালন যদি না করে থাকেন, সেজন্য তারা আল্লাহর কাছে দায়ী হবেন। যারা মাজার, মিলাদ, বিদাত শেখায় বা যারা আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশুনা করছেন-আমি মোটেও তাদের আলিম মনে করিনা। Good Luck Good Luck
১০ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:২৭
296028
শেখের পোলা লিখেছেন : মাগো, আমরা আলেম বলতে শুধুই যারা কওমী মাদ্রাসায় পড়ে লম্বা জোব্বা টুপি পরে আর লম্বা দাড়ি আছে তাদেরই মিন করি৷ এটা ভুল৷ আলেমের শাব্দীক অর্থ বিদ্যান বা যিনি জ্ঞান অর্জন করেছেন৷ কয়েক শ বছর আগে কোন স্কুল মাদ্রাসা ছিল না, ছিল গুরু গৃহ৷ জ্ঞাণীরা সাগরেদ বা তালেবে ইলমকে নিজের বাড়ি রেখে বিদ্যা শেখাতেন৷ যারা দ্বীনের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতেন তাদেরই আলেম বলা হত৷ আমাদের রসুলও কোন মাদ্রাসায় পড়েন নি৷ উনিকি আলেম নন? আমাদের বর্তমান ধারণার ফলে আমরা ডাঃ ইসরার আহমদ, জাকির নায়েক, আহমেদ দীদাত, ইমরাণ ভাই, আঃ রহীম গ্রীণ, হোসাইন লী, বিলাল ফিলিপ প্রমুখদের আলেম বলিনা৷ অথচ এঁরা যে কোন আলেমের চেয়ে কোরআন হাদীশে বেশী জ্ঞান রাখেন৷ ভুল বুঝনা৷ আমি সকলকেই শ্রদ্ধা করি৷ একটা ঘটণা বলি, সত্য মিথ্যা জানিনা, শোনা কথা৷ ইমাম আবু হানিফা পথে যেতে এক মাতালকে সালাম দিলেন৷ সাথীরা কারণ জানতে চাইলে উনি লোকটিকে ওস্তাদ বলে জানালেন৷ সাথীরা আরও অবাক হল,মাতাল কেমন করে একজন ইমামের ওস্তাদ হতে পারে৷ উত্তরে ইমাম সাহেব জানালেন,কুকুর কোন বয়সে বালেগ হয় তা আমি উনার কাছে শিখেছি৷ আল্লাহ আমাদের এমন মহৎ হৃদয় ও কৃতজ্ঞ হতে সাহায্য করুক৷
356444
০৮ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৯:২৭
saifu islam লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, সুন্দর লিখেছেন,তবে কোনআান হাদিস থেকে জ্ঞান অর্জন করার উৎসাহ বা পরামর্শ বেশী থাকলে ভাল হতো যারা আগে আরবী শিক্ষায় শিক্ষিত নয় তাদের নিরুৎসাহিত করাও ঠিক না। তাহলে জানবেকি করে।
১০ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:২৫
296005
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম প্রিয় ভাইয়া। আমি নিরুৎসাহিত করিনি কিন্তু নিজেই কুরআন-হাদিসের অনুবাদ পড়ে আলিম হয়ে যাওয়ার মানষিকতাকে সমালোচনা করেছি।
তোমরা যদি না জান তবে কিতাবের(অহী)জ্ঞান সম্পর্কে যারা জানে তাদের নিকট জিজ্ঞাসা কর"। [সূরা আম্বিয়া: ৭]
"তোমরা যদি না জান তবে যারা জানে তাদের নিকট জিজ্ঞাসা কর"। [সূরা নাহল: ৪৩]
ইবনে আব্বাস (রাঃ)-ইমাম আবু হানিফা (রঃ) থেকে শুরু করে ইবনে তাইমিয়া (রঃ)বা আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের থানভি (রঃ)সহ অনেক অনেক আলিম পৃথিবীতে আগমণ করেছেন। তারা ইসলামের সূক্ষ্ণাতিসুক্ষ্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রচুর বইপত্র লিখেছেন আমরা এসবের কতটুকু পড়েছি? কতটুকু জানি? এসবকে বাদ দিয়ে নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে নিজের মত যেন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ না দেই, এটাই বলা হয়েছে। Good Luck Good Luck
356446
০৮ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ১২:০২
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ১ ২ ৩ কমেন্টস.....ডান.....!!!!!?????????????
১০ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:২৬
296006
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ফাঁকিবাজ ভাইয়া জাঝাক আল্লাহ। Good Luck Good Luck
১০ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:০৯
296023
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : মোটেও ফাঁকিবাজ নই। কমেন্টস করতে পারছিলামনা! তাই একটু ট্রাই করলাম।
জাজাকিল্লাহ পোস্টের জন্য! Happy Good Luck Good Luck
১০ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:২৭
296027
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : Straight Face Straight Face ওহ!!
