জীন (জিন)

লিখেছেন লিখেছেন অয়ন খান ১০ অক্টোবর, ২০২০, ০১:০৩:৫৯ রাত

পুরান ঢাকার একটা রেস্টুরেন্টে এক যুবক জীনের সাথে আমার দেখা হয়েছিল। আমি আমার এক বন্ধুর জন্য রেস্টুরেন্টে অপেক্ষা করছিলাম – তার মাথায় নাকি চমৎকার একটা ব্যবসার বুদ্ধি এসেছে, সে আমার সাথে শেয়ার করতে চায়। একঘন্টারও বেশি সময় বসে আছি, তার আসার কোনো নাম-গন্ধ নেই। যে লোক বন্ধুর সাথে কথা দিয়ে সময় মতো আসতে পারেনা সে কিভাবে ব্যবসা করে খাবে এই নিয়ে চিন্তিত হয়ে আমি বসে ছিলাম।

তখন এই যুবক এসে টেবিলে ঠিক আমার উল্টোদিকে বসলো তারপর আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে লাগলো।

আমি একটু অস্বস্তি বোধ করতে লাগলাম, মূলত সেটা থেকে মুক্তি পাবার জন্যই বললাম – ভাই আপনাকে কি আমি চিনি?

মনে হয় না – সে স্পষ্ট ভাষায় বললো, এতটা স্পষ্ট যে আমার মনে হলো আমার মাথার ভেতর কেউ কথা বলছে।

তাহলে হাসছেন যে?

একজন আরেকজনকে দেখে হাসিমুখে তাকাবে, এইটাই তো ঠিক, তাই না?

এ আবার কোন চিজ – আমি মনে মনে ভাবলাম, তবে মুখে বললাম – আপনি হয়তো ঠিকই বলেছেন, আদম সন্তান হিসেবে আমরা তো সবাই ভাই ভাইই।

সে হিসেবে কিন্তু আমি আপনার ভাই নই – সে তখনো মিটিমিটি হাসছে, আবার একটু একটু মাথাও দুলাচ্ছে। আচ্ছা পাগলের পাল্লায় পড়া গেলো দেখছি !

আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনি আদম সন্তান নন ? – ভাবলাম সে সম্ভবত ডারউইনের ভক্ত, বিবর্তনের তত্ত্বে হয়তো তার দৃঢ় বিশ্বাস আছে।

না – সে একটু থেমে থেমে বলে – আমি একজন জীন।

আমি সন্দেহ নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।

সত্যি কথা বলতে কি, আপনার সামনে কোনো যুবকই বসে নেই – সে যোগ করলো ।

আপনি বলতে চাচ্ছেন আমি আপনাকে ভুল দেখছি? আপনাকে স্পর্শ করতে চাইলেও পারবোনা ? – আমি মূলত তার ধৃষ্টতা দেখে অবাক হচ্ছিলাম, বানিয়ে কথা বলার মধ্যেও একটা সীমারেখা থাকা জরুরী, ধোঁকা দেবার মধ্যেও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকা ভালো।

আমাকে ধরতে পারবেন না কেন? আপনি পাগল নাকি ?

আমার তখন রীতিমতো মাথা গরম হতে শুরু করেছে, দাঁতে দাঁত চিপে বললাম – আপনি যদি আমার কল্পনা হয়ে থাকেন, আপনার কথামতোই, তাহলে আপনাকে আমি কিভাবে ধরতে পারবো?

সে অবজ্ঞার হাসি হাসলো – আপনি ব্যাপারটা এখনো ধরতে পারেননি, আমি আপনার কাছাকাছি একটা জায়গা থেকে আপনার মনে এক যুবকের প্রতিচ্ছবি তৈরী করছি, যে যুবক কথাও বলছে আপনার সাথে। তো আমি যদি আপনার দৃষ্টিকে ধোঁকা দিতে পারি, কানকে ধোঁকা দিতে পারি, তাহলে আপনার স্পর্শের অনুভূতিকে কেন ধোঁকা দিতে পারবোনা – শত হলেও পুরোটাই তো আপনার ব্রেনের ভেতরেই ঘটছে ।

এবার আমি সত্যিই দ্বিধার মধ্যে পড়ে গেলাম, আমি কি আসলেই ভুল দেখছি, ভুল শুনছি! বললাম – আপনি তাহলে কোথায় ?

