বিদআত (পর্ব ৩)

লিখেছেন লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ২০ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৪:২৭:৩৬ বিকাল

পূর্ববর্তী পর্বের লিংকঃ বিদআত (পর্ব ২)

পীর মুরীদি বিদআত (চলমান)-

গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম কুরআন হাদীস বহির্ভূত কারামতির ঘটনার উপর অতিনির্ভরশীলতা কিভাবে সাধারণ মানুষকে ইসলাম বহির্ভূত পীর মুরীদি প্রথায় আকৃষ্ট করেছে।

এ পর্বে পীর মুরীদি প্রথার আরো একটি বড় কারণ সম্পর্কে আলোকপাত করতে চাই। সেই কারণটি হচ্ছে- বৈরাগ্যবাদ।

প্রথমেই বলে রাখি, বৈরাগ্যবাদ ইসলামের নীতি নয়। ইসলাম এই বৈরাগ্যবাদকে সমর্থন করে না। বৈরাগ্যবাদের উৎপত্তি মুশরিক ধর্ম ও খৃষ্টধর্ম হতে।

পবিত্র কুরআনে বনী ইসরাঈলীদের বৈরাগ্যবাদ ও কৃচ্ছসাধন নীতির সমালোচনা করে বলা হয়েছেঃ

وَرَهْبَانِيَّةً ابْتَدَعُوهَا مَا كَتَبْنَاهَا عَلَيْهِمْ

‘‘বৈরাগ্যবাদ-দুনিয়া ত্যাগের প্রবণতা-তারা নিজেরা ইচ্ছামত রচনা করে নিয়েছে। আমরা তাদের জন্যে এ ব্যবস্থা দেইনি।’’ (সূরা হাদীদঃ ২৭)

আর ইতিবাচক ভাষায় ইহকাল ও পরকালের ব্যাপারে পূর্ণ ভারসাম্য রক্ষার জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছেঃ

وَابْتَغِ فِيمَا آتَاكَ اللَّهُ الدَّارَ الْآخِرَةَ ۖ وَلَا تَنسَ نَصِيبَكَ مِنَ الدُّنْيَا

‘‘আর আল্লাহ তোমাকে এই জীবনে যা-কিছু দিয়েছেন-জীবন, বিবেক-বুদ্ধি, চিন্তাশক্তি, ধন-সম্পদ ও প্রাকৃতিক বস্তু-সামগ্রী ইত্যাদি-সেই সবকিছু ব্যয় ও ব্যবহার করে তুমি পরকালীন কল্যাণ লাভে আকাঙ্ক্ষী ও যত্নবান হবে। আর তা করতে গিয়ে তোমার বৈষয়িক জীবনের অংশ ও প্রাপ্য তুমি কিছুতেই ভুলে যাবে না।’’ (সূরা কাসাসঃ ৭৭)

অর্থাৎ এই পৃথিবীর জাঁকজমক, স্বাদ আস্বাদন ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জিনিস ভোগ ও ব্যবহার করা আল্লাহর বন্দেগীর পরিপন্থী নয় এবং আল্লাহর ইবাদত করতে হলে এগুলো বর্জন করতে হবে এরূপ মনে করা একেবারেই ভিত্তিহীন। ইসলাম দুনিয়া ত্যাগের এই বৈরাগ্যবাদী মানসিকতাকে আদৌ সমর্থন করে না। উক্ত আয়াতের পরবর্তী অংশে বলা হয়েছেঃ

قُلْ هِيَ لِلَّذِينَ آمَنُوا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا

‘‘জানিয়ে দাও, এই সব কিছুই এ দুনিয়ার জীবনে ঈমানদার লোকদের ব্যয়-ব্যবহার ও ভোগ-সম্ভোগের জন্যে সৃষ্ট হয়েছে।’’ (সূরা আ’রাফঃ ৩২)