356449
০৮ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০১:২৪
নাবীল লিখেছেন : বর্তমানে হাদীস আর কুরআন সংগ্রহের দরকার নাই।
কুরআন হাদীস সংগ্রহ করা আছে।
আর নতুন করে কেউ হাদীস বানাতে পারবেনা।
এখন শুধু গবেষনা করে এগিয়ে যাওয়া দরকার।
১০ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:২৭
296007
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : গবেষণাটা যেন নিজ ইচ্ছামত না হয় বরং ইজমা-কিয়াসে আলিমগণ কি কি বিষয় সমাধান করেছেন? সেটাই প্রাধান্য পায়। জাঝাক আল্লাহ।Good Luck Good Luck
356459
০৮ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:৫৮
আফরা লিখেছেন : খুব মূল্যবান লিখা ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ ।

১০ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
296010
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সালাম দেননি কেন? আগে জরিমানা দেন- আসসালামু আলাইকুম। হুম ভাইয়া! আমি অমূল্য জিনিস লিখিনা। হেহে। জাঝাক আল্লাহ Good Luck Good Luck
১০ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:০২
296020
আফরা লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম ভাইয়া ।আমি সালাম দেওয়ার চেয়ে নিতে পছন্দ করি ভাইয়ামনিRolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
সরি ভাইয়া আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া ।
১০ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:২৭
296026
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : কিপটুস!! Yawn Yawn
356514
০৯ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৯:৪৪
মোহাম্মদ রিগান লিখেছেন : আপনি যে শ্রেণীর যুবকদের কথা বলেছেন, তাদের উৎপত্তি হল কেন???? তাদের উৎপত্তি হল আমাদের দেশে আলেম নামক মানুষ গুলোর ভুলের কারনে। আলেম নাম নিয়েই আমাদের দেশে আলেমরা মিলাদ পড়ায়, সবিনা পড়ে, মাজার ব্যাবসা করে। লম্বা দাড়ি রেখেই তথাকথিত আলেমরা টঙ্গীর মাঠে নিরাপদ ইসলাম পালন করে। এখন যখন মানুষ নিজের ইচ্ছায় সত্য ইসলাম খোঁজার চেষ্টা করছে(আমি জানি ভুল পথেও যাচ্ছে অনেকে) তখনি আলেমরা হাইহাই করছে। এটা ইসলামের জন্য হাইহাই নয়, নিজেদের ক্ষমতা টিকানোর হাইহাই
১০ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৪৯
296008
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আলেমরা মিলাদ, সবিনা পড়ে, মাজার ব্যাবসা করে?? আমি প্রথম শুনলাম। মিলাদ যে বিদাত, মাজারে যাওয়া যে শিরক- এসব জিনিসগুলি কারা বলল তাহলে?? মডারেট মুসলিমগণ?? নাহ! আলেমরাই বলেছেন। আশরাফ আলী থানভি (রঃ)এর বইগুলো পড়েছেন??? তিনি খুব প্রাচীন আলিম নন। উপমহাদেশের বিক্ষাত আলিম। কয়েকশত বছর আগের। তিনি তো সেসময়েই নানান বিদাত নিয়ে জোড়েসোড়ে কথা বলেছেন। বিয়ের নামে চলা নানান কুপ্রথা নিয়ে কথা বলেছেন। হাজি শরীয়তুল্লাহ, তিতুমীর এরা সবাই এমন ধারারই আলিম ছিলেন যারা ব্রিটিশ আমলে মুসলিম সমাজকে এসব শিরক-বিদাত থেকে মুক্ত করার আন্দোলনে নেমেছিলেন। তাহলে আলিমরা কিভাবে এসবের পৃষ্ঠপোষক হল??? আমি বলেছি আলিমদের একটি সিলসিলা বা ক্রমধারা আছে যেটি গিয়ে মিলেছে সেই রাসূল (সাঃ) পর্যন্ত। যারা এই সিলসিলাকে ফলো করেনা, তারা আলিম হয় কিভাবে? কেউ যদি অনেকগুলো ভুলের পরেও লম্বা দাড়ি রাখে সেটাকে পজিটিভভাবে দেখা উচিত কারণ, আপনি ইসলামের ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা রাখেন, শিরক-বিদাত থেকে মুক্ত হতে পেরেছেন তাই আপনার উচিত ছিল ইসলামের নির্দশনগুলি গ্রহণ করা তাহলে মানুষ আপনার কথাই শুনতো ঔ ভন্ডদের দিক যেতনা। কিন্তু যেহেতু আমি আপনি ইসলামের বা মুসলিমের এসব চিহ্নগুলি বহন করিনা, তাই আমরা জানি মানুষের কাছে আমাদের কথাগুলির মূল্যায়ন হবেনা। এজন্য আমরা ডাবল ভন্ড।