আমি আছি আপনার আশে-পাশেই, কাছাকাছি থাকলে মনের ওপর প্রভাব খাটানো সহজ হয়, তবে আপনার সামনে আসলেই কেউ বসে নেই।

আমি নিজের অজান্তেই শিউরে উঠলাম। এটা কিভাবে হয় ! আমি তো ভরদুপুরে ব্যস্ত শহরের ঠিক মাঝখানে একটা পাবলিক রেস্টুরেন্টে বসা। অবশ্য চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম পঞ্চাশজনের বেশি লোক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন দোকানে আমি একাই কাস্টমার বসা। এখন মনে পড়ছে – ছোটবেলায় শুনেছিলাম জীন নির্জন দুপুরেও মানুষকে আক্রমণ করে। একবার টেবিলের নিচে তাকিয়ে দেখবো নাকি এই লোকের পা উল্টাদিকে কিনা !

আমার পা ঠিকই আছে – সে হঠাৎ বলে ওঠে – আপনারা যে মনে করেন জীনের পা উল্টা থাকে এটা একধরণের কুসংস্কার, এই তথ্যটার আসলে কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

আমি আরেকবার শিউরে উঠলাম, সে আমার মনের কথা বুঝলো কিভাবে! নাকি কাকতালীয় ঘটনা ! আমি আয়াতুল কুরসী পড়তে শুরু করলাম, কিন্তু তৃতীয় লাইনে গিয়ে বারবার ভুল হতে থাকলো, আমি প্রমাদ গুনলাম।

এসব পড়ে লাভ নেই। এটাতো খোদার কিতাব, এটা শুনে আমি ভয় পাবো কেন?

আমি তো শুনেছি সূরা বাকারার কোনো কিছু জীন জাতি সহ্য করতে পারে না, অথচ আপনি দিব্যি বসে আছেন। তার মানে কি এই না যে আপনি আসলে মানুষই ?

হা হা হা – সে জোরে হেসে উঠলো – আপনি যা ভাবার ভাবতে পারেন। শোনেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা লেখা-পড়া জানতো না, নানা রকম কুসংস্কারে আক্রান্ত ছিল। তখন দোআ, মন্ত্র, যেকোনো কিছু পড়লেই তারা ভাবতো তাদের কোনো ক্ষতি হবে, ভয়ে পালিয়ে যেত। সেই দিন এখন আর নেই। ভুলে যাবেন না, এটা উন্মুক্ত তথ্যের জমানা ।

সে যেই হোক, আমাকে কনফিউস্ড করতে পেরেছে – আমি ভাবলাম – তবে আলাপটা চালিয়ে যেতে হবে, এর শেষ দেখা প্রয়োজন। বললাম – কাছে থাকার বিষয়টা বুঝলাম না।

আপনি বিজ্ঞান কতটুক বুঝেন জানি না – সে বলে চললো – এগুলা আমরা ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ওয়েভ দিয়ে করে থাকি। আপনারা যেমন ম্যাটার দিয়ে তৈরী, আমরা আবার এনার্জি দিয়ে তৈরী। আপনাদের জন্য আটার দলা বানানো যেমন সহজ – সে দোকানের সামনের চুলার দিকে ইঙ্গিত করলো – আমাদের পক্ষে ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ওয়েভ নিয়ন্ত্রণ করা সেরকমই সহজ। আরে ভাই, আমরা তো আপনাদের মন নিয়ন্ত্রণ করতে পারি ।

আমি তো ছোটবেলায় শিখেছি, জীন আগুনের তৈরী – আমি বলি।

তখনকার মানুষ তো অত বিজ্ঞান বুঝতোনা, সেজন্য এভাবে বলতো – সে বলে – আসল কথা হলো আমরা শক্তি দিয়ে তৈরী। আর মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইন তো দেখিয়েই দিয়েছেন যে ম্যাটার আর এনার্জি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।

মানুষেরও এনার্জি আছে, এর নাম আত্মা – আমি বললাম – মানুষ যখন মারা যায় তখন আত্মা শরীর থেকে বের হয়ে বাইরে ঘোরা-ফেরা করতে থাকে।

সে হাসলো – আপনি ভুল বলছেন, আত্মা হলো ভিন্ন জিনিস। আমরা যে শক্তি দিয়ে তৈরি, সেই আমাদেরও তো আত্মা আছে। তফাৎ তো শুধু এই যে – আপনাদের আত্মা নিয়ন্ত্রণ করে সত্তর কিলোগ্রামের একটা শরীরকে, আর আমাদের আত্মা নিয়ন্ত্রণ করে সত্তর কিলোজুলের একটা অন্য ধরণের শরীরকে।

আমি ঠিক মানতে পারলাম না – কই, একবার আমার বন্ধুর মামা মারা গেলো, আমরা তো প্ল্যানচেট করে তার আত্মাকে নামালাম, সে আত্মা মামার জীবনের এমন সব কথা বললো যা ওই মামা ছাড়া আর কেউই জানতো না।

তাই? যেটা আর কেউ জানতোনা সেটার সত্যতা আপনারা যাচাই করলেন কিভাবে?