অর্থাৎ এসব বর্জন করে চলায় ঈমানদারী নেই। ঈমানদারিীর দায়িত্ব পালনের জন্যে এই সবকিছু যে উদ্দেশ্যে ও যে কাজে লাগাবার জন্যে সৃষ্ট হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যে ও সেই কাজের ব্যবহার করা আবশ্যক এবং এ ব্যাপারে অন্যান্যে তুলনায় ঈমানদার লোকদের দায়িত্ব সর্বাধিক।

কুরআন ও হাদীসে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ ও সৌন্দর্য তথা সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য লাভের জন্যে একসঙ্গে প্রার্থনা করার শিক্ষা দেয়া হয়েছে। এমনকি, এই প্রার্থনায় বিশেষ একটা কালের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতেও নিষেধ করা হয়েছেঃ

فَمِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا وَمَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاق- وَمِنْهُم مَّن يَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ- أُولَٰئِكَ لَهُمْ نَصِيبٌ مِّمَّا كَسَبُوا ۚ وَاللَّهُ سَرِيعُ الْحِسَابِ

‘‘লোকদের মধ্যে কেউ কেউ বলেঃ হে আমাদের প্রভূ! আমাদেরকে এই দুনিয়ার জীবনেই দাও…..; এদের জন্যে পরকালে কিছুই প্রাপ্য নেই। আবার এ লোকদের মধ্যে অনেকেই দো’আ করে এই বলেঃ ‘হে আমাদের প্রভূ! আমাদেরকে দুনিয়ায়ও কল্যাণ ও সুন্দর দান কর-সুন্দর ও কল্যাণ দান কর পরকালেও’। এ লোকেরাই তাদের উপার্জনের অংশ পাবে। আর আল্লাহ খুব দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।’’ (সূরা বাকারাঃ ২০০-২০২)

অর্থাৎ ইসলামের দৃষ্টিতে ইহকাল ও পরকাল অবিভাজ্য। যারা এর একটিমাত্র কালকে চাইবে, তারা শুধু অপরটি থেকেই নয় দুটি থেকেই বঞ্চিত হবে। যারা কেবলমাত্র দুনিয়ার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য চাইবে, তারা েএখানেও তা পাবে না এমন কথা বলা হয়নি, বলা হয়েছে-‘পরকালে তারা কিছুই পাবে না।’

এ দুনিয়ার জীবন একটা পথ মাত্র, চূড়ান্ত মন্‌যিল নয়। দুনিয়া এবং দুনিয়ার সব কিছুই উপায়-উপকরণ মাত্র-লক্ষ্যস্থল নয়। আসল ও চিরন্তন লক্ষ্যস্থল হল পরকাল। মানুষের প্রকৃতির সাথে এর ধারণার পূর্ণ সঙ্গতি বিদ্যমান।

দুনিয়ায় শুধু ধন-সম্পদের প্রাচুর্যই ইসলামের কাম্য নয়, বৈষয়িক উন্নতিও উন্নতির আসল মানদণ্ড নয়। ইসলামের চূড়ান্ত লক্ষ্য পরকালীন কল্যাণ-সেই কল্যাণের দৃষ্টিতেই এই সব কিছুর মূল্যায়ন অবশ্যম্ভাবী।

‘‘তোমরা তো কেবল বৈষয়িক জীবনকেই অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে কর। অথচ পরকালীন জীবনটাই আসল-কল্যাণের প্রকৃত ক্ষেত্র এবং সেটাই চিরস্থায়ী।’’

تُرِيدُونَ عَرَضَ الدُّنْيَا وَاللَّهُ يُرِيدُ الْآخِرَةَ ۗ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

‘‘তোমরা তো দুনিয়ার অস্থায়ী ও ক্ষয়িষ্ণু দ্রব্যাদি লাভ করতে চাও; কিন্তু আল্লাহ (তোমাদের জন্যে) চান পরকাল। আর আল্লাহ্ সর্বজয়ী ও সুবিজ্ঞানী।’’ (সূরা আনফালঃ ৬৭)