আর সৌদি রক্তখেকো ভন্ড বাদশাহদের অধীনে যদি হজ্জ্ব করা যায়- যেখানে সুদখোর, ঘুষখোর, মুসলিম ভূমিগুলির অত্যাচারী শাসকরা জড় হয়, সৌদি সেনাবাহিনী যারা মূলত আমেরিকান মিলিশিয়া বাহিনী বলা চলে তাদের নিরাপত্তায় থেকে হজ্জ সম্পন্ন করা যায়, তবে বাংলাদেশতো তাদের থেকে অন্তত ভাল। "ভাল কথা বলার সুযোগ দিলে সেটি গ্রহণ করা যাবেনা"- এটা কেমন কথা? তাবলীগ মানেই পিকনিক পার্টি এমন ধারণার উপশম হওয়া উচিত। তাবলীগ দুটি অংশে বা নেতৃ্ত্বে বিভক্ত। একটি হল আরব নেতৃত্ব ও অপরটি অনারবি নেতৃত্ব যা ভারত নির্ভর। আরব নেতৃত্ব মূলত রিয়াদুস সালেহীন অনুসরণ করে তারা গতানুগতিক তাবলীগি বিতর্কিত বইগুলি অনুসরণ করেনা। অন্যদিকে অনারবি নেতৃত্ব এর বিরুদ্ধে বিতর্কিত কিতাবাদি অনুসরণের অভিযোগ আছে। তবে এটার সংশোধনের জন্য তাদের নানানভাবে সহযোগীতা করা উচিত। আলিমদের পাঠানো উচিত তাদের সাথে পরামর্শ করার জন্য। বাইরে থেকে একটি সংগঠনকেই নষ্ট বলে প্রমাণ করতে হবে- এমন মানষিকতা সঠিক নয়। আর আমি লেখাতেই বলেছি আলিমদের অনেক বড় একটা ক্রমধারা আছে। আলিম বলতে জাস্ট বর্তমান আলিমদের বোঝায় না। পূর্ববর্তী ইমাম, মুজতাহিদ, ফকীহ ইত্যাদি আলিমগণ ইসলামের উপরে হাজার হাজার বই-পুস্তক লিখেছেন, ইজমা-কিয়াসের সমাধান দিয়েছেন- আমরা কি সেগুলো কখনো পড়ার মত, জানার মত আগ্রহ পোষণ করি?? Good Luck Good Luck
১০
356535
০৯ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০১:২৫
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ হে সম্মানিতা বোন।
বেশ কিছুদিন থেকে মনটা অনেক খারাপ ছিল বিভিন্ন কারণে, বিষেত নব্য ইসলাম প্রচারকদের আচরণে, হক্বানী আলেম ওলামাদের কাফের মুশরিক ফতোয়া দিয়েই চলেছে। অথচ যাদের পুরো জিন্দেগীর সাধনাই ছিল ইসলামকে সু উচ্চ শিখরে পৌছে দিতে, সারা দুনিয়ার মানুষ কিভাবে আখিরাত মুখি হবে, কিভাবে সমগ্র পৃথিবীতে ইসলামকে ছড়িয়ে দিবে। কিভাবে মুসলিরদেরকে শিরক বিদাআত থেকে মুখ ফিরিয়ে সত্যের দিকে নিয়ে আসবে।

অথচ আজ তাদেরকে তার্গেট করেই এই নব্য ফিৎনাবাজরা যাচ্ছে তাই বলে বেড়াচ্ছে।

আমার আফসোস হয়, এত এত হাদিসের কিতাব থাকার পরও কেন মানুষ মাত্র দু একটি কিতাবের উপর ভিত্তি করে শরীয়তকে নিজেদের মনগড়া ব্যখ্যায় জড়িয়ে দিচ্ছে।

শেষ যামানায় (কিয়ামতের পূর্বে) একদল তরুণের আবির্ভাব ঘটবে যারা হবে স্থুলবুদ্ধির অধিকারী। তারা নীতিবাক্যগুলো আওড়াতে থাকবে। যেন এই হাদিসটির ই বাস্তবায়ন হচ্ছে।

আল্লাহ আমাদের এই সব ফেৎনা থেকে হেফাজত করুন। আমীন।

সুন্দর পোষ্টটির জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাকিল্লাহ খাইর।

১০ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫১
296009
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : জান্নাতের বাবা ভাইয়া ওয়ালাইকুম আসসালাম।
আপনার মন্তব্য সবসময়ই আমাকে প্রেরণা যোগায়। জি ভাইয়া, আসলেই সব দেখে তেমনই মনে হয়। আল্লাহ আমাদের এসব থেকে মুক্তির ব্যাবস্হা করে দিক। আমীন। Good Luck Good Luck
১১
356742
১২ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:০৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনি সবে বিবিএর স্টুডেন্ট কিন্তু আপনার বক্তব্যের ধরন দেখে হিংসা হয়। অসাধারন জ্ঞানগর্ভ বিষয়ে লিখেন আপনি। আপনার বক্তব্য সবসময় টু দ্য পয়েন্টে হয়। জাজাকাল্লাহ খায়রান। অনেক দোয়া রইলো।
১৪ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০:২৯
296196
