প্রোডাক্টিভ রমাদান: স্টেপ ওয়ান- ঈমান রিনিউ

লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ২২ জুন, ২০১৪, ০৩:৫৯:৩৭ দুপুর



সুপ্রিয় আপুনি ও ভাইয়া, আসসালামুআ'লাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ!

সমাগত রমাদানের প্ল্যান, প্রিপারেশন নিয়ে আমাদের সবারই খুব ব্যস্ততম সময় কাটছে। "রমাদান" নামটি শুনলেই পবিত্রতার, পরিশুদ্ধতার এক বিশুদ্ধতার ছোঁয়া মন প্রানকে আচ্ছন্ন করে তোলে! কেননা রমাদান মাস তো আমাদের জন্য রহমাহ, বারাকাহ , কল্যান, অজস্র শুভ সংবাদ নিয়ে আসে, মুক্তির পয়গাম নিয়ে আসে!আর তাই তো আমাদের প্রতিটি মুমিনেরই কাম্য আসন্ন রমাদান থেকে আমরা যেন সর্বোচ্চ ফায়দা অর্জন করতে পারি ইনশা আল্লাহ!

রমাদানের সিয়াম পালনের মূল উদ্দেশ্য আমরা সবাই জানি আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ﴾আল বাকারাহ: ১৮৩)

হে ঈমানদাগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম ফরয করে দেয়া হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল ৷ এ থেকে আশা করা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হবে।

এই আয়াতটি, এর তফসীর বা আলোচনা আমরা সবাই পড়েছি বা শুনেছি। আসুন আমরা সবাই আরেকবার আরেকটু রিভিউ করি!

প্রথম অংশেই আহবান করা হয়েছে, হে ঈমানদাগণ! !

আমরা কি বুঝতে পারি এই ডাক, এই আহবান কার পক্ষ থেকে?

তিনি আমাদের প্রভু! আমাদের মালিক! আমাদের ইলাহ! যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, বিভিন্ন রকমের নিয়ামত দান করেছেন, আজ যে দুটি চোখ দিয়ে এ আয়াত পড়ছি, যে মস্তিষ্ক দিয়ে চিন্তা করতে পারছি , যে অন্তর দিয়ে আমাদের প্রভুর স্মরন অনুভব করতে পারছি তিনিই আমার একমাত্র প্রভু! সুতরাং এই আহবান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার পক্ষ থেকে যিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা! পালনকর্তা! রক্ষনাবেক্ষনকারী! যিনি তার বান্দাদের প্রতি রহমশীল, ভালোবাসাময়!

এবার আসি কাদের আহবান করা হয়েছে? ঈমানদার কারা? আমরা! যারা ঈমান এনেছি অর্থাৎ বিশ্বাস স্হাপন করেছি আল্লাহ ও তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর! মনে রাখতে হবে ঈমান শব্দটির অর্থ খুবই ব্যাপক অর্থে ব্যবহার হয়! কখনো শুধু ঈমান দিয়ে পুরো দ্বীন ইসলামকে বুঝানো হয় আবার কখন ঈমান আর ইসলাম একসাথে আসলে ভিন্ন ভিন্ন অর্থও প্রকাশ করা হয়!

পাঠক একটু নড়ে চড়ে বসে দেখুনতো কেউ কি মনে করতে পারেন কিনা আল- কোরআনে সূরা বাকারাতে একটি আয়াতে ঈমান শব্দ দিয়ে সালাত বুঝানো হয়েছে কোন আয়াতটিকে? (কুইজ)

আমরা যখন কোরআন পড়ি বা হাদিস পড়ি আমরা সব সময় সচেতন থাকব এই আহবানের ব্যাপারে! যে আহবান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা নিজে আমাদের করছেন , এই আহবানকে আমরা আর যেকোন সাধারন আহবানের মতো মনে করব না! এই আহবান, এই ডাক অত্যন্ত মর্যাদার দাবীদার! এই ডাক কি শুধু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য বা উনার সাহাবীদের জন্য ই সীমাবদ্ধ? না , বরং এই আহবান আমার, আপনাদের, আমাদের সকলের জন্য! সকল যুগের জন্য এই আহবান এই নির্দেশ প্রযোজ্য!

