টিনএজারদের জন্য প্রেমের গল্প......

লিখেছেন লিখেছেন আফরোজা হাসান ১০ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:১৯:২৮ রাত



গতকাল ক্লাস শেষে যখন সবাই মিলে গল্প করছিলাম এক স্টুডেন্ট তার জীবনে পড়া প্রথম প্রেমের গল্প বিষয়ক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিল ক্লাসের সবার সাথে। প্রেম ব্যাপারটা আসলে কি বোঝার জন্যই সে উপন্যাস হাতে তুলে নিয়েছিল। এবং প্রেম সম্পর্কে ধারণা আরো ঘোলাটে করার মধ্যে দিয়ে তার উপন্যাস শেষ হয়। সে বলছিল টিনএজারদের জন্য স্বচ্ছ, সুন্দর ও সঠিক প্রেমের গল্প লেখা দরকার। যেখানে গল্পে গল্পে তারা জেনে ও বুঝে যাবে প্রেম ব্যাপারটা আসলে কি এবং শরীয়তে এই বিষয়ে কি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া টিনএজে দেহ ও মনে যে পরিবর্তন সাধিত হয় তার ফলে আবেগের যে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয় এবং যে যে রূপে তা বাইরে বেড়িয়ে আসতে চায় সেই ব্যাপার গুলোও সুন্দর করে বিশ্লেষণ করা থাকবে গল্পের বইতে। যাতে আবেগকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই ব্যাপারেও একটা ধারণা পেয়ে যায় গল্প পড়ে।

বেশ কিছুদিন আগে এক বোন ফোন করে খুব চিন্তিত কণ্ঠে জানিয়েছিলেন তার বারো বছর বয়সি মেয়েটি আজকাল খুব প্রেমের গল্প-উপন্যাস পড়তে পছন্দ করে। বারবী কার্টুন গুলোর খুব ভক্ত হয়ে উঠেছে। কার্টুনে যখন প্রিন্স ও প্রিন্সেস রোমান্টিক মুহুর্তে থাকে বা কথা বলে বোনটি খেয়াল করেছেন তার মেয়ের চেহারাতে গোলাপী আভা ছড়িয়ে পড়ে! ঠোঁট টিপে মেয়ে হাসে! মাঝে মাঝে নাকি দীর্ঘশ্বাসও ফেলে মৃদু মৃদু! বোনটি খুবই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন মেয়েকে নিয়ে। চিন্তায় পরাটা অবশ্য স্বাভাবিক। সন্তানের চিন্তায় মায়ের মন সবসময় চিকন একটা দড়ির উপর দাঁড়িয়ে থাকে। যার নীচে থাকে জ্বলজ্বলে আগুণ কিংবা অথৈ পানি। এখন সার্কাসের দড়কাবাজের ট্রেনিং তো আর সব মায়েদের থাকে না। সুতরাং প্রতি মুহুর্তে ‘কি হয়’ ‘কি হয়’ অর্থাৎ, পড়ে যাবার ভয়।

গতবছর বড় ভাইয়ার কন্যারত্নাটি রোমিও-জুলিয়েট পড়ার আবদার করেছিল। ভাইয়া আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, এটা আমি কিছুতেই মানতে পারছি না যে, আমার মেয়ে তার জীবনের প্রথম লাভ স্টোরি পড়বে রোমিও-জুলিয়েট! শিক্ষণীয় তো কিছুই নেই এই গল্পে। ধোঁকা, মিথ্যা, আত্মহত্যার মত জঘন্য সব উপাদানে ঘেরা পথে চলে আমার মেয়ে ভালোবাসার ভুবনে প্রবেশ করবে? ভালোবাসার কারণে সবকিছু তুচ্ছ করা কি ঠিক? সম্পর্ক বা ভালোবাসার দাবী কি জীবনের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত? আমার মনেহয় না। কারণ আমাদের জীবন তো প্রকৃত পক্ষে আমাদের নিজের না। আমাদের জীবন আমাদের কাছে আল্লাহর দেয়া আমানত। তাই জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছুই থাকা ঠিক না মানুষের কাছে। জীবন নেই তো কিছুই নেই। জীবনই যদি না থাকে ভালবাসা, স্বপ্ন, বন্ধন সবই তো অর্থহীন।কাউকে ভালোবেসে জীবন দিয়ে দেয়ার মত ইউজলেস আর কিছুই নেই দুনিয়াতে। তাহলে এমন ইউজলেস কাহিনী কেন পড়তে দেবো আমার মেয়েকে?