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : দ্য স্লেভ ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনিও তো অনেক সুন্দর লিখেন সত্যি বলছি। ভাল কাজে হিংসা করা ভাল। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। Good Luck Good Luck
১৫ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৮:৪০
296242
ছালসাবিল লিখেছেন : Smug আমি সবববথেককে ভালোলিখি Rolling on the Floor Broken Heart Tongue
২১ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:১৯
296540
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : জ্বি ভাইয়া আপনি আসলেও ভাল লিখেন। পাঠকের মনে আলোড়ন তৈরী করতে পারেন আপনি আপনার আদুরে কথা দিয়ে এটা সত্যি।
১২
356795
১২ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:৩১
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এই জন্যই কোরআন হাদিস পড়ে আমলের চেষ্টা অনন্তর করে যাই কিন্তু পারিনা সেই পঠিত বিষয়গুলো নিয়ে কিছু লিখতে।

একটা মনে থাকলে তিনটা থাকেনা, সোর্স এখন মনে আছেতো তখন থাকেনা, একত্র করতে গেলে হয়ে যায় হযবরল, তাই যথাযথ রেফারেন্স দিতে পারবনা, ফলে ভুল হবেই, এই ভয়ে ইসলাম বিষয়ে যথাযথ রেফারেন্সসমেত কোন লিখা লেখা হয়না, আমার পোস্টগুলো দেখলে হয়ত বুঝতে পারবেন।

আপনার একটা কথার পুরোপুরি একমত, স্যোশাল মিডিয়ায় ইসলাম বিষয়ক অধিকাংশ লেখাই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, লাইক কমেন্ট পাওয়ার জন্য, খ্যাতি লাভের জন্য, আন্তরিকতার ছিটেফোটাও তাতে থাকেনা।

সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে, প্রতিনিয়ত মানুষের বদলে যাওয়া দেখে আমি খুব ভীত। এক স্যোশাল মিডিয় আবেগে অনেক সাচ্ছা ইমানদার, নারী পুরুষ নির্বিশেষে, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাদের কাজগুলোকে কিভাবে জায়েজ করা যায়, তার জন্য উক্ত কাজের বিপক্ষে যদি রাসূলের একশোটা হাদিস থাকে, তা বাদ দিয়ে, একটা হাদিসও যদি কোনভাবে কিছুটা উক্ত কাজের পক্ষে জায়েজের ইঙ্গিত থাকে, তা দিয়েই তাদের কাজকে হালাল বানাবার চেষ্টা অন্ত রাখেনা।

আল্লাহ তাদের সঠিক বুঝ দান করুন।
আর হ্যাঁ, আপনি যে বেটা মানুষ, সেটা বহু আগেই বুঝতে পেরেছি। আপনি মানি ব্যাগ হারানো নিয়ে একটা পোস্ট করেছিলেন, রাতে বন্ধুদের নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাল মনে না থাকলেও ঝাপ্সা করে মনে আছে। তাই যারা আপনাকে আপু ভেবে ভালবাসায় ভাসিয়েছে, তাদের জন্য না হেসে পারিনা।

কদিন আগে আপনার পাতায় গিয়ে দেখি, সেই লেখাটা সরিয়ে ফেলেছেন, তা কেন সরালেন ব্রাদার????? তবে যাই বলেন, আপনার মেয়েদের মত করে ভাইয়া ডাকটা শুনে কিন্তু মনে হয়না আপনি বেটা ছেলে!

আমার মন্তব্যটি ডিলেট করবেন না কিন্তু!!!!
১৪ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০:২৭
296195
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমি নিজেকে কখনো ছেলে বলেও দাবি করিনি বা মেয়ে বলেও দাবি করিনি। হয়ত আমার কোন লেখা পড়ে কারো মনে হয়েছে আমি মেয়ে সে আমাকে আপু ডাকে আবার আমার কোন লেখা পড়ে কারো মনে হয়েছে আমি ছেলে, তারা আমাকে ভাইয়া বলে ডাকে। এতে আমার কোন সমস্যাও নেই। আমি ছোটকাল থেকেই ছেলে হলে ভাইয়া আর মেয়ে হলে আপি বলে ডাকি-এটা আমার ফ্যামিলি কালচার এর সাথে কোন ভন্ডামি বা জেন্ডার রিলেটেড কোন সম্পর্ক নেই। আপনি আমার গত চার-পাচ বছরের লেখা দেখলেও ব্যাপারটি এমনই দেখবেন। আর ভাইয়া আমি কখনো আমার ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলি কোন ব্লগে শেয়ার করিনা কারণ কোন ব্লগেই আমার ব্যক্তিগত কোন পরিচয় নেই, বরং আমার লেখাগুলোই আমার