আপনার জীবনে সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তি কে? আপনার মা, বাবা, বড় ভাই, কোন শিক্ষক, কোন বন্ধু অথবা অফিসের বস ? উনারা যখন আপনাকে ডেকে আহবান জানান, কিভাবে সেই ডাকের মর্যাদা রক্ষা করেন? কত সচেতনতার সাথে কতো অনুরাগ ভালোবাসার সাথে তাদের নির্দেশ মেনে চলেন তাই না? আর

সমস্ত সৃস্টিজগতের, পৃথিবী ও নভোমন্ডলের,আসমান ও জমিনের একচ্ছত্র আধিপত্য যার হাতে, উপাস্য হওয়ার একমাত্র ক্ষমতা যার কাছে, চির শান্তির চির শীতল নিয়ামতের স্হান জান্নাতের মালিকানা যার কাছে এই আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার ডাকে , উনার করা আহবানে আমাদের অন্তরের কি পরিমান অনুভূতি আসা প্রয়োজন? আসে কি সেরকম?

আজকে আমরা কোরআন পড়ে স্বাদ পাই না কেননা আমরা শুধু পড়েই যাই, আত্নিক ভাবে এর মহাত্ন্য ও গভীরতা অনুভব করতে পারি না!অথচ সাহাবিগন যখন কোরআন পড়তেন, কোন কোরানের কোন নির্দেশ শুনতেন কি অবস্থা হত উনাদের?

উনারা এক একটা নির্দেশের কি পরিমান গুরুত্ব দিতেন? আল্লাহর আদেশকে বাস্তবায়িত করার জন্য কি পরিমান প্রতিযোগিতা করতেন? আজ আমরা কেন পারিনা সে রকম হতে?

বিলাল (রাঃ ) প্রচণ্ড উত্তপ্ত বালুতে রক্তাক্ত হয়ে কেন আহাদ আহাদ বলেছিলেন? আবু যার গিফারি (রাঃ) কেন বেদম প্রহারের স্বীকার হয়েছিলেন? কেন আম্মার (রাঃ) কে উত্তপ্ত জ্বলন্ত লোহা দিয়ে ঝলসে দেয়া হয়েছিল? সুমাইয়া (রাঃ) কে নির্মম ভাবে শহিদ করা হয়েছিলো? কোন অপরাধে আব্দুলাহ বিন মাসুদ (রাঃ) মুখমন্ডলেন উপর বেদম প্রহার করেছিল কুরাইশরা? পরিবার পরিজন নিরাপদে থাকবে এই প্রলোভনে না গলে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলন্ত খুবাইব (রাঃ) তীর, বর্ষা ও খঞ্জরে কেন শহিদ হলেন? মুসআব বিন উমায়র (রা) এর মা তাকে বেঁধে রেখেছিলেন? । আবু বকর (রাঃ) কে কেন ওমর (রাঃ) আর্থিক সাদাকায় কখনও পরাজিত করতে পারেন নি?

উত্তরটা বুঝতে পারি তাই না? আসলে আমাদের ঈমানটাই বড় দুর্বল! যে ঈমান সাহাবী রাদিআল্লাহু আনহুদের ছিল সে ঈমান থেকে আমরা বহু বহু দূর! অথচ ঈমান হলো ইসলামী জিন্দেগীর ফাউন্ডেশন বা ভিত্তিপ্রস্তর বলা যায়!

আমাদের ইসলামী জিন্দেগীর বিশাল প্রাসাদ যে ঈমান, যে তাওহীদ, যে বিশ্বাসের উপর স্হাপিত হবে এটাই যদি নড়বড়ে হয়, দুর্বল হয় কিভাবে আমরা ঈমানদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করব?