কেন? আমরা পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। তার মৃত্যুর পর একটা জমির দলিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না । প্ল্যানচেট করে আমরা মামাকে জিজ্ঞেস করলাম, মামার আত্মা ঠিক ঠিক বলে দিলো কোথায় দলিলটা খুঁজে পাওয়া যাবে । আমরা সে অনুযায়ী খুঁজে ঠিকই দলিল পেয়ে গেলাম। এটাই প্রমান করে যে মামার আত্মা আমাদের প্লানচেটে এসেছিলো ।

আপনার মামার আত্মা এসব কথা বলেনি, তার আত্মা তো দ্বিতীয় আসমানে উঠে গেছে। আসলে এসব কথা বলেছে আমাদের মতোই কেউ একজন।

বুঝলাম না।

শোনেন, সিনেমায় দেখেন নাই? প্রত্যেক মানুষের কাঁধে থাকে একটা ফেরেস্তা যে ভালোর দিকে ডাকে, আর একটা শয়তান জীন যেটা খারাপের দিকে ডাকে। এই খারাপ জীনটার নাম কারিন। মানুষ মারা গেলে তার কাঁধের ফেরেস্তা আকাশে চলে যায় ইবাদত করতে, আর কারিন জীন এই দুনিয়ায় ঘুরাঘুরি করতে থাকে। প্লানচেটের যত কাহিনী শুনবেন, সব কারিন জীনের কীর্তিকলাপ। সে তো মৃতব্যক্তির বিগত জীবনের সব গোপন কথা, গোপন প্রেম, মেরে দেওয়া টাকা, গীবত, জুলুম সবই জানে – আর শত হলেও এগুলা তো তারই সাফল্যের কাহিনী।

এমনকি ওই যে মৃত লোকের আত্মা সেজে একে ওকে ভয় দেখানো, এটাও ওই কারিন হারামজাদাদেরই কাজ। মৃত আত্মার তো খেয়ে-দেয়ে কাজ নেই, মানুষকে ভয় দেখাবে।

আমি বলি – আচ্ছা সে না হয় মানলাম, কিন্তু আপনার বিষয়টা কি? আমার সাথে কথা বলে আপনার কি লাভ?

ক্ষতিই বা কি? – সে বলে – এদিক দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলাম, দেখলাম আপনি একা বসে আছেন, ভাবলাম সঙ্গ দেই, কিছু জ্ঞান শেয়ার করি, এই আর কি।

আমি কিন্তু প্রমান করে দিতে পারি আপনি ভণ্ডামি করছেন।

সে আপনার মর্জি – সে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে ।

আমি বয়কে ডাক দিলাম – দুই কাপ চা দিয়ে যেতে বললাম। জীন বা যুবক বা প্রতিচ্ছবি, সে যাই হোক, আমার দিকে তাকিয়ে আগের মতোই মিটি মিটি হাসতে থাকলো।

দুই মিনিটের মধ্যে ছেলেটা চা নিয়ে আসলো, তারপর আমার দিকে দ্বিধান্বিত চোখে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বললো – এই কাপ কোথায় রাখুম? – সে দ্বিতীয় কাপটির দিকে ইঙ্গিত করছিলো।

আমি কিছু বলতে পারলামনা, তখন সে কাপটা ওভাবেই রেখে চলে গেলো, আর ক্যাশিয়ারের কাছে গিয়ে কি যেন ফিস ফিস করতে লাগলো।

কি বুঝলেন? – সে তখনো হাসছে।

দীর্ঘ বাক্যালাপের কারণেই হোক, বা আমার মাথা ঠিকমতো কাজ করছিলোনা বলেই হোক, আমি তখন আর কোনো ভয় বোধ করছিলাম না।

আমি মনে হয় স্বপ্ন দেখছি – আমি তার হাসিমাখা মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম – একটু পর জেগে উঠবো। এরকম অতীতে হয়েছে আমার, ঘুমের ঘোরে এমন সব স্বপ্ন দেখেছি যেন একদম বাস্তব। মনে হচ্ছে টায়ার্ড হয়ে দোকানের ভেতরই ঘুমাচ্ছি।

এটা তো খুব সহজেই আপনি পরীক্ষা করতে পারেন – জীনবেশী বলে – আপনার হাতে চিমটি কেটে দেখেন।