আমি সত্যি খুব অবাক হয়েছিলাম সেদিন ভাইয়ার কথা শুনে। এভাবে আমি কখনোই চিন্তা করিনি। গল্প-উপন্যাস-নাটক-সিনেমা-কার্টুন মনকে প্রভাবিত করে সেটা আমিও জানি। কিন্তু কোন মনে যখন সবকিছুর সংজ্ঞা তৈরি হচ্ছে সেই মনকে এইসব ভুল উদাহরণ থেকে বাঁচিয়ে রাখাটা কতটা জরুরি সেটা সেদিন অনুভব করেছিলাম। প্রেম-ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে যাদের নাম ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ, রোমিও-জুলিয়েট, লায়লা-মজনু, রাধা-কৃষ্ণ, রজকিনী-চণ্ডিদাস ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব প্রেম কাহিনীর মধ্যে ভালোবাসা কোথায় সেটাই আমি খুঁজে পাইনা। এসব হচ্ছে মোহ, আবেগ আর পরকিয়ার কাহিনী। একে-অন্যের জন্য আত্মহত্যা মানে হচ্ছে জাহান্নামের কাহিনী। আর এসবকে যদি কেউ ভালোবাসা বলে তাহলে এমন ভালোবাসা থেকে আমি নিজেকে মাহরুম রাখাই পছন্দ করবো। জীবন দেয়া কখনোই ভালোবাসার গভীরতা বোঝায় না। সেটা তো ভালোবাসাই না যা জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।ভালবাসা তো সেটা যা আমাদেরকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়। জীবনকে ফুলে-ফলে গড়তে শেখায়। অনন্ত জীবন একসাথে কাটানোর স্বপ্ন দেখায়। দুনিয়ার ক্ষণিকের জীবনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে শেখায়।

ভাইয়া কাগজ-কলম নিয়ে বসে গিয়েছিলেন প্রেমের গল্প লিখতে। লিখেছিলেন উনার সাংসারিক জীবনের ভালোবাসার গল্প। ভাইয়ার কন্যার জীবনে পড়া প্রথম প্রেমের গল্প ছিল ওর বাবা-মার সংসার জীবনের ভালোবাসার গল্প। সেদিন আবারো মনে হয়েছিল বাবা- মা’ই তো সন্তানদেরকে দেখাবে সামনে চলার পথ, পথের দিশা, পথ মাঝের চরাই-উৎড়াই, অতঃপর গন্তব্য। বাবা-মা যদি কোন ক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে অবহেলা করে, ব্যর্থ হয়। তাহলে সন্তানদের উপর সেটার প্রভাব পড়বেই। বাবা-মা না শেখালে কিন্তু সন্তানরা অজ্ঞ থেকে যাবে না। তারা হয়তো কোন ভুল মাধ্যম থেকে সেই জ্ঞানটা অর্জন করবে। যারফলে ভুলের পথে চলা সহজ হয়ে যাবে তাদের জন্য। বাবা-মা যেমন আঙ্গুল ধরে সন্তানদেরকে হাঁটতে শেখায়, চলতে চলতে পড়ে গেলে হাত বাড়িয়ে দেয় তাদের সামনে, যাতে আবার উঠে দাঁড়াতে পারে তারা। সন্তানদের মনোজগতেও বাবা-মার অবস্থান এমনটাই হওয়া উচিত। আঙ্গুল ধরে মনের আঁকাবাঁকা, উঁচুনিচু পথে বাবা-মাকেই হতে হবে সন্তানদের পথ প্রদর্শক। যতবার হোঁচট খেয়ে পড়বে সামনে বাড়িয়ে দিতে হবে হাত উঠে দাঁড়াবার জন্য।

কনসেপ্টটা অসাধারণ মনে হয়েছিল আমার কাছে। আসলেই কতই না সুন্দর হতো যদি প্রতিটা সন্তান ভালোবাসাকে জানতো বাবা-মাকে দিয়ে! প্রতিটা সন্তানের জীবনে পড়া প্রথম প্রেমের গল্প হত তাদের বাবা-মাদের জীবনের ভালোবাসার উপাখ্যান। তাহলে শুধু যে ভালোবাসার সঠিক জ্ঞান অর্জিত হতো সেটাই না। সাথে সাথে অর্জিত হতো জীবন-যাপনের নানাবিধ শিক্ষা। সন্তানরা জানতে পারতো জীবনে সুখী হবার পথে করণীয়-বর্জনীয়। এবং সেই আলোকে তারা আলোকিত করে নিতে পারতো তাদের জীবনের পথ। বর্তমানে আমরা এমন একটা সময় পার করছি যা সবদিক থেকে বৈরী আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। তাই এটা সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে জীবনের প্রতিটি ধাপের প্রয়োজনীয় শিক্ষা বাবা-মাকেই সকল দ্বিধা-সংকোচ ঝেড়ে ফেলে সন্তানদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।