এবার আসুন মূল আয়াতে ফিরে যাই। পরের অংশ বলা হচ্ছে:

তোমাদের ওপর সিয়াম ফরয করে দেয়া হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল ৷ এ থেকে আশা করা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হবে।

১) সিয়াম ফরয করে দেয়া হয়েছে ,

২)তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হবে।

আমাদের ঈমানদারদের সম্বোধন করে আল্লাহ বলছেন যে, আমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, উদ্দেশ্য কি?

আমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুনাবলী সৃষ্টি হবে!

আমরা প্রতি বছর রমাদান শুরুর পূর্বেই সিয়াম কি ,তার সংগা, সিয়ামে করনীয়, বর্জনীয়, উপকারিতা, ফজিলত, মাসাইল, সহীহ-দ্বয়ীফ হাদীস খুব পড়ি, আলহামদুলিল্লাহ পালন করারো চেস্টাও করি ! তাকওয়ার উপর মনোমুগ্ধ আর্টিকেল, আলোচনা করি... পরিশেষে? কতখানি ফলপ্রসু হয়?

সহজে বুঝার জন্য বলা যেতে পারে, ঈমান হলো বীজের মতোন আর ইসলাম হলো বৃক্ষ। বীজের মাঝে যেসব উপাদান, গুনাবলী বিদ্যমান থাকে বৃক্ষে কিন্তু তাই ফুলে -ফলে-পত্র-পল্লবে শোভা পায়! আর ঈমান তো শুধু মৌখিক কিছু স্বীকৃতির মাধ্যমেই হয়ে যায় না, এই স্বীকৃতির বাস্তবায়ন ও করতে হয়! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ন বিশ্বাস রাখা, পরিপূর্ন আনুগত্য করা, যাবতীয় আদেশ মেনে চলা ও নিষেধ থেকে দূরে থাকাকে যদি ঈমান বলি(সংক্ষিপ্তভাবে) এইটুকু আমল করাই কিন্তু প্রথম দায়িত্ব! আমরাতো এখানেই হার মেনে যাই!

আমরা অন্তরে স্বীকার করি, যাবতীয় বিশ্বাস আল্লাহ ও রাসুল সা: এর উপর রাখি কিন্তু আমাদের চিন্তা চেতনা, রুচি-পছন্দের মানসিকতা, ভালো মন্দের মানদন্ড, হ্রদয় মনের সর্বোচ্চ ভালবাসা কোনটাই আল্লাহ ও তার রাসুল সা: এর মাপকাঠিতে যায় না! আমি আমার আমিত্বের ভূত থেকেই বের হতে পারি না! আমাদের বিশাস আর আমলে বিস্তর ফারাক! মুখে বলি আল্লাহ আর রাসুল (সাHappy কে বেশি ভালবাসি কার্যত যখন সালাহ করার সময় হয় তখন বলি আগে চাকরি, অফিসে সালাহ করলে বস রাগ হবেন!! দাড়ির প্রসঙ্গ আসলে বলি ওয়াইফ পছন্দ করে না, চুল কাটতে গিয়ে শাহরুখ কাটিং, পোষক কিনতে গিয়ে কারিনা কামিজ! আরবী বার মাসের নাম জানি না, কবে কোন মাস আসে খোঁজ নাই কিন্তু বৈশাখ আর ভ্যালেন্টাইন ভুলিনা! সাহাবীদের জীবনী সম্পর্কে কোন ধারনা নাই আবার হলিউড নায়ক নায়িকা, ক্রিকেটার- ফুটবলার দের জন্মা ,বংশ , জিন্দেগী বৃত্তান্ত মুখস্থ ঠুটস্থ! কিভাবে ঈমান বিশুদ্ধ হবে আমাদের?