أَرَضِيتُم بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآخِرَةِ ۚ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ

‘‘তোমরা পরকাল বাদ দিয়ে কেবল দুনিয়ার জীবন পেয়েই খুশীতে বাগ বাগ হয়ে গেলে? ……. কিন্তু আসলে পরকালের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের সমস্ত সামগ্রী নিতান্তই স্বল্প-অপর্যাপ্ত। (এ কথা তোমরা ভুলে যেতে পার কেমন করে?)।’’ (সূরা তওবাঃ ৩৮)

বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত একটি হাদীসে বলা হয়েছেঃ

একজন সাহাবী বললেন, আমি সমগ্র জীবন রাতে নামায আদায় করে কাটাবো। অন্য একজন বললেন, আমি সব সময় রোযা রাখবো, কখনোই রোযা ভংগ করিব না। তৃতীয় জন বললেন, আমি কখনই বিয়ে করবো না, স্ত্রীলোকের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখবো না। নবী করীম (সাঃ) নিজে এসব কথা শুনতে পান। তিনি তাদেরকে সম্বোধন করে বলেন, ‘আল্লাহর নামের শপথ! আমি তোমাদের অপেক্ষা আল্লাহকে অনেক বেশি ভয় করি এবং তাঁর তাকওয়া রক্ষা করি। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমার জীবনধারা এই যে, আমি রোযাও রাখি এবং রোযা ভেঙ্গেও ফেলি। রাতে নামাযও পড়ি এবং ঘুমিয়েও থাকি। স্ত্রীলোকদের বিয়েও করি। আমার এই জীবনপন্থা যার পছন্দ নয়, তার সাথে আমার কোনই সম্পর্ক নেই।’ (মুত্তাফিকুন আলাইহি)।

খৃস্টান সমাজে বৈরাগ্যবাদের কয়েকটি বিশেষত্ব ছিল। সংক্ষেপে কয়েকটি হলোঃ কঠোর কৃচ্ছ্বসাধনা, নারীসঙ্গ নিষিদ্ধ, নিজ দেহকে নির্যাতন ও পীড়ন, ময়লা অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পরিবেশে বসবাস এবং নোংরা কাপড় পরিধান করা কিংবা উলঙ্গ থাকা ইত্যাদি।

পাদ্রীদের জন্য বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু যৌনতা হচ্ছে শরীরের স্বাভাবিক দাবি, জৈবিক চাহিদা। সে চাহিদা নিবারণের বৈধ পথ যখন বন্ধ করে দেয়া হয় তখন এ প্রবল চাহিদার কাছে নতি স্বীকার করে আরো ঘৃণ্য পথে এ স্বাভাবিক দাবি মেটাতে বাধ্য হয় পাদ্রীরা। হাজার হাজার ন্যক্কারজনক ঘটনা আছে। গির্জায় গিয়ে পাদ্রীর হাতে হাজার হাজার নারী ধর্ষিতা হওয়ার ঘটনা আছে। এমনকি ইতালী ও স্পেনে প্রখ্যাত কিছু পাদ্রীর প্রচুর অজাচারের ঘটনাও আছে, সহোদরা বোনকে ধর্ষণ করার ঘটনা আছে। সেসব বর্ণনা করা ক্ষুদ্র পরিসরে সম্ভব নয়, কলেবরও বাড়াতে চাই না।

এ প্রসঙ্গে একটি সত্যিকার ঘটনার উল্লেখ করছি। স্থান কাল পাত্র এ মুহুর্তে স্মরণে নেই। এক মুসলমান আলেম এর সাথে এক প্রখ্যাত পাদ্রীর ইসলাম ও খৃষ্টধর্ম বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যথাসময়ে যথাস্থানে উক্ত আলেম ও পাদ্রী উপস্থিত হলেন। দেখা হওয়ার পর কুশল বিনিময় হচ্ছে।

আলেমঃ পাদ্রী মহোদয়, কেমন আছেন?