পরিচয় বহন করে। আমার অভিজ্ঞতা বলে যেখানে নারী-পুরুষে ফ্রি মিক্সিং শুরু হয়, সেখানে আর যাই হোক ইসলাম থাকেনা। যে ছেলে বা যে মেয়ে ইসলাম প্রচার করতে আসে, সে নিজেকেই প্রচার করা শুরু করে, তার জনপ্রিয়তা বাড়ে এটা তার চোখে গর্বের বিষয়ে পরিণত হয়, সে নিজেকে বিশাল কিছু ভেবে বসে, তার নিজস্ব ফেসবুক পেজ তৈরী হয়, হাজার হাজার ফ্রেন্ডস-ফলোয়ার। প্রোফাইলে তার আমলনামা- আমি ওমুক-তমুক ব্লগের ব্লগার, আমি এই, আমি সেই- সে নিজেকে বিশাল কিছু হিসেবে পরিচয় দিতে ভালবাসে, নিজেকে আরো প্রকাশ করে আরো প্রকাশ করে। হয়ত তার ভার্চুয়াল ভালমানুষী অন্য কিছু তরুণ-তরুণীর মনে ছাপ ফেলে তারা ইনবক্সে যোগাযোগ করে, আরো কাছে আসে। মেয়ে হলেতো কথাই নেই তার কথার স্টাইল, মতামত প্রকাশের ভঙ্গি দেখে শত শত ছেলে ভেবে বসে:-"সে দেখতেও নিশ্চয়ই সুন্দরী হবে"- তাই তাকে নিজ জালে বন্দী করার আপ্রাণ চেষ্টায় এরা লিপ্ত হয়।
তাহলে ফলাফলটা কি হল???? ফিৎনায় নিজেকেই বন্দী করা ছাড়া আর কিছুইনা। তাই ভাইয়া আমি নিজেকে ছড়িয়ে দেইনা জাস্ট ইসলামকেই ছড়াই। কারো ভালো লাগে আবার কারো ভাল লাগেনা কিন্তু সেই ভাল লাগা বা না লাগার সাথে সম্পর্কটা থাকে ইসলামের, আমার নিজের না। এজন্য আমার কোন পাবলিক ফেসবুক আইডি পর্যন্ত নেই। অনেকেই আমার ফেসবুক আইডি, ইমেইল এড্রেস চেয়েছে-আমি অমায়িক ভঙ্গিতেই বলেছি আমার কোন পাবলিক ফেসবুক আইডি নেই। আমি নির্দিষ্ট করে কোন ব্লগের কথা বলছেন, সেটা আপনি ভাল জানেন। আমি সম্ভবত ২০১৩ থেকে এই ব্লগে এসেছি কিন্তু আমার লেখা কি খুব বেশি?? আমি অযৌক্তিক কিছু লিখিনা। আর আমি এর মধ্যেও আমার অনেকগুলো ব্লগ পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছি যেগুলি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি, অযৌক্তিক মনে হয়েছে। আর আপনার মত মতামত পেশ করার অধিকার অবশ্যই আপনার আছে এবং আপনি আমার প্রিয় একজন ব্লগার। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।Good Luck Good Luck
১৪ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:০০
296210
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার কিছু আমারও মনের কথা। ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় আসলেও কিছুদিন পরেই ফেতনায় ষোল আনা নিমজ্জিত হয়ে যায়। আমি যেমন আপনার প্রিয় ব্লগার, আপনিও আমার অনেক প্রিয়, লেখার দৃষ্টিকোন থেকে, অন্য কিছু নয়।
১৫ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৮:৩৯
296241
ছালসাবিল লিখেছেন : ঘুমমমআপপপপি Love Struck Smug Tongue
১৩
357010
১৫ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ১১:২৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু প্রাণপ্রিয় আপুমনি। তোমার গুরুত্বপূর্ণ লিখাগুলো পড়া হলেও ক্লান্তির কারণে মন্তব্য করা হয়ে উঠে না। তবে তোমার প্রতি একটাই অনুরোধ এ শাণিত তরবারি কখনোই যেন থেমে না যায়। জাজাকাল্লাহূ খাইর।
২১ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:২৯
296542
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আমার প্রাণপ্রিয়, শ্রদ্ধেয় আর অনেক আদরের বড় আপি। আপি হয়না তো লিখা। আর ইদানিং আমি আমার অবস্হান নিয়ে মোটেও খুশিনা। কেমন জানি মনমানষিকতা দুনিয়ামুখী বলে মনে হচ্ছে। তাই এসব লিখার সাহসও হয়না। আমার জন্য দোয়া করবে আপি। Good Luck Good Luck
১৪
357018
১৬ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০১:৩৫
আসমানি লিখেছেন : আপনার প্রতিটি লিখাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
চালিয়ে যান।
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন।
আমীন!