এজন্য ঈমানদার হয়েও মাজারপূজা করা, তাবিজ ঝুলানো, মাপে কম দেয়া, কিছু হলেই জ্যোতিষের কাছে দৌড়ানো,ভেজাল পন্য বিক্রি করা, সালাত মিস হওয়া, মিউজিক শুনা, গায়রে মাহরাম এর সাথে ফ্রি মেলামেশা,টিভির সিরায়াল থেকে ফিলম, নাটক,সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া কোন কিছুই বাদ পড়ে না! অথচ সাহাবী রাদিআয়াল্লাহু আনহুগন এর অনেক কাজগুলো করেছিলেন ঈমান আনয়নের পূর্বে আর ঈমান আনার সাথে সাথে উনারা এগুলো থেকে মাহফুজ হয়ে নিষ্পাপ হয়েগিয়েছিলেন! সেই জাহেলী চরিত্রে উনারা আর কোনদিন ফিরে যান নি! আমরা বলি ঈমানদার, পরিচয় দেই ঈমানদার আর কাজ করি?

সুতরাং পাঠক আগে আমাদের ঈমানটাকেই মজবুত করতে হবে, নবায়ন করতে হবে তবেই সিয়াম পালন করলে তাকওয়ার গুনাবলী অর্জিত হবে! আমরা কেউ কি কখনো কোন ভবনের নিচ তলা অতিক্রম না করে তৃতীয় তলায় উঠতে পারব? আক্ষরিক অর্থেই পারব না! ঈমান আনয়নের সাথে সাথে কিছু আকিদা বিশ্বাস অন্তরে গেথে নিতে হয়, আবার কিছু ধ্যান ধারনা পরিত্যাগ করতে হয়। কিছু হুকুম পালন করতে হয়, কিছু কাজ বর্জন করতে হয়। সময়ের ব্যবধানে যেমন বাসার কন্ট্রাক্ট রিনিউ করতে হয়, চাকরির কন্ট্রাক্ট রিনিউ করতে হয় তেমনি জীবনের মূল চাবিকাঠি ঈমান ও রিনিউ করতে হয়, ঘষামাঝা করতে হয়!

এক সাহাবীর ঈমান ও তাকওয়ার ঘটনা দিয়ে সমাপ্তি টানি...

আবদুল্লাহ ইবন ওমর (রাদিHappy তার সাথীদর নিয়ে মদীনার অদূরে সংগীসাথীদর অবস্হা পর্যবেক্ষনের জন্য আসলেন। স্হানীয় লোকরা আপ্যায়নের জন্য খানা আনলেন, দস্তরখান বিছানো হলে পাশ দিয়ে একজন ছাগলপালের রাখাল যাচ্ছিলো! রাখাল উনাকে সালাম দিলে, উনি তাকে ডাকলেন এবং খেতে আহবান করলে, উনি জানালেন আমি রোজাদার! আবদুল্লাহ ইবন ওমর (রাদিHappy বললেন এ গরমের মাঝে তুমি রোজা রখেছো? আবার ছাগলের পাল নিয়ে পাহাড়ে ঘুর বেড়াচ্ছ?

রাখাল বললেন, আমি আল্লাহর কসম করে বলছি আমি সে দিনে র প্রস্তুতি নিচ্ছি যেদিন মানুষ মানুষ শুন্য হাতে মিলিত হবে প্রভুর দরবারে! একমাত্র সম্বল হবে দুনিয়ার আমল!

আব্দুল্লাহ ইবন ওমর (রাদিHappy তাকে পরীক্ষা করার জন্য বললেন- তুমি তোমার ছাগল হতে একটি ছাগল বিক্রি করবে? আমি যথার্থ মূল্য দিবো, তোমাকে সেখান থেকে গোশত দিব যা দিয়ে তুমি ইফতার করতে পারবে। রাখাল জবাব দিলেন,

- এখানে যে ছাগলগুলো আছে একটিও আমার নয়, এগুলো আমার মনিবের!

-তুমি বলবে বাঘ খেয়ে ফেলছে!

এটা শুনে ছেলেটি আকাশের দিকে তাকিয় হাত উঁচু করে দৌড়ে যেতে যেতে বলল আল্লাহ কোথায় আল্লাহ কোথায়?