টিনএজারদেরকে যে কোন ব্যাপারে বোঝানোর ক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। সেটি হচ্ছে, ওদের প্রশ্নের জবাবে শরীয়তের বিধান বা কুরআন ও হাদিস থেকে বাছাইকৃত অংশ বলে দেয়াটা আসলে খুব সহজ। কুরআন বা হাদিসের রেফারেন্স শুনে ওরাও হয়তো বেশির ভাগ সময় চুপচাপ মেনে নেয়। কেননা শরিয়তের বিধানের ব্যাপারে দ্বিমতের কোন অবকাশ নেই।কিন্তু এতে প্রায় সময়ই ওদের অনুসন্ধিৎসু মন পুরোপুরিভাবে পরিতৃপ্ত হয় না। কারন সমাধান পেলেও মনের খোঁড়াক পায় না যথাযথ। তাই ইসলামিক ভাবে সমস্যার সমাধান দেবার সময় প্রথমেই খুঁজে বের করতে হবে কোন উৎস থেকে এই চিন্তাটা বা প্রশ্নটা ওদের মনে জেগেছে। অতঃপর প্রাসংগিক আলোচনা কোনদিকে প্রভাবিত হবে সেটা নির্ধারিত করে নিয়ে সেই আলোকে বিশ্লেষণ করতে হবে পুরো বিষয়টাকে। এবং সবশেষে মন্তব্যে কুরআন বা হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

২৯০০ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

205495
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৩:২৭
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : মাশা আল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! সুন্দর লিখেছো আপু! স্পর্শকাতর এই সময়ে আসলেই সঠিক ভূমিকা রাখা উচিত অভিভাবকদের। এজন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও হিকমাহ অর্জন ও প্রয়োগ করা উচিত!

জাঝাকিল্লাহু খাইর! Good Luck Love Struck Rose
১০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:২৯
154428
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : সারামণির জন্য লেখা গল্পটা পড়ার অপেক্ষারত আমি।Love Struck Love Struck
১০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:১৮
154524
আফরোজা হাসান লিখেছেন : জ্বী আপু। সেজন্য বাবা-মা ও সন্তানদের মাঝে একটা সহজ-সরল-সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাটা খুব জরুরি। Happy
বারাকাল্লাহু ফিক আপুমণি। Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck
১০ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩০
154634
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : তুমি যে! বেগুনি ফুল কবে থেকে আরু? Love Struck
১০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৩
154656
রাইয়ান লিখেছেন : আমিও অপেক্ষারত ....Tongue Tongue Tongue
205509
১০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৪২
১০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৩১
154429
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : হুমম আপনি নিজেই ছোট মানুষ। তাই নীরব থাকাই ভালো।Tongue
১০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:১৯
154525
আফরোজা হাসান লিখেছেন : ভালো থাকুন। Happy Good Luck Good Luck Happy
205523
১০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:৩০
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : পড়লাম...............
+++++++++++++
১০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৩২
154430
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : বুঝলাম ++++++ এর ভালোই স্টক আপনার কাছে। Smug
১০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৪৮
154438
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Applause Applause Applause Applause Applause
১০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:১৯
154527
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অনেক শুকরিয়া। Happy Good Luck Good Luck Happy
205557
১০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:০৫
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : আসলেই বাবা-মার বুঝিয়ে না বললে বাচ্চারা অজ্ঞ থেকে যাবে না। তবে এক্ষেত্রে তাদের জানাটা সঠিক হবার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। শরিয়তের ব্যাপারটাও তাই। একটা ব্যাপার যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলার পর যখন বাচ্চাদেরকে দেখানো হয় যে ইসলামও এমনটিই করতে বলেছে। মেনে নেয়াটা আর কঠিন মনেহয় না।
আচ্ছা বাবা-মার চেয়ে যদি মামা-খালামণিদের গল্পগুলো বেশি সুন্দর হয় তাহলে মনেহয় সেগুলোই বলা উচিত তাই না??!!! Big Grin Bee
১০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:২০
154530
আফরোজা হাসান লিখেছেন : হুমম....Tongue Smug Love Struck Angel
205571
১০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:২১
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : স্পর্শকাতর এই সময়ে আসলেই সঠিক ভূমিকা রাখা উচিত অভিভাবকদের। এজন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও হিকমাহ অর্জন ও প্রয়োগ করা উচিত!
১০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:২১
154532
আফরোজা হাসান লিখেছেন : জ্বী সেজন্য বাবা-মা ও সন্তানদের মাঝে একটা সহজ-সরল-সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাটা খুব জরুরি।Happy
অনেক শুকরিয়া। Good Luck Good Luck Good Luck
205594
১০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:১৫
ফেরারী মন লিখেছেন : এক পলকে টপ টু বোটম পড়ে ফেল্লাম। কিন্তু আপনি যেটা বল্লেন যে বাবা মায়ের দেখানো পথই তাদের জন্য উত্তম কিন্তু যে বাবা মারা আজকালকার নষ্ট প্রেমের ফাঁদে পড়ে বিয়ে করেছেন তাহলে তাদের সন্তানরাও কি তাদের পিতামাতার পথ অনুসরণ করবে নাকি ইসলাম সম্মতভাবে যেটা জায়েজ সেটা অনুসরণ করবে? আপনি বা আপনার মত পরিস্কার চেতনার মেয়েরা নাহয় ভিন্ন বুঝলাম কিন্তু অন্যরা কি করবে?