পাদ্রীঃ ঈশ্বর ভালো রেখেছেন। আপনি কেমন আছেন?

আলেমঃ আলহামদুলিল্লাহ। আমি ভাল আছি। আপনার স্ত্রী, সন্তান সন্তুতি কেমন আছে?

পাদ্রীঃ ছি, ছি! এসব কি বলছেন। আমরা এসব হতে মুক্ত। আমরা পবিত্র, আমরা ঈশ্বরের পুত্র যীশুর দূত (নাউজুবিল্লাহ), নারী সংসর্গ আমাদের জন্য নিষিদ্ধ।

আলেমঃ আপনি কি মনে করেন, ঈশ্বর এর চেয়েও আপনি পবিত্র।

পাদ্রীঃ না না, তা হবে কেন? ঈশ্বর সবার চেয়ে পবিত্র। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ।

আলেমঃ তাহলে ঈশ্বরের উপর আপনারা অপবিত্রতার অপবাদ দিচ্ছেন কেন? যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলছেন কেন?



বিতর্কের সমাপ্তি সেখানেই।


বৈরাগ্যবাদের নামে খৃস্টান ধর্মে প্রচুর বাড়াবাড়ি পরিলক্ষিত হয়েছে। তাদের কেউ ত্রিশ বছর পর্যন্ত কারো সাথে কথা বলেনি, নির্বাক থেকেছে। কেউ কেউ লোকালয় ছেড়ে বন জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত, ঘাস লতাপাতা খেত।

অনেকে ছিল গোসল করা হতে নিজেদের বিরত রেখেছিল। কুমারী সিলভিয়া নামক একজন সন্নাসী জীবন গ্রহণ করার পর সমগ্র জ্ঞানজীবনকালে হাত পায়ের আঙ্গুল ব্যতীত শরীরের অন্য কোন অংশ পানির স্পর্শ নেয় নি।

৩২৫ খৃস্টাবে মিশরেই ‘পাথুমিউস’ নামে একজন খৃস্টান পাদ্রীর আত্মপ্রকাশ ঘটে যে সর্বমহলে কামেল নামে পরিচিত ছিল। এ ব্যক্তি নারী ও পুরুষের জন্য দশটি বড় বড় আশ্রম নির্মাণ করে। পরবর্তীতে সিরিয়া, ফিলিস্তিন, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন অংশে আশ্রম নির্মাণের ধারা অব্যাহত থাকে। সেন্ট আথানসিউস, সেন্ট বাসিল, সেন্ট আগস্টাইন এবং গ্রেগরী গ্রেট এর মত লোকদের প্রভাবে বৈরাগ্যবাদের অসংখ্য নিয়মনীতি চার্চের ব্যবস্থায় রীতিমত অনুপ্রবেশ করে।

আলেকজান্দ্রিয়ার সেন্ট ম্যাকারিস ৬ মাস পর্যন্ত থলথলে কাদামাটির উপর শয্যা গ্রহণ করেছে। তার মুরীদ সেন্ট ইউসিবিউল গুরু অপেক্ষাও অনেক ডিগ্রী উপরে। সে ১৫০ পাউন্ড এর বোঝা সর্বদা নিজের উপর চাপিয়ে চলাফেরা করতো। ক্রমাগত তিন বছর সে একটি শুষ্ক কুপের ভিতর কাটিয়েছে। সেন্ট বাইসারিউন ৪০ দিন পর্যন্ত কন্টকাকীর্ণ জঙ্গলে পড়েছিল আর ৪০ বছর শয্যা গ্রহণ করে নি। বিশ্রামের জন্য একটি পাথরে হেলান দিয়েই কাজ সারতো। সেন্ট সিমিউন ছিল বিখ্যাত খৃস্টান বৈরাগী। অনেক উঁচু একটি স্তম্ভ বানিয়ে সেখানে বাস করতো। গোসল করতো না। রশি দিয়ে নিজেকে শক্ত করে বাঁধার ফলে রশি চেপে শরীরের গোশতে ইনফেকশন হয়, পোকামাকড় জন্ম নেয়। এটাকে তারা বৈরাগ্যবাদের সফলতা মনে করতো। এমনি হাজারো কাহিনী আছে তাদের।