আব্দুল্লাহ ইবন ওমর (রা: ) মদীনায় এসে রাখালর মনিবকে ডাকলেন,সমস্ত ছাগল সহ রাখালটিকে কিনে নিলেন। রাখালকে আযাদ করে দিলেন এবং তাকে ছাগলগুলো হাদিয়া করে দিলেন!

পাঠক, এই রাখাল সাহাবীর ঘটনা কি আমাদের অন্তরে ঈমানকে প্রজ্বলিত করে না? আমাদের আমাল আরো সুন্দর করার জন্য আশাবাদী করে না? আমাদের আঁখিদ্বয়কে অশ্রুতে পরিপূর্ন করে তোলে না?

আাসুন ঈমান নবায়ন করি, ইসলামে পরিপূর্নভাবে প্রবেশ করি তবেই তাকওয়ার গুনাবলী অর্জন করতে পারব! সিয়াম সাধনার লক্ষ্য হাসিল করতে পারব ইনশা আল্লাহ!

( দীর্ঘ পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য শুকরিয়া)

বিষয়: বিবিধ

১৭৬৭ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

237559
২২ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:১৬
ভিশু লিখেছেন : ওয়ালাইকুমুস আসসালাম! মহিমান্বিত মাস রমযানের উষালগ্নে অত্যন্ত মূল্যবান এবং হৃদয়স্পর্শী একটি পোস্ট! সূরা আল-বাক্বারায় 'আমানুস্তায়ি'নু বিসসাব্‌রি ওসসালাহ'তে কি ঈমানকে সালাহ বুঝানো হয়েছে? আর ঠিক বলেছেন, অতিদুষ্টু আমিত্বটাই আমাদের বড় শত্রু! শেষের ঘটনাটি জীবনে প্রথম শুনেছি, তাই অন্তর সত্যি-সত্যিই কেঁপে উঠছে! আমাদের কি হবে তাহলে?! অনেক কষ্ট করে এই অনন্য পরিবেশনাটির জন্য অনেক অন্নেক শুকরিয়া আপুজ্বি!
২৪ জুন ২০১৪ রাত ০৪:২২
184643
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খাইর! আল্লাহ আমাদের ঈমান সদা সর্বদা সজিব, নবায়িত রাখুন!

ভাইয়া আপনি যে আয়াত উল্লেখ করেছেন তার একটু উপরেই ছিল আয়াতটি!

"প্রথমে যে দিকে মুখ করে তুমি নামায পড়তে , তাকে তো কে রসূলের অনুসরণ করে এবং কে উল্টো দিকে ফিরে যায় , আমি শুধু তা দেখার জন্য কিব্‌লাহ নির্দিষ্ট করেছিলাম এটি ছিল অত্যন্ত কঠিন বিষয় , তবে তাদের জন্য মোটেই কঠিন প্রমাণিত হয়নি যারা আল্লাহর হিদায়াত লাভ করেছিল ৷ আল্লাহ তোমাদের এই ঈমানকে কখনো নষ্ট করবেন না ৷" সুরা বাকারা-১৪৩)

অন্নেক শুকরিয়াGood Luck
237560
২২ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:১৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৪ জুন ২০১৪ রাত ০৪:২৩
184644
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনাকেও শুকরিয়া! Good Luck
237570
২২ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৩
ইমরান ভাই লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়রান খুব সুন্দর পোস্ট।
২৫ জুন ২০১৪ রাত ০৩:৫৩
185053
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিক! আল্লাহ আমাদের সকলের ঈমানকে সতেজ, মজবুতি ও আমলে তাকওয়া দান করুন! শুকরিয়াGood Luck Praying
237581
২২ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:১৪
আফরা লিখেছেন : ওয়ালাইকুমুস আসসালাম! একটু বড় হলে অনেক ভাল লাগল ।শেষের ঘটনাটি পরে শুধু এটাই মনে হচ্ছে আমি কোথায় আছি !

অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা লেখা শেয়ার করার জন্য ।
২৫ জুন ২০১৪ রাত ০৩:৫৪
185054
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ছোট আপু ভালো আছ তুমি?