আমি হাতে চিমটি দিতে যেয়ে হঠাৎ থেমে গেলাম – কিন্তু আপনার সাথে তো আমার কথা শেষ হয় নি, এটা যদি স্বপ্ন হয়েও থাকে সেটা চলুক না আর কিছুক্ষণ।

তাকে দ্বিধান্বিত দেখালো, প্রথমবারের মতো – হয়তো কিছুটা বিরক্তও, যেহেতু আলোচনার নিয়ন্ত্রণ প্রথমবারের মতো আমার হাতে এখন।

কিছু জিনিস আমার এখনো জানা বাকি। যেমন ধরেন, কথা-বার্তার প্রথম থেকে কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি নিজেকে আমার চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান ধরে নিয়েছেন। এটা কি ঠিক?

সেটাই কি স্বাভাবিক না? – সে তাচ্ছিল্য করে বলে – আমি শক্তি অর্থাৎ এনার্জি দিয়ে তৈরী, আর আপনি তৈরী ম্যাটার মানে বস্তু দিয়ে, যে কেউ জানে এনার্জি হচ্ছে ইউনিভার্সের মূল জিনিস, পিওর, আর ম্যাটার বহু পরে এসেছে, বলতে গেলে মহাবিশ্বের উচ্ছিষ্ট এই বস্তুজগৎ।

আমি হেসে উঠলাম, আলাপ শুরুর পর প্রথমবারের মতো – আপনি তো দেখছি ভীষণ বর্ণবাদী, রেসিস্ট, আপনি কি দিয়ে তৈরী সেটা দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব ঠিক করেন।

যেটা সত্য সেটাই তো আমি বললাম, এখানে ভুল কোথায়?

বস্তু কিন্তু স্থিতিশীল, শক্তির তুলনায়। এই দেখুন – মানুষের আছে ভাষা, লিপিবদ্ধ করার ক্ষমতা, যার কারণে আমরা প্রযুক্তিতে উৎকর্ষ আনতে পেরেছি। আপনাদের জীন জাতির কি তেমন কিছু আছে? আছে মিল-কারখানা? বিশ্ববিদ্যালয়? পাঠাগার? সাহিত্য? অর্থনৈতিক ব্যবস্থা? গণিত বা বিজ্ঞান?

শ্রেষ্ঠ জীবের এসব দরকার হয় না – সে বলে – যারা নিচু জাত তাদেরই ওপরে ওঠার জন্য এগুলা দরকার হয়।

আমি না হেসে পারলাম না – আমার তো ধারণা আপনার নিজস্ব ভাষাও নেই। আপনি বাংলায় কথা বলছেন, কারণ আমার মনের ভেতর থেকে শব্দ আর বাক্যও আপনাকে ধার করতে হচ্ছে। আমি যে দুটা ভাষা জানি, আপনার আলোচনা সে দুটাতেই সীমাবদ্ধ। আমি কি ভুল বললাম?

তার চোখ দেখি ভীষণ লাল হয়ে উঠেছে, সে বোধ হয় যে কোনো মুহূর্তে বিস্ফোরিত হবে। আবার না আমাকে গলা টিপে ধরে! সে গমগমে গলায় বললো – উন্নত জীবের ভাষা দরকার হয় না।

আমি ভাবলাম তাকে আরেকটু রাগানো যায়, বললাম – আপনার তো এমনকি নিজস্ব চেহারাও নেই, অন্য কারো চেহারা ধরে সামনে আসতে হয়। আমার তো মনে হয় চেষ্টা করলে আমি আপনার চেহারাটাও বদলে দিতে পারবো।

সে তখন রাগে ফোঁস ফোঁস করতে শুরু করেছে। আমি তার চোখের দিকে তাকিয়ে এক মনে আমার বন্ধুর চেহারা চিন্তা করতে চেষ্টা করতে থাকলাম, আর আশ্চর্য তার চেহারা একবার আমার বন্ধুর মতো আবার আগের মতো এভাবে বদলাতে থাকলো।

আমি যত চেষ্টা চালালাম, ব্যাপারটায় ততই সফল হতে থাকলাম, এমনকি একসময় তার চেহারা স্থায়ীভাবেই বদলে জয়নালের চেহারা হয়ে গেলো – সেই জয়নাল যার আজকে ব্যবসার আইডিয়া বলার জন্য এখানে আসার কথা।

এমনকি সে চেহারাটা কেমন করে যেন ঠিক জয়নালের কণ্ঠেই কথা বলে উঠলো – ওই তোর কি হইসে, দিনে দুপুরে ঘুমাস নাকি?

বিষয়: বিবিধ

৮১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File