৩য় হতে ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে যারা খৃস্ট ধর্মের গুরু ও বিখ্যাত পন্ডিত ছিল তারাই এই মারাত্মক ভ্রান্ত পথ অবলম্বন করেছিল।

সেন্ট আথান সিউসিয়াস, সেন্ট বাসিল, সেন্ট গ্রেগরী, নাজিয়ানজীন, সেন্ট আগস্টাইন, সেন্ট ভেনডিক্ট, সেন্ট জিরোম- এরা সকলেই পাদ্রী পুরোহিত ও বৈরাগ্যবাদের বিখ্যাত প্রচারক ছিলেন। প্রাচীনকালের তাবীজ তুমার, নানা তদবীর, ফাল গ্রহণ করা, ভবিষ্যত বা গায়েবী কথা বলা, জীন ভূত তাড়ানোর আমল খৃস্টান সন্নাসীরা শুরু করলো।



বৌদ্ধধর্মের ভিক্ষু, হিন্দু যোগী সন্নাসী প্রথাও কমবেশি একইরকম বলে পুনরাবৃত্তি হতে বিরত থাকলাম।


মুসলমান সমাজেও তথাকথিত মারেফাতের নামে দুনিয়াত্যাগী জীবনধারা চালু হয়েছে যার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। কোরআন হাদীসের সনদবিহীন অপ্রয়োজনীয় গল্প, কিস্সা কাহিনী সৃষ্টি করে ইসলামী সাহিত্য নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে।



(চলবে...)।


বিষয়: বিবিধ

১৩৯০ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

300939
২০ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৪১
নেহায়েৎ লিখেছেন : "হে ঈমানদারগণ!পন্ডিত ও সংসারবিবাগীদের অনেকে লোকদের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।"
(সূরা আত তাওবাহ, আয়াত-৩৪)
২০ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:০৩
243435
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : প্রাসঙ্গিক আয়াতটি দিয়ে পোস্টটি আরো সমৃদ্ধ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
300940
২০ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৪
আফরা লিখেছেন : ভাইয়া আপনার লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগল ।ামার মনের কিছু প্রশ্নের জবাব আপনার লেখায় পেয়ে অনেক উপকৃত হলেম ।

আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন দুনিয়া ও আখিরাতে । আমীন ।

২০ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৯
243434
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আপনার জবাব পেয়েছেন জেনে প্রীত হলাম।

আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দান করুন দুনিয়া ও আখিরাতে । আমীন ।
300943
২০ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:২০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শুধু বৈরাগ্যবাদ নয় সহজে বেহশত পাওয়ার আশা ও এই ব্যবসার পিছনে ক্রিয়াশিল।
২০ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৩১
243437
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : তাতো অবশ্যই। বৈরাগ্যবাদ অনেকগুলি কারণের মধ্যে একটি মাত্র।
300949
২০ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৪
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : অনেক কিছু জানলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:১৮
243525
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান।
300953
২০ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৮
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ,,ধন্যবাদ ভাইজান
২১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:১৮
243526
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান।
300965
২০ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪১
২১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:১৯
243527
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : দারুণ বইটির লিংক দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। জাজাকাল্লাহ খায়রান।
301001
২০ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:৪৬
শেখের পোলা লিখেছেন : রসুল সঃ বলে ছিলেন যে, বণী ইস্রাঈলে যা যা ঘটেছে, আমার উম্মতদের মাঝেও তা ঘটবে৷৷
২১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:২০
243528
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : ঠিক তাই তাই ঘটছে। জাজাকাল্লাহ খায়রান।
301057
২১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৬:৫১
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। অনেক কিছু জানতে পারলাম। আল্লাহ াাপনার উপর রহমত করুক
২১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:২০
243529
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। আমিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File