আসলেই ঈমান বড় দুর্বল! আল্লাহ আমাদের সকলের ঈমানকে সতেজ, মজবুতি ও আমলে তাকওয়া দান করুন! অন্নেক শুকরিয়া আপিGood Luck Love Struck Praying
237592
২২ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৭
ফেরারী মন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম.....

আসুন ঈমান নবায়ন করি, ইসলামে পরিপূর্নভাবে প্রবেশ করি তবেই তাকওয়ার গুনাবলী অর্জন করতে পারব! সিয়াম সাধনার লক্ষ্য হাসিল করতে পারব ইনশা আল্লাহ!

দীর্ঘ আর কোথায়। ইসলাম ও ঈমান বৃদ্ধির স্বার্থে এতটুকু পোষ্ট পড়তে তো হবেই। অশেষ ধন্যবাদ ও মুবাররকবাদ
২৫ জুন ২০১৪ রাত ০৩:৫৫
185055
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনাকেও অসংখ্য শুকরিয়া পাশে থাকার জন্য! আল্লাহ আমাদের সকলের ঈমানকে সতেজ, মজবুতি ও আমলে তাকওয়া দান করুন! Good Luck Praying
237614
২২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৫
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ঈমান রিনিউ করার জন্য আমাদের রমজান মাস অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ,,অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
২৫ জুন ২০১৪ রাত ০৩:৫৬
185056
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : জ্বি ঠিক বলেছেন! আল্লাহ আমাদের সকলের ঈমানকে সতেজ, মজবুতি ও আমলে তাকওয়া দান করুন! অন্নেক শুকরিয়া Good Luck Praying

আমি আপুHappy
237806
২৩ জুন ২০১৪ সকাল ০৯:৩৯
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : সত্যিই রাখালের কাহিনী পড়তে পড়তে কাঁদলাম। আমরা আসলে কোথায়? আমাদের ঈমান কত দূর্বল!!!!
২৫ জুন ২০১৪ রাত ০৩:৫৮
185057
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আজ আমরা কতো বড় বড় বই পড়ি, নিজেদের কতো শিক্ষিত মনে করি অথচ আমাদের ঈমান বিপদসীমায়! আল্লাহ আমাদের সকলের ঈমানকে সতেজ, মজবুতি ও আমলে তাকওয়া দান করুন! অনেক শুকরিয়াPraying Good Luck
237816
২৩ জুন ২০১৪ সকাল ১০:১৬
egypt12 লিখেছেন : রমজান আশার আগে আমি প্রতি বারই কিছুটা ভয়ে থাকি ভালভাবে কাটবে কিনা! কিন্তু প্রতিবারই ভালোই কেটে যায় Happy
২৫ জুন ২০১৪ রাত ০৩:৫৯
185058
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের কয়েক বছর ধরেই সামারে রমাদান হচ্ছে আমরাও খুব টেনশন করতাম প্রতিবার আল্লাহ এত রহমত করেন! কিভাবে সব সহজ হয়ে যায়! সুবহানাল্লাহ!
আল্লাহ আমাদের সকলের ঈমানকে সতেজ, মজবুতি ও আমলে তাকওয়া দান করুন! অন্নেক শুকরিয়াGood Luck Praying
২৫ জুন ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
185101
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ।
238029
২৩ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৩
নূর আল আমিন লিখেছেন : ভালো লাগলো আপনাকে
ধন্যবাদ
||
২৫ জুন ২০১৪ রাত ০৩:৫৯
185059
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনাকেও অসংখ্য শুকরিয়া!আল্লাহ আমাদের সকলের ঈমানকে সতেজ, মজবুতি ও আমলে তাকওয়া দান করুন! Good Luck Praying
১০
238087
২৩ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
সাদাচোখে লিখেছেন : চমৎকার সাবলীল লিখা।