২১ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:৩১
296543
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপু আসসালামু আলাইকুম। আমি অনিয়মিত ব্লগার। যখন যেটার মাঝে অসঙ্গতি দেখি সেটা নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। আপু আমি আপনার লিখা পড়েছি। আল্লাহ আপনাকেও পুরষ্কৃত করুক। Good Luck Good Luck
১৫
357036
১৬ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৬
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : গান শিখতে যান,ওস্তাত বলবে ,সংগীত হলো সাধনার বিষয়…
নাচ শিখতে যান ,শুনতে হবে ,অনুশীলন ছারা নৃত্য করা অসম্ভব…
ডাক্তার ,ইঞ্জিনিয়ার হবেন,
শিক্ষক বলবে ,যারা কঠোর পরিশ্রমী কেবল তাদের পক্ষেই
এসব হওয়া সম্ভব হতে পারে…
কিন্তু ধর্ম কে সঠিক ভাবে জানার আমাদের
সাধনা,অনুশীলন,পরিশ্রমের প্রতি ভিষন অনিহা…
আর এটাই বাস্তবতা…
২১ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:৩৫
296544
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া/আপু আসসালামু আলাইকুম। অনেক দেরী করে ফেল্লাম উত্তর দিতে। বসা হয়না অনেকদিন। হ্যা আপু/ভাইয়া! সব কিছুই জানি কেমন হয়ে যাচ্ছে। সবাই চায় বন্ধনমুক্ত হতে কিন্তু তার ফলাফল নিয়ে কেউ চিন্তা করতেও রাজিনা। জানিনা কি হচ্ছে? অনেক ধন্যবাদ আপি/ভাইয়া। আমার ব্লগে আসা হয়না তাই আপনাদের লেখাতেও যাওয়া হয়না এই নিয়ে কিন্তু একদম অভিমান চলবেনা ঠিক আছে?? জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া/আপু।Good Luck Good Luck
১৬
357045
১৬ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০২
saifu islam লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ;সাধারন মানুষ কোন আলেম সাহেবের কাছে যাবে? যেসমাজে আল্লাহর দেওয়া বিধান প্রতিষ্টিত নাই। সে কাজটা স্বল্প সংখ্যক আলেম করছেন। আবার বেশীর ভাগ আলেম সক্রিয় ভাবে জড়িত নন।এখন কোরআান এবং হাদিসের সঠিক জ্ঞান কার কাছ থেকে নেবে? লিখলে ভাল।
৩০ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:১৮
302027
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাইয়া। সাধারণ মানুষের মাঝেও তো ভাগ আছে ভাইয়া। শিক্ষিত কিন্তু দ্বীনি ব্যাপারে বেসিক অনেক কিছুই জানেননা আবার নিরক্ষর কিন্তু ইসলামের বেসিক জিনিসগুলি জানেন। কুরান পড়তে পারেন, নামাজের নিয়ম কানুন জানেন। কিন্তু ভাইয়া আমার লেখার টপিক কিন্তু মোটেও এটা না। আমি সাধারণ নিয়ে কিছুই বলিনি।
আমি বলেছি কিছু তরুণ তরুণীর কথা যারা সেকুলার শিক্ষায় শিক্ষিত কিন্তু নানা কারণে ইসলামের প্রতি তাদের আকর্ষণ এসেছে তারা ইসলামের ব্যাপারে জানতে ও জানাতে আগ্রহী। ভার্চুয়াল জগৎ তাতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা কিন্তু সমস্যাটা তৈরী হচ্ছে এখান থেকেই। এরা ইসলামের ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ না জেনেবুঝে, সেকুলার ধ্যান ধারণার বশবর্তী হয়ে নিজেদের মত কুরান-হাদিসের ব্যাখ্যা করছেন ও তার স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার করছেন অথচ তারা ইচ্ছা করলেই কিন্তু পুরাতন আলিমদের বই-পুস্তকগুলি নিয়ে বিস্তর পড়াশুনা করতে পারেন, স্পষ্ট একটা ধারণা নিতে পারেন কিন্তু তারা সেটাকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের যুক্তি ও বস্তুবাদি ধ্যান-ধারণার আলোকে ইসলামের ব্যাখ্যা প্রদান করছেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা আলেমদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন, মাজহাব ও নানা স্পর্শকাতর বিষয়ে বিতর্ক করছেন এতে করে শত্রুতা-বিদ্বেশ একদিকে তৈরী হচ্ছে অন্যদিকে ইসলামের নামেই অনেক ভুল তথ্য মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আর এরা কিন্তু উম্মাহ এর সার্বিক কল্যাণের চিন্তা করেও এসব করছেনা বরং, লাইক, কমেন্ট যশ-খ্যাতি ইত্যাদির জন্য করছে। এর পরিনাম অনেক ভয়াবহ হতে পারে। আমি সেটা বন্ধ করতে বলেছি। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
১৭
359714
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:২৭