বিষয়টা পরিস্কার করলে ভালো হয় আপু।
১০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:২৩
154535
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আমি কিন্তু উল্লেখ করে দিয়েছি বাবা-মায়ের ‘সাংসারিক জীবনের গল্প’। বিয়ে বহির্ভুত সম্পর্কের দিকে বাচ্চারা যাতে আকৃষ্ট হতে না পারে সেজন্যই তো মূলত এই কনসেপ্টটি। লেখাটিতে আমি নিজের ধারনা ও অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কিভাবে নারী-পুরুষের পবিত্র বন্ধন সম্পর্কে সঠিক কনসেপ্ট দেয়া যায় সেটা বলতে চেয়েছি।

যেসব বাবা-মা নিজেরাই ভুল পথে চলছে তাদের সন্তানদেরকে সেই প্রভাব মুক্ত রাখাটা খুব কঠিন। আর যারা ভুল পথ মাড়িয়ে এসেছেন তারা যদি সেটা স্বীকার করে নেন। এবং চান যে তাদের সন্তানরা সেই ভুলের পথে না চলুক তাহলে সেই আলোকে সন্তানদেরকে পরামর্শ দেবেন।

আসলে মূল কথা হচ্ছে বাবা-মা ও সন্তানদের মাঝে একটা সহজ-সরল-সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান থাকা। অনেক শুকরিয়া। Happy Good Luck Good Luck Happy
206020
১১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:০৫
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : জীবনের প্রতিটি ধাপের প্রয়োজনীয় শিক্ষা বাবা-মাকেই সকল দ্বিধা-সংকোচ ঝেড়ে ফেলে সন্তানদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। Angel Love Struck Rose
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০২:৩১
159896
আফরোজা হাসান লিখেছেন : জ্বী আপুমণি এই ইচ্ছা ও চেষ্টাটা থাকা উচিত আমাদের বাবা-মায়েদের। Happy লাভ ইউ আপুমণি। Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:৩৮
159919
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Love you too my dear Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck Love Struck
206340
১২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:২৬
বিন হারুন লিখেছেন : বাচ্চাদের সাথে মা-বাবার খোলাখুলি কথা বলা উচিৎ
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০২:৩২
159897
আফরোজা হাসান লিখেছেন : জ্বী। অনেক অনেক ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck Happy
207002
১৩ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৪০
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : পাথরে ফুটাব ফুল.................
ভালোবাসার কারণে সবকিছু তুচ্ছ করা কি ঠিক?
সম্পর্ক বা ভালোবাসার দাবী কি জীবনের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত?
আমার মনেহয় না। কারণ আমাদের জীবন তো প্রকৃত পক্ষে আমাদের নিজের না।
আমাদের জীবন আমাদের কাছে আল্লাহর দেয়া আমানত।
তাই জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছুই থাকা ঠিক না মানুষের কাছে। জীবন নেই তো কিছুই নেই।
জীবনই যদি না থাকে ভালবাসা, স্বপ্ন, বন্ধন সবই তো অর্থহীন।
কাউকে ভালোবেসে জীবন দিয়ে দেয়ার মত ইউজলেস আর কিছুই নেই দুনিয়াতে।
জীবন দেয়া কখনোই ভালোবাসার গভীরতা বোঝায় না। সেটা তো ভালোবাসাই না যা জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।
ভালবাসা তো সেটা যা আমাদেরকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়। জীবনকে ফুলে-ফলে গড়তে শেখায়।
অনন্ত জীবন একসাথে কাটানোর স্বপ্ন দেখায়। দুনিয়ার ক্ষণিকের জীবনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে শেখায়। -রোজা
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০২:৩২
159898
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অনেক অনেক শুকরিয়া। Happy Good Luck Good Luck Happy
১০
210992
২১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০২:৫৩
নুরুল আলম মাসুম লিখেছেন : টিন এজ এ প্রেম থেকে দূরে থাকার একটা দাওয়াই বলে দিন প্লিজ।
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০২:৩৩
159899
আফরোজা হাসান লিখেছেন : বলে দিয়েছি এর আগের লেখাতে। পড়ে নিন একটু কষ্ট করে। ভালো থাকুন। Happy Good Luck Good Luck Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File