কয়েকসপ্তাহ আগে মাগরিবের নামাজের পর মসজিদে বসেছিলাম। পাকিস্থানী কিছু মুরুব্বী-স্থানীয় লোক আপনার লিখা গল্পটির প্রথমাংশটুকু পড়েছিলেন - অদ্ভুত ভাল লেগেছিল।

আজ নিজের ভাষায় গল্পটি পড়ে আরো ভাল লাগছে। জাজাক আল্লাহ।
২৫ জুন ২০১৪ রাত ০৪:০০
185060
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনার অভিজ্ঞতা জেনে আরো ভালো লাগলো! আল্লাহ আমাদের সকলের ঈমানকে সতেজ, মজবুতি ও আমলে তাকওয়া দান করুন! অনেক শুকরিয়া ও দোআ প্রার্থী!

বারাকাল্লাহু ফিকGood Luck Praying
১১
238520
২৪ জুন ২০১৪ রাত ১১:০৯
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : ওয়াআলাইকুমআসসালাম ওয়ারহমাতুল্লহে ওয়াবারোকাতুহ আপু মণি! বিশুদ্ধ কিছু উপলব্ধিতে অন্তর ভরে গেল তোমার লেখনী পড়ে! জাজাকিল্লাহ্‌ খইর Rose Rose Rose Rose Rose

আর শুনো না আপি! কুইজের উত্তর টা দিবে না বুঝি? পারছি না তো ! Crying Crying
২৫ জুন ২০১৪ রাত ১২:৪০
185011
শফিক সোহাগ লিখেছেন : "প্রথমে যে দিকে মুখ করে তুমি নামায পড়তে , তাকে তো কে রসূলের অনুসরণ করে এবং কে উল্টো দিকে ফিরে যায় , আমি শুধু তা দেখার জন্য কিব্‌লাহ নির্দিষ্ট করেছিলাম এটি ছিল অত্যন্ত কঠিন বিষয় , তবে তাদের জন্য মোটেই কঠিন প্রমাণিত হয়নি যারা আল্লাহর হিদায়াত লাভ করেছিল ৷ আল্লাহ তোমাদের এই ঈমানকে কখনো নষ্ট করবেন না ৷" সুরা বাকারা-১৪৩)
২৫ জুন ২০১৪ রাত ০৪:০৩
185063
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিক আপুনিতা! সময় করে উঁকি দেয়ার জন্য এত্তগুলো দোআ রইলো!

আশাকরি নিচের শ্রদ্ধেয় ভাইয়ার পেস্ট করা উত্তরটা পেয়েছো! ১ নং মন্তব্যে দিয়েছি! ভিশু ভাইয়াকে জবাব! তাফসীরে ইবনে কাসীর পড়লে বিস্তারিত বুঝতে পারবে আপুনি! আল্লাহ আমাদের সকলের ঈমানকে সতেজ, মজবুতি ও আমলে তাকওয়া দান করুন! অন্নেক শুকরিয়াGood Luck Love Struck Praying
২৭ জুন ২০১৪ সকাল ০৫:৫৪
185740
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : শুকরিয়া শুক্রিয়া! জাজাকুমুল্লহ্‌ খইর ! এই তো পেলাম আমার উত্তর! আল্লহুম্মা আমীন! আল্লাহ্‌ তা'আলা আমাদের রমাদান পর্যন্ত পৌঁছে দেন যেন! আমীনGood Luck Praying
১২
239657
২৮ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৯
মু নূরনবী লিখেছেন : আপনার সিরিজগুলো পড়ছি...অফিসের ফাঁকে সময় করে করে...

চমতকার।

অনেক গাইড লাইন পাচ্ছি...জাজাকাল্লাহ।
২৮ জুন ২০১৪ রাত ০৮:২১
186010
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খাইর!আমাদের জন্য দোআ করবেন প্রকৃত অর্থেই রমাদানের সঠিক হক আদায় করতে পারি!অনেক অনেক শুকরিয়াGood Luck
১৩
247195
২২ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৪
বুড়া মিয়া লিখেছেন : হৃদয়স্পর্শী পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
আমরা ঈমানদার হতে পারি নাই!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File