মুহাম্মদ নূরুল্লাহ তারীফ লিখেছেন : দীর্ঘদিন পরে ব্লগে সাইন-ইন করলাম। আপনার দাওয়াতে সাড়া দিয়ে লেখাটি পড়লাম। মাশাআল্লাহ, আপনি খুবই সুন্দর লিখেছেন। নিঃসন্দেহে ইসলামী জ্ঞান আলেমদের কাছ থেকেই, বরং দ্বীনদার আলেমদের কাছ থেকেই গ্রহণ করতে হবে। গত সপ্তাহে ইবনে হাজার আসকালানীর লিখিত মুস্তালাহুল হাদিস (হাদিসের পরিভাষা) এর উপর লেখা একটি কিতাব "নুখবাতুল ফিকার" শাইখ মুহাম্মদ আস-সুন্নী (সুদানী) এর কাছে পড়ছিলাম। ইবনে হাজার লিখেছেন প্রাথমিক স্তরের ছাত্রদের বুঝার জন্য তিনি নিজেই বই এর ব্যাখ্যা লিখেছেন- "নুযহাতুন নাযার" নামক কিতাবে। শাইখ সুন্নী প্রাথমিক স্তরের ছাত্রের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন: প্রাথমিক স্তরের ছাত্র হচ্ছেন- যে ব্যক্তি কোন শাস্ত্রের সামান্য কিছু জানে। আর যে ব্যক্তি কোন শাস্ত্রের অধিকাংশ বিষয়গুলো জানে তিনি হচ্ছেন ঐ শাস্ত্রের আলেম। অর্থাৎ তিনি সংশ্লিষ্ট শাস্ত্রের অধিকাংশ আয়ত্ব করতে পেরেছেন, দলিল দিতে পারেন, সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারেন। তাই শুধু দাওরা পাস করলে, কিংবা কামেল পাস করলে কাউকে আলেম আখ্যায়িত করা যথাযথ মূল্যায়ন নয়। বরং কে কতটুকু জ্ঞান অর্জন করতে পারলেন সেটা দিয়ে সে ব্যক্তিকে মূল্যায়ন করতে হবে। তবে ঢালাওভাবে এদের সবাইকে আলেম না বলে "দ্বীনি ইলমের ছাত্র" বলা যায়। কোন বিশেষ ধরণের মাদ্রাসায় পড়লে কেউ আলেম হবে, আর বিশেষ ধরণের মাদ্রায় পড়লে আলেম হবে না- এই মানদণ্ড কি সবসময় সঠিক!! বরং মানদণ্ডের বিপক্ষে অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। আরেকটি বিষয় এটি আমার পরামর্শ আপনার প্রতি এবং যারা ছন্দনামে ইসলাম নিয়ে লিখেন তাদের সকলের প্রতি। আপনি এ লেখাতে জ্ঞান গ্রহণে সিলসিলার কথা লিখেছেন। তাহলে নিশ্চয় আপনি জানেন, হাদিস সংকলনের যুগে কোন অজ্ঞান পরিচয় ব্যক্তি থেকে হাদিস বা অন্য কোন জ্ঞান গ্রহণ করা হত না। আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন: "ফাসেকের সংবাদ যাচাই কর"। তাই সঠিক পরিচয় যদি জানা না যায় তাহলে তার উপস্থাপিত জ্ঞানের প্রতি কিভাবে আস্থা রাখা যায়!! এজন্য স্বনামে, স্বপরিচয়ে ইসলাম নিয়ে লেখালেখি করা বাঞ্ছনীয় নয় কি!! আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দিন।
৩০ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:২৮
302029
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আসসালামু আলাইকুম। আপনার অসাধারণ মন্তব্যটি আমার বিরাট প্রাপ্তি। প্রতিটি কথার সাথেই একমত।
বর্তমানে কিছু তরুণ তরুণী যারা সেকুলার শিক্ষায় শিক্ষিত কিন্তু নানা কারণে ইসলামের প্রতি তাদের আকর্ষণ এসেছে তারা ইসলামের ব্যাপারে জানতে ও জানাতে আগ্রহী। ভার্চুয়াল জগৎ তাতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা কিন্তু সমস্যাটা তৈরী হচ্ছে এখান থেকেই। এরা ইসলামের ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ না জেনেবুঝে, সেকুলার ধ্যান ধারণার বশবর্তী হয়ে নিজেদের মত কুরান-হাদিসের ব্যাখ্যা করছেন ও তা স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার করছেন। অথচ তারা ইচ্ছা করলেই কিন্তু পুরাতন আলিমদের বই-পুস্তকগুলি নিয়ে বিস্তর পড়াশুনা করতে পারেন, আলিমদের সাতে বসতে পারেন স্পষ্ট একটা ধারণা নিতে পারেন কিন্তু তারা সেটাকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের যুক্তি ও বস্তুবাদি ধ্যান-ধারণার আলোকে ইসলামের ব্যাখ্যা প্রদান করছেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা আলেমদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন, মাজহাব ও নানা স্পর্শকাতর বিষয়ে বিতর্ক করছেন এতে করে শত্রুতা-বিদ্বেশ একদিকে তৈরী হচ্ছে অন্যদিকে ইসলামের নামেই অনেক ভুল তথ্য মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আর এরা কিন্তু উম্মাহ এর সার্বিক কল্যাণের চিন্তা করেও এসব করছেনা বরং, লাইক, কমেন্ট যশ-খ্যাতি ইত্যাদির জন্য করছে। এর পরিণাম অনেক ভয়াবহ হতে পারে যা রাসূল সল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বেই সতর্ক করেছেন।
ভাইয়া, আমি স্বনামে লিখিনা নিরাপত্তার জন্য। আমি অনেক পুরনো ব্লগার ২০১১ থেকে ব্লগিং করি। মাঝে অনেক সমস্যায় পরেছি আমি। তাই নিজেকে গোপন রেখে যদি ভাল কিছু করা যায়, সমস্যা কোথায়? আর ফাসেকের সংবাদ যাচাইয়ের কথা যেহেতু কুরআনেই আছে, তাই সবার উচিত আমার প্রতিটি লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়া, যদি সেখানে কোন সমস্যা না থাকে যা কোন খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে_ তবে আমার কথা মেনে নিতে সমস্যা কোথায়? মানুষ তো দেখছেই আমি কি লিখছি?
জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
১৮
363549
২৫ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:০৩
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। আপনার জ্ঞানগর্ভ লেখনি,ব্লগারদের অনন্য প্রেরণা। থাকে অনেক দিক-নির্দেশনা। আমরা তো চাই-পাশ পোস্ট করি, যাকে বলে পাঁচমিশালী। ব্লগিংএর মানে উত্তীর্ণ নয় বলে একবাক্যে বলা যায়।
অনেক ব্লগ জমা হয়ে গেছে, দেরি করে কমেন্ট করার জন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত।
আল্লাহ আপনার লেখার যোগ্যতা আরো বাড়িয়ে দিন। আমিন।
৩০ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:৩০
302030
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাইয়া। দীর্ঘদিন পরে বসলাম তাই এত দেরী হল উত্তর দিতে। বর্তমানে কিছু তরুণ তরুণী যারা সেকুলার শিক্ষায় শিক্ষিত কিন্তু নানা কারণে ইসলামের প্রতি তাদের আকর্ষণ এসেছে তারা ইসলামের ব্যাপারে জানতে ও জানাতে আগ্রহী। ভার্চুয়াল জগৎ তাতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা কিন্তু সমস্যাটা তৈরী হচ্ছে এখান থেকেই। এরা ইসলামের ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ না জেনেবুঝে, সেকুলার ধ্যান ধারণার বশবর্তী হয়ে নিজেদের মত কুরান-হাদিসের ব্যাখ্যা করছেন ও তা স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার করছেন। অথচ তারা ইচ্ছা করলেই কিন্তু পুরাতন আলিমদের বই-পুস্তকগুলি নিয়ে বিস্তর পড়াশুনা করতে পারেন, আলিমদের সাতে বসতে পারেন স্পষ্ট একটা ধারণা নিতে পারেন কিন্তু তারা সেটাকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের যুক্তি ও বস্তুবাদি ধ্যান-ধারণার আলোকে ইসলামের ব্যাখ্যা প্রদান করছেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা আলেমদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন, মাজহাব ও নানা স্পর্শকাতর বিষয়ে বিতর্ক করছেন এতে করে শত্রুতা-বিদ্বেশ একদিকে তৈরী হচ্ছে অন্যদিকে ইসলামের নামেই অনেক ভুল তথ্য মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আর এরা কিন্তু উম্মাহ এর সার্বিক কল্যাণের চিন্তা করেও এসব করছেনা বরং, লাইক, কমেন্ট যশ-খ্যাতি ইত্যাদির জন্য করছে। এর পরিণাম অনেক ভয়াবহ হতে পারে যা রাসূল সল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বেই সতর্ক করেছেন। এসব ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরী তাই লেখার চেষ্টা। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
৩০ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:৪২
302031
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আপনার বক্তব্যের দ্বিমত করার কোন অবকাশ নেই। এখন যা চলছে, ফেতনা-ফ্যাসাদ, তর্ক-বিতর্ক, নানা ধরনের উদ্ভট কীর্তি-কলাপ দিন দিন বাড়বে বৈ কমবে না। কারণ মানুষের জানার আগ্রহ বাড়লেও চর্চার পরিবেশ, গ্রাউন্ড কমে আসছে। চারদিকে বৈরি হাওয়া, উথাল-পাতাল নদী, ঝ্ঞ্জা-বিক্ষুদ্ধ তরণী_জ্ঞানের সাগর পাড়ি দিতে পদে পদে বাধা। সার্চ করে, ব্যক্তিগতভাবে কতই বা জ্ঞান অর্জিত হয়! আপনার বিস্তারিত প্রতি মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
১৯
370024
২৫ মে ২০১৬ রাত ১২:২০
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : খুব সুন্দর সময়োপযোগী লেখা,,,, এ রকম কিছু বেশ কিছু দিন যাবত্ উপলব্ধি করছিলাম। অবশেষে আপনার লেখাটি পড়ে নিজের উপলব্ধি আরও জোরালো হল। বেশ সাবলীলতায় খুব প্রয়োজনীয় বিষয় অপূর্ব উপাস্হাপনায় তুলে ধরেছেন। সংশ্লিষ্ট সকলের বোধোদয় সহ লেখার সফলতা কামনা করছি,,অফুরান মুগ্ধতা রইল।
২৯ মে ২০১৬ সকাল ১০:৪২
307355
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমার সক্ষমতা খুব সীমিত আমি এই সীমিত পরিসরে কিছু মানুষের কাছে যদি প্রকৃত অবস্হা তুলে ধরতে পারি এবং তারা বাস্তবতার সাথে হাদিসের মিল খুঁজে পেয়ে নিজেরা সাবধান হয় ও অন্যকে সাবধান করে, তবে সেটিই আমার স্বার্থকতা। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